বিষয়বস্তুতে চলুন

মকবুল হোসেন (সচিব)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মো: মকবুল হোসেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব।[] জনস্বার্থের বরাত দিয়ে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল।[]

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

মকবুল হোসেন কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার বল্লভেপুরে জন্মগ্রহণ করেন।[] তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অর্থনীতিতে স্নাতক সম্পন্ন করেন।[]

কর্ম জীবন

[সম্পাদনা]

মকবুল হোসেন ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১০ম ব্যাচে অ্যাডমিন ক্যাডার হিসেবে যোগদান করেন।[][] তিনি সহকারী ভূমি কমিশনার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[] তিনি দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসক ছিলেন।[]

তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন।[]

৩১ মে ২০২১ তারিখে, মকবুল হোসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব নিযুক্ত হন।[] তিনি পূর্বে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ছিলেন।[] তার অধীনে, ২০২০ সালে রেকর্ড সংখ্যক কোম্পানি নিবন্ধিত হয়েছিল।[] তার অধীনে, ২০২০ সালে রেকর্ড সংখ্যক কোম্পানি নিবন্ধিত হয়েছিল।[]

"জনস্বার্থ" উল্লেখ করে ২০২২ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠায়।[][] তার পদত্যাগ সম্পর্কে মিডিয়াতে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা ছিল।[] তিনি সরকারের প্রতি আনুগত্য অস্বীকার করেন এবং দাবি করেন যে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন।[] তিনি লন্ডনে বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং এর ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।[][১০] বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারহাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াত দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে জানতে চান, মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তারা কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না।[১১] জাকিয়া সুলতানাকে তার স্থলাভিষিক্ত করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল কিন্তু দুই মাস পর হুমায়ুন কবীর খোন্দকার তার স্থলাভিষিক্ত হন।[১২]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

মকবুল হোসেন ইসরাত জাহান নিনাকে বিয়ে করেছেন।[] তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Info secretary Mokbul sent on retirement"New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০ 
  2. "Info Secy Mokbul Hossain retires"Risingbd.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০ 
  3. "Profile of the Secretary"Bangladesh Sangbad Sangstha (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০ 
  4. "Information Secretary Mokbul Hossain sent on retirement"Kaler Kantho। ১৬ অক্টোবর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০ 
  5. Karmaker, Kongkon (২০১০-০৫-২১)। "Dinajpur Shilpakala Academy auditorium opens its doors"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০ 
  6. Rahman, Md Fazlur (২০২০-১০-০৪)। "Registration of new firms hits an all-time high"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০ 
  7. "Info secretary Mokbul Hossain sent on retirement"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০ 
  8. "Info secy sent on retirement in 'public interest'"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০ 
  9. "Information secretary speaks about his 'forced' retirement"Prothom Alo (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০ 
  10. "No clue why I was sent on retirement: Ex-info secretary"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০ 
  11. "Ex-info secretary Mokbul's "financial scam": HC wants to know ACC action"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-১০-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০ 
  12. "Top posts reshuffled again"The Asian Age (ইংরেজি ভাষায়)। Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-১০