ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপ

স্থানাঙ্ক: ৫১°৫৪′ উত্তর ১০°২১′ পশ্চিম / ৫১.৯° উত্তর ১০.৩৫° পশ্চিম / 51.9; -10.35
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপ
স্থানীয় নাম:
দাইরভ্রে
নাইটসটাউন টাউন ক্লক
ভূগোল
অবস্থানআটলান্টিক মহাসাগর
স্থানাঙ্ক৫১°৫৪′ উত্তর ১০°২১′ পশ্চিম / ৫১.৯° উত্তর ১০.৩৫° পশ্চিম / 51.9; -10.35
আয়তন২৫.৭ বর্গকিলোমিটার (৯.৯ বর্গমাইল)
দৈর্ঘ্য১১ কিমি (৬.৮ মাইল)
প্রস্থ৩ কিমি (১.৯ মাইল)
প্রশাসন
প্রদেশমুনস্টের
বিভাগকেরি
বৃহত্তর বসতিনাইটসটাউন, কেরি (জনসংখ্যা ১৫৬)
জনপরিসংখ্যান
জনসংখ্যা৬৬৫ (২০১১)

ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপ (আইরিশ নাম:দাইরভ্রে, যার অর্থ ওক কাঠ) একটি ২৫.৭ বর্গকিলোমিটার (৯.৯ বর্গমাইল) আয়তনবিশিষ্ট [১] দ্বীপ যা আয়ারল্যান্ড-এর পশ্চিমতম বিন্দুতে অবস্থিত। এটি প্রশাসনিক বিভাগ কেরির দক্ষিণ-পশ্চিমে ইভেরাগ উপদ্বীপে অবস্থিত। এটি পোর্টামেজিতে মরিস ও'নিল মেমোরিয়াল সেতু দ্বারা মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্ত। একটি ফেরিও 'রেনার্ড বিন্দু' থেকে দ্বীপের মূল জনবসতি ক্ষেত্র নাইটসটাউন অবধি এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যাতায়াত করে। চ্যাপেলটাউন নামে একটি দ্বিতীয় ছোট্ট গ্রাম ব্রিজ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার (১.৯ মাইল) দূরত্বে দ্বীপের প্রায় মাঝখানে অবস্থান করছে। দ্বীপের স্থায়ী জনসংখ্যা প্রায় ৬৬৫৷ [২] এটি প্রায় ১১ কিলোমিটার (৭ মাইল) দীর্ঘ ও প্রায় ৩ কিলোমিটার (২ মাইল) প্রশস্ত।

নামকরণ[সম্পাদনা]

ভ্যালেন্টিয়া(ভ্যালেন্সিয়া নামেও পরিচিত) দ্বীপের নামকরণ স্প্যানিশ শহর ভ্যালেন্সিয়া থেকে হয়নি বরং দ্বীপের বসতি অঞ্চল আন ভাইল ইনসি বা বিয়াল ইনসি(যার অর্থ দ্বীপের মুখ) থেকে হয়েছে। স্প্যানিশ নাম ভ্যালেন্সিয়ার সাথে এর মিল থাকার কারণে স্প্যানিশ নাবিক ও অভিযাত্রীদের দ্বারা এই নামটি পরবর্তীকালে জনপ্রিয় ও প্রচলিত হয়। (কাইলমোরের ক্যাথলিক কবরস্থানে সমুদ্রের কাছে হারিয়ে যাওয়া স্প্যানিশ নাবিকদের একটি সমাধিক চিহ্ন রয়েছে)।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

টেলিগ্রাফ ক্ষেত্র, ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপ: ফয়েলহোমর্মাম, ইউরোপ এবং আমেরিকার মধ্যে প্রথম স্থায়ী টেলিগ্রাফ যোগাযোগের স্থান। ২০০২ সালের অক্টোবরে নিউফাউন্ডল্যান্ড-এ ট্রান্স-আটলান্টিক কেবল স্থাপনের স্মৃতিসৌধ ফয়েলহোমর্মাম ক্লিফের উপরে উন্মোচন করা হয়েছিল।এটি ভ্যালেন্টিয়ার স্লেট পাথরের তৈরি এবং স্থানীয় ভাস্কর অ্যালান রায়ান হল ডিজাইন করেছেন।[৩] স্মৃতিসৌধটি ১৮৫৭ সাল ও তার পরবর্তী সময়ে উত্তর আমেরিকার সাথে টেলিগ্রাফ যোগাযোগের গুরুত্বকে চিহ্নিত করতে নির্মাণ করা হয়।

প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে টেকসই আটলান্টিক অতিক্রমকারী টেলিগ্রাফ তার(ট্রান্স-আটলান্টিক টেলিগ্রাফ কেবল)-এর পূর্বপ্রান্তীয় ঘাঁটি ছিল ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপ।[৪] ১৮৫৭ সালে প্রথম[৫] মূল ভূখণ্ডের বালিয়কারবেরি স্ট্র্যান্ড থেকে ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপের ঠিক পূর্বদিক অবধি একটি টেলিগ্রাফিক তারের যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল যার পরিণতি ছিল হতাশাপূর্বক। বহু ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর অবশেষে ১৮৫৮ সালে নাইটসটাউনে এবং ১৮৬৫ সালে ফয়েলহোমর্মাম-এ টেলিগ্রাফিক তার সংযোগ ঘটানো সম্ভব হয়[৬] এবং ১৮৬৬ সালে ফয়েলহোমর্মার উপকূল থেকে নিউফাউন্ডল্যান্ডে অবস্থিত 'হার্ট'স কনটেন্ট' অবধি প্রথমবার আটলান্টিকের পরপারে টেলিগ্রাফ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা সম্ভবপর হয়। এই টেলিগ্রাফ যোগাযোগকারী ব্যবস্থা একশো বছর ধরে ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপ থেকে পরিচালিত হয়েছিল, ১৯৬৬ সালে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ইন্টারন্যাশনাল এর কেবল অপারেশন বন্ধ করে দেয়।

ট্রান্স-আটলান্টিক টেলিগ্রাফ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের আগে দ্রাঘিমাংশ পরিমাপের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দ্রাঘিমাংশের তুলনায় মার্কিন দ্রাঘিমাংশে ২,৮০০-ফুট (৮৫০ মিটার)-এর পরিমাপের অনিশ্চয়তা ছিল। নিরাপদ সমুদ্রযাত্রায় সঠিক দ্রাঘিমাংশের গুরুত্বের কারণে, মার্কিন উপকূল জরিপ বিভাগ ১৮৬৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্রাঘিমাংশ অবস্থানকে গ্রিনউইচের দ্রাঘিমাংশ পর্যবেক্ষণের সাথে সঠিকভাবে সংযুক্ত করার জন্য একটি অভিযান চালিয়েছিল। বেঞ্জামিন গোল্ড এবং তার সঙ্গী এ.টি মোসমান ১৮৬৬ সালের ২ অক্টোবর ভ্যালেন্টিয়ায় পৌঁছেছিলেন। তারা নিউফাউন্ডল্যান্ডে অবস্থিত 'হার্ট'স কনটেন্ট' -এর সাথে দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়ে সামঞ্জস্য আনার জন্য ফয়েলহোমর্মার কেবল স্টেশনের পাশে একটি অস্থায়ী দ্রাঘিমাংশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করেছিলেন। বৃষ্টি ও আবহাওয়াজনিত বাধা অতিক্রম করার পর অনেক দিন বাদে ১৮৬৬ সালের ২৪ অক্টোবর প্রথমবার ফয়েলহোমর্মার ও আটলান্টিকের পরপারে অবস্থিত নিউফাউল্যান্ডের হার্ট'স কনটেন্ট -এর মধ্যে দ্রাঘিমাংশ বিশ্লেষণকারী সংকেত আদানপ্রদান হয়।

শনিবার, ২১ শে মে, ১৯২৭ সালে চার্লস এ লিন্ডবার্গ, নিউইয়র্ক থেকে প্যারিসে তাঁর একক ফ্লাইটে ডিংগল উপকূল এবং ভ্যালেন্তিয়া দ্বীপ হয়ে প্রথম ইউরোপে পদার্পণ করেছিলেন।সেই বিখ্যাত পাইলট দ্বারা ব্যবহৃত ১৯২৭ সালের সময়কালীন মারকেটর চার্টে এই দ্বীপটি ভ্যালেন্সিয়া নামে চিহ্নিত ছিল।[৭]

১৯৯৩ সালে স্নাতক ভূতত্ত্বের এক শিক্ষার্থী দ্বীপের উত্তর উপকূলে অবস্থিত দোহিলাতে(৫১°৫৫′৫১″ উত্তর ১০°২০′৩৮″ পশ্চিম / ৫১.৯৩০৮৬৮° উত্তর ১০.৩৪৩৮৪৯° পশ্চিম / 51.930868; -10.343849), ডিভোনিয়ান শিলায় সংরক্ষিত কিছু জীবাশ্ম পদচিহ্ন আবিষ্কার করেন। প্রায় ৩৮৫ মিলিয়ন বছর আগে, একটি আদিম মেরুদণ্ডটি প্রজাতির প্রাণী উপ-নিরক্ষীয় নদী অববাহিকা, যা এখন দক্ষিণ-পশ্চিমে আয়ারল্যান্ডে অবস্থিত, সেই পথ ধরে নদীর প্রান্ত বরাবর হেটে গিয়েছিল এবং স্যাঁতস্যাঁতে বালিতে তাদের পায়ের ছাপ পড়েছিল। সেই পায়ের ছাপ পলি এবং বালির উপর সংরক্ষিত হয় এবং সময়ের সাথে শিলাতে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এই পায়ের ছাপের জীবাশ্মগুলি ভ্যালেন্টিয়া আইল্যান্ড ট্রাকওয়ে নামে বিখ্যাত এবং প্রাচীন মেরুদণ্ডী প্রাণীজীবনের উপস্থিতির অন্যতম প্রমাণ।[৮][৯]

ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.±%
১৮৪১২,২৯০—    
১৮৫১২,৪৮২+৮.৪%
১৮৬১২,২৪০−৯.৮%
১৮৭১২,১৩৯−৪.৫%
১৮৮১২,২৪০+৪.৭%
১৮৯১২,০৫০−৮.৫%
১৯০১১,৮৬৪−৯.১%
১৯১১১,৬২৫−১২.৮%
বছরজন.±%
১৯২৬১,৪৮৩−৮.৭%
১৯৩৬১,১৯৮−১৯.২%
১৯৪৬১,১০২−৮%
১৯৫১১,০১৫−৭.৯%
১৯৫৬৯৭১−৪.৩%
১৯৬১৯২৬−৪.৬%
১৯৬৬৮৪৭−৮.৫%
১৯৭১৭৭০−৯.১%
বছরজন.±%
১৯৭৯৭১২−৭.৫%
১৯৮১৭১৮+০.৮%
১৯৮৬৬৬৬−৭.২%
১৯৯১৬৮০+২.১%
১৯৯৬৬৭৬−০.৬%
২০০২৬৯০+২.১%
২০০৬৭১৩+৩.৩%
Source: Central Statistics Office। "CNA17: Population by Off Shore Island, Sex and Year"CSO.ie। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১২, ২০১৬ 

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

ভ্যালেন্তিয়া জাহাজঘাট, ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপের উত্তর তীর থেকে (ছবি কাইলমোরের ক্যাথলিক কবরস্থানের শীর্ষে তোলা)
  • জিওকাউন মাউন্টেন এবং ফোগার ক্লিফস: ভ্যালেন্তিয়া দ্বীপের সর্বাধিক উঁচু পর্বত এবং এর উত্তরের তীরে অবস্থিত ৬০০ ফুট (১৮০ মিটার) উঁচু সমুদ্রের চূড়া।
  • দ্বীপের উত্তর-পূর্বে উপ-ক্রান্তীয় উদ্যানগুলির মধ্যে অবস্থিত গ্ল্যানলেম হাউস। ১৮৩০ এর দশকে, স্যার পিটার জর্জ ফিৎসগেরাল্ড, কেরির ১৯ তম নাইট (১৮০৮-১৮৮০)[১০][১১] এই উদ্যান স্থাপন করেছিলেন এবং দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে বিরল গাছ যা সাধারণত আয়ারল্যান্ডের কাচের ঘরে প্রতিপালিত হয়, তা সাধারণত আয়ারল্যান্ডের কাচের নীচে জন্মে এনে রোপন করেছিলেন। এছাড়াও এই উদ্যানে দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড (ইউরোপের দীর্ঘতম গাছের ফার্ন), চিলি এবং জাপান থেকে আনা উদ্ভিদও রয়েছে।
  • ১৯৯৯ সালে পুনরায় চালু হওয়া স্লেট পাথরের উৎখনন স্থল যা থেকে ব্রিটিশ সংসদীয় সংসদীয় ভবণ নির্মাণের জন্য স্লেট সরবরাহ করা হয়েছিল।[১২]
  • দ্বীপে অবস্থিত ঐতিহাসিক ও সংস্কৃতিক সংগ্রহশালা[১৩] যাতে দ্বীপের টেলিগ্রাফ স্থাপনের ইতিহাস এবং সাথে সাথে দ্বীপের ভূতত্ত্ব, মানবিক, প্রাকৃতিক এবং শিল্প ইতিহাসও রক্ষিত আছে
  • টেলিগ্রাফ ক্ষেত্র (বা দ্রাঘিমাংশ ক্ষেত্র) যেখানে টেলিগ্রাফ স্টেশন এবং দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়কারী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল [৬]

আবহাওয়া[সম্পাদনা]

ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপের নাইটস টাউন-এ বিরল তুষারপাতের দৃশ্য

ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপের মহাসাগরীয় জলবায়ু (সিএফবি) বিরাজমান। ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপ গড়ে আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে আর্দ্র আবহাওয়া কেন্দ্র৷ ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপ আটলান্টিক মহাসাগর-এর পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত৷নিউফাউন্ডল্যান্ডে সেন্ট অ্যান্টনির একই অক্ষাংশে, আটলান্টিক মহাসাগরের বিপরীত দিকে অবস্থান করলেও পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিম বায়ুপ্রবাহ এবং উষ্ণতর উপসাগরীয় প্রবাহের কারণে এই অঞ্চলের শীত অনেক হালকা। তুষারপাত এই দ্বীপে খুবই বিরল ঘটনা এবং এ কারণে দ্বীপটিতে বহু উপ-ক্রান্তীয় আবহাওয়া অঞ্চলের গাছ রোপন ও পরিচর্যা সম্ভব হয়েছে।

ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপ, বিভাগ কেরি (১৯৮১–২০১০, চরম ১৮৯২–বর্তমান)-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) ১৪.৮
(৫৮.৬)
১৬.৮
(৬২.২)
২০.৭
(৬৯.৩)
২৪.০
(৭৫.২)
২৭.২
(৮১.০)
২৮.১
(৮২.৬)
২৯.৭
(৮৫.৫)
২৯.৮
(৮৫.৬)
২৮.৪
(৮৩.১)
২৩.৯
(৭৫.০)
১৯.৮
(৬৭.৬)
১৫.৭
(৬০.৩)
২৯.৮
(৮৫.৬)
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ৯.৮
(৪৯.৬)
৯.৮
(৪৯.৬)
১১.০
(৫১.৮)
১২.৫
(৫৪.৫)
১৪.৯
(৫৮.৮)
১৬.৭
(৬২.১)
১৮.১
(৬৪.৬)
১৮.২
(৬৪.৮)
১৭.০
(৬২.৬)
১৪.৩
(৫৭.৭)
১১.৮
(৫৩.২)
১০.৩
(৫০.৫)
১৩.৭
(৫৬.৭)
দৈনিক গড় °সে (°ফা) ৭.৩
(৪৫.১)
৭.২
(৪৫.০)
৮.২
(৪৬.৮)
৯.৪
(৪৮.৯)
১১.৬
(৫২.৯)
১৩.৭
(৫৬.৭)
১৫.৪
(৫৯.৭)
১৫.৪
(৫৯.৭)
১৪.১
(৫৭.৪)
১১.৭
(৫৩.১)
৯.৩
(৪৮.৭)
৭.৮
(৪৬.০)
১০.৯
(৫১.৬)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ৪.৭
(৪০.৫)
৪.৬
(৪০.৩)
৫.৪
(৪১.৭)
৬.৩
(৪৩.৩)
৮.৪
(৪৭.১)
১০.৮
(৫১.৪)
১২.৭
(৫৪.৯)
১২.৬
(৫৪.৭)
১১.২
(৫২.২)
৯.০
(৪৮.২)
৬.৮
(৪৪.২)
৫.৩
(৪১.৫)
৮.২
(৪৬.৮)
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) −৭.২
(১৯.০)
−৭.৩
(১৮.৯)
−৫.১
(২২.৮)
−২.৩
(২৭.৯)
০.২
(৩২.৪)
১.৭
(৩৫.১)
৪.৪
(৩৯.৯)
৩.৩
(৩৭.৯)
১.৭
(৩৫.১)
−২.২
(২৮.০)
−৫.১
(২২.৮)
−৭.৭
(১৮.১)
−৭.৭
(১৮.১)
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) ১৭৩.৮
(৬.৮৪)
১২৩.৭
(৪.৮৭)
১২৩.৮
(৪.৮৭)
৯৬.৭
(৩.৮১)
৯৩.৫
(৩.৬৮)
৯৫.৩
(৩.৭৫)
৯৯.০
(৩.৯০)
১১৪.৯
(৪.৫২)
১২৫.৪
(৪.৯৪)
১৭৭.১
(৬.৯৭)
১৬৯.৩
(৬.৬৭)
১৬৪.৯
(৬.৪৯)
১,৫৫৭.৪
(৬১.৩১)
অধঃক্ষেপণ দিনগুলির গড় (≥ ০.২ mm) ২২ ১৯ ২১ ১৭ ১৭ ১৭ ১৯ ১৯ ১৯ ২২ ২২ ২২ ২৩৬
তুষারময় দিনগুলির গড় ১.০ ০.৮ ০.৭ ০.৩ ০.০ ০.০ ০.০ ০.০ ০.০ ০.০ ০.১ ০.৭ ৩.৭
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) ৭৯.২ ৭৬.২ ৭৫.০ ৭২.৪ ৭২.৯ ৭৬.৭ ৮০.০ ৭৮.৫ ৭৭.২ ৭৮.৪ ৭৯.৬ ৭৯.৯ ৭৭.২
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় ৪৩.৪ ৬২.২ ৯৩.০ ১৫৬.০ ১৮২.৯ ১৫৯.০ ১৩৯.৫ ১৩৬.৪ ১১৭.০ ৮৩.৭ ৫৪.০ ৪০.৩ ১,২৬৭.৪
দৈনিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় ১.৪ ২.২ ৩.০ ৫.২ ৫.৯ ৫.৩ ৪.৫ ৪.৪ ৩.৯ ২.৭ ১.৮ ১.৩ ৩.৫
উৎস: Met Éireann[১৪][১৫][১৬]

ক্রীড়া[সম্পাদনা]

  • ভ্যালেন্টিয়া ইয়ং আইল্যান্ডার্স জিএএ একটি স্থানীয় গ্যালিক অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব।
  • ভ্যালেন্টিয়া একটি জনপ্রিয় মাছ ধরার জায়গা এবং আইরিশ রেকর্ড অনুযায়ী ভ্যালেন্টিয়ার সামুদ্রিক জলের মধ্যে কনজার ইল, লাল সমুদ্রের বীম, রায়ের ব্রেম এবং বিরল ডগফিশের প্রজাতি রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

  • ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় নারী অধিকার প্রচারক হেলেন ব্ল্যাকবার্ন এখানে ১৮৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[১৭]
  • ভ্যালেন্টিয়াকে আইরিশ পৌরাণিক কাহিনীর এক শক্তিশালী অন্ধ দ্রুডের বাড়ি মনে করা হয়।
  • ও সুলিভান বিয়ারের নেতৃত্বে, ও ও সুলিভানরা সপ্তদশ শতাব্দী অবধি ভ্যালেন্টিয়ার বেশিরভাগ অংশের মালিক ছিল।[১৮]
  • বিশিষ্ট প্রকৃতিবিদ মাউদ জেন ডেলাপ নাইটসটাউনে বাস করেছিলেন, তিনি ভ্যালেন্টিয়ার আশেপাশের সামুদ্রিক জীবন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা চালিয়েছিলেন এবং অনেক নতুন প্রজাতি সনাক্ত করেছিলেন।[১৯]
  • ভ্যালেন্টিয়া প্রাক্তন গ্যালারী ফুটবলার মিক ও'কনেলের বাড়ি এবং সিন সিনের নেতা জন জে "স্কেলিগ" ওকেলি-এর জন্মস্থান(১৯২৬ সাল)।
  • গ্যালিশ ফুটবলার জের ও ডিস্ট্রকোল ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
  • আমেরিকান একক রক ক্লাইম্বার মাইকেল রিয়ার্ডন ১৩ জুলাই ২০০৭ সালে ভ্যালেন্টিয়া দ্বীপের ফোগার ক্লিফসে মারা যান।
  • ব্র্যান্ডনের ৬ষ্ঠ ব্যারন মন্টেগল জেরাল্ড স্প্রিং রাইস তার স্প্রিং রাইস পরিবারের অন্যান্য অনেক সদস্যের মতোই এই দ্বীপে প্রতিপালিত হয়েছিলেন।[২০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Knight, Charles (১৮৬৭)। The English Cyclopaedia: Geography (ইংরেজি ভাষায়)। London: Bradbury, Evans, & Co.। পৃষ্ঠা 387। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২০Valentia Island, which has an area of ৬,৩৭১ একর (২৫.৭৮ কিমি) and is extemely fertile and tolerably well cultivated,[...] 
  2. Electoral Division Valencia (CSO Area Code ED 19025)Census of Ireland 2011 (প্রতিবেদন)। 1 – Population Classified by Area। Central Statistics Office of Ireland। Valencia। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২০ 
  3. "First Transatlantic Cable and First message sent to USA 1856 Memorial by Alan Hall"। ২০১১-০৭-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৭Valentia Slate Memorial, showing cross cuts of cable spanning the Atlantic from 1853 to 1966, Year: 2006, Price: 4,500.00 (২০২১ অনুযায়ী £৬,৩৯৫-এর সমতুল্য) 
  4. The Atlantic Cable, Smithsonian Institution, USA.
  5. John R. Isaac, 1857 — Laying the Atlantic Telegraph Cable from Ship to Shore, History of the Atlantic Cable & Undersea Communications.
  6. Buchanan, Keith (২০১৩-০৬-২১)। "The Telegraph Field with transatlantic telegraph cable station - Valentia Island, Ireland - Anglo American Cable House"। ২০১৩-০৬-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৭Also known as "The Longitude Field". Prior to the transatlantic telegraph, American longitude measurements had a ২,৮০০ foot (৮৫০ মি) uncertainty with respect to European longitudes. A temporary longitude observatory was built adjacent to the Foilhommerum Cable Station to facilitate synchronized longitude observations with Heart's Content, Newfoundland. 
  7. Hampton, Dan (২০১৭)। The flight : Charles Lindbergh's daring and immortal 1927 Transatlantic crossing (First সংস্করণ)। New York, NY: HarperCollins। পৃষ্ঠা 189। আইএসবিএন 978-0-06-246439-2ওসিএলসি 957504448 
  8. Stössel, Iwan; Williams, Edward A.; Higgs, Kenneth T. (১৫ নভেম্বর ২০১৬)। "Ichnology and depositional environment of the Middle Devonian Valentia Island tetrapod trackways, south-west Ireland"। Palaeogeography, Palaeoclimatology, Palaeoecology (ইংরেজি ভাষায়)। 462: 16–40। আইএসএসএন 0031-0182ডিওআই:10.1016/j.palaeo.2016.08.033 
  9. Niedźwiedzki, Grzegorz; Szrek, Piotr; Narkiewicz, Katarzyna; Narkiewicz, Marek; Ahlberg, Per E. (জানুয়ারি ২০১০)। "Tetrapod trackways from the early Middle Devonian period of Poland"। Nature (ইংরেজি ভাষায়)। 463 (7277): 43–48। আইএসএসএন 1476-4687ডিওআই:10.1038/nature08623পিএমআইডি 20054388Supposed trackways of very early tetrapods have been recorded from a number of localities in Europe and Australia. [...] Two large trackways from Valentia Island, Ireland, have been dated radiometrically to 385 million years ago.[...]Figure 5 | Phylogenetic implications of tracks. [...]The bars are approximate measures of the uncertainty of dating. These are not statistical error bars but an attempt to reflect ongoing debate. 
  10. "The FitzGerald (Knights of Kerry) Papers (MIC/639 and T/3075)"Public Record Office of Northern Ireland। ২৯ এপ্রিল ১৯৯৮। ২০০৭-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০২০ 
  11. "Introduction to the FitzGerald (Knights of Kerry) Papers (T3075)" (পিডিএফ) (ইংরেজি ভাষায়)। Public Record Office of Northern Ireland। নভেম্বর ২০০৭। পৃষ্ঠা 10। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৭He showed a keen interest in everything which had a practical bearing on the progress or prosperity of Ireland and, predictably, he was most co-operative in the establishment of the trans-Atlantic cable station at Valentia. 
  12. Condon, Des (২০০৬)। "Valentia Island"Cromane Community Council। ২০০৮-০৫-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  13. "Valentia Heritage Centre"। Knightstown, Valentia Island, Co. Kerry, Ireland। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৭ 
  14. "Valentia 1981–2010 averages"Met Éireann। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৬ 
  15. "Absolute Maximum Air Temperatures for each Month at Selected Stations"Met Éireann। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৬ 
  16. "Absolute Minimum Air Temperatures for each Month at Selected Stations"Met Éireann। ৭ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১৬ 
  17. Walker, Linda (২০০৪)। "Blackburn, Helen (1842–1903), campaigner for women's rights"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। ডিওআই:10.1093/ref:odnb/31905  (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন।)
  18. Barnard, Toby (২০০৪)। "O'Sullivan Beare, Philip (b. c.1590, d. in or after 1634)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। ডিওআই:10.1093/ref:odnb/20913  (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন।)
  19. Mulvihill, Mary (২০০৩)। Ingenious Ireland: A County-by-County Exploration of the Mysteries and Marvels of the Ingenious Irish। Dublin: Simon and Schuster। পৃষ্ঠা 397–398। আইএসবিএন 0684020947। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০১৪ 
  20. "Obituary: Captain The Lord Monteagle of Brandon"The Guards Magazine। ২০১৪-০৯-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০১৮