ভৌগোলিক মেরু

গ্রহ, বামন গ্রহ, প্রাকৃতিক উপগ্রহ, গোলক ইত্যাদি কোন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু তার কেন্দ্রগামী যে সরল রেখার সাপেক্ষে আবর্তন করে তাকে ঘূর্ণন অক্ষ বলা হয়। কোন মহাজাগতিক বস্তুর ঘূর্ণন অক্ষ উক্ত মহাজাগতিক বস্তুর পৃষ্ঠকে যে দুটি বিন্দুতে ভেদ করে ঐ বিন্দুদুটিকেই উক্ত মহাজাগতিক বস্তুটির ভৌগোলিক মেরু বা সংক্ষেপে মেরু বলা হয়।[১] পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর ন্যায় যে কোন মহাজাগতিক বস্তুটির উক্ত ছেদ বিন্দু দুটিকেও "উত্তর মেরু" ও " দক্ষিণ মেরু" বলা হয়ে থাকে। উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু পরস্পর থেকে ১৮০° কোণ দূরে তথা মহাজাগতিক বস্তুটির নিরক্ষরেখা থেকে ৯০° কোণে পরস্পরের বিপরীত দিকে অবস্থান করে।
প্রতিটি গ্রহেরই ভৌগোলিক মেরু রয়েছে।[২] পৃথিবীর ভূচৌম্বকত্বের ন্যায় কোন মহাজাগতিক বস্তুর চৌম্বক ক্ষেত্র থাকলে মহাজাগতিক বস্তুটিরও চৌম্বক মেরু থাকবে।[৩]
কোন মহাজাগতিক বস্তুর ঘূর্ণনে হেরফের হওয়ার অর্থ হল এর পৃষ্ঠতলেও ভৌগোলিক মেরুগুলোর অবস্থানের গড়বর হওয়া। যেমন— কয়েক বছরের আবর্তনে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু কয়েক মিটার পর্যন্ত সরে যায়।[৪][৫] মানচিত্র অঙ্কনবিদ্যাতে সঠিক এবং অপরিবর্তনীয় স্থানাঙ্ক আবশ্যক হওয়ায় ভৌগোলিক মেরুসমূহের গড়[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] অবস্থানকে নির্দিষ্ট মেরু (মানচিত্র বৈজ্ঞানিক মেরু বা cartographic poles) হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এই গড় অবস্থানগুলো তথা মেরুগুলো সেসব বিন্দু যেখানে মহাজাগতিক বস্তুটির দ্রাঘিমাগামী মহাবৃত্তগুলো ছেদ করে বা যেসব বিন্দু দিয়ে দ্রাঘিমাগামী মহাবৃত্তগুলো অতিক্রম করে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Kotlyakov, Vladimir; Komarova, Anna (২০০৬)। Elsevier's Dictionary of Geography: in English, Russian, French, Spanish and German। পৃ. ৫৫৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৫।
- ↑ Hooper, William (২০০৮)। Aether and Gravitation। পৃ. ২২৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৫।
- ↑ "20 Things You Didn't Know About... the North Pole"। DiscoverMagazine.com। ১৮ নভেম্বর ২০১৪। ২৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৫।
- ↑ Schar, Ray (২০১০)। Wonderfully Weird World। পৃ. ১০৬। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৫।
- ↑ Lovett, Richard A. (১৪ মে ২০১৩)। "Climate Change Has Shifted the Locations of Earth's North and South Poles"। Scientificamerican.com। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৫।