ভূতথ্যবিজ্ঞান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ভূতথ্যবিজ্ঞান বা জিওইনফরমেটিক্স (ইংরেজি: Geoinformatics) একধরনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যা তথ্য বিজ্ঞান ও প্রকৌশল সম্পর্কিত অবকাঠামো ব্যবহার করে ভৌগোলিক, ভূ-বিজ্ঞান, পরিবেশ, মহাকাশ বিজ্ঞান এবং এর সাথে সম্পর্কিত প্রকৌশলের বিভিন্ন শাখার সমস্যা সমাধান করে।[১]

বিস্তারিত[সম্পাদনা]

ভূতথ্যবিজ্ঞানকে এইভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় যে, এটা এমন এক ধরনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যা পারিসরিক তথ্য ধারণ, শ্রেণীবিভাগকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, উপস্থাপন এবং বিতরণ করার কাজে ব্যবহার করা হয়।[১] এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে মহাকাশে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহ এবং বিভিন্ন দূর অনুধাবন ডিভাইসের মাধ্যমে প্রাপ্ত উপাত্ত, এছাড়াও বিভিন্ন ডিজিটাল উপাত্ত ব্যবহার করা হয়।[২]

ভূতথ্যবিজ্ঞানের শাখাসমুহ[সম্পাদনা]

ভূতথ্যবিজ্ঞানের শাখাসমূহ[১] নিচে উল্লেখ করা হলঃ

  1. ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা ( ইংরেজি : Geographical Information System
  2. রিমোট সেন্সিং
  3. গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম
  4. গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম
  5. ফটোগ্রামেট্রি
  6. পারিসরিক (Spatial) বিশ্লেষণ
  7. ওয়েব ম্যাপিং
  8. কার্টগ্রাফি
  9. জিওডেসি

ব্যবহার[সম্পাদনা]

বর্তমান সময়ে ভূতথ্যবিজ্ঞানের ব্যবহার ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের বিভিন্ন শাখায় এর বহুল ব্যবহার লক্ষণীয় এবং দিন দিন এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে। যেসব ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার[১] করা হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

  1. দুর্যোগ পূর্বাভাস ও ব্যবস্থাপনা
  2. আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও পুর্বাভাস প্রদান
  3. আবহাওয়া ও সমুদ্র মডেলিং
  4. বিমান চালানো
  5. নৌ পরিবহন ও ন্যাভিগেশন
  6. টেলিকমিউনিকেশন
  7. স্থাপনা নির্মাণ
  8. পুরাকৌশল
  9. গাড়ির নেভিগেশন সিস্টেম
  10. সামরিক বাহিনী
  11. পরিবহন জালি পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা
  12. ভার্চুয়াল গ্লোব
  13. নগর পরিকল্পনা
  14. কৃষি ব্যবস্থাপনা
  15. পরিবেশ মডেলিং, পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা
  16. ব্যবসায়ের স্থান পরিকল্পনা
  17. অপরাধ বিজ্ঞান ও অপরাধ সিমুলেশন

বর্তমানে ভূতথ্যবিজ্ঞান প্রযুক্তি সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ের সিদ্ধান্তকারীদের নিকট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

প্রয়োগ[সম্পাদনা]

ভূতথ্যবিজ্ঞানের প্রয়োগগুলির মধ্যে রয়েছে:

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. M. Ehlers (২০০৮)। Geoinformatics and digital earth initiatives: a German perspective 
  2. "Geoinformatics"