ভুটান ব্রডকাস্টিং সার্ভিস
ধরন | পাবলিক কর্পোরেশন (১৯৯২ হতে) সরকারি ব্রডকাস্টার |
---|---|
শিল্প | ব্রডকাস্টার |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৩ (রেডিও NYAB হিসাবে) ১৯৮৬ (রেডিও BBS হিসাবে) ১৯৯৯ (টেলিভিশন) |
সদরদপ্তর | থিম্পু, ভুটান |
প্রধান ব্যক্তি | Sangay Zangmo, Secretary of Ministry of Education (Chairman of BBS), Pema Choden, CEO |
পণ্যসমূহ | টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন সার্ভিস |
মালিক | ভুটান সরকার |
কর্মীসংখ্যা | ৩৩৫ |
ওয়েবসাইট | www.bbs.bt |
ভুটান ব্রডকাস্টিং সার্ভিস (জংখা: འབྲུག་རྒྱང་བསྒྲགས་ལས་འཛིན; ইংরেজি: Bhutan Broadcasting Service (BBS)) হলো ভুটানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রেডিও এবং টেলিভিশন পরিষেবা। এটি একটি পাবলিক সার্ভিস কর্পোরেশন যেটি সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থায়ন দ্বারা পরিচালনা করা হয় এবং এটি রাজ্যের একমাত্র গণমাধ্যম সংস্থা যারা রেডিও এবং টেলিভিশন উভয়টিই প্রদাণ করে এবং ভুটানি সীমান্তের অভ্যন্তর থেকে সম্প্রচারিত হওয়া একমাত্র টেলিভিশন পরিষেবা। তথ্য, যোগাযোগ এবং গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০০৬ (The Information, Communications and Media Act of 2006) দ্বারা বর্তমানে টেলিযোগাযোগ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]অনেক বছর যাবৎ ভুটানে কোন আধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না। ১৯৭৩ সালের নভেম্বর মাসে ভুটানে প্রথম রেডিওতে সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয় যখন ভুটানের জাতীয় যুব সমিতি (National Youth Association of Bhutan - NYAB) প্রথমবারের মতো "রেডিও এনওয়াইএবি" (Radio NYAB) নামে প্রতি রবিবারে অর্ধ-ঘণ্টা ব্যাপী রেডিওতে সংবাদ এবং সংগীত প্রচার শুরু করে।[১] প্রথমাবস্থায় থিম্পুর একটি স্থানীয় টেলিগ্রাফ অফিস থেকে একটি ট্রান্সমিটার ভাড়া নেওয়া হয়। সরকার ১৯৭৯ সালে রেডিও এনওয়াইএবি'এর দায়িত্ব হাতে নেয়,[২] এবং ১৯৮৬ সালে ভুটান ব্রডকাস্টিং সার্ভিস নামে পুনঃনামকরণ করে,[৩] রেডিওর সম্প্রচার কার্যক্রম সম্প্রসারণের পাশাপাশি ১৯৯১ সালে আধুনিক ব্রডকাস্টিং সুবিধা সংস্থাপনের কাজ শুরু করা হয়।[৩]
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্র হিসাবে ভুটানে টেলিভিশন সম্প্রচার নিষিদ্ধ ছিলো।[৪] অবশেষে ১৯৯৯ সালের ২ জুন তারিখে রাজা জিগমে সিংগে ওয়াংচুকের রজত জয়ন্তীর রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু করা হয়।[৫]
রেডিও পরিষেবা
[সম্পাদনা]১৯৯১ সালে সমগ্র ভুটানে শর্টওয়েভ সুবিধা চালু হয়।
টেলিভিশন পরিষেবা
[সম্পাদনা]বিবিএস ছিলো দেশটির দ্বিতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এবং এটি প্রথমাবস্থায় কেবল রাজধানী কেন্দ্রিক সম্প্রচার কার্যক্রম চালালেও ২০০৪ সাল থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সমগ্র দেশজুড়ে সম্প্রচার চালাচ্ছে।
সমালোচনা
[সম্পাদনা]যদিও ভুটানের জনগণের মধ্যে বিবিএস অত্যন্ত জনপ্রিয় কিন্তু অব্যবস্থাপনা এর প্রসারণে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। সরকার এর বার্ষিক বাজেট কমিয়ে দিয়ে এবং এতে পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সিইও হিসাবে ডেপুটেশনে নিয়োগ দানের মাধ্যমে এর কার্যক্রম এবং সম্প্রচারের বিষয়াবলী নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উপস্থাপকগণ কখনও কখনও হঠাৎ করে টেলিভিশনের পর্দা থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। আদালতে বিবিএস'এর বিরুদ্ধে একজন প্রযেজক মামলা দায়ের করেছেন।
২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতীয় গোয়েন্দা ব্যুরো অপরাপর আরো ২৪টি চ্যানেলের সাথে ভুটান ব্রডকাস্টিং সার্ভিসকেও ভারত-বিরোধী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে লাল তালিকাভূক্ত করে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য একটি প্রস্তাবণা ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছিলো।[৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Logan, Stephen (2008). Asian communication handbook 2008. AMIC. p. 134.
- ↑ Sterling, Christopher (2004). The Museum of Broadcast Communications encyclopedia of radio. Fitzroy Dearborn. p. 104.
- ↑ ক খ Drost, Harry (1991). The World's news media: a comprehensive reference guide. Longman. p. 53.
- ↑ Bhutan to enter TV age. BBC News. April 26, 1999.
- ↑ Larsson, Tomas (2001). The race to the top: the real story of globalization. Cato Institute. p. 126.
- ↑ MHA glare on hate channels: Govt puts on notice 24 foreign TV channels showing anti-India content after intel alert
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- BBS.bt – অফিসিয়াল ওয়েব সাইট।
- তথ্য, যোগাযোগ এবং গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০০৬।