ভি. তেজস্বিনী বাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভি. তেজস্বিনী বাই
পদক রেকর্ড
 ভারত-এর প্রতিনিধিত্বকারী
মহিলাদের কাবাডি
এশিয়ান গেমস
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০১০ কুয়াংচৌ দল
রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি প্রতিভা দেবীসিংহ পাটিল ২৯শে আগস্ট, ২০১১ তারিখে নতুনদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে শ্রীমতি ভি তেজস্বিনী বাইকে অর্জুন পুরস্কার প্রদান করছেন।
রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি প্রতিভা দেবীসিংহ পাটিল ২৯শে আগস্ট, ২০১১ তারিখে নতুনদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে শ্রীমতি ভি তেজস্বিনী বাইকে অর্জুন পুরস্কার প্রদান করছেন।

ভি. তেজস্বিনী বাই হলেন মহিলা কাবাডি খেলায় ভারতের প্রতিনিধি। তিনি কুয়াংচৌতে ২০১০ এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক জয়ী কাবাডি দলের একজন সদস্য ছিলেন।[১][২][৩] ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে তেজস্বিনীর অধিনায়কত্বে খেলে ভারতীয় মহিলা কাবাডি দল স্বর্ণপদক জয় করে।[৪]

জীবনী[সম্পাদনা]

তেজস্বিনী কর্নাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। তিনি যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়তেন তখন থেকেই তাঁর মনে কাবাডির প্রতি আগ্রহ জন্মায়।[৫] তেজস্বিনী তাঁর নিজের শহরে হঠাৎ করেই একটি কাবাডি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন এবং তারপর থেকে আর তিনি পিছনে ফিরে তাকাননি। তিনি প্রথমে স্কুল, তারপর কলেজ এবং তারপর জেলার হয়ে খেলেছেন। তেজস্বিনী তাঁর পিতার অপরিহার্য সমর্থন পেয়েছিলেন যা তাঁকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল।[৬]

বেশ কিছু বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে কাবাডি খেলার পর, তেজস্বিনী একজন আদর্শ কাবাডি খেলোয়াড় হিসাবে পরিচিত। তিনি সব অবস্থানেই খেলতে পারেন (অলরাউন্ডার)। দলের জন্য বোনাস পয়েন্ট আনার জন্য তিনি পরিচিত। এখন তিনি ভারতীয় রেলে চাকরি করেন।[৫]

কৃতিত্ব ও প্রাপ্তি[সম্পাদনা]

তেজস্বিনী বাই দুবারের এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক বিজয়ী। তিনি ২০১১ এবং ২০১৪ এশিয়ান গেমসে ভারতের হয়ে সোনা জিতেছিলেন। কাবাডিতে তাঁর অবদানের জন্য তিনি ২০১১ সালের ২৯শে আগস্ট মর্যাদাপূর্ণ অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হন।[৭] ২০১৮ সালে তেজস্বিনী বাই ভারতীয় মহিলা কাবাডি দলের প্রধান কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন।[৬]

দুঃখজনক ঘটনা[সম্পাদনা]

তেজস্বিনী এবং তার স্বামী ২০২১ সালের ১লা মে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হন। যদিও তিনি বাড়িতে সুস্থ হয়ে ওঠেন, কিন্তু তাঁর স্বামী নবীন ১১ই মে মারা যান।[৮] ক্রীড়াবিদদের জন্য পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জাতীয় কল্যাণ তহবিলের আর্থিক সহায়তা প্রকল্প থেকে তাঁর জন্য দুই লাখ টাকা সাহায্য অনুমোদিত হয়। কোভিড-১৯ অতিমারীর মধ্যে প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ এবং কোচদের সহায়তা করার জন্য ভারতের ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ, ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক (এম ওয়াই এ এস) যৌথভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে।[৯]

তেজস্বিনী বলেছিলেন যে তিনি কর্ণাটক ক্রীড়া কমিটির সদস্য এবং প্রাক্তন অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত হোন্নাপ্পা গৌড়ার কাছ থেকে এই উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। তিনি তাঁর সন্তানের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার জন্য এই অর্থ বিনিয়োগ করতে চান।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Native Proud of Asiad Kabaddi Gold Medalist Mamata Poojary"। daijiworld.com। ২০১৪-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১০-২২ 
  2. Vinod, A. (নভে ২৯, ২০১০)। "Kerala still in celebratory mood after Asiad impression"The HinduThe Hindu Group। এপ্রিল ২, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১২ 
  3. "Colourful start to district youth fete"The HinduThe Hindu Group। জানুয়ারি ৮, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১২ 
  4. "Indian women's kabaddi team win gold, beat Iran by 31-21 in Asian Games 2014"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  5. "Kabbadi is not an easy sport, says Indian skipper Tejaswini"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  6. "Tejaswini Bai appointed as head coach of Indian Women's Kabaddi team"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  7. "Ministry of Sports sanctions financial aid for two time Asian Games Gold Medalist Tajeswini Bai"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  8. "Bereaved by COVID, Asian Games women's champion V Tejaswini Bai to get financial aid"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  9. "Sports Ministry approves Rs 2 Lakh assistance to 2011 Arjuna Award winner V Tejaswini Bai"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  10. "Government sanctions financial help for Asiad champion kabaddi player Tejaswini Bai"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২