ভিনসেন্ট ভ্যালেন্টাইন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভিনসেন্ট ভ্যালেন্টাইন
১৯৩৩ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ভিনসেন্ট ভ্যালেন্টাইন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামভিনসেন্ট আদোলফাস ভ্যালেন্টাইন
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক২২ জুলাই ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১২ আগস্ট ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৪
রানের সংখ্যা ৩৫ ৫০০
ব্যাটিং গড় ১১.৬৬ ১৭.৮৫
১০০/৫০ ০ / ০ ০ / ১
সর্বোচ্চ রান ১৯* ৫৯*
বল করেছে ২৮৮ ৪,৬০৪
উইকেট ৪৯
বোলিং গড় ১০৪.০০ ৪০.৪০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/৫৫ ৪/৮৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০ / ০ ১১ / ০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬

ভিনসেন্ট আদোলফাস ভ্যালেন্টাইন (ইংরেজি: Vincent Valentine; জন্ম: ৪ এপ্রিল, ১৯০৮ - মৃত্যু: ৬ জুলাই, ১৯৭২) জ্যামাইকার পোর্টল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১]

১৯৩০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ঘরোয়া ক্রিকেটে জ্যামাইকার প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার ছিলেন। ব্যাটসম্যানেরা তার বলগুলোয় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারতেন না। সঠিক নিশানায় পিচের উভয় দিকেই বল ঘুরাতে দক্ষতার প্রদর্শন করেছেন। এছাড়াও বাতাসে বলকে সুইং করানোয়ও সক্ষমতা দেখিয়েছেন তিনি। নিচেরসারিতেও ব্যাট হাতে সফলতা পেয়েছেন। ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে আদর্শ রূপ দেখিয়েছেন ভিনসেন্ট ভ্যালেন্টাইন

ঘরোয়া ক্রিকেট[সম্পাদনা]

জ্যামাইকার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে স্মরণীয় অভিষেকের ঘটিয়েছেন ভ্যালেন্টাইন। ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ সালে কিংস্টনের মেলবোর্ন পার্কে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় লর্ড টেনিসনের সফরকারী দলের বিপক্ষে খেলেন। ব্যাট হাতে না নিলেও জ্যামাইকা তাদের প্রথম ইনিংসে ৭০২/৫ তুলে ডিক্লেয়ার করে। পরবর্তীতে চার উইকেট নিয়ে জ্যামাইকার ইনিংসে ও ৯৭ রানের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। ঐ ইনিংসে জর্জ হ্যাডলি ৩৪৪ ও ক্ল্যারেন্স পাসাইলাইগু ২৬১ ৬ষ্ঠ উইকেটে অপরাজিত ৪৮৭* তুলেন যা অদ্যাবধি রেকর্ড হয়ে রয়েছে। বছরের শেষদিকে আর একটি খেলায় অংশ নিলেও ব্যাট বা বল হাতে তেমন সফলতা পাননি।

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৩৩ সালে ইংল্যান্ড সফরের জন্য মনোনীত হন তিনি। মূলতঃ লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইনের বিকল্প ও তার ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে নেলসনের পক্ষে খেলার চুক্তিবদ্ধতার কারণে খেলার সুযোগ ঘটে ভ্যালেন্টাইনের। ২৪টি প্রথম-শ্রেণীর খেলার উনিশটিতেই অংশ নেন। সিরিজের ২য় ও ৩য় টেস্টে অংশ নেন তিনি। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ৩ টেস্টের সিরিজের ২য় টেস্টে স্বদেশী আর্চি উইলস ও ইংল্যান্ডের জেমস ল্যাংগ্রিজের সাথে তারও টেস্ট অভিষেক হয়।[২] প্রথম ইনিংসে ওয়াল্টার রবিন্সের বলে ৬ রানে বোল্ড হন ও দ্বিতীয় ইনিংসে নিজস্ব সর্বোচ্চ ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ঐ খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু লন্ডনের দি ওভালে অনুষ্ঠিত ৩য় টেস্টে এক টেস্টের বিস্ময়কারী ও অভিষিক্ত চার্লস ম্যারিয়টের ৫/৩৭ ও ৬/৫৯ দূর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে প্রেক্ষিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল মাত্র দুইদিন ও দশ মিনিটেই ইনিংস ও ১৭ রানে পরাজিত হবার পাশাপাশি ০-২ ব্যবধানে সিরিজ হারায়। উভয়ক্ষেত্রেই তিনি ম্যারিয়টের শিকারে পরিণত হন।[৩]

দেহাবসান[সম্পাদনা]

৬ জুলাই, ১৯৭২ তারিখে ৬৪ বছর বয়সে জ্যামাইকার কিংস্টনে ভিনসেন্ট ভ্যালেন্টাইনের দেহাবসান ঘটে। কিন্তু, তার মৃত্যুতে উইজডেনের কোন সংখ্যায় এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়নি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ""Players / West Indies / Vincent Valentine"" [ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে ভিনসেন্ট ভ্যালেন্টাইনের প্রোফাইল]। ইএসপিএন ক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  2. "West Indies tour of England, 2nd Test: England v West Indies at Manchester, Jul 22-25, 1933" [ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর, ২য় টেস্ট, ২২-২৫ জুলাই, ১৯৩৩]। ইএসপিএন ক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  3. ""West Indies tour of England, 3rd Test: England v West Indies at The Oval, Aug 12-15, 1933"" [ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর, ৩য় টেস্ট, ১২-১৫ আগস্ট, ১৯৩৩]। ইএসপিএন ক্রিকইনফো (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]


আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  1. World Cricketers - A Biographical Dictionary by Christopher Martin-Jenkins published by Oxford University Press (1996)
  2. The Wisden Book of Test Cricket, Volume 1 (1877–1977) compiled and edited by Bill Frindall published by Headline Book Publishing (1995)
  3. The Complete Record of West Indian Test Cricketers by Bridgette Lawrence & Ray Goble published by ACL & Polar Publishing (UK) Ltd. (1991)