ভিক্তোলিয়েনমার্কট


ভিক্তোলিয়েনমার্কট (জার্মান: Viktualienmarkt) জার্মানির মিউনিখে অবস্থিত একটি দৈনিক খাবারের বাজার। এটি কৃষকদের বাজার হিসেবে শুরু হয় এবং এরপর জনপ্রিয় খাবারের বাজার হয়ে উঠে। এর আয়তন ২২,০০০ মি২ (২,৪০,০০০ ফু২) এবং ১৪০ টি স্টল ও দোকানে ফুল, বহিরাগত ফল, পোল্ট্রি, মসলা, পনির, মাছ, ফলের রস সহ অন্যান্য পণ্য পাওয়া যায়।[১]
অধিকাংশ স্টল ও দোকান দাপ্তরিক কর্মঘণ্টার সময় (সোমবার থেকে শনিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে বিয়ারগার্টেন খোলার সময় সকাল ৯টা।[২] অনেক স্টল সন্ধ্যা ৬ টায় বন্ধ হয়ে যায়। ফুলের দোকান, বেকারি ও রেস্তোরা খোলার পৃথক সময় রয়েছে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]


বর্তমান মারিনপ্লাৎজ যখন খাদ্যশস্য ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের বিক্রয়স্থল হিসেবে ছোট হয়ে পড়ে তখন রাজা প্রথম ম্যাক্সিমিলিয়ানের নির্দেশে ১৮০৭ সালের ২ মে ভিক্তোলিয়েনমার্কট চালু হয়। রাজার নির্দেশ ছিল যাতে হেইলিগজিস্ট গির্জা ও ফ্রাওনস্ট্রিটের মধ্যবর্তী বাজারের অংশসমূহ নতুন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। দাতব্য হেইলিগজিস্ট হাসপাতাল ভবন ভেঙ্গে ফেলার জন্য নগর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এভাবে বাজারটি স্থান লাভ করে। প্রথমদিকে এটি "মার্কেট প্লেস" নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে "ভিক্তোলিয়েন" (ল্যাটিন অর্থ খাবার) নামটি ব্যবহৃত হওয়া শুরু হয়। ১৮২৩ থেকে ১৮২৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাজারটি স্থান উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত হয়। ১৮৮৫ সালে প্রাচীন হেইলিগজিস্ট হাসপাতাল ভেঙ্গে ফেলে হেইলিগজিস্ট গির্জা পশ্চিমে বর্ধিত করা হয়। এর ফলে শহর ও বাজার নতুন রূপ পায়। ১৮৫২ সালে ব্লুমেনস্ট্রিটের (জার্মান: Blumenstraße শেষপ্রান্তে প্রাচীন দেয়ালের নিকটে বর্তমান গ্রোমার্ক্টহলের (জার্মান: Großmarkthalle) পূর্বসূরি স্ক্রানেনহল (জার্মান: Schrannenhalle নির্মিত হয়। ১৯৩২ সালে এটি অগ্নিকান্ডে ধ্বংস হয় যায়। ২০০৫ সালে এটি পুনরায় চালু হয়। ১৮৫৫ সালে মাছ বাজারটি ওয়েস্টেনরিডারস্ট্রিটে (জার্মান: Westenriederstraße) স্থানান্তরিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বাজারে বিভিন্ন নতুন বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ একটি কসাইখানা হল, একটি ট্রিপ হল, বেকারি ও ফল বিক্রেতাদের জন্য প্যাভিলিয়ন এবং মাছ বিক্রেতাদের জন্য একটি হল। পিটারসবার্গল (পিটারের পাহাড়, পিটার্স গির্জার সাইট), পোল্ট্রি ও হরিণের স্টল এবং ফুল বিক্রেতাদের স্টান্ড আরো প্রসারিত করা হয়।[৩]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চত্ত্বরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বাজারের স্থানে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য বাজার বন্ধের আলোচনাও হয়। তবে নগর কর্তৃপক্ষ ভিক্তোলিয়েনমার্কট পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয় এবং মিউনিখের বাসিন্দারা এর সমৃদ্ধির জন্য অবদান রাখে। পরে, লোক গায়ক এবং কৌতুকবিদদের জন্য স্মারক ঝর্ণা যোগ করা হয়েছিল।[৩]
উৎসব[সম্পাদনা]
এখানে কিছু ঐতিহ্যবাহী ও লোক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিওয়ার'স ডে, গার্ডেনার'স ডে, আস্পারাগাস মৌসুমের উদ্ভোধন, গ্রীষ্মকালীন উৎসব, শ্রোভ টুইজডের নৃত্য ইত্যাদি। এর ফলে ভিক্তোয়লিয়ানসমার্ক্ট একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়।
প্রশাসন[সম্পাদনা]
মিউনিখ পাইকারি বাজার কর্তৃক ভিক্তোয়লিয়ানসমার্ক্ট পরিচালিত হয়। ভিক্তোয়লিয়ানসমার্ক্ট, মিউনিখ পাইকারি বাজার, এলিজাবেথমার্ক্ট, পাসিং ভিক্তোয়লিয়ানসমার্ক্ট, ভাইনার মার্ক্ট ও মিউনিখ সাপ্তাহিক বাজার সম্মিলিতভাবে মিউনিখ শহর পরিচালিত একটি মিউনিসিপাল কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত হয়।
-
ঐতিহ্যবাহী ব্যারেলমার্কার নৃত্য
-
ভিক্তোয়লিয়ানসমার্ক্টে স্থাপিত মেপোল
-
ভিক্তোয়লিয়ানসমার্ক্টের একটি স্টল
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Viktualienmarkt Munich"। bavaria.by। bavaria.by। ২২ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৯।
- ↑ "Viktualienmarkt"। munichbeergardens.com। Munich Beer Gardens। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৯।
- ↑ ক খ "Viktualienmarkt"। muenchen.de। muenchen.de। ১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৯।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
