ভিক্টোরিয়া ফ্রমকিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ভিক্টোরিয়া ফ্রমকিন
220*226
জন্ম
ভিক্টোরিয়া আলেকজান্ড্রা ল্যান্ডিশ

(১৯২৩-০৫-১৬)১৬ মে ১৯২৩
মৃত্যু১৯ ফেব্রুয়ারি ২০০০(2000-02-19) (বয়স ৭৬)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
প্রতিষ্ঠানসমূহইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলস

ভিক্টোরিয়া ফ্রমকিন (১৬ মে, ১৯২৩ - ১৯ জানুয়ারী, ২০০০) একজন মার্কিন ভাষাবিদ যিনি ইউসিএলএ-তে অধ্যাপনা করতেন। তিনি জিহ্বাস্খলন, শ্রবনত্রুটি, এবং বাকত্রুটি এবং ধ্বনিতত্ত্বে এর প্রয়োগ, অর্থাৎ মস্তিষ্কের উপর এর প্রভাব নিয়ে অধ্যয়ন করতেন।

জীবনী[সম্পাদনা]

ফ্রমকিন ১৬ই মে, ১৯২৩ সালে ভিক্টোরিয়া আলেকজান্ড্রা ল্যান্ডিশ হিসাবে পাসেইক, নিউ জার্সিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৪ সালে তিনি বার্কলে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে পাসেইকের তাঁঁর শৈশবের বন্ধু জ্যাক ফ্রমকিন কে বিয়ে করেন এবং তারা ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে বসবাস শুরু করেন। তিনি ৩০-এর দশকের শেষের দিকে ভাষাবিজ্ঞান শিখতে স্কুলে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[১] তিনি ইউসিএলএতে নথিভুক্ত হন, ১৯৬৩ সালে তার মাস্টার্স এবং ১৯৬৫ সালে তাঁঁর পিএইচডি পান। তাঁঁর থিসিসের শিরোনাম ছিল "সাম ফোনেটিক স্পেসিফিকেশান্স অফ লিঙ্গুইস্টিক ইউনিটস: অ্যান ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফিক ইনভেস্টিগেশান"।[২] একই বছর, তিনি ইউসিএলএ-তে ভাষাতত্ত্ব বিভাগের অনুষদের সাথে যোগ দেন।[৩]

তাঁঁর গবেষণার প্রধান বিষয়বস্তু ছিল বাকত্রুটি এবং জিহ্বাস্খলন। তিনি জিহ্বাস্খলনের ১২,০০০ এরও বেশি উদাহরণ সংগ্রহ করেছিলেন, যা বেশ কয়েকটি পণ্ডিত প্রকাশনাগুলিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে, বিশেষত তাঁঁর ১৯৭১ সালের ল্যাঙ্গুয়েজ[৪] নিবন্ধ এবং একটি সম্পাদনাকৃত লেখা, স্পীচ এরার্স অ্যাজ লিঙ্গুইস্টিক এভিডেন্স[৫]

১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ফ্রমকিন ভাষাবিজ্ঞান গবেষক দলের একটি অংশ ছিলেন যারা জেনি নামে এক "বন্য শিশু" বাচনভঙ্গি অধ্যয়ন করছিলেন। জেনি তার জীবনের প্রথম ১৩ বছর তীব্র বিচ্ছিন্নতায় কাটিয়েছিল, এবং ফ্রমকিন এবং তাঁঁর সহযোগীরা আশা করেছিলেন যে জেনির ঘটনাটা জটিল সময়ের পর ভাষা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াটির উপর আলোকপাত করবে।[৬][৭] তবে এই গবেষণায় জেনির যত্ন সম্পর্কিত অসন্তোষের বিরোধিতা এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ থেকে অর্থায়ন হ্রাসের পর এই গবেষণাটি বন্ধ হয়ে যায়।[৮] ফ্রমকিন জেনির ভাষাগত উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন লেখা প্রকাশ করেছেন।[৯]

১৯৭৪ সালে, ফ্রমকিনকে শিশু টেলিভিশন ধারাবাহিক ল্যান্ড অফ দ্য লস্ট-এর প্রযোজক দ্বারা পাকুনি নামক আদিম গুহামানব/ প্রাইমেটদের একটি নির্মিত ভাষা তৈরি করার জন্য কমিশন করা হয়। ফ্রমকিন এই ধারাবাহিকের জন্য ৩০০-শব্দের শব্দভান্ডার এবং বাক্য গঠনের নিয়ম তৈরি করেছিলেন এবং ধারাবাহিকের প্রথম দুটি মরশুমের জন্য তার তৈরি পাকুনি ভাষাতে স্ক্রিপ্ট অনুবাদ করেছিলেন।[১০][১১]

ব্লেড নামক অ্যাকশন-কল্পবিজ্ঞান চলচ্চিত্রের জন্য তিনি সেই চলচ্চিত্রের ভ্যাম্পায়ারগুলির জন্য আরেকটি নির্মিত ভাষা তৈরি করেছিলেন।[১২]

তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক কর্মসূচির প্রথম মহিলা ভাইস চ্যান্সেলর হন। তিনি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।[৩] ১৯৮৫ সালে তিনি লিঙ্গুইস্টিক সোসাইটি অফ আমেরিকার সভাপতি নির্বাচিত হন।[১৩] তিনি একাডেমি অফ এফেশিয়ার পরিচালক বোর্ডের সভাপতিও ছিলেন।[১৪] ১৯৯৬ সালে তিনি ন্যাশনাল একাডেমী অফ সায়েন্সেসের সদস্যপদে নির্বাচিত হন।[১৫]

১৯শে জানুয়ারী, ২০০০ সালে ৭৬ বছর বয়সে কোলোন ক্যান্সারে মারা যান ফ্রমকিন।[৩] ২০০১ সালে লিঙ্গুইস্টিক সোসাইটি অফ আমেরিকা তার সম্মাননায় "ভিক্টোরিয়া এ ফ্রমকিন প্রাইজ ফর ডিস্টিঙ্গুইশড সার্ভিস" [১৬] পুরস্কার প্রবর্তন করে।

গবেষণা[সম্পাদনা]

ফ্রমকিন ভাষাতত্ত্বের যে ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন তা বাকত্রুটি হিসাবে পরিচিত। তিনি "ফ্রমকিন স্পীচ এরার ডেটাবেস" নামক একটি ডেটাবেস তৈরি করেছেন, যার জন্য তথ্য সংগ্রহ এখনো চলছে।[১৭] ফ্রমকিন নয় ধরনের বাকত্রুটির হিসাব দিয়েছিলেন। ফ্রমকিন মতবাদ দিয়েছিলেন জিহ্বাস্খলন বিভিন্ন স্তরে হতে পারে, যেমন বাক্যগঠন স্তরে, বাক্যাংশ স্তরে, ধ্বনিতাত্ত্বিক স্তরে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে জিহ্বাস্খলনগুলি বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটতে পারে।

বই[সম্পাদনা]

  • Fromkin, V., Rodman, R., & Hyams, N. (২০০৭)। An Introduction to Language (8th ed.)। Boston, MA: Thomson Wadsworth। আইএসবিএন 1-4130-1773-8 
  • Fromkin, V. (Ed.) (২০০০)। Linguistics: An Introduction to Linguistic Theory। Malden, MA: Blackwell Publishing। আইএসবিএন 0-631-19711-7 
  • Fromkin, V. (Ed.) (১৯৮০)। Errors in linguistic performance: Slips of the tongue, ear, pen, and hand। San Francisco: Academic Press। আইএসবিএন 0-12-268980-1 
  • Fromkin, V., Rodman, R., & Hyams, N. (২০১১)। An Introduction to Language (9th ed.)। Boston, USA: Cengage Learning Wadsworth। আইএসবিএন 1-4282-6392-6 

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বায়োগ্রাফিকাল মেময়েরস, ভিক্টোরিয়া ফ্রমকিন" (পিডিএফ)ন্যাশানাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস 
  2. এ ফ্রমকিন, ভিক্টোরিয়া (১৯৬৫-১০-০১)। "ওয়ার্কিং পেপার্স ইন ফোনেটিক্স, ন্ং ৩: সাম ফোনেটিক স্পেসিফিকেশান্স অফ লিঙ্গুইস্টিক ইউনিটস: অ্যান ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফিক ইনভেস্টিগেশান - ইস্কলারশিপ" (ইংরেজি ভাষায়)। 
  3. "Victoria Fromkin's Homepage"linguistics.ucla.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-০৪ 
  4. Fromkin, Victoria (১৯৭১)। "The Non-anomalous nature of anomalous utterances.": 27–52.। ডিওআই:10.2307/412187 
  5. Speech Errors as Linguistic Evidence। Mouton de Gruyter। ১৯৮৪। আইএসবিএন 978-3-11-088842-3 
  6. "The Linguistic Development of Genie" (পিডিএফ) 
  7. "NOVA | Transcripts | Secret of the Wild Child | PBS"www.pbs.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-০৪ 
  8. Rymer, Russ (১৯৯৩)। Genie: A Scientific Tragedyহার্পার পেরেনিয়াল। পৃষ্ঠা 23, 46, 56, et al.। আইএসবিএন 0-06-016910-9 
  9. "Publications of V. A. Fromkin"। Language, Speech and Mind: studies in honour of Victoria A. Fromkin। Taylor and Francis। ১৯৮৮। আইএসবিএন 0-415-00311-3। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০০৯ 
  10. Erickson, Hal (১৯৯৮)। Sid and Marty Krofft: A Critical Study of Saturday Morning Children's Television, 1969-1993McFarland। পৃষ্ঠা 114–115, 126–127। আইএসবিএন 0-7864-0518-X। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০০৯ 
  11. Susman, Gary। "Land of the Lost's Lost Language"io9 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-০৪ 
  12. ব্লেড (১৯৯৮) 
  13. "Presidents | Linguistic Society of America"www.linguisticsociety.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-০৪ 
  14. Strazny, Philipp (২০০৫)। Encyclopedia of Linguistics। FItzroy Dearborn। পৃষ্ঠা 362আইএসবিএন 1-57958-391-1 
  15. http://www.nasonline.org, National Academy of Sciences -। "Victoria Fromkin"nationalacademyofsciences.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-০৫ 
  16. "LSA Honors and Awards | Linguistic Society of America"www.linguisticsociety.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-০৪ 
  17. "Fromkins Speech Error Database — Max Planck Institute for Psycholinguistics"www.mpi.nl (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-০৪