ভালোবাসার শহর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইউটিউবে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রের প্রচ্ছদ

ভালবাসার শহর[১] হল ভারতের বাংলা ভাষার একটি সল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি ২০১৭ সালে মুক্তিপায়। চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার ও অরুণ মুখোপাধ্যায়। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী ।[২]

শ্রেষ্ঠাংশে[সম্পাদনা]

মুক্তি[সম্পাদনা]

এই সল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রটি পরিচালক ইউটিউব ভিমিও [৩] মুক্তিদেন ২০১৭ সালে।[৪]

গল্প[সম্পাদনা]

আদিল হায়দার ও অন্নপূর্ণা দাসের প্রেম তাদের টেনে নিয়ে গেলো একদা-সুন্দর সিরিয়ান শহর হোমসে। মুসলমান, হিন্দিভাষী আদিল, ও হিন্দু, বাংলাভাষী অন্নপূর্ণা। সেই সুন্দর, দু’হাজার বছরের পুরনো শহর হোমস বিধ্বস্ত হলো যুদ্ধে, বোমায়, গ্রেনেডে, কামানের গোলায়। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক জায়গার মতো, ইরাকের মতো, ইরানের মতো, আফগানিস্তানের মতো সিরিয়া ধ্বংস হলো। তার সঙ্গে ধ্বংস হলো আদিল ও অন্নপূর্ণার জীবন। আদিল পড়ে রইল সিরিয়ায়, বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে। গোলায় পঙ্গু হয়ে যাওয়া শিশুসন্তানকে নিয়ে অন্নপূর্ণা ফিরে এলো তার পুরোনো শহর কলকাতায়, যেখানে কয়েক বছর আগে তার সঙ্গে আদিলের প্রথম দেখা হয়েছিল, ভালোবাসা হয়েছিল।

শুরু হলো অন্নপূর্ণার নতুন যুদ্ধের জীবন। সে যুদ্ধ বন্দুক কামান বোমারু বিমানের যুদ্ধ নয়। সে যুদ্ধ অর্থনৈতিক যুদ্ধ, সামাজিক যুদ্ধ। এক গরিব যুবতী মায়ের দিনে চোদ্দ-পনেরো ঘণ্টা স্কুলবাসের অ্যাটেনডেন্টের জীবন, এবং তার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চকোটি সমাজের মহিলাদের বাড়ি গিয়ে তাদের ম্যাসাজ দেওয়ার জীবন। যেখানে প্রলোভন, লালসা, চোখরাঙানির সঙ্গে মর্যাদা ও স্নায়ুর যুদ্ধ। যেখানে বৃদ্ধ বাবার আশ্রয়ে কোনোরকমে শিশুসন্তানকে বুকে জড়িয়ে বাঁচার আশা। তার চিরকালের মতো জখম হয়ে যাওয়া শরীরটাকে সুস্থ করে তোলার আশা। আর একই সঙ্গে ফেলে আসা আদিলের খোঁজখবর নেওয়া, আমলাতন্ত্রের নাগপাশ পেরিয়ে তার কাছে পৌঁছনোর আশা, তাকে একবার জীবিত দেখতে পাওয়ার আশা।[৫][৬]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

ছবিটি ইউটিউবে ও ভিমিও তে মুক্তির পর ব্যপক সারা পাওয়া যায়। বিভিন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী ও গবেষক ছবিটির গুরুত্ব ও সমাজের প্রতি বার্তার কথা উল্লেক করেন।[৭][৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]