ভারতে শিশু পাচার
ভারতে শিশু পাচারের পরিমাণ অনেক বেশি। জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী প্রতি আট মিনিটে একটি করে শিশু নিখোঁজ হয়।[১] কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের বাজারে কেনাবেচার জন্য তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে শিশুদের চাকরির কথা বলে পাচারকারীদের হাতে প্রতারিত করা হয়, কিন্তু বাস্তবে পৌঁছানোর পর তারা দাস হয়ে যায়। ভারতে শ্রম, ভিক্ষাবৃত্তি এবং যৌন উদ্দেশ্যে ব্যবহারের মতো বিভিন্ন কারণে অনেক শিশু পাচার হয়। অপরাধের প্রকৃতির কারণে পাচারের উপাত্ত পাওয়া কঠিন এবং আইনের দুর্বল প্রয়োগের কারণে এর প্রতিরোধ করা কঠিন।[২] ফলে এই বিষয়ে পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে কেবল অস্পষ্ট অনুমান রয়েছে। শিশু পাচারের ক্ষেত্রে ভারত একটি প্রধান ক্ষেত্র কেননা পাচার হওয়া বেশিরভাগ শিশু ভারত থেকে আসে, ভ্রমণ করে অথবা ভারতে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত হয়। যদিও বেশিরভাগ পাচার দেশের মধ্যেই ঘটে, নেপাল ও বাংলাদেশ থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু পাচার হয়।[৩] শিশু পাচারের অনেক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে প্রধান কারণ হল দারিদ্র্য, দুর্বল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ভালো মানের জনশিক্ষার অভাব। পাচারকারীরা ভারতীয় শিশুর অঞ্চলের থেকে ভিন্ন কোনও অঞ্চলের হতে পারে অথবা এমনকি শিশুটিকে ব্যক্তিগতভাবে চেনে এমন কেউও পাচার করতে পারে। পাচারের পর যেসব শিশুরা বাড়ি ফিরে আসে তারা প্রায়ই বাড়িতে স্বাগত জানানোর পরিবর্তে তাদের সম্প্রদায়ের কাছে লজ্জার সম্মুখীন হয়।
কারণ
[সম্পাদনা]ভারতে শিশু পাচারের কিছু মূল কারণ হল: দারিদ্র্য, শিক্ষার অভাব এবং তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করার প্রয়োজনীয়তা।[৪] ভারতে বেকারত্বের হার যথেষ্ট কম, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির অনুমান অনুযায়ী বেকারত্ব ৩.৫%।[৫] এছাড়াও আর্থিক সুযোগ খুব বেশি নেই। যখন শিশুদের কাজ দেওয়া হয়, তখন তারা শোষণের শিকার হওয়ার সম্ভাবনায় থাকে। দারিদ্র্যপীড়িত শিশুরা প্রায়ই থাকার জায়গা বা খাবারের জন্য যৌন সেবা বিনিময় করতে বাধ্য হয়। দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে অথবা ঋণ পরিশোধের জন্য কিছু বাবা-মা তাদের সন্তানদের পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হন। শিশুদের প্রায়ই বিভিন্ন চক্র পাচার করে এবং রাস্তায় ভিক্ষা করতে বাধ্য করে।[৪]
শিক্ষা
[সম্পাদনা]মানসম্মত শিক্ষার অভাব ও স্বাক্ষরতার নিম্ন স্তর ও হার ভারতে শিশু পাচারের হার বৃদ্ধি করেছে।[৬] শিক্ষার সীমিত সুযোগের চ্যালেঞ্জ জড়িত সকল মানুষদের প্রভাবিত করে তাদের পরিণতি আরও খারাপ করে তুলেছে।[৭] শিশুদের ক্ষেত্রে শিক্ষার সুযোগের অভাব তাদের ভবিষ্যতের সুযোগগুলিকে সীমিত করে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ব্যাহত করতে পারে।[৭] পাশাপাশি এগুলোর সাথে বর্ধিত দুর্বলতা, কম আত্মসম্মানবোধ এবং অধিকার সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবের অনুভূতিও যুক্ত হতে পারে।[৭] কার্যকর সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থার অনুপস্থিতি এবং আর্থিক নিরাপত্তার অভাব শিশুদের কাছে শিক্ষা গ্রহণের চেয়ে অদক্ষ শ্রম খাতে (যেমন নির্মাণ ও গৃহকর্মী) কর্মসংস্থান খুঁজে পাওয়াকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে।[৭] ভালো, সাশ্রয়ী মূল্যের শিক্ষার সুযোগ এবং আর্থিক নিরাপত্তার অভাব অভিভাবকদের দৃষ্টিকোণ থেকে শিক্ষার অবমূল্যায়ন ঘটাতে পারে।[৭] এটা বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে সত্য।[৭] পরিবারের অন্যান্য খরচের সাথে মেয়দের লেখাপড়ার খরচ তুলনা করলে, তাদের লেখাপড়ার খরচ প্রায়ই বাদ পড়ে যায়।[৭] যেহেতু শিক্ষার আর্থিক সুবিধা কেবলমাত্র ভবিষ্যতেই সত্যিকার অর্থে দেখা যায়, তাই বর্তমানে শিক্ষার মূল্য বেশ কম বলে মনে করা হয়।[৭] এই যুক্তিটি ভারতে সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়ের জন্য উপলব্ধ অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব দ্বারা সমর্থিত।[৭] শিক্ষার সুযোগের অভাবকে পাচারকারীরা কাজে লাগায়, যারা প্রায়শই বাবা-মা এবং সন্তানদেরকে স্থায়ী ও উচ্চ বেতনের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বিক্রি করে দেয়।[৭]
অতিরিক্ত কারণ
[সম্পাদনা]ভারতে প্রাতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনও দুর্বল শিশুদের জন্য হুমকিস্বরূপ। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের কিছু অংশে অল্পবয়সী মেয়েদের দেবদাসী প্রথায় বাধ্য করা হয় যেখানে তাদের "জীবনব্যাপী ধর্মীয় যৌন দাসত্বে বাধ্য করা হয়" এবং গ্রামের একজন বয়স্ক ব্যক্তির কাছে তাদের উপপত্নী হিসেবে দেওয়া হয়।[৪] শিশু পাচারের অন্যতম প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ।[৮] পর্যটকদের চাহিদার কারণে অনেক শিশু পাচারের শিকারও হয়েছে। যেসব দেশে শিশু পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়, তীব্রভাবে অবজ্ঞা করা হয় ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য করা হয়, সেখান থেকে আগত মানুষ ভারতে শিশু পতিতাদের খুঁজে বের করার জন্য ভ্রমণ করে।[৯]
রূপ
[সম্পাদনা]শিশু পাচারের বিভিন্ন রূপের মধ্যে রয়েছে: অনিচ্ছাকৃত গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা, জোরপূর্বক শিশু শ্রম, অবৈধ কার্যকলাপ, শিশু যোদ্ধা এবং বাণিজ্যিক যৌনতার জন্য শোষণ করা। তবে শিশু পাচার শুধু এসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।
অনৈচ্ছিক গৃহকর্মীত্ব
[সম্পাদনা]গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে শিশুরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই শিশুদের বলা হয় যে মধ্যবিত্ত পরিবারে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য তাদের চমৎকার বেতন দেওয়া হবে, কিন্তু তারা সাধারণত অত্যন্ত কম বেতন পাওয়ার পাশাপাশি নির্যাতিত হয় এবং কখনও কখনও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।[১০] এই বিশেষ ধরণের পাচার শনাক্ত করা কঠিন কারণ এটি ব্যক্তিগত ভবনের ভিতরে ঘটে যেখানে কোনও সরকারি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপস্থিয়ি নেই। প্রতি বছর ভারতের গ্রামাঞ্চল থেকে লক্ষ লক্ষ মেয়েকে শহরাঞ্চলে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য পাচার করা হয়।[১১]
জোরপূর্বক শিশু শ্রম
[সম্পাদনা]আইনগতভাবে ভারতে শিশুদের হালকা কাজ করার অনুমতি রয়েছে, কিন্তু প্রায়ই তাদের দাসত্বমূলক শ্রম ও গৃহস্থালির কাজের জন্য পাচার করা হয় এবং দেশে অনুমোদিত সীমার চেয়ে অনেক বেশি কাজ করে নেওয়া হয়। মহাজন ও নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে পাওনা পারিবারিক ঋণ পরিশোধের জন্য শিশুদের ইট ও পাথরের খনিতে দাসত্বমূলক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। তাদের প্রায়শই এমন যন্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য করা হয় যা তাদের পালাতে অক্ষম করে ও তারপর নিয়ন্ত্রণের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করে। অন্যরা শারীরিক, মানসিক অথবা যৌন নির্যাতনের দ্বারা আবদ্ধ হতে পারে।[১২] ভারতের গ্রামীণ এলাকা থেকে শিশুরা স্পিনিং মিল, তুলা বীজ উৎপাদন, কায়িক শ্রম, পারিবারিক গৃহস্থালির কাজ, পাথর খনন, ইটভাটা ও চা বাগানের মতো শিল্পে কর্মসংস্থানের জন্য দেশান্তরী হয় অথবা পাচার করা হয় যেখানে তাদের খুব কম বা কোনও মজুরি ছাড়াই বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হয়।[১৩] যাদের জোর করে শ্রমে নিযুক্ত করা হয় তারা সমস্ত স্বাধীনতা হারায়, কর্মক্ষেত্রে নিক্ষিপ্ত হয়, মূলত দাসে পরিণত হয় এবং শৈশব হারায়।
অবৈধ কার্যকলাপ
[সম্পাদনা]প্রায়ই ভিক্ষাবৃত্তি এবং অঙ্গ ব্যবসার মতো অবৈধ কার্যকলাপ করিয়ে নিতে পাচারের জন্য শিশুদের বেছে নেওয়া হয়, কারণ তাদের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। এই শিশুদের কেবল ভিক্ষা করতে বাধ্য করা হয় না বরং রাস্তায় থাকা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুদের জোর করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা হয়, এমনকি গ্যাং মালিকরা অন্ধ করার জন্য তাদের চোখে অ্যাসিড ঢেলে দেয়। যারা আহত হয় তারা বেশি অর্থ উপার্জন করে, যে কারণে তাদের প্রায়ই এইভাবে নির্যাতন করা হয়।[১৪] অঙ্গ ব্যবসাও সাধারণ, যেখানে পাচারকারীরা শিশুদের সাথে প্রতারণা করে বা অঙ্গ ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
ইউনিসেফের অনুমান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৩০টিরও বেশি সশস্ত্র সংঘাতে ১৮ বছরের কম বয়সী ৩,০০,০০০ এরও বেশি শিশু শোষণের শিকার হচ্ছে। বেশিরভাগ শিশু যোদ্ধার বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে হলেও কিছু শিশু ৭ বা ৮ বছরেরও কম বয়সী।[১৫] যোদ্ধা হিসেবে ব্যবহারের জন্য বিপুল সংখ্যক শিশুকে অপহরণ করা হয়। অন্যদের কুলি, রাঁধুনি, প্রহরী, ভৃত্য, বার্তাবাহক বা গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করা হয়।[১৬] এই কমবয়সী যোদ্ধাদের অনেকেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয় যা প্রায়ই অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ ও যৌন রোগে পরিণত হয়। কিছু শিশুকে তাদের পরিবার ও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নৃশংস কাজ করতে বাধ্য করা হয়। প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, সরকারবিরোধী নকশালরা শিশুদেরকে অপ্রাপ্তবয়স্ক বিভাগে ("বাল দাস্তা") যোগদানের জন্য জোর করে বাধ্য করেছিল, যেখানে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এবং পরিবহন ও তথ্যদাতা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল যাতে তারা বিস্ফোরক স্থাপন করতে পারে এবং জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ অভিযানে অংশ নিতে পারে।[১৭]
বাণিজ্যিক যৌনতার জন্য শিশুদের শোষণ
[সম্পাদনা]বাণিজ্যিক যৌনতার জন্য শোষিত শিশুদের শিশু পর্নোগ্রাফি, শিশু পতিতাবৃত্তি এবং ধর্ষণের জন্য লেনদেনের আওতায় আনা হয়। শুধুমাত্র মুম্বাই শহরেই নারী ও শিশুদের বাণিজ্যিক যৌন শোষণ (সিএসই) বার্ষিক প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।[১৮] যদিও ঠিক কত শিশু পাচার হয় তার সঠিক সংখ্যা খুঁজে পাওয়া কঠিন, নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত গবেষণা এবং জরিপের অনুমান যে দেশটিতে প্রায় ত্রিশ লক্ষ পতিতা রয়েছে যার মধ্যে আনুমানিক ৪০ শতাংশ শিশু, কারণ গ্রাহকদের পছন্দের কারণে খুব অল্প বয়সী মেয়েদের পতিতাবৃত্তিতে জড়িত করার চাহিদা ক্রমবর্ধমান।[১৯] যৌন শোষণের শিকার হওয়ার ফলে এই শিশুদের অনেক গুরুতর[২০] পরিণতি ভোগ করতে হয়।
প্রাদুর্ভাব
[সম্পাদনা]শিশু পাচার ভারতে অত্যন্ত প্রচলিত একটি সমস্যা এবং এটি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দশকে (১৮ বছরের কম বয়সী) অল্পবয়সী মেয়েদের পাচার ১৪ গুণ বেড়েছে এবং জাতীয় অপরাধ রেকর্ড ব্যুরো (এনসিআরবি) অনুসারে ২০১৪ সালে এটি ৬৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।[২১] ভারত জুড়ে পাচারের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৬,০০,০০০ থেকে ৮,২০,০০০ মানুষ পাচার হয় এবং এর মধ্যে ৫০% পর্যন্ত শিশু।[২২] এশিয়ায় একে অবশ্যই একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে যেখানে অনেক শিশু বিভিন্ন কারণে পাচার ও শোষণের শিকার হয়েছে এবং চলমান রয়েছে। বিশেষত ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১,৩৫,০০০ শিশু পাচার হয় বলে অনুমান করা হয়।
২০০৫ সালে সংবাদমাধ্যম, পুলিশ এবং বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ভারতে মানব পাচারের উত্থান সম্পর্কে উদ্বেগজনক সংখ্যক প্রতিবেদন পাওয়ার ফলে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি গবেষণা পরিচালনা করে। তারা দেখতে পায় যে ভারত দ্রুত যৌন ও অন্যান্য উদ্দেশ্যে নারী ও শিশুদের পাচারকারীদের উৎস, পরিবহনস্থল এবং গন্তব্যস্থল হয়ে উঠছে। ২০০৫ সালে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে এই আবিষ্কারের মাত্তা কেবল বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি একটি খুব বড় সমস্যা হয়ে উঠছে। ২০১৬ সালে প্রায় ২০,০০০ শিশু ও নারী মানব পাচারের শিকার হয়েছে যা ২০১৫ সালের তুলনায় প্রায় ২৫% বেশি।[২৩] সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের ক্ষেত্র ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো দারিদ্র্যপীড়িত অঞ্চল। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিশু পাচারের ঘটনা ঘটে আসাম রাজ্যে, যেখানে দেশের ৩৮% শিশু পাচারের ঘটনা ঘটে।[২৪] যদিও ভারতের কিছু নির্দিষ্ট অংশে শিশু পাচারের সমস্যা বেশি, তবুও এটি সারা দেশে একটি বিস্তৃত সমস্যা। শিশু পাচার অবৈধ হওয়ায় এর সঠিক সংখ্যা খুঁজে বের করা কঠিন, তাই প্রক্রিয়াটি খুবই গোপনীয়। জানা তথ্য থেকে জানা যায়, গত দশকে নয়, বরং বছরের পর বছর ধরেও খুব স্পষ্টভাবে এই হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং তথ্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে এটি আরও বাড়বে।
ভারতের পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]- ১৯৯৮ সালে ৫,০০০ থেকে ৭,০০০ নেপালি মেয়েদের ভারতীয় শহরগুলোর রেড লাইট অঞ্চলে পাচার করা হয়েছিল যাদের বয়স মাত্র ৯-১০ বছর। সেই সময় ২,৫০,০০০ এরও বেশি নেপালি মহিলা এবং মেয়ে ইতিমধ্যেই ভারতীয় পতিতালয়ে ছিল।[২৫]
- ইউনিসেফের মতে ১.২৬ কোটি শিশু ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত।[২৬]
- ২০০৯ সালে অনুমান করা হয়েছিল যে বিশ্বব্যাপী ১২ লাখ শিশুকে যৌন শোষণের জন্য পাচার করা হয়েছে যার মধ্যে পতিতাবৃত্তি বা যৌন নিপীড়নমূলক ছবি তৈরিরও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
- ভারতে মানব পাচারের মাত্র ১০% আন্তর্জাতিক, যেখানে ৯০% আন্তঃরাজ্য।[২৭]
- ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে প্রতি বছর ৪০,০০০ শিশু অপহৃত হয়, যার মধ্যে ১১,০০০ শিশু নিখোঁজ থাকে।[২৭]
- এনজিওর অনুমান যে যৌন ব্যবসার অংশ হিসেবে প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে প্রতি বছর ১২,০০০ থেকে ৫০,০০০ নারী ও শিশুকে দেশে পাচার করা হয়।[৩]
- ভারতে আনুমানিক ৩,০০,০০০ শিশু ভিক্ষুক রয়েছে।[১৪]
- প্রতি বছর, ৪৪,০০০ শিশু গ্যাংয়ের খপ্পরে পড়ে।[১৪]
- ২০১৫ সালে ভারতে মাত্র ৪,২০৩টি মানব পাচারের ঘটনা তদন্ত করা হয়েছিল।[২৮]
- ২০১৪ সালে ভারতে পাচার হওয়া মানুষের ৭৬% ছিল নারী ও মেয়ে শিশু।[২৯]
- পতিতাদের প্রায় ৪০% শিশু।[৩]
- অনুমান করা হয় যে, ২০ লক্ষেরও বেশি নারী ও শিশুকে ভারতের রেড-লাইট অঞ্চলে যৌনতার জন্য পাচার করা হয়।[৪]
- ভারত সরকারের অনুমান, যৌন পাচারের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ শিশুই মেয়ে।[৪]
- ২০০৯ সালের সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) এর রিপোর্ট অনুসারে ভারতে আনুমানিক ১২ লাখ শিশু পতিতাবৃত্তিতে জড়িত।[৩০]
পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]ভারতে শিশু পাচারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিক্রিয়া নীতিগত স্তরে তাদের প্রদত্ত প্রকল্পগুলির পরিপ্রেক্ষিতে এবং আইনি স্তরে তাদের পাস করা আইন ও সংশোধনীর আকারে দেখা যেতে পারে। রাজ্য সরকারগুলিও রাজ্য পর্যায়ে প্রকল্প এবং আইন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে শিশু পাচার মোকাবেলায় পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রকল্প এবং আইন বাস্তবায়নে যে কোনও ফাঁকফোকর মূলত বেসরকারি সংস্থাগুলি পূরণ করে যারা এই সমস্যার বিভিন্ন দিক মোকাবেলায় কাজ করে।
ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]ভারতকে মানব পাচারের কেন্দ্র হিসেবে দেখা হয়, তবে ভারত সরকারের কাছে এই বিষয়টি কম অগ্রাধিকারের বিষয়।[৩১] অনৈতিক পাচার প্রতিরোধ আইন প্রথম সংশোধিত হয়েছিল ১৯৫৬ সালে। এই আইনটি নারী ও শিশুদের পাচার এবং যৌন শোষণ প্রতিরোধের জন্য তৈরি করা হয়েছিল[৩২] কিন্তু এই আইনে "'পাচার'"-এর স্পষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া হয়নি।[২৭] ২০০৩ সালে ভারত আন্তর্জাতিক সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কনভেনশন কার্যকর করে যার মধ্যে তিনটি প্রোটোকল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, বিশেষ করে ব্যক্তি, বিশেষ করে নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, দমন এবং শাস্তি প্রদানের প্রোটোকল। এই প্রোটোকল "মানব পাচারের একটি সম্মত সংজ্ঞা প্রদান করে। এর লক্ষ্য হলো কথিত তিনটি কাজের মাধ্যমে মানব পাচারকে ব্যাপকভাবে মোকাবেলা করা - অপরাধীদের বিচার, ভুক্তভোগীদের সুরক্ষা এবং পাচার প্রতিরোধ।"[৩৩] প্রোটোকল পাচারকে সংজ্ঞায়িত করে "ভয় দেখানো বা বলপ্রয়োগ বা অন্যান্য ধরণের বলপ্রয়োগ, অপহরণ, প্রতারণা, ক্ষমতার অপব্যবহার বা দুর্বলতার অবস্থানের মাধ্যমে অথবা অন্য ব্যক্তির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকা ব্যক্তির সম্মতি অর্জনের জন্য অর্থ প্রদান বা সুবিধা প্রদান কিংবা গ্রহণের মাধ্যমে ব্যক্তিদের নিয়োগ, পরিবহন, স্থানান্তর, আশ্রয় দেওয়া বা গ্রহণ করা। শোষণের মধ্যে কমপক্ষে অন্যদের পতিতাবৃত্তির শোষণ বা যৌন শোষণের অন্যান্য রূপ, জোরপূর্বক শ্রম বা সেবা, দাসত্ব বা দাসত্বের অনুরূপ অনুশীলন, দাসত্ব বা অঙ্গ অপসারণ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।"[৩১]
শিশু পাচারবিরোধী ইউনিট
[সম্পাদনা]ভারতে তামিলনাড়ুই একমাত্র রাজ্য যেখানে শিশু পাচারবিরোধী ইউনিট গঠিত হয়েছে, যা অ্যাডভোকেট নটরাজন ভি. কর্তৃক দাখিল করা হেবিয়াস কর্পাস পিটিশনের (এইচসিপি ৮৮১/২০১৬) ফলাফল। মাদ্রাজ উচ্চ আদালতের বিচারপতি নাগামুথু এবং বিচারপতি ভারতীধাসন এই যুগান্তকারী রায় দেন। তামিলনাড়ুতে শিশু পাচার প্রতিরোধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই বিশেষ ইউনিট এসিটিইউ ৩০,০০০ এরও বেশি শিশুকে উদ্ধার করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘের মতো আন্তঃসরকারি সংস্থাগুলি ১৯০০ সালের গোড়ার দিকে থেকে শিশু পাচার মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে এবং বিভিন্ন মাত্রায় সাফল্য পেয়েছে।[৩৪] তাদের আরও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র পাস করা এবং ২০০০ সালে মানব পাচার, বিশেষ করে নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, দমন এবং শাস্তি প্রদানের জন্য জাতিসংঘের প্রোটোকল গ্রহণ করা।[৩৫]
জাতীয় পর্যায়ে ভারতীয় সংবিধানের ২৩ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে মানব পাচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।[৩৬] শিশু পাচারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারত সরকার অন্যান্য আইনও পাস করেছে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) সংশোধন করেছে।[৩৭] ১৯৮৬ সালের অনৈতিক পাচার (প্রতিরোধ) আইন (আইপিসি) হল ১৯৫৬ সালের নারী ও মেয়েদের অনৈতিক পাচার দমন আইনের (এসআইটিএ) একটি সংশোধিত সংস্করণ। এসআইটিএ পতিতাবৃত্তির জন্য মানব পাচারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে এবং যেকোনো ক্ষমতায় মানব পাচারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের রূপরেখা দিয়েছে।[৩৮] আইটিপিএ ভুক্তভোগীর প্রতি আইনকে আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। পাচারের শিকার ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং তাদের আবার পাচার হওয়া ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনা থেকে বিরত রাখার জন্য আইটিপিএ একটি ব্যবস্থাও তৈরি করেছে।[৩৯] ২০১৩ সালে ভারতে মানব পাচার মোকাবেলায় নতুন বিধান তৈরি করার জন্য আইপিসি সংশোধন করা হয়েছিল যা মানব পাচার, বিশেষ করে নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ, দমন এবং শাস্তি দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রোটোকলের সাথে আরও সঙ্গতিপূর্ণ।[৪০]
সমালোচনামূলক পুনর্গঠন
[সম্পাদনা]ভারতে শিশু পাচার মোকাবেলায় বর্তমান আইনি ব্যবস্থা যেভাবে কাজ করে তা দেশজুড়ে দেখা যাওয়া স্বাধীন শিশু অভিবাসনের প্রবণতার সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক বলে মনে করা যেতে পারে। গবেষকরা যুক্তি উত্থাপন করেন যে অনেক সময় শিশু কল্যাণ আইন ও শিশু পাচার বিরোধী আইন স্বাধীন শিশু অভিবাসীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।[৪১] বর্তমান আইনগুলো শিশুদের জন্য তাদের নিজ শহরে কর্মসংস্থান খোঁজা কঠিন করে তোলে, কারণ আইনে সীমিত সুযোগ রয়েছে। ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের এমন কিছু শিল্পে কাজ করার অনুমতি নেই যেগুলোকে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়।[৪১] আইনত ১৪ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের স্কুলে থাকা বাধ্যতামূলক নয়, যা এই অপ্রাপ্তবয়স্ক শ্রমশক্তির সাথে যুক্ত।[৪১] এই ধরনের পরিস্থিতি প্রায়শই শিশুদের পরিষেবা এবং হস্তশিল্পের মতো অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থানের দিকে ঠেলে দেয় যার ফলে প্রায়শই তাদের শহরাঞ্চলে স্থানান্তরিত হতে হয়।[৪১] পরিবারের বাইরের প্রাপ্তবয়স্কদের সাথে কাজের জন্য অভিবাসনকারী শিশুদের প্রায়শই শিশু পাচারের শিকার বলে ভুল করা হয়, কারণ বর্তমান আইনগুলিতে স্বাধীন শিশু অভিবাসীর সম্ভাবনার কথা বলা হয়নি।[৪১] এই শিশুদের সাধারণত আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে বাধ্য করা হয় অথবা তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। জড়িত প্রাপ্তবয়স্কদের পাচারকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।[৪১] গবেষকদের যুক্তি, আইনি ব্যবস্থার এই সীমাবদ্ধতা স্বাধীন শিশু অভিবাসীদের ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে যারা শহরে যাতায়াতের জন্য পাচারকারী এজেন্টদের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হয় অথবা ফলস্বরূপ নিজেরাই বিপজ্জনক যাত্রা করতে বাধ্য হয়।[৪১] যদিও এই চ্যালেঞ্জের কোন স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি, তবুও পণ্ডিতরা কিছু সম্ভাব্য সমাধানের প্রস্তাব করেছেন যেমন দক্ষতা প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এবং শিশু পাচার মোকাবেলায় কাজ করা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের জন্য আরও ভাল প্রশিক্ষণ।[৪১]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Shah, Shreya (১৬ অক্টোবর ২০১২)। "India's Missing Children, By the Numbers"। Wall Street Journal।
- ↑ Harlan, Emily K. (১ জুলাই ২০১২)। "It Happens in the Dark: Examining Current Obstacles to Identifying and Rehabilitating Child Sex-Trafficking Victims in India and the United States" (পিডিএফ): 1113–1147।
- ↑ ক খ গ "Vulnerable Children - Child Trafficking India"। www.childlineindia.org.in। ২০১৩-০৯-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Sarkar, Siddhartha (৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪)। "Rethinking Human Trafficking in India: Nature, Extent and Identification of Survivors": 483–495। ডিওআই:10.1080/00358533.2014.966499।
- ↑ "Human Development Reports"। hdr.undp.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৪।
- ↑ Aliperti, Jason, Aliperti, Patricia (২০১০)। "Nine: Preventing child trafficking in India: the role of education"। Child Slavery Now: A contemporary reader। The Policy Press। পৃষ্ঠা 163–174। আইএসবিএন 978-1-84742-609-3।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ Trafficking report : a compilation of research and study documents of C-BAT project.। Prevention of Cross-Border Trafficking in Women and Children between Bangladesh and West Bengal, India Project., Concern Universal (Organization : Bangladesh), Development Cooperation Ireland., European Commission.। Concern Universal-Bangladesh। ২০০৯। পৃষ্ঠা 34–35। আইএসবিএন 978-984-33-0535-0। ওসিএলসি 495597346।
- ↑ Trafficking report : a compilation of research and study documents of C-BAT project. Prevention of Cross-Border Trafficking in Women and Children between Bangladesh and West Bengal, India Project., Concern Universal (Organization : Bangladesh), Development Cooperation Ireland., European Commission. Dhaka: Concern Universal-Bangladesh. 2009. pp. 32–34. আইএসবিএন ৯৮৪-৩৩-০৫৩৫-৩. OCLC 495597346.
- ↑ "Major Forms of Trafficking in Persons"।
- ↑ "Major Forms of Trafficking in Persons"।"Major Forms of Trafficking in Persons".
- ↑ Denyer, Simon (১৯ জানুয়ারি ২০১৩)। "India turns blind eye to trafficking, rape of child maids" – www.washingtonpost.com-এর মাধ্যমে।
- ↑ "UNGIFT.ORG"। www.ungift.org। ২০১৩-০৪-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-১৬।
- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ২০১৭-০৫-০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১১।
- ↑ ক খ গ Child beggars in India ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত জুন ৮, ২০১৩ তারিখে
- ↑ "Child Protection"। ২০১৭-১১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১১।
- ↑ "What Is Trafficking in Persons?"।
- ↑ "India - United Nations Office of the Special Representative of the Secretary-General for Children and Armed Conflict"। childrenandarmedconflict.un.org।
- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ২০১৭-১১-১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১১।
- ↑ "Commercial Sexual Exploitation of Children in Mumbai - International Justice Mission - India"। www.ijmindia.org। ২০১৭-১১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১১।
- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ২০১৯-০৬-৩০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১১।
- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ২০১৭-১২-১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১৫।
- ↑ "Human Trafficking: Definition, Prevalence, and Causes - City Vision University"। www.cityvision.edu। ৮ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "Almost 20,000 women and children trafficked in India in 2016"। Reuters। ৯ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "Poverty Drives Rampant Child Trafficking in India's Northeast"। ২৩ জুন ২০১৭।
- ↑ "India: Facts on Trafficking and Prostituion"। ২০১২-০৬-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৩।
- ↑ "Unicef India - UNICEF"। www.unicef.org।
- ↑ ক খ গ "Child Trafficking"। www.childtrafficking.org। ২০১২-০৩-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৯-১৩।
- ↑ "India"। ২০১৭-০৭-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ IndiaSpend.com, Prachi Salve (৬ আগস্ট ২০১৬)। "Six counts on which the draft anti-trafficking bill falls short"।
- ↑ "Official: More than 1M child prostitutes in India - CNN.com"। edition.cnn.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২৯।
- ↑ ক খ Ghosh, Biswajit (ডিসেম্বর ২০০৯)। "Trafficking in women and children in India: nature, dimensions and strategies for prevention": 716–738। ডিওআই:10.1080/13642980802533109।
- ↑ Administrator, HRLN। "The Immoral Traffic (Prevention) Act, 1956"। www.hrln.org। ৩০ জুলাই ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "India: Government ratifies two UN Conventions related to transnational organized crime and corruption"। United Nations Office on Drugs and Crime।
- ↑ Ahmad, Afkar (২০১৮)। Woman and Child Trafficking in India। SSDN Publishers and Distributors। পৃষ্ঠা 82। আইএসবিএন 978-93-8357-615-9।
- ↑ Ahmad, Afkar (2018). Woman and Child Trafficking in India. New Delhi: SSDN Publishers and Distributors. p. 87-94. আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮৩৫৭-৬১৫-৯.
- ↑ Ahmad, Afkar (2018). Woman and Child Trafficking in India. New Delhi: SSDN Publishers and Distributors. p. 101-102. আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮৩৫৭-৬১৫-৯.
- ↑ Ahmad, Afkar (2018). Woman and Child Trafficking in India. New Delhi: SSDN Publishers and Distributors. p. 101-110. আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮৩৫৭-৬১৫-৯.
- ↑ Ahmad, Afkar (2018). Woman and Child Trafficking in India. New Delhi: SSDN Publishers and Distributors. p. 104-105. আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮৩৫৭-৬১৫-৯.
- ↑ Ahmad, Afkar (2018). Woman and Child Trafficking in India. New Delhi: SSDN Publishers and Distributors. p. 104. আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮৩৫৭-৬১৫-৯.
- ↑ Ahmad, Afkar (2018). Woman and Child Trafficking in India. New Delhi: SSDN Publishers and Distributors. p. 109. আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৮৩৫৭-৬১৫-৯.
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ Romano, C.R. (2014). Independent Child Migration in the Developing World: Victims of trafficking and child labor, or autonomous economic actors? Case Studies—Togo and India (Honours Thesis). Retrieved from https://dukespace.lib.duke.edu/dspace/bitstream/handle/10161/8601/Maria%20Cecilia%20Romano-%20Final%20-%20CA.pdf?sequence=1&isAllowed=y
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইউনিসেফ: ভারত ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১০-০৩-০৯ তারিখে ।
- শিশু পাচারকারীদের ঘটনা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-০২-২৭ তারিখে
- মানব পাচার এবং আধুনিক দাসত্ব
- শিশুশ্রম শোষণ ভারতের জন্য একটি প্রাপ্তবয়স্ক সমস্যা
- শিশু শোষণ
- রাজ্য শিশু শ্রম পুনর্বাসন
- দক্ষিণ এশিয়ায় শিশু পাচার[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]