ব্লু হল

ব্লু হল (সুইডীয়: Blå hallen) হল স্টকহোম সিটি হলের প্রধান হল যা বার্ষিক নোবেল ভোজের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এটি রাষ্ট্রীয় সফর, শিক্ষার্থীদের বল, জুবিলি এবং অন্যান্য বড় কর্মসূচীর জন্য ব্যবহৃত হয়।
বিবরণ
[সম্পাদনা]হলটি দৈর্ঘ্যে ৫০ মিটার (১৬০ ফুট), প্রস্থে ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) এবং উচ্চতায় ২২ মিটার (৭২ ফুট)। এর ক্ষেত্রফল ১,৫০০ বর্গমিটার (১৬,০০০ বর্গফুট)। এতে সৌধের ন্যায় সিঁড়ি, বারান্দা এবং লজিয়া রয়েছে।[১] হলটির স্থপতি র্যাগনার অস্টবার্গের বাস্ট হলের ছাদের বারান্দায় অবস্থিত।[১]
ব্লু হলটিতে প্লাস্টারবিহীন ইটের দেয়াল রয়েছে। হলটি মূলত প্লাস্টার করার কথা ভাবা হয়েছিল, তার সাথে নীল রঙ করা থাকবে যেন এটি একটি উপসাগরের জলের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ রঙিন স্কিম হয়। কিন্তু লাল ইটটি দেখার পরে হলটি নির্মাণের সময় অস্টবার্গ তার মন পরিবর্তন করেছিলেন।[২][৩] যদিও অস্টবার্গ অসম্পূর্ণ লাল ইটের কথা চিন্তা করে তার নীল নকশাটি ত্যাগ করেছিলেন, তবুও "ব্লু হল" নামটি সাধারণ ব্যবহারের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়ে যায়।[৪][৫][৬]
পাইপ অর্গান
[সম্পাদনা]ব্লু হলটিতে একটি পাইপ অর্গান রয়েছে যা স্ট্যাডশুসোর্লেন (টাউন হল পাইপ অর্গান) নামে পরিচিত। অর্গানটি ১৯২৫ সালে উত্সর্গ করা হয়েছিল। এতে প্রায় ১০,০০০ পাইপ রয়েছে এবং এটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাদ্যযন্ত্র।[৭] ১৯৬০ দশকের শেষের দিকে, অর্গানট পুনরায় তৈরি করা হয়েছিল, পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে যন্ত্রটির রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তবে ২০০৭ সালের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে যন্ত্রটিকে ঢেলে সাজানো দরকার হয়ে পড়ে। ২০০৭ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাইপ অর্গান সম্পূর্ণরূপে সংষ্কার করা হয়েছিল। ইংল্যান্ডের ফার্ম হ্যারিসন ও হ্যারিসন এর দায়িত্বে ছিলেন।[৭]
ব্যবহার
[সম্পাদনা]
হলটি বার্ষিক নোবেল ভোজের স্থান,[৮] প্রতি ডিসেম্বরের ১০ তারিখে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে থাকে।[৩] এই ভোজ “সুইডেনের সর্বাধিক সন্ধানী সামাজিক আমন্ত্রণ”, সেখানে সুইডিশ রাজকীয় পরিবার, সরকারী মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং ১২০০-এরও বেশি আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত থাকেন।[৯] ভোজ সেরে অতিথিরা নাচে অংশ নিতে একই কমপ্লেক্সের গোল্ডেন হলে যান।[১০] নোবেল পুরস্কারগুলি ব্লু হলে দেওয়া হয় না, হিটরেটের স্টকহোম কনসার্ট হলে আগে দেওয়া হয়।[৫]
প্রতি বছরের এই দিনে ব্লু হলে এসঃটি এরিকমেদালজেন (সেন্ট এরিক পুরস্কার) বিজয়ীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।[৫] ব্লু হলটি রাষ্ট্রীয় সফর, শিক্ষার্থীদের বল, জুবিলি এবং অন্যান্য বড় কর্মসূচীর জন্য ব্যবহৃত হয়।[৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Chattopadhyay ও White 2014।
- ↑ "Stockholms Historia av Lars Fimmerstad » Ragnar Östberg och Stockholms stadshus"। Stochkolmshistoria.se। ২০১৪-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Stockholm City Hall – an emblematic building"। Museums in Stockholm। ২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Blå Hallen är ju…röd?"। ২৩ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ Larsson 2011।
- ↑ "Festlokaler"। stockholm.se। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Stadshusorgeln"। OmStockholm.se। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Bildspel! Nobelfesten i Blå Hallen har börjat"। Svenskdam.se। ২২ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ Olah 2002।
- ↑ "The City Hall"। Stockhold Visitors Board। ৭ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৪।
উৎস
[সম্পাদনা]- Chattopadhyay, Swati; White, Jeremy (২০১৪)। City Halls and Civic Materialism: Towards a Global History of Urban Public Space। Routledge। আইএসবিএন 1317802284।
- Larsson, Rikard (২০১১)। Murverkets hemligheter: En vägvisar till Stockholms Stadshus (Swedish ভাষায়)। Bokförlaget Langenskiöld। আইএসবিএন 9187007010।
- Olah, George A. (২০০২)। A Life of Magic Chemistry: Autobiographical Reflections of a Nobel Prize Winner। John Wiley & Sons। আইএসবিএন 047122040X।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা] উইকিমিডিয়া কমন্সে ব্লু হল সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।