ব্রিস্টলের ইতিহাস

ব্রিস্টল দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের একটি শহর যেখানে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ বাস করে। এটি সমারসেট এবং গ্লুচেস্টারশায়ারের মাঝে অবস্থিত এবং জোয়ার-ভাটার অ্যাভন নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। আট শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এটি ইংল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ এবং অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে একটি। ব্রিস্টল অঞ্চলে বসতি স্থাপনের ইতিহাস প্রস্তর যুগ পর্যন্ত পৌঁছায়, এবং এখানে রোমানদের উপস্থিতির প্রমাণও পাওয়া গেছে। দশম শতকের মধ্যে স্যাক্সন শহর 'ব্রিগস্টো'-তে একটি টাঁকশাল স্থাপন করা হয়। নরমানেরা শহরটির গুরুত্ব বৃদ্ধি করে এবং ১৩৭৩ সালে এটি চার্টার ও কাউন্টি মর্যাদা লাভ করে। ‘ব্রিস্টল’ ইংরেজি: Bristol নামের পরিবর্তন স্থানীয় উচ্চারণের কারণে হয়েছে, যেখানে 'ow' শব্দাংশ 'ol' হিসেবে উচ্চারিত হয়।
মধ্যযুগে, ব্রিস্টলের সামুদ্রিক যোগাযোগ ওয়েল্স্, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, পশ্চিম ফ্রান্স, স্পেন এবং পর্তুগালের সঙ্গে বাণিজ্যের প্রসার ঘটায়। উল, মাছ, মদ এবং শস্যের ব্যবসা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৫৪২ সালে ব্রিস্টল একটি শহর হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং আটলান্টিক পেরিয়ে বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। ইংরেজ গৃহযুদ্ধের সময় রাজতান্ত্রিক বাহিনী শহরটি দখল করলেও পরে পার্লামেন্টের অনুগত বাহিনী এটি পুনরুদ্ধার করে। ১৭শ ও ১৮শ শতকে আটলান্টিক দাস বাণিজ্য এবং শিল্প বিপ্লব ব্রিস্টলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আরও বাড়িয়ে তোলে। ব্রিস্টলের সংসদ সদস্য এডমান্ড বার্ক মার্কিন বিপ্লব ও মুক্ত বাণিজ্যের সমর্থক ছিলেন। মেরি কার্পেন্টার এবং হান্না মোরের মতো সমাজ সংস্কারকরা দাসত্বের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিলেন।
১৮শ শতকের শেষ ভাগ এবং ১৯শ শতকের শুরুতে ব্রিস্টলে একটি ফ্লোটিং হারবার নির্মাণ করা হয়, এবং জাহাজ নির্মাণে অগ্রগতি ও শিল্পায়ন আরও ত্বরান্বিত হয়। কাঁচ, কাগজ, সাবান এবং রাসায়নিক শিল্পের বিকাশ ঘটে, বিশেষত যখন আই. কে. ব্রুনেল ব্রিস্টলকে গ্রেট ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের শেষ স্টেশন হিসেবে স্থাপন করেন। ২০শ শতকের শুরুতে ব্রিস্টল বিমান নির্মাণ শিল্পে অগ্রগামী হয়ে ওঠে এবং ২১শ শতকের শুরুর দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কেন্দ্র ও উচ্চ প্রযুক্তির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
নরমান-পূর্ব
[সম্পাদনা]পুরা প্রস্তর এবং আয়রন যুগ
[সম্পাদনা]ব্রিস্টল অঞ্চলে মানুষের বসবাসের প্রমাণ পাওয়া যায় পুরা প্রস্তর যুগ থেকে। শাইরহ্যাম্পটন এবং সেন্ট অ্যানস এলাকায় ৬০,০০০ বছরের পুরানো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে।[১] ওই সময়ে তৈরি বিভিন্ন প্রস্তরযন্ত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা অ্যাভন নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে। বিশেষ করে শাইরহ্যাম্পটন এবং পিল এলাকায় ফ্লিন্ট, চার্ট, বালুকাশ্ম এবং কোয়ার্টজাইট পাথরের তৈরি সরঞ্জাম আবিষ্কৃত হয়েছে।[২] লৌহ যুগের সময় ব্রিস্টলের আশেপাশে বেশ কয়েকটি পাহাড়ি দুর্গ নির্মিত হয়েছিল। অ্যাভন গর্জ অঞ্চলের দু'পাশে লি উডস এবং ক্লিফটন ডাউনে এরকম দুর্গের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এছাড়াও হেনবুরির কাছে কিংসওয়েস্টন এলাকায় আরেকটি দুর্গের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সেই সময় ব্রিস্টল অঞ্চল ডোবুনি সম্প্রদায়ের অংশ ছিল। ব্রিস্টলের বিভিন্ন স্থানে খননকার্যের মাধ্যমে আয়রন যুগের কৃষি বসতির প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে ফিলউড এলাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বসতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়াও, সেভার্ন নদীর মোহনার কাছে হ্যালেন এলাকায় লবণাক্ত জলাভূমিতে মৌসুমী বসতির চিহ্ন পাওয়া গেছে।[৩]
রোমান যুগ
[সম্পাদনা]রোমান ব্রিটেন যুগে বর্তমান সি মিলস এলাকায় একটি বসতির নাম ছিল অ্যাবোনা। এটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, তৃতীয় শতাব্দীর অ্যান্টোনাইন ইটিনেরারি নামক নথিতে এর উল্লেখ রয়েছে। এই নথিতে রোমান সাম্রাজ্যের শহরগুলোর নাম ও তাদের মধ্যবর্তী দূরত্ব লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। অ্যাবোনা শহরটি বাথের সঙ্গে একটি রোমান সড়ক দ্বারা সংযুক্ত ছিল।[৪] অ্যাবোনা এলাকায় প্রত্নতাত্ত্বিক খননে শহরের রাস্তার বিন্যাস, দোকান, কবরস্থান এবং নৌবন্দর আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব নিদর্শন থেকে ধারণা করা হয়, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর ছিল। আরেকটি রোমান বসতি ছিল বর্তমান ইনস কোর্ট, ফিলউড এলাকায়। এটি সম্ভবত আগের আয়রন যুগের কৃষি বসতিগুলো থেকে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল। এছাড়া, পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু একক ভিলা ও ছোট ছোট বসতি ছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কিংস ওয়েস্টন রোমান ভিলা এবং আরেকটি বসতি ব্রিসলিংটন।[৫]
স্যাক্সন যুগ
[সম্পাদনা]অষ্টম শতকে ওয়েস্টবারি অন ট্রিমে একটি মিনস্টার গির্জা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ৮০৪ সালের একটি সনদে এর উল্লেখ পাওয়া যায়।[৬] ৯৪৬ সালে এডমন্ড প্রথম রাজপ্রাসাদে একটি ভোজের সময় পাকলেচার্চে সংঘটিত দ্বন্দ্বে নিহত হন। এক নির্বাসিত ব্যক্তি, লেওফ, তাকে হত্যা করেছিল। পাকলেচার্চ ব্রিস্টল থেকে প্রায় ছয় মাইল দূরে অবস্থিত।[৭] ব্রিস্টল শহরের গোড়াপত্তন ফ্রম এবং অ্যাভন নদীর মাঝের একটি উঁচু ভূমিতে হয়েছিল, যা ১১ শতকের প্রথম দিকের আগেই গড়ে উঠেছিল। এর মূল প্রমাণ হল, আনুমানিক ১০১০ সালের অ্যাথেলরেডের সময়কার একটি মুদ্রা।[৬] এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে এটি একটি বাজার শহর ছিল। শহরের প্রাচীন নাম ব্রাইক স্টো অর্থ "সেতুর পাশের স্থান"।[৬] অনেকে মনে করেন যে, ব্রিস্টলের স্থানীয় উচ্চারণের বৈশিষ্ট্য—ব্রিস্টলিয়ান উপভাষার কারণেই ব্রাইক স্টো নাম পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান ব্রিস্টল হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে কিছু শব্দের শেষে "L (ল)" যোগ করার প্রবণতা এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী হতে পারে।[৮]
সম্ভবত আধুনিক ক্যাসল পার্কে দাঁড়িয়ে থাকা সেন্ট পিটার্স গির্জা-ও একটি মিনস্টার ছিল, যার উৎপত্তি অষ্টম শতকে হতে পারে। ডুমসডে বইয়ের সময়ে এই গির্জার তিন হাইড জমির মালিকানা ছিল, যা একটি সাধারণ প্যারিশ গির্জার জন্য বিশাল সম্পত্তি বলে বিবেচিত হয়।[৬] অ্যাংলো-স্যাক্সন ক্রনিকল থেকে জানা যায় যে, ১০৫২ সালে হ্যারল্ড গডউইনসন ব্রাইক স্টো থেকে জাহাজে যাত্রা করেন। পরে ১০৬২ সালে তিনি এখান থেকে নৌবহর নিয়ে গ্রুফিড আপ লিউয়েলিনের বাহিনীকে পরাস্ত করেন। এটি শহরটির বন্দর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।[৯]
ব্রাইক স্টো তখন অ্যাংলো-স্যাক্সন দাস বাণিজ্যের একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল। ওয়েলস এবং উত্তর ইংল্যান্ড থেকে ধরে আনা পুরুষ, নারী এবং শিশুদের ব্রিস্টলের মাধ্যমে ডাবলিনে দাস হিসেবে বিক্রি করা হতো। এরপর ডাবলিনের ভাইকিং শাসকরা তাদের পুরো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিত। উলফস্টান, যিনি উস্টারের বিশপ ছিলেন এবং যার বিশপ অঞ্চল ব্রিস্টলকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল, তিনি নিয়মিত এই দাসব্যবসার বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত রাজকীয় আদেশে এটি নিষিদ্ধ করা হয়, যদিও এটি বহু বছর গোপনে চলতে থাকে।[১০]
মধ্যযুগ
[সম্পাদনা]নরমান যুগ
[সম্পাদনা]
১০৬৬ সালে নরমান বিজয়ের কিছু সময় পরে, বর্তমান ক্যাসল পার্ক এলাকার স্থানে একটি মট-অ্যান্ড-বেইলি দুর্গ নির্মিত হয়।[১১] ব্রিস্টল তখন জিওফ্রে ডি মন্টব্রে, কাউটান্সের বিশপ এবং প্রথম উইলিয়ামের সঙ্গে আসা একজন নাইটদের দখলে ছিল। উইলিয়াম নির্দেশ দিয়েছিলেন যে পাথরের দুর্গ নির্মাণ করা হোক, তাই ধারণা করা হয় যে ব্রিস্টল দুর্গের প্রথম অংশগুলি জিওফ্রির শাসনামলেই নির্মিত হয়। ১০৮৭ সালে উইলিয়ামের মৃত্যু হলে, জিওফ্রি উইলিয়াম রুফাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যোগ দেন।[১২] তিনি ব্রিস্টলকে তার প্রধান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে বাথ শহরে অগ্নিসংযোগ করেন এবং সমারসেট এলাকা ধ্বংস করেন।[১৩] পরে তিনি উইলিয়াম রুফাসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নরম্যান্ডিতে ফিরে যান এবং ১০৯৩ সালে কাউটান্সে মৃত্যুবরণ করেন।[১৪]
রুফাস গ্লুচেস্টারের অনার প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে ব্রিস্টল অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি তার মা, রানি ম্যাটিলডার সম্পত্তি থেকে গঠিত হয় এবং তিনি এটি রবার্ট ফিৎসহ্যামনের কাছে প্রদান করেন।[১৫] ফিৎসহ্যামন ব্রিস্টল দুর্গের সম্প্রসারণ ও শক্তিবৃদ্ধি করেন। এছাড়াও, ১১শ শতকের শেষ দিকে তিনি দক্ষিণ ও পশ্চিম ওয়েলসের বেশিরভাগ অংশ জয় করে অধীনস্থ করেন। তার কন্যা, ম্যাবেল, ১১১৪ সালে প্রথম হেনরির অবৈধ পুত্র রবার্ট অব কায়েনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার পণের মধ্যে ছিল তার পিতার গ্লুচেস্টারশায়ারের ও ওয়েলসের বিশাল সম্পত্তি। পরবর্তীতে, আনুমানিক ১১২২ সালে, রবার্ট অব কায়েন প্রথম গ্লুচেস্টারের আর্ল উপাধি গ্রহণ করেন। ধারণা করা হয় যে, ব্রিস্টল দুর্গের নির্মাণ সম্পন্ন করার পেছনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।[১১]
১১৩৫ সালে, প্রথম হেনরি মারা যান, এবং গ্লুচেস্টারের আর্ল তার বোন ম্যাটিলডার পক্ষ নিয়ে স্টিফেন অব ব্লোয়ার বিরুদ্ধে দাঁড়ান, যিনি হেনরির মৃত্যুর পর সিংহাসন দখল করেছিলেন। ১১৩৮ সালে, স্টিফেন ব্রিস্টলে রবার্টকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু দুর্গটি দুর্ভেদ্য মনে হওয়ায় তিনি সেই প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করেন।[১১][১৬] ১১৪১ সালে স্টিফেন বন্দি হলে, তাকে এই দুর্গে কারাবন্দি রাখা হয়।[১৭] কিন্তু পরে যখন স্টিফেনের বাহিনী রবার্টকে বন্দি করে, তখন ম্যাটিলডা বাধ্য হন স্টিফেনকে মুক্তি দিয়ে রবার্টকে ফিরে পেতে। ম্যাটিলডার ছেলে হেনরি, যিনি পরবর্তীতে দ্বিতীয় হেনরি হন, তাকে এই দুর্গে নিরাপদে রাখা হয়। তার চাচা রবার্টই তাকে রক্ষা এবং শিক্ষাদান করতেন।[১১] পরবর্তীতে দুর্গটি রাজকীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।[১৮] তৃতীয় হেনরি এটির উন্নয়নে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন। তিনি দুর্গের প্রধান পশ্চিম ফটকের সামনে একটি বার্বিকান, একটি গেট টাওয়ার এবং একটি দুর্দান্ত হল নির্মাণ করেন।[১৯] এই দুর্গটি ১২২৪ সাল থেকে এলেনর, ব্রিটানির ফেয়ার মেডকে বন্দি রাখার জন্যও ব্যবহৃত হয়েছিল। যদিও তিনি তুলনামূলক আরামদায়ক পরিবেশে ছিলেন, ১২৪১ সালে তার মৃত্যু পর্যন্ত তাকে এখানেই বন্দি রাখা হয়।
গ্লুচেস্টারের আর্ল ১১৩৭ সালে সেন্ট জেমস নামে একটি বেনেডিক্টাইন প্রায়োরি প্রতিষ্ঠা করেন।[২০] এর কিছু বছর পর ১১৪০ সালে সেন্ট অগাস্টিনের অ্যাবি প্রতিষ্ঠা করেন রবার্ট ফিটজার্ডিং, যিনি একজন ধনী ব্রিস্টোলিয়ান ছিলেন। তিনি গ্লুচেস্টারের আর্ল এবং ম্যাটিল্ডার পক্ষে যুদ্ধে বিশ্বস্তভাবে সহায়তা করেছিলেন। এই আনুগত্যের প্রতিদানস্বরূপ, পরবর্তী সময়ে তাকে বার্কলির প্রভু উপাধি দেওয়া হয়। এই অ্যাবিটি ছিল আগস্টিনীয় পুরোহিতদের একটি মঠ। ১১৪৮ সালে, অ্যাবির গির্জাটি এক্সিটার, ল্যান্ডাফ এবং সেন্ট আসাফের বিশপদের দ্বারা উৎসর্গ করা হয়। রবার্ট ফিটজহার্ডিং-এর জীবদ্দশায় অ্যাবিটি চ্যাপ্টার হাউস এবং গেটহাউস নির্মাণ করে।[২১][২২]
১১৭২ সালে, আয়ারল্যান্ডের পেল অঞ্চল দখলের পর, ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি দ্বিতীয় ব্রিস্টলের বাসিন্দাদের ডাবলিনে বসবাস এবং ব্যবসা করার অধিকার প্রদান করেন।[২৩]
ব্রিস্টলের মধ্যযুগীয় ইহুদি সম্প্রদায় ছিল ইংল্যান্ডের ছোট সম্প্রদায়গুলোর একটি।[২৪] ১১৮৩ সালে ব্রিস্টলের ইহুদিদের বিরুদ্ধে একটি রক্ত কলঙ্ক অভিযোগ আনা হয়, তবে এর বিস্তারিত বিবরণ খুব বেশি জানা যায় না। ১২শ শতকের শেষের দিকে শহরে একটি archa প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি না থাকলে ইহুদিরা আইনত ব্যবসা করতে পারত না। ১২১০ সালে, ইংল্যান্ডের সকল ইহুদি গৃহকর্তাকে ব্রিস্টলে বন্দি করা হয় এবং তাদের ওপর ৬০,০০০ বা ৬৬,০০০ মার্কসের বড় অঙ্কের কর আরোপ করা হয়। দ্বিতীয় ব্যারনদের যুদ্ধের সময়, শহরের archa পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস আক্রমণ চালানো হয়। পরে, ১২৭৫ সালে আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটে, তবে এতে কেউ নিহত হয়নি। ১২৯০ সালে ইহুদিদের বহিষ্কারের আদেশের মাধ্যমে ব্রিস্টলের ইহুদিরা ইংল্যান্ডের অন্যান্য ইহুদিদের সঙ্গে দেশছাড়া হয়।[২৫] এই সময়কার একটি ইহুদি ধর্মীয় স্নানাগার এখনো টিকে আছে, যা বর্তমানে জ্যাকবস ওয়েল নামে পরিচিত।[২৬] প্রথমদিকে একে মিকভেহ হিসেবে ধরা হলেও পরে এটি জিউজ একর নামে পরিচিত কাছের ইহুদি কবরস্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি "বেত তোহোরাহ" হিসেবে পুনর্মূল্যায়ন করা হয়।[২৭]
পরবর্তী মধ্যযুগ
[সম্পাদনা]
১৩শ শতকের মধ্যে ব্রিস্টল একটি ব্যস্ত বন্দর শহরে পরিণত হয়। ১৪শ ও ১৫শ শতকে উলেন কাপড় ছিল এর প্রধান রপ্তানি পণ্য, আর গ্যাসকনি ও বর্দো থেকে আমদানি করা হতো মূলত মদ। এছাড়াও, ব্রিস্টল দক্ষিণ আয়ারল্যান্ডের অ্যাংলো-আইরিশ বন্দরগুলো, যেমন ওয়াটারফোর্ড ও কর্ক, এবং পর্তুগালের সঙ্গেও ব্যাপকভাবে বাণিজ্য করত।[২৮] ১৪২০ থেকে ১৪৮০ সালের মধ্যে ব্রিস্টল আইসল্যান্ডের সঙ্গেও ব্যবসা করত, যেখান থেকে তারা 'স্টকফিশ' নামে পরিচিত এক ধরনের শুকনো মাছ আমদানি করত।[২৯]
১১৪৭ সালে ব্রিস্টলের নাবিক ও জাহাজগুলো লিসবনের অবরোধ অভিযানে সহায়তা করেছিল, যার ফলে শহরটি মুরদের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়।[৩০] ১২৪৭ সালের দিকে অ্যাভন নদীর ওপরে একটি পাথরের সেতু নির্মাণ করা হয়। ১২৪০ থেকে ১২৪৭ সালের মধ্যে সেন্ট অগাস্টিনের মার্শে গ্রেট ডিচ (মহাখাল) খনন করা হয়, যা ফ্রম নদীর প্রবাহকে সোজা করে এবং জাহাজ ভেড়ানোর জন্য আরও জায়গা তৈরি করে।[৩১]
১৩৭৩ সালে রেডক্লিফ ও বেডমিনস্টার ব্রিস্টলের অন্তর্ভুক্ত হয়। তখন তৃতীয় এডওয়ার্ড ঘোষণা করেন, "ব্রিস্টল শহর ও তার উপকণ্ঠ গ্লুসেস্টার ও সমারসেট কাউন্টি থেকে আলাদা থাকবে এবং এটি স্বাধীন একটি কাউন্টি হিসেবে পরিচিত হবে, যার নাম হবে 'কাউন্টি অব ব্রিস্টল'।"[৩২] এর ফলে, আগে যেসব মামলার নিষ্পত্তি গ্লুসেস্টার বা ইলমিনস্টারে হতো, এখন তা ব্রিস্টলেই সম্পন্ন করা যেত। শহরের সীমানা বাড়িয়ে রেডক্লিফ ও টাউন মার্শ এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ব্রিস্টলের মধ্যযুগীয় প্রাচীরের কিছু অংশ এখনও অবশিষ্ট আছে, যার প্রধান অংশ দেখা যায় সেন্ট জন দ্য ব্যাপ্টিস্ট চার্চের প্রবেশদ্বারের নিচে।[৩৩]
১৪শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিস্টল ছিল ইংল্যান্ডের তৃতীয় বৃহত্তম শহর (লন্ডন ও ইয়র্কের পর), যার জনসংখ্যা ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ এর মধ্যে ছিল। কিন্তু ১৩৪৮-৪৯ সালে কালো মৃত্যু মহামারির কারণে এটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে ১৫শ ও ১৬শ শতকে জনসংখ্যা ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।[৩৪]
ব্রিস্টলের প্রথম প্রভাবশালী বণিকদের মধ্যে একজন ছিলেন উইলিয়াম ক্যানিংগে। আনুমানিক ১৩৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করা ক্যানিংগে পাঁচবার শহরের মেয়র নির্বাচিত হন[৩৫] এবং দু’বার পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। বলা হয়, তার দশটি জাহাজ ছিল এবং তিনি ৮০০ জনের বেশি নাবিক নিয়োগ করেছিলেন।[৩৬] পরবর্তী জীবনে তিনি পুরোহিত হন এবং তার বিপুল সম্পদ সেন্ট মেরি রেডক্লিফ চার্চ পুনর্নির্মাণে ব্যয় করেন, যেটি ১৪৪৬ সালে বজ্রপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।[৩৭]

১৪৫৩ সালে শতবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধের সমাপ্তির ফলে ব্রিটেন, বিশেষ করে ব্রিস্টল, গ্যাসকোনি অঞ্চলের ওয়াইন আমদানির সুযোগ হারায়। ফলে, স্পেন ও পর্তুগাল থেকে ওয়াইন আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।[৩৮] আইরিশ বন্দর থেকে ব্রিস্টলে মাছ, চামড়া এবং কাপড় (সম্ভবত লিনেন) আমদানি করা হতো। অন্যদিকে, ব্রিস্টল থেকে আয়ারল্যান্ডে ব্রডক্লথ, খাদ্যদ্রব্য, পোশাক ও ধাতব সামগ্রী রপ্তানি করা হতো।[৩৯]
ব্রিস্টলের আইসল্যান্ডের সঙ্গে ‘স্টকফিশ’ (শুকনো মাছ) বাণিজ্যের পতন স্থানীয় অর্থনীতির জন্য একটি বড় আঘাত ছিল বলে ধারণা করা হয়। এই পরিস্থিতি ব্রিস্টলের ব্যবসায়ীদের নতুন বাজার খুঁজতে পশ্চিম দিকে মনোনিবেশ করতে বাধ্য করে। ১৪৮০ সালের দিকে তারা আটলান্টিকে নতুন অঞ্চল অনুসন্ধানের জন্য বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করে। এর মধ্যে ছিল রহস্যময় বিভ্রমমূলক দ্বীপ ব্রাজিল পৌরাণিক দ্বীপ খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা, যা ব্যর্থ হয়।[৪০] তবে সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, ব্রিস্টলের আইসল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য কখনোই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। বরং, ১৫শ ও ১৬শ শতকে আইসল্যান্ড উপকূলে ইংরেজদের মাছ ধরার কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছিল।[৪১] ১৪৮৭ সালে ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরি ব্রিস্টল সফর করেন। সে সময় শহরের বাসিন্দারা অর্থনৈতিক মন্দার অভিযোগ জানান। তবে, অনেক সময় ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানগুলো কর প্রদানের বোঝা এড়াতে বা রাজকীয় বিশেষ সুবিধা লাভের আশায় এমন অভিযোগ করত। বাস্তবে, ব্রিস্টলের শুল্ক সংক্রান্ত নথি দেখায় যে, ১৫শ শতকের শেষ দুই দশকে বন্দরটির বাণিজ্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।[৪২][৪৩] এই প্রবৃদ্ধির একটি বড় কারণ ছিল স্পেনের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি।[৪৪][৪৫]

অন্বেষণ
[সম্পাদনা]১৪৯৭ সালে ব্রিস্টল থেকে অভিযাত্রী জন ক্যাবট উত্তর আমেরিকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। বহু বছর ধরে ব্রিস্টলের ব্যবসায়ীরা আইসল্যান্ড থেকে শুকনো করা স্টকফিশ (একপ্রকার শুকনো কড মাছ) কিনে ইংল্যান্ডে সরবরাহ করতেন। তবে, সেই সময় হানজে মিত্রসংঘ উত্তর আটলান্টিকের বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিল। তারা ইংরেজ ব্যবসায়ীদের জন্য আইসল্যান্ডের মাছের সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।[৪৭] অনেকে মনে করেন যে, এই পরিস্থিতি ব্রিস্টলের ব্যবসায়ীদের পশ্চিমে নতুন মাছ ধরার উৎস খুঁজতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। তবে, বাস্তবে ১৫শ শতকের শেষ দিকে ব্রিস্টলের ব্যবসায়ীরা আইসল্যান্ডের সাথে বাণিজ্য অনেকটাই পরিত্যাগ করলেও, হাল বন্দরের ব্যবসায়ীরা সেখানে ব্যবসা চালিয়ে যান।[৪৮] অধিকন্তু, সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা যায় যে, ১৪৯০-এর দশক থেকে ইংল্যান্ডের আইসল্যান্ড উপকূলে মাছ ধরার কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে, এই কার্যক্রমের কেন্দ্র ব্রিস্টল থেকে পূর্ব অ্যাংলিয়ার দিকে স্থানান্তরিত হয়।[৪১] ফলে, ব্রিস্টলের ব্যবসায়ীরা আইসল্যান্ড থেকে "বহিষ্কৃত" হয়েছিলেন বলে যে ধারণা প্রচলিত, তা পুরোপুরি সঠিক নয়।
১৪৮১ সালে, স্থানীয় দুই ব্যক্তি, থমাস ক্রফট এবং জন জে, কল্পিত দ্বীপ ব্রাজিল পৌরাণিক দ্বীপ খোঁজার জন্য জাহাজ পাঠান। তবে, দ্বীপটি আবিষ্কৃত হয়েছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং, ক্রফট অবৈধভাবে লবণ রপ্তানির দায়ে অভিযুক্ত হন। কারণ, একজন শুল্ক কর্মকর্তা হিসেবে তার বাণিজ্যে জড়িত থাকা উচিত ছিল না।[৪৯] অধ্যাপক ডেভিড বিয়ার্স কুইন, যার তত্ত্ব অনেক জনপ্রিয় ইতিহাসের ভিত্তি তৈরি করেছে, তিনি ধারণা করেন যে, এই অভিযাত্রীরা নিউফাউন্ডল্যান্ডের কাছে গ্র্যান্ড ব্যাংকস অঞ্চলে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। এটি প্রচুর পরিমাণে কড মাছের জন্য পরিচিত জলসীমা।[৫০]
১৪৯৭ সালে, জন ক্যাবট ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরির পৃষ্ঠপোষকতায় অভিযানে যান। তার উদ্দেশ্য ছিল ওরিয়েন্টের (প্রাচ্যের) নতুন নৌপথ খুঁজে বের করা। কিন্তু, এর পরিবর্তে তিনি উত্তর আমেরিকা আবিষ্কার করেন। ফিরে আসার পর, তিনি নতুন আবিষ্কৃত ভূমির কাছাকাছি প্রচুর কড মাছের উপস্থিতির কথা জানান।[৫১] ১৪৯৮ সালে, ক্যাবট ব্রিস্টল থেকে পাঁচটি জাহাজ নিয়ে আরেকটি অভিযানে যাত্রা করেন। ধারণা করা হয়, তিনি এই যাত্রা থেকে আর ফেরেননি। তবে, ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, তিনি হয়তো ফিরে এসেছিলেন।[৫২]
১৪৯৯ থেকে ১৫০৮ সালের মধ্যে ব্রিস্টল থেকে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালিত হয় 'নতুন আবিষ্কৃত ভূমি'র উদ্দেশ্যে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন অভিযানটি পরিচালনা করেন উইলিয়াম ওয়েস্টন।[৫৩] এই অভিযাত্রাগুলোর মধ্যে একটি পরিচালনা করেন জন ক্যাবটের ছেলে, সেবাস্তিয়ান ক্যাবট। তিনি উত্তর আমেরিকার উপকূল ধরে দক্ষিণে এগিয়ে যান, এমনকি এমন এক স্থান পর্যন্ত পৌঁছান যা 'প্রায় জিব্রাল্টারের অক্ষাংশে' এবং 'প্রায় কিউবার দ্রাঘিমাংশে' অবস্থিত। এর মানে তিনি বর্তমান ওয়াশিংটন ডিসির কাছাকাছি চেসাপিক উপসাগর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন।[৫৪]
প্রারম্ভিক আধুনিক যুগ
[সম্পাদনা]টিউডর ও স্টুয়ার্ট যুগ
[সম্পাদনা]
ব্রিস্টল ১৫৪২ সালে একটি শহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পূর্বে এটি সেন্ট অগাস্টিনের অ্যাবি ছিল যা পরবর্তীতে ব্রিস্টল ক্যাথেড্রাল হয়। এই পরিবর্তন ঘটে অষ্টম হেনরি কর্তৃক বিরামাগারগুলোর বিলোপের ফলে।[৫৫][৫৬] এই বিলোপের ফলে ব্রিস্টলের সমস্ত ধর্মীয় মঠ এবং সেবালয় রাজাকে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে ছিল সেন্ট জেমস প্রায়োরি, সেন্ট মেরি ম্যাগডালেন নানগৃহ, সিস্টারসিয়ান অ্যাবি (কিংসউড), এবং ওয়েস্টবারির কলেজ।[৫৭] গ্রেফ্রাইয়ার্স ও হোয়াইটফ্রাইয়ার্স-এর ক্ষেত্রে, সেখানকার প্রধান পুরোহিতরা রাজকীয় কর্মকর্তাদের আগমনের আগেই পালিয়ে যান। হোয়াইটফ্রাইয়ার্সের একাধিক প্রধান পুরোহিত বিদায় নেওয়ার সময় মঠের মূল্যবান সম্পদ নিয়ে চলে যান। যদিও ব্রিস্টলে অন্যান্য জায়গার তুলনায় ধর্মীয় অনিয়মের খুব বেশি প্রমাণ পাওয়া যায়নি, ব্রিস্টলের জনগণ রাজকীয় এই দখলের বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি তোলে নি। ১৫৪১ সালে, ব্রিস্টলের নাগরিক নেতারা সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সেন্ট মার্কস হাসপাতাল, সেন্ট মেরি ম্যাগডালেন, গ্রেফ্রাইয়ার্স ও হোয়াইটফ্রাইয়ার্সের প্রাক্তন জমি ও সম্পত্তি এক হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে কিনে নেন।[৫৮] ফলস্বরূপ, ব্রিস্টল দেশের একমাত্র পৌরসভা হয়ে ওঠে যার নিজস্ব একটি উপাসনাগৃহ রয়েছে, যা সেন্ট মার্কসে অবস্থিত।[৫৯]
ব্রিস্টল গ্রামার স্কুল ১৫৩২ সালে থর্ন পরিবার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।[৬০] ১৫৯৬ সালে জন কার রানী এলিজাবেথ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি ব্লুকোট স্কুল ছিল, যেখানে দরিদ্র শিশু ও অনাথদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হতো।[৬১]
বাণিজ্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৬শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপ থেকে আমদানি করা হতো—মদ, জলপাই তেল, লোহা, ডুমুর এবং অন্যান্য শুকনো ফল ও রঙ। রপ্তানির মধ্যে ছিল—কাপড় (তুলা ও উল), সীসা এবং চামড়া।[৬২] এই সময় ব্রিস্টলের অনেক শীর্ষ ব্যবসায়ী চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা অবৈধভাবে খাদ্য ও চামড়ার মতো পণ্য রপ্তানি করতেন এবং মদের আমদানির পরিমাণ কম দেখিয়ে কর ফাঁকি দিতেন।[৬৩]
১৫৭৪ সালে রাণী প্রথম এলিজাবেথ তার রাজকীয় ভ্রমণের অংশ হিসেবে ব্রিস্টল পরিদর্শন করেন। শহরের কর্তৃপক্ষ এই উপলক্ষে প্রস্তুতি ও বিনোদনের জন্য এক হাজার পাউন্ডেরও বেশি ব্যয় করে। এই ব্যয়ের বেশিরভাগ বিশেষ করের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছিল।[৬৪] ১৫৭৭ সালে অভিযাত্রী মার্টিন ফ্রোবিশার দুটি জাহাজ ও আকরিকের নমুনা নিয়ে শহরে আসেন। তবে এগুলো পরবর্তীতে মূল্যহীন প্রমাণিত হয়। এছাড়া তিনি তিনজন অজ্ঞাত পরিচয়ের "বন্য মানুষ" নিয়ে আসেন, যাদের সম্পর্কে ধারণা করা হয় যে তারা এস্কিমো ছিলেন। তারা হরিণের চামড়ার পোশাক পরিহিত ছিলেন, তবে ব্রিস্টলে আসার এক মাসের মধ্যেই সবাই মারা যান।[৬৫]
১৫৮৮ সালে ব্রিস্টল থেকে তিনটি জাহাজ স্প্যানিশ আর্মাডার বিরুদ্ধে রাজকীয় নৌবহরে যোগ দেয়। পাশাপাশি স্থল বাহিনীর জন্যও দুটি দল পাঠানো হয়। কিন্তু প্রাইভি কাউন্সিলে করা আবেদন সত্ত্বেও এই সরবরাহের জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। তদুপরি, শহরের দুর্গের প্রাচীর ও প্রবেশদ্বার সংস্কারের দায়িত্বও ব্রিস্টল কর্তৃপক্ষের উপর পড়ে।[৬৬] টিউডর যুগের শেষের দিকে ব্রিস্টল দুর্গ অকার্যকর হয়ে পড়ে। তবে এটি রাজকীয় সম্পত্তি হওয়ায় শহরের কর্তৃপক্ষ এর উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। এর ফলে দুর্গ এলাকা অপরাধীদের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়।
১৬১৩ সালের জুন মাসে ডেনমার্কের অ্যান ব্রিস্টল পরিদর্শন করেন। তখনকার মেয়র অ্যাবেল কিচিন তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান। এই সফরের অংশ হিসেবে নদীতে একটি নৌনাটকের আয়োজন করা হয়। এতে দেখা যায়, ইংরেজ একটি জাহাজ তুর্কি গ্যালিদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। রানির জন্য এই দৃশ্য দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ক্যাথেড্রালের কাছে ক্যাননের মার্শের মাঠে।[৬৭] নাটকের শেষে ইংরেজদের বিজয় প্রকাশ করা হয় একটি অভিনব উপায়ে—জাহাজের স্কাপার গর্ত থেকে শুকরের ছয়টি রক্তের থলে বের করে ফেলা হয়।[৬৮]
ইংরেজ গৃহযুদ্ধ
[সম্পাদনা]১৬৩০ সালে শহরের প্রশাসন ব্রিস্টল দুর্গ কিনে নেয়। এরপর ১৬৪২ সালে প্রথম ইংরেজ গৃহযুদ্ধ শুরু হলে, শহরটি সংসদীয় পক্ষ নেয় এবং দুর্গের কিছু অংশ পুনর্নির্মাণ করে। তবে, ২৬ জুলাই ১৬৪৩ সালে রাজতান্ত্রিক বাহিনী প্রিন্স রুপার্টের নেতৃত্বে ব্রিস্টল দখল করে। এই লড়াইয়ে শহর ও দুর্গ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[৬৯] রাজতান্ত্রিক বাহিনী প্রচুর লুটতরাজ করে এবং আটটি সশস্ত্র বণিক জাহাজ দখল করে, যা পরে রাজতান্ত্রিক নৌবহরের মূল অংশে পরিণত হয়। শহরের কর্মশালাগুলো অস্ত্র তৈরির কারখানায় পরিণত হয় এবং এখান থেকে রাজতান্ত্রিক বাহিনীর জন্য মস্কেট বন্দুক সরবরাহ করা হতো।[৭০]

১৬৪৫ সালের গ্রীষ্মে, নিউ মডেল আর্মি ল্যাংপোর্টের যুদ্ধে রাজতান্ত্রিক বাহিনীকে পরাজিত করে। এরপর ব্রিজওয়াটার ও শারবর্নে আরও কয়েকটি বিজয়ের পর, স্যার থমাস ফেয়ারফ্যাক্স ব্রিস্টলের দিকে অগ্রসর হন। প্রিন্স রুপার্ট শহরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য ফিরে আসেন। সংসদীয় বাহিনী শহর অবরোধ করে এবং তিন সপ্তাহ পর হামলা চালায়। অবশেষে, ১০ সেপ্টেম্বর প্রিন্স রুপার্ট আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন।[৭১] এর এক বছর পর প্রথম গৃহযুদ্ধ শেষ হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গৃহযুদ্ধের সময় ব্রিস্টলে আর কোনো সামরিক সংঘর্ষ ঘটেনি। ১৬৫৬ সালে, অলিভার ক্রমওয়েল দুর্গ ধ্বংসের নির্দেশ দেন।[৭২] ১৬৩৪ সালে, জন হুইটসন ব্রিস্টলে এক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে ছাত্রীরা "লাল পোশাকে" থাকত। পরবর্তীতে এটি দ্য রেড মেইডস' স্কুল নামে পরিচিতি পায়।
দাস ব্যবসা
[সম্পাদনা]উইলিয়াম ডি লা ফাউনটে, ব্রিস্টলের এক ধনী ব্যবসায়ী, প্রথম নথিভুক্ত ইংরেজ দাস ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তিনি গ্যাসকোনি অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন এবং ১৪৮০ সালে চারজন ব্যবসায়ীর মধ্যে একজন ছিলেন, যাদের "যেকোনো অঞ্চলে বাণিজ্য করার" লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। ১৭শ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের আমেরিকান উপনিবেশগুলোর বিকাশের সাথে দাস ব্যবসার নতুন উত্থান ঘটে। এরপর ১৮শ শতকের শুরুতে ব্রিস্টল দাস ব্যবসা "ত্রিভুজ বাণিজ্য"-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে, যেখানে আফ্রিকানদের দাসত্বে্য জন্য আমেরিকা অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হতো। ১৭শ শতকের শেষ থেকে ১৮০৭ সালে দাস ব্যবসা বিলুপ্ত হওয়া পর্যন্ত ব্রিস্টল থেকে ২০০০টিরও বেশি দাস ব্যবসায়ী জাহাজ সমুদ্রযাত্রা করে। এই সময়ে আনুমানিক পাঁচ লাখ আফ্রিকানকে নির্মম অবস্থায় আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।[৭৩] প্রতি যাত্রায় গড় মুনাফা ছিল ৭০% এবং আফ্রিকা থেকে আমেরিকায় নিয়ে যাওয়ার সময় (মধ্যযাত্রা) ১৫% এর বেশি দাস মারা যেত বা হত্যা করা হতো।[৭৪] কিছু দাস ক্যারিবিয়ান থেকে ব্রিস্টলে আনা হয়েছিল।[৭৫] তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সিপিও আফ্রিকানাস যিনি হেনবারিতে সমাধিস্থ হন এবং পেরো জোন্স যাকে দাস ব্যবসায়ী ও বাগান মালিক জন পিনি ব্রিস্টলে নিয়ে আসেন।[৭৬]
দাস ব্যবসার ফলে সস্তা পিতল সামগ্রীর চাহিদা বেড়ে যায়, যা অ্যাভন উপত্যকার তামা ও পিতল শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটায়।[৭৭] এর ফলে শিল্প বিপ্লবের অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়। আব্রাহাম ডার্বি এবং উইলিয়াম চ্যাম্পিয়নের মতো বিখ্যাত নির্মাতারা কনহ্যাম এবং কেনশ্যামে বড় কারখানা স্থাপন করেন, যেখানে মেনডিপ পাহাড়ের আকরিক এবং উত্তর সামারসেট কোলফিল্ডের কয়লা ব্যবহার করা হতো। অ্যাভন নদীর উপনদীগুলোর জলশক্তি ব্যবহৃত হতো পিতলের কারখানাগুলোর হাতুড়ি চালানোর জন্য, যা পরে ১৮শ শতকের শেষ দিকে বাষ্পশক্তি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।[৭৮] এছাড়াও, অ্যাভন উপত্যকায় কাঁচ, সাবান, চিনি, কাগজ এবং রাসায়নিক শিল্পও বিকশিত হয়েছিল।[৭৯]
এডমান্ড বার্ক ১৭৭৪ সালে হুইগস দলের পক্ষে ব্রিস্টলের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি মুক্ত বাণিজ্য, ক্যাথলিক মুক্তির পক্ষে এবং আমেরিকান উপনিবেশবাসীদের অধিকারের পক্ষে প্রচারণা চালান। তবে দাস ব্যবসার প্রতি তার ঘৃণা তার বাণিজ্যিক পৃষ্ঠপোষকদের ক্ষুব্ধ করে, যার ফলে ১৭৮০ সালে তিনি তার আসন হারান।[৮০]
দাসপ্রথার বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু হয়েছিল অ-অনুসারী ধর্ম প্রচারক জন ওয়েসলির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে। এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান স্থানীয় সমর্থকদের মধ্যে ছিলেন অ্যান ইয়ার্সলি, হান্না মোর,[৮১] হ্যারি গ্যান্ডে, মেরি কার্পেন্টার, রবার্ট সাউদে, উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ এবং স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজ।[৮২] এই আন্দোলন পরবর্তীকালে সমাজ সংস্কার ও নারী অধিকার আন্দোলনের পথ সুগম করে।[৮১]
১৮শ এবং ১৯শ শতাব্দী
[সম্পাদনা]
ব্রিস্টল দরিদ্রদের সংস্থা ১৭শ শতাব্দীর শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়। দরিদ্র জনগণের কর্মসংস্থান এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার জন্য একটি কার্যশালা নির্মিত হয়, যা ব্রাইডওয়েলের পাশে অবস্থিত ছিল।[৮৩] জন ওয়েসলি ১৭৩৯ সালে দ্য নিউ রোম নামে পরিচিত প্রথম মেথডিস্ট চ্যাপেলটি ব্রডমিডে প্রতিষ্ঠা করেন, যা ২১শ শতাব্দীতেও ব্যবহৃত হচ্ছে।[৮৪] ওয়েসলি জর্জ হুইটফিল্ডের আমন্ত্রণে ব্রিস্টলে আসেন। তিনি কিংসউড এবং হ্যানহামে কয়লা শ্রমিক এবং ইটভাটার শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে মুক্ত আকাশের নিচে ভাষণ দেন।[৮৫] কিংসউডে ২০১৪ সালে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ পরিচালিত হয়, যেখানে ঐ সময়কার দক্ষ কারিগরদের জীবনযাত্রার বিভিন্ন চিত্র উঠে আসে।[৮৬]



ব্রিস্টল সেতু ফেরি ছাড়া নদী পার হওয়ার একমাত্র পথ ছিল যা ১৭৬৪ থেকে ১৭৬৮ সালের মধ্যে পুনর্নির্মাণ করা হয়।[৮৭] আগের মধ্যযুগীয় ব্রিজটি অত্যন্ত সংকীর্ণ ও ব্যস্ত ছিল, যা ক্রমবর্ধমান যান চলাচলের জন্য যথেষ্ট ছিল না।[৮৮] এই পুনর্নির্মাণ কাজের ব্যয় মেটানোর জন্য একটি টোল ধার্য করা হয়। কিন্তু ১৭৯৩ সালে টোলের মেয়াদ বাড়ানো হলে ব্রিস্টল সেতু দাঙ্গা শুরু হয়। এই দাঙ্গায় ১১ জন নিহত এবং ৪৫ জন আহত হয়, যা ১৮শ শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ দাঙ্গা হিসেবে চিহ্নিত হয়।[৮৯]
১৭৬০ সাল থেকে লিভারপুলের প্রতিযোগিতা ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধ (১৭৯৩) এবং দাসব্যবসার বিলুপ্তি (১৮০৭) ব্রিস্টলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে শহরটি উত্তর ও মিডল্যান্ডসের নতুন শিল্পকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে পারেনি। ব্রিস্টলে তুলা শিল্পের বিকাশ ঘটেনি; চিনি, পিতল এবং কাচ উৎপাদনেও ধস নামে। উন্নততর লৌহ উৎপাদনের ধারণার জন্য স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সমর্থন না পেয়ে আব্রাহাম ডার্বি ব্রিস্টল ছেড়ে কোলব্রুকডেল চলে যান। বুকানান ও কসন্স উল্লেখ করেন যে, "প্রভাবশালী বণিক পরিবারগুলোর একধরনের আত্মতুষ্টি ও নিষ্ক্রিয়তা" শিল্প বিপ্লবের নতুন পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়।[৯০]

উচ্চ জোয়ারভাটা সম্পন্ন অ্যাভন গর্জের দীর্ঘ জলপথ, যা মধ্যযুগে ব্রিস্টলের বন্দরকে নিরাপদ করে তুলেছিল, পরবর্তীতে এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ১৮০৪-১৮০৯ সালের মধ্যে উইলিয়াম জেসপ ডিজাইন করা "ফ্লোটিং হারবার" নির্মাণ করলেও এই সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হয়নি। তবে, শহরের বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধির ফলে ব্রিস্টলের জনসংখ্যা (১৮০১ সালে ৬১,০০০)[৯১] উনিশ শতকে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পায়। ব্রিস্টল বিশেষভাবে প্রখ্যাত প্রকৌশলী ইসাম্বার্ড কিংডম ব্রুনেল-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল, যিনি ব্রিস্টল ও লন্ডনের মধ্যে গ্রেট ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে ডিজাইন করেন, দুটি পথপ্রদর্শক স্টিমশিপ এসএস গ্রেট ওয়েস্টার্ন ও এসএস গ্রেট ব্রিটেন নির্মাণ করেন এবং ক্লিফটন সাসপেনশন ব্রিজ তৈরি করেন।

নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণি, যারা দাসব্যবসার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল, তারা শহরে নানা ধরনের দাতব্য কাজে যুক্ত হতে শুরু করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন মেরি কার্পেন্টার, যিনি র্যাগড স্কুল[৯২] এবং সংস্কারাগার[৯৩] প্রতিষ্ঠা করেন। আরেকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন জর্জ মুলার, যিনি ১৮৩৬ সালে একটি এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন।[৯৪] ১৮৫৮ সালে ক্লিফটনের ব্যাডমিন্টন হাউসে ব্যাডমিন্টন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়।[৯৫] এরপর ১৮৬২ সালে ক্লিফটন কলেজ গড়ে ওঠে।[৯৬] ১৮৭৬ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ, ব্রিস্টল, যা পরবর্তীতে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়-এ রূপান্তরিত হয়, প্রতিষ্ঠা করা হয়।[৯৭] এছাড়া, পূর্বের মেরচ্যান্ট ভেঞ্চারার্স ন্যাভিগেশন স্কুল ১৮৯৪ সালে মেরচ্যান্ট ভেঞ্চারার্স কলেজ হয়ে ওঠে। এটি পরবর্তীতে ব্রিস্টল পলিটেকনিক-এর ভিত্তি স্থাপন করে, যা পরে ইউনিভার্সিটি অফ দ্য ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ড হয়ে ওঠে।[৯৮]
১৮৩১ সালের ব্রিস্টল দাঙ্গা সংঘটিত হয়, যখন লর্ডসভা দ্বিতীয় সংস্কার বিল প্রত্যাখ্যান করে। স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেট স্যার চার্লস ওয়েদারেল, যিনি বিলটির কঠোর বিরোধী ছিলেন, ব্রিস্টলে নতুন অ্যাসাইজ কোর্ট উদ্বোধনের জন্য আসেন। ক্ষুব্ধ জনতা তাকে ধাওয়া করে কুইন স্কয়ারে অবস্থিত ম্যানশন হাউসে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে।[৯৯] ১৮৩২ সালে সংস্কার আইন পাস হয় এবং শহরের সীমানা প্রথমবারের মতো ১৩৭৩ সালের পর প্রসারিত করা হয়। নতুন সীমানার মধ্যে "ক্লিফটন, সেন্ট জেমস, সেন্ট পল, সেন্ট ফিলিপের প্যারিশ, এবং বেডমিনস্টার ও ওয়েস্টবারির কিছু অংশ" অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১০০] ১৮৮৫ সালে শহরের সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস করা হয় এবং পূর্বের ব্রিস্টল (যুক্তরাজ্যের সংসদীয় আসন) চারটি পৃথক আসনে বিভক্ত হয়।
ব্রিস্টল যুক্তরাজ্যের অপেক্ষাকৃত ছোট একটি কয়লাক্ষেত্রে অবস্থিত। ১৭শ শতক থেকে ব্রিস্টল, বর্তমান নর্থ সোমারসেট এবং সাউথ গ্লুচেস্টারশায়ারে কয়লা খনন শুরু হয়। এই খনিগুলোর কারণে সোমারসেট কয়লা খাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং ব্রিস্টল মাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। তবে, খনিগুলো লাভজনক করা কঠিন হয়ে পড়ে, এবং জাতীয়করণের পর এগুলো বন্ধ হয়ে যায়।[১০১]
১৯শ শতকের শেষের দিকে ব্রিস্টলের প্রধান শিল্প ছিল তামাক ও সিগারেট উৎপাদন, যেখানে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান ডব্লিউ.ডি. এবং এইচ.ও. উইলস নেতৃত্ব দিত। এছাড়াও, কাগজ ও প্রকৌশল শিল্পও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত। শহরের বন্দর সুবিধাগুলো ধীরে ধীরে অ্যাভনমাউথেরদিকে স্থানান্তরিত হচ্ছিল, এবং সেখানে নতুন শিল্প কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হয়।[১০২]
আধুনিক ইতিহাস
[সম্পাদনা]
ব্রিটিশ অ্যান্ড কলোনিয়াল অ্যারোপ্লেন কোম্পানি, যা পরে ব্রিস্টল বিমান সংস্থা নামে পরিচিত হয়, পরে ব্রিটিশ বিমান কর্পোরেশনের অংশ হয় এবং শেষ পর্যন্ত বিএই সিস্টেমসে পরিণত হয়, এটি ১৯১০ সালে স্যার জর্জ হোয়াইট দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ব্রিস্টল ট্রামওয়েের মালিক ছিলেন।[১০৩] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, ব্রিস্টল স্কাউট এবং ব্রিস্টল এফ.২ ফাইটার উৎপাদনের মাধ্যমে কোম্পানিটি সুনাম অর্জন করে। প্রধান কারখানা ফিল্টনে অবস্থিত, যা ২১শ শতকে এখনো বিএই সিস্টেমসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন কেন্দ্র। ব্রিস্টল অ্যারোপ্লেন কোম্পানির ইঞ্জিন বিভাগ একটি পৃথক প্রতিষ্ঠান, ব্রিস্টল অ্যারো ইঞ্জিনএ পরিণত হয়, যা পরে ব্রিস্টল সিডলি ইঞ্জিন নামে পরিচিত হয়। ১৯৬৬ সালে এটি রোলস-রয়েস লিমিটেড দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয় এবং পরে রোলস-রয়েস পিএসিতে পরিণত হয়, যার প্রধান কার্যালয় এখনো ফিলটনে অবস্থিত।[১০৪] শহরের ডক এলাকায় চার্লস হিল অ্যান্ড সন্স, যা পূর্বে হিলহাউস নামে পরিচিত ছিল, প্রধানত জাহাজ নির্মাণ শিল্প পরিচালনা করত এবং এটি ১৯৭০-এর দশক পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।[১০৫] ব্রিস্টলের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শিল্পগুলোর মধ্যে ছিল চকলেট নির্মাতা জে. এস. ফ্রাই অ্যান্ড সন্স এবং মদ ও শেরি আমদানিকারক জন হার্ভে অ্যান্ড সন্স।
ব্রিস্টল সিটি ফুটবল ক্লাব (যা ১৮৯৭ সালে গঠিত হয়) ১৯০১ সালে ফুটবল লিগে যোগ দেয় এবং ১৯০৬ সালে প্রথম বিভাগের রানার্স আপ হয়। এরপর, ১৯০৯ সালে তারা এফএ কাপ ফাইনালে পৌঁছে হার মানে।[১০৬] তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিস্টল রোভার্স ফুটবল ক্লাব (যা ১৮৮৩ সালে গঠিত হয়) ১৯২০ সালে লিগে যোগ দেয়।[১০৭] গ্লুচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারপর থেকে বহুবার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের রানার্স আপ হয়েছে।[১০৮]
ব্রিস্টল সিটি কাউন্সিল ১৯১৯ থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে ১৫,০০০-এর বেশি বাড়ি নির্মাণ করে। এর ফলে শহরের কেন্দ্রের সবচেয়ে খারাপ বস্তিগুলো অপসারণ (ছাড়পত্র) করা সম্ভব হয়। নতুন আবাসন প্রকল্পগুলো সাউথমিড, নোলে, ফিলউড পার্ক, সি মিলস এবং হরফিল্ড এলাকায় গড়ে তোলা হয়। এই উন্নয়নের জন্য শহরের সীমানা উত্তর ও দক্ষিণ দিকে সম্প্রসারিত করা হয়।[১০৯] ১৯২৬ সালে পোর্টওয়ে নামে একটি নতুন সড়ক নির্মাণ করা হয়, যা অ্যাভন গর্জ বরাবর প্রসারিত ছিল। প্রায় ৮,০০,০০০ পাউন্ড ব্যয়ে নির্মিত এই সড়কটি শহরের ফ্লোটিং হারবারকে অ্যাভনমাউথের সম্প্রসারিত ডকের সঙ্গে সংযুক্ত করে।[১১০]
বিমান নির্মাণ শিল্প এবং প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে ব্রিস্টল ছিল ব্রিস্টল ব্লিটজ চলাকালীন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমাবর্ষণের লক্ষ্যে। শহরের কেন্দ্রস্থলও মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়, বিশেষ করে ১৯৪০ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে। তখন ব্রডমিড এলাকা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়, এবং হিটলার দাবি করেছিলেন যে তিনি পুরো শহর ধ্বংস করে দিয়েছেন।[১১১] শহরের মূল কেন্দ্র, যা সেতু ও দুর্গের (castle) কাছাকাছি ছিল, বর্তমানে একটি পার্ক। এখানে দুটি বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত গির্জা এবং দুর্গের কিছু ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষিত আছে। এর একটু উত্তরে, ব্রডমিড শপিং সেন্টার এবং ক্যাবট সার্কাস বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর ওপর গড়ে তোলা হয়েছে।
অন্য ব্রিটিশ শহরগুলোর মতো, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ব্রিস্টলে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসন ঘটে। এর ফলে কিছু ক্ষেত্রে বর্ণবাদী উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ১৯৬৩ সালে, ব্রিস্টল অমনিবাস কোম্পানি একটি জাতিগত বিভাজন চালু করে, যার অধীনে তারা কৃষ্ণাঙ্গ বা এশীয় বাসকর্মীদের নিয়োগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এই নীতির বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলন ব্রিস্টল বাস বয়কট সফল হয়।[১১২] এই আন্দোলনকে জাতি সম্পর্ক আইন ১৯৬৮ আইন পাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[১১২] ১৯৮০ সালে, সেন্ট পলস এলাকার একটি ক্যাফেতে পুলিশের অভিযান ঘটে, যা সেন্ট পলস দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটায়। এই দাঙ্গা শহরের সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে।[১১৩]
যুদ্ধ পরবর্তী সময়েও ব্রিস্টলের বিমান নির্মাণ শিল্পের উন্নতি অব্যাহত ছিল। ব্রিস্টল ব্রাবাজন ছিল একটি বৃহৎ ট্রান্স-অ্যাটলান্টিক এয়ারলাইনার, যা ১৯৪০-এর দশকের শেষ দিকে নির্মিত হয়। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভারী বোমারু বিমানের প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। তবে, এটি কোনো বাণিজ্যিক আদেশ পায়নি এবং কখনোই উৎপাদনে যায়নি।[১১৪] ১৯৬০-এর দশকে কনকর্ড, বিশ্বের প্রথম সুপারসনিক এয়ারলাইনার নির্মিত হয় এবং এটি ১৯৬৯ সালে প্রথম উড্ডয়ন করে। যদিও এই বিমান বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়নি, তবে এর উন্নয়ন এয়ারবাস সিরিজের বিমান তৈরির ভিত্তি গড়ে তোলে। একবিংশ শতাব্দীতে, এই সিরিজের কিছু অংশ ফিলটনে উৎপাদিত হয়।[১১৫]
১৯৮০-এর দশকে ব্রিস্টল এবং এর আশপাশের এলাকায় আর্থিক পরিষেবা খাত একটি প্রধান নিয়োগকারী শিল্পে পরিণত হয়।[১১৬] শহরের উত্তর অংশে অবস্থিত বিভিন্ন বিজনেস পার্ক এবং বৃহত্তল ব্রিস্টল বা ব্রিস্টল নগর এলাকা নামে পরিচিত বিস্তীর্ণ নগর এলাকায় এই খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটে। এই অঞ্চলে ব্রিস্টলের পাশাপাশি ইস্টন-ইন-গোর্ডানো, ফ্র্যাম্পটন কট্রেল এবং উইন্টারবোর্ন, কিংসউড, ম্যাঙ্গোটসফিল্ড এবং স্টোক গিফোর্ড অন্তর্ভুক্ত ছিল।[১১৭] শহরের ঐতিহ্যবাহী উৎপাদনশিল্পের অবক্ষয়ের পর, উচ্চপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগকারীতে পরিণত হয়। আইবিএম, হিউলেট প্যাকার্ড, তোশিবা এবং অরেঞ্জের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, পাশাপাশি সৃজনশীল ও গণমাধ্যম শিল্পের কোম্পানিগুলি ব্রিস্টলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মসংস্থান তৈরি করে।[১১৮]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ব্রিটিশ নগর পরিকল্পনার মতোই, ব্রিস্টল শহরের কেন্দ্রের পুনর্গঠনও সস্তায় নির্মিত বড় টাওয়ার ব্লক, ব্রুটালিস্ট স্থাপত্যশৈলী এবং রাস্তার সম্প্রসারণ দ্বারা চিহ্নিত ছিল। তবে ১৯৯০-এর দশক থেকে এই প্রবণতা পরিবর্তিত হতে শুরু করে। কিছু প্রধান রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং ব্রডমিড শপিং সেন্টারের পুনর্নির্মাণ করা হয়।[১১৯] ২০০৬ সালে, শহরের কেন্দ্রস্থলের অন্যতম উঁচু যুদ্ধোত্তর ভবন ভেঙে ফেলা হয়।[১২০] সামাজিক আবাসন প্রকল্পের টাওয়ার ব্লকগুলোকেও ভেঙে ফেলা হয় এবং সেগুলোর পরিবর্তে নিম্ন-উচ্চতার আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়।[১২১][১২২]
ডকগুলোকে শহরের কেন্দ্র থেকে সাত মাইল (১১ কিমি) দূরে অ্যাভনমাউথে সরিয়ে নেওয়ার ফলে ব্রিস্টলের কেন্দ্রস্থলের যানজট কমে যায় এবং ২০শ শতকের শেষ দিকে পুরোনো কেন্দ্রীয় ডক এলাকা (ফ্লোটিং হারবার) পুনর্গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ১৯৭০-এর দশকে গভীর পানির রয়্যাল পোর্টবারি ডক অ্যাভনমাউথ ডকের বিপরীতে গড়ে তোলা হয়। পরবর্তীতে, ব্রিস্টল বন্দর বেসরকারিকরণের পর এটি আর্থিকভাবে সফল হয়ে ওঠে।[১২৩]
একসময় পুরোনো কেন্দ্রীয় ডকগুলোর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল, কারণ সেগুলোকে কেবল পরিত্যক্ত শিল্প এলাকা হিসেবে দেখা হচ্ছিল, জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মূল্যবান সম্পদ হিসেবে নয়।[১২৪] তবে ১৯৮০-এর দশক থেকে শুরু করে হারবারসাইড পুনর্গঠনের জন্য কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে শহরের কেন্দ্র নতুনভাবে গড়ে তোলা হয় এবং পেরোর ফুটব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এই ব্রিজটি ক্যাননের মার্শে অবস্থিত অ্যাট-ব্রিস্টল বিজ্ঞান কেন্দ্রকে, যা ২০০০ সালে চালু হয়, অন্যান্য ব্রিস্টলের পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এছাড়া, বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা সেখানে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করছে। ক্যাননের মার্শ এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য প্রায় ২৪০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।[১২৫] ক্রেস্ট নিকোলসন এই উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে ৪৫০টি নতুন ফ্ল্যাট, আবাসন এবং জলাশয়ের পাশে অফিস নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছে।[১২৬] এই কাজটি পরিচালনা করছে "হারবারসাইড স্পনসরস গ্রুপ", যা শহরের কাউন্সিল, উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা সংস্থা এবং সরকারি তহবিলদাতাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অংশীদারিত্বমূলক সংস্থা।[১২৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Archaeology – local information: Palaeolithic in Bristol"। Bristol City Council। ২০ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Bates, M.R.; Wenban-Smith, F.F. (মার্চ ২০০৫)। "Palaeolithic Research Framework for the Bristol Avon basin" (পিডিএফ)। Bristol City Council। পৃষ্ঠা 31। ৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Archaeology – local information: Bristol in the Iron Age"। Bristol City Council। ১৬ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ "ANTONINE ITINERARY"। roman-britain.org। ১৯ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ "Archaeology – local information: Bristol in the Roman Period"। Bristol City Council। ১৬ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ ক খ গ ঘ Manco, Jean (১২ অক্টোবর ২০০৭)। "The Saxon Origins of Bristol"। buildinghistory.org। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ "The Anglo-Saxon Chronicle: Part 3"। The Medieval and Classical Literature Library। mcllibrary.org। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Brace, Keith (১৯৯৬)। Portrait of Bristol। London: Robert Hale। আইএসবিএন 0-7091-5435-6।
- ↑ "The Anglo-Saxon Chronicle, Part 5"। The Medieval and Classical Literature Library। mcllibrary.org। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Manco, Jean (জুলাই ২০০৬)। "The Saxon Slave-Market in Bristol"। buildinghistory.org। ১৫ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ ক খ গ ঘ Manco, Jean (মে ২০০৫)। "Bristol Past: Bristol Castle"। buildinghistory.org। ১৫ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ "Parishes: Chellington', A History of the County of Bedford: Volume 3"। ১৯১২। পৃষ্ঠা 54–56। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ Harvey, Alfred (১৯০৬)। "Bristol, a historical and topographical account of the city"। পৃষ্ঠা 22। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ Round, John Horace (১৯১১)। "Geoffrey De Montbray"। চিসাম, হিউ। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 11 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 616।
- ↑ Bush, Henry (১৮২৮)। "Bristol Town Duties: Chapter 1 – Origins of the grant of the town of Bristol"। British History Online। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ Potter, K.R.; R.H.C. Davis (১৯৭৬)। Gesta Stephani (Oxford Medieval Texts) (pp. 37–38, 43–44.)। Oxford: Clarendon Press। আইএসবিএন 0-19-822234-3।
- ↑ Potter, K.R. (১৯৯৮)। William of Malmesbury – Historia Novella: The Contemporary History (Oxford Medieval Texts) (p. 50)। Oxford: Clarendon Press। আইএসবিএন 0-19-820192-3।
- ↑ Sharp, Margaret (১৯৮২)। Accounts of the Constables of Bristol Castle in the Thirteenth and Early Fourteenth Centuries (p. xviii.)। Bristol Record Society।
- ↑ Colvin, H.M. (১৯৭১)। Building Accounts of Henry III। Oxford: Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-920013-0।
- ↑ William Page, সম্পাদক (১৯০৭)। A History of the County of Gloucester: Volume 2। Victoria County History। British History Online। পৃষ্ঠা 74–75। আইএসবিএন 1-152-30039-3। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ William Page, সম্পাদক (১৯০৭)। A History of the County of Gloucester: Volume 2। Victoria County History। British History Online। পৃষ্ঠা 75–79। আইএসবিএন 1-152-30039-3। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ Gomme, A.; Jenner, M.; Little, B. (১৯৭৯)। Bristol: an architectural history। London: Lund Humphries। পৃষ্ঠা 16–18। আইএসবিএন 0-85331-409-8।
- ↑ Kilfeather, Siobhán Marie (২০০৫)। Dublin
। Oxford University Press, US। পৃষ্ঠা 25। আইএসবিএন 978-0-19-518201-9। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০০৯।
In 1171–72 Henry II gave Dublin to the citizens of Bristol, which meant the Bristol merchants were entrusted with the process of colonization.
- ↑ "The Jews of Bristol in pre-expulsion days"। Jewish Historical Society of England। ১৯৩১-০২-২২ – Internet Archive-এর মাধ্যমে।
- ↑ "The Jewish Community of Bristol"। The Museum of the Jewish People at Beit Hatfutsot। ২ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৮।
- ↑ Emanuel, R.R.; Ponsford, M.W. (১৯৯৪)। "Jacob's Well, Bristol, Britain's only known medieval Jewish Ritual Bath (Mikveh)" (পিডিএফ)। Transactions। Bristol: Bristol and Gloucestershire Archaeological Society। 112: 73–86। ৪ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ I. Blair, J. Hillaby, I. Howell, R. Sermon and B. Watson, 'The discovery of two medieval mikva'ot in London and a reinterpretation of the Bristol "mikveh"', Jewish Historical Studies (Jewish Historical Society of England) 37 (2001) 15-40. The argument was further elaborated in 2004: J. Hillaby and R. Sermon, Jacob's Well, Bristol: Mikveh or Bet Tohorah?, Transactions of the Bristol and Gloucestershire Archaeological Society 122 (2004) 127–152
- ↑ E.M. Carus Wilson, 'The overseas trade of Bristol' in E. Power & M.M. Postan (eds.), Studies in English Trade in the Fifteenth Century (London, 1933)
- ↑ E.M. Carus-Wilson, 'The Iceland trade' in E. Power & M.M. Postan (eds.), Studies in English Trade in the Fifteenth Century (London, 1933)
- ↑ Tyerman, Christopher (১ অক্টোবর ১৯৮৮)। England and the Crusades, 1095–1588। Chicago University Press। পৃষ্ঠা 182।
- ↑ "Bristol, a historical and topographical account of the city"। ১৯০৬। পৃষ্ঠা 30–31।
- ↑ Myers, Alec Reginald (১৯৯৬)। English Historical Documents 1327–1485। Routledge। পৃষ্ঠা 560।
- ↑ Burrough, T.H.B. (১৯৭০)। Bristol। Studio Vista।
- ↑ "Discover Bristol"। Bristol Tourist Information।
- ↑ "Merchant benefactor"। St Mary Redcliffe। ৮ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Canynges, William"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 5 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 223।
- ↑ "The church of St Mary Redcliffe"। ২০০৮-১০-২২ – news.bbc.co.uk-এর মাধ্যমে।
- ↑ Fleming, Peter (১৯৯৮)। "Bristol in the 1490s" (পিডিএফ)। Regional Historian। Bristol (2)। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Jones, Evan; Flavin, Susan। "Ireland-Bristol Trade in Sixteenth century – Research"। University of Bristol। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ David Beers Quinn, England and the Discovery of America, 1480–1620 (London, 1974), pp. 47–50.
- ↑ ক খ Jones, Evan T. (২০০০)। "England's Icelandic fishery in the Early Modern period" (পিডিএফ)। Starkey, D.; Reid, C.; Ashcroft, N.। England's Sea Fisheries: The Commercial Fisheries of England and Wales since 1300। Chatham Publishing। পৃষ্ঠা 105–110। আইএসবিএন 1-86176-124-4।
- ↑ E.M. Carus-Wilson, and Olive Coleman, England's Export Trade 1275–1547 (Oxford, 1963), pp. 142–43.
- ↑ David Harris Sacks, The Widening Gate: Bristol and the Atlantic Economy, 1450–1700 (University of California Press, 1991), pp. 21–24.
- ↑ Wendy R. Childs, Anglo-Castilian Trade in the Later Middle Ages (Manchester, 1978)
- ↑ Evan T. Jones and Margaret M. Condon, Cabot and Bristol's Age of Discovery: The Bristol Discovery Voyages 1480–1508 (University of Bristol, Nov. 2016), pp. 37–38.
- ↑ Jean Manco (২০০৬), "Ricart's View of Bristol", Bristol Magazine, সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১২
- ↑ E.M. Carus-Wilson, 'The Iceland trade' in E. Power & M.M. Postan (eds.), Studies in English Trade in the Fifteenth Century (London, 1933)
- ↑ W.R. Childs, 'England's Icelandic trade in the fifteenth century: The role of the port of Hull' Northern Seas (1995)
- ↑ J.A. Williamson, The Cabot Voyages and Bristol Discovery Under Henry VII (Hakluyt Society, Second Series, No. 120, CUP, 1962), p. 20
- ↑ D.B. Quinn, England and the Discovery of America, 1481–1620 (London, 1974)
- ↑ "Soncino letter 1497"। www.bristol.ac.uk।
- ↑ Jones, Evan T.; Condon, Margaret M. (২০১৬)। Cabot and Bristol's Age of Discovery: The Bristol Discovery Voyages 1480–1508। Cabot Project Publications। আইএসবিএন 978-0-9956193-0-2।
- ↑ Jones, Evan T. (২০০৯)। "Henry VII and the Bristol expeditions to North America: the Condon documents"। Historical Research। 83 (221): 444–454। ডিওআই:10.1111/j.1468-2281.2009.00519.x।
- ↑ J.A. Williamson, The Cabot Voyages and Bristol Discovery Under Henry VII (Hakluyt Society, Second Series, No. 120, Cambridge University Press, 1962), pp. 266–69.
- ↑ Joseph Bettey, St Augustine's Abbey, Bristol (Bristol Branch of the Historical Association 1996), pp. 7, 11–15, 21, 24–25.
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড। "Cathedral Church of St Augustine, including Chapter House and cloisters (1202129)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মার্চ ২০০৭।
- ↑ William Page, সম্পাদক (১৯০৭)। "6, 7, 12, 15, 20, 21, 26, 27"। A History of the County of Gloucester। Victoria County History। 2। British History Online। পৃষ্ঠা 74–79, 93, 99–101, 106–111, 114–119। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ Bettey, Joseph (১৯৯০)। The Suppression of the Religious Houses in Bristol। Bristol: Bristol Branch of the Historical Association। পৃষ্ঠা 10–20। আইএসবিএন 0-901388-57-2।
- ↑ Foyle, Andrew (২০০৪)। Pevsner Architectural Guide, Bristol। New Haven: Yale University Press। পৃষ্ঠা 100। আইএসবিএন 0-300-10442-1।
- ↑ "A brief history of BGS"। Bristol Grammar School। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১০।
- ↑ "Queen Elizabeth's Hospital."। qehbristol.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Jones, Evan (১৯৯৮)। "The Bristol Shipping Industry in the Sixteenth Century"। Unpublished PhD, Edinburgh। পৃষ্ঠা Appendix 5। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Jones, Evan T., 'Illicit business: accounting for smuggling in mid-sixteenth century Bristol' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ নভেম্বর ২০১২ তারিখে, Economic History Review, 54 (2001). Jones, Evan T., Inside the Illicit Economy: Reconstructing the Smugglers' Trade of Sixteenth Century Bristol ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ নভেম্বর ২০১২ তারিখে (Ashgate, June 2012)
- ↑ Latimer, John (১৯০৮)। "Sixteenth-century Bristol"। পৃষ্ঠা 60–61। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Latimer, John (১৯০৮)। "Sixteenth-century Bristol"। পৃষ্ঠা 65। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Latimer, John (১৯০৮)। "Sixteenth-century Bristol"। পৃষ্ঠা 92–93। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ John Nichols, Progresses of James the First, vol. 2 (London, 1828), pp. 646-7, 661, 664.
- ↑ John Evans, A Chronological Outline of the History of Bristol (Bristol, 1824), pp. 169-170.
- ↑ "Bristol"। Fortified Places। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০০৭।
- ↑ "1643: Lansdown, Roundway Down and the storming of Bristol"। british-civil-wars.co.uk। ২১ আগস্ট ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ "1645: the battle of Langport and siege of Bristol"। british-civil-wars.co.uk। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ Stone, George Frederick (১৯০৯)। Bristol as it was and as it is, a record of 50 years' progress (p. 99)। Bristol: Walter Reid।
- ↑ "Lottery Fund rejects Bristol application in support of a major exhibition to commemorate the 200th Anniversary of the Abolition of the Slave Trade" (পিডিএফ)। British Empire & Commonwealth Museum। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০০৭।
- ↑ "Triangular trade"। National Maritime Museum। ২৫ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ "Black Lives in England: The Slave Trade and Abolition"। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Black presence: Learning journeys"। The National Archives। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ "PortCities Bristol"। discoveringbristol.org.uk। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ Buchanan, R.A.; Cossons, Neil (১৯৬৯)। "5"। The Industrial Archaeology of the Bristol Region। Newton Abbot: David & Charles। পৃষ্ঠা 115–127। আইএসবিএন 0-7153-4394-7।
- ↑ Buchanan, R.A.; Cossons, Neil (১৯৬৯)। "6"। The Industrial Archaeology of the Bristol Region। Newton Abbot: David & Charles। পৃষ্ঠা 133–155। আইএসবিএন 0-7153-4394-7।
- ↑ Paul, Langford (সেপ্টেম্বর ২০০৪)। "Burke, Edmund (1729/30–1797)"। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। ডিওআই:10.1093/ref:odnb/4019। (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন।)
- ↑ ক খ Lammy, David (১৮ মে ২০০৭)। "Speech to the Wilberforce Institute for the study of Slavery and Emancipation in Hull"। culture.gov.uk। ৯ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ "PortCities Bristol"। discoveringbristol.org.uk। ২০১২-০২-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ Johnson, James (১৮২৬)। Transactions of the Corporation of the Poor, in the city of Bristol, during a period of 126 years। Broadmead, Bristol: P. Rose। পৃষ্ঠা 4।
- ↑ "The New Room Bristol – John Wesley's Chapel in the Horsefair"। newroombristol.org.uk। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ "Methodist Heritage"। methodistrecorder.co.uk। ১৩ মার্চ ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ Corcos, Nick (২০১৭)। "Excavations in 2014 at Wade Street, Bristol - a documentary and archaeological analysis"। Internet Archaeology (45)। ডিওআই:10.11141/ia.45.3
।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড। "Bristol Bridge (1204252)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০০৯।
- ↑ Jones, Philip D। "The Bristol Bridge Riot and Its Antecedents: Eighteenth-Century Perception of the Crowd"। Bradley University, Peoria, IL। ৩ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০০৯।
- ↑ "'Riot!' The Bristol Bridge Massacre of 1793 (audio file)"। Bristol Radical History Group। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ Buchanan, R.A.; Cossons, Neil (১৯৬৯)। The Industrial Archaeology of the Bristol Region। Newton Abbot: David & Charles। পৃষ্ঠা 16–19। আইএসবিএন 0-7153-4394-7।
- ↑ "British Newspapers – Bristol Mercury"। newspapers11.bl.uk। ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ Latimer, John (১৮৮৭)। The Annals of Bristol in the Nineteenth Century। Bristol: W. & F. Morgan। পৃষ্ঠা 276–278। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ The "Canynge" concise guide to Bristol and Suburbs। Bristol: Jeffries & Sons। ১৮৭৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ "George Müller of Bristol, by Arthur T. Pierson"। gutenberg.org। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ "Badminton School, Bristol UK – Independent Girls Boarding and Day School"। badmintonschool.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ ঐতিহাসিক ইংল্যান্ড। "Clifton College Big School (1282342)"। ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় ঐতিহ্য তালিকা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ "Bristol University"। nndb.com। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ "A brief history of Bristol UWE"। uwe.ac.uk। ২৮ মে ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ "The Bristol 1832 Reform Bill riots"। The Victorian Web। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৫।
- ↑ Latimer, John (১৮৮৭)। The Annals of Bristol in the Nineteenth Century। Bristol: W.& F. Morgan। পৃষ্ঠা 185।
- ↑ Ramsey, Keith (১৯৯৯)। "A Brief History of the Bristol and Somerset Coalfield"। projects.exeter.ac.uk। ১৭ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ Buchanan, R.A.; Cossons, Neil (১৯৬৯)। "10"। The Industrial Archaeology of the Bristol Region। Newton Abbot: David & Charles। পৃষ্ঠা 224–225। আইএসবিএন 0-7153-4394-7।
- ↑ "Bristol Aircraft"। glostransporthistory.visit-gloucestershire.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ Green, Geoff (১৯৮৮)। British Aerospace. A proud Heritage। Wotton-under-Edge: G. Green। আইএসবিএন 0-9510519-2-X।
- ↑ "Charles Hill and Sons – GracesGuide"। gracesguide.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ "Bristol City"। Football Club History Database। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০০৯।
- ↑ "Bristol Rovers"। Football Club History Database। ২০ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০০৯।
- ↑ Collins, Sam। "A brief history of Gloucestershire"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০০৯।
- ↑ Malpass, Peter; Walmsley, Jenny। "100 years of council housing" (পিডিএফ)। UWE, Bristol: Faculty of the Built Environment। ১৭ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ "New Bristol Road"। The Times। ৩ জুলাই ১৯২৬। পৃষ্ঠা ১১। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০০৯।
- ↑ "Bristol - The Blitz (1)"। Brisray। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ Dresser, Madge (১৯৮৬)। Black and White on the Buses: The 1963 Colour Bar Dispute in Bristol
। Bristol: Bristol Broadsides। আইএসবিএন 0-906944-30-9। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Rex, John। "'A Different Reality': minority struggle in British cities"। warwick.ac.uk। ৫ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ "Contents of an Aviation Heritage story"। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০০৯।
- ↑ "BBC Inside Out – Concorde"। bbc.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ "Inward Investment: Key industries – Financial Services"। Southwest Regional Development Authority। ১২ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০০৯।
- ↑ "Top 50 Urban Areas" (xls)। Office for National Statistics। ১৯৯১। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০০৯।
- ↑ "Reasons to Invest in Bristol"। Invest in Bristol। ১ মে ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০০৯।
- ↑ "Cabot Circus, Broadmead, Bristol"। Romag। ২৫ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০০৯।
- ↑ "Demolition of city tower begins"। BBC News। ১৩ জানুয়ারি ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০০৯।
- ↑ "Rockingham House, Lawrence Weston, Bristol" (doc)। The Guinness Trust। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Flats demolition plan criticised"। BBC News। ৮ জুলাই ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০০৯।
- ↑ "About – Bristol Port Company"। bristolport.co.uk। ১০ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০০৯।
- ↑ "Jerry Hicks"। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০০৯।
- ↑ "Development areas in Bristol"। Bristol City Council। ১০ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০০৭।
- ↑ "New Harbourside development given the green light"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০০৭।
- ↑ "Bristol Harbourside"। National Archives। CABE। ১৮ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৭।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]১৯শ শতকে প্রকাশিত
- Joseph Nightingale (১৮১৩), "ব্রিস্টল", Beauties of England and Wales, 13 (1), লন্ডন: J. Harris,
সোমারসেটশায়ার
- James Dugdale (১৮১৯), "সোমারসেটশায়ার: ব্রিস্টল", New British Traveller, 4, লন্ডন: J. Robins and Co.
- John Evans (১৮২৮), The New Guide, or, Picture of Bristol (4th সংস্করণ), ব্রিস্টল, ওএল 13521980M, ওসিএলসি 45137262
- "ব্রিস্টল", Great Western Railway Guide, লন্ডন: James Wyld, ১৮৩৯, ওসিএলসি 12922212
- "ব্রিস্টল", Black's Picturesque Tourist and Road-book of England and Wales (3rd সংস্করণ), এডিনবার্গ: Adam and Charles Black, ১৮৫৩
- John Parker Anderson (১৮৮১), "গ্লুচেস্টারশায়ার: ব্রিস্টল", Book of British Topography: a Classified Catalogue of the Topographical Works in the Library of the British Museum Relating to Great Britain and Ireland, লন্ডন: W. Satchell
- William Clark Russell (১৮৮৩)। "ব্রিস্টল"। North-East Ports and Bristol Channel। নিউক্যাসল-আপন-টাইনে: A. Reid। hdl:2027/uc1.$b667579।
- How to See Bristol। Arrowsmith। ১৮৮৫।
- "ব্রিস্টল", Great Britain (4th সংস্করণ), লাইপজিগ: Karl Baedeker, ১৮৯৭, ওসিএলসি 6430424
- Charles Gross (১৮৯৭)। "ব্রিস্টল"। Bibliography of British Municipal History। নিউ ইয়র্ক: Longmans, Green, and Co.।
- Francis Adams Hyett; William Bazeley (১৮৯৭)। Bibliographer's Manual of Gloucestershire Literature। 3: City of Bristol।
- Dallaway, James (১৮৩৪)। Antiquities of Bristow in the Middle Centuries: including the topography by William Wyrcestre, and the life of William Canynges। ব্রিস্টল: Mirror Office।
২০শ শতকে প্রকাশিত
- G. K. Fortescue, সম্পাদক (১৯০২)। "ব্রিস্টল"। Subject Index of the Modern Works Added to the Library of the British Museum in the Years 1881–1900। লন্ডন: The Trustees। hdl:2027/uc1.b5107011
।
- Robert Donald, সম্পাদক (১৯০৮)। "ব্রিস্টল"। Municipal Year Book of the United Kingdom for 1908। লন্ডন: Edward Lloyd। hdl:2027/nyp.33433081995593।
- "ব্রিস্টল (ইংল্যান্ড)"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 4 (১১তম সংস্করণ)। ১৯১১। পৃষ্ঠা 579–582।
২১শ শতকে প্রকাশিত
- Ferriday, Lena (২০২৩)। "'An indispensable aid': Urban mobility, networks and the guidebook in Bristol, 1900–1930"। Journal of Historical Geography। 79: 99–110। ডিওআই:10.1016/j.jhg.2023.01.003
।
- Jones, Evan T.; Condon, Margaret M. (২০১৬)। Cabot and Bristol's Age of Discovery: The Bristol Discovery Voyages 1480–1508। Cabot Project Publications। আইএসবিএন 978-0-9956193-0-2।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
- ব্রিস্টলের ইতিহাস
- ব্রিস্টলের অতীত
- রোমান যুগের ব্রিস্টল
- ব্রিস্টলের অতীতের আলোকচিত্র সংকলন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে