ব্রিজ টু টেরাবিথিয়া (২০০৭-এর চলচ্চিত্র)
ব্রিজ টু টেরাবিথিয়া | |
---|---|
পরিচালক | চুপো গাবোর |
প্রযোজক |
|
চিত্রনাট্যকার |
|
উৎস | ক্যাথরিন পেটারসন কর্তৃক ব্রিজ টু টেরাবিথিয়া |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | অ্যারন জিগম্যান |
চিত্রগ্রাহক | মাইকেল চ্যাপম্যান |
সম্পাদক | জন গিলবার্ট |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | বুয়েনা ভিস্তা পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৯৫ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $ ২-২.৫ কোটি [১][২] |
আয় | $ ১৩ কোটি ৭৬ লক্ষ[৩] |
ব্রিজ টু টেরাবিথিয়া (ইংরেজি ভাষায়: Bridge to Terabithia) ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স ও ওয়াল্ডেন মিডিয়ার জন্য গাবোর চুপো পরিচালিত রূপকথার চলচ্চিত্র। ক্যাথরিন পেটারসন রচিত একই নামের উপন্যাস থেকে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুক্তি পায়, আর নিউজিল্যান্ডে মুক্তি পায় জুনের ১৬ তারিখে। মুক্তির সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বক্স অফিসে এটি দুই নম্বর স্থানে ছিল। স্কুল ছাত্রদের একে অপরের উপর বলপ্রয়োগ ও খুব বিদসংকুল কিছু পরিস্থিতি ফুটিয়ে তোলার জন্য এমপিএএ থেকে ছবিটিকে পিজি (অভিভাবকদের নির্দেশনা প্রয়োজন) রেটিং দেয়া হয়।
কাহিনী সূত্র
[সম্পাদনা]জেসি "জেস" অ্যারন্স (জশ হাচারসন) ১১-১২ বছর বয়সী আত্মকেন্দ্রিক ছেলে। নিজের উৎসাহে চমৎকার ছবি আঁকতে শিখেছে। স্কুলে বা প্রতিবেশে কখনই কোন বন্ধু পায়নি। লেসলি বার্ক (আনাসোফিয়া রব) নামের ১২ বছর বয়সী এক মেয়ে তাদের স্কুলে নতুন ভর্তি হয়। লেসলির বাসাও জেসের বাসার ঠিক পাশে। শুধু ছেলেদের দৌড় প্রতিযোগিতায় জোড় করেই অংশ নেয় লেসলি এবং সবাইকে হারিয়ে প্রথম হয়। দ্বিতীয় হয় জেস। সেখানেই তাদের প্রথম পরিচয়। অচিরেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। প্রতিদিন জেস, জেসের ছোট বোন মে বিল আর বার্ক একসাথে স্কুল বাসে উঠে। আসেও একসাথে।
লেসলির মূল বৈশিষ্ট্য অসাধারণ কল্পনাশক্তি আর উন্মুক্ত মন। জেস আর লেসলি বাড়ির পাশের বনে এক নতুন রাজ্য আবিষ্কার করে। লেসলির কল্পনার মতই সে রাজ্য। লেসলিই সে রাজ্যের নাম দেয় টেরাবিথিয়া। টেরাবিথিয়ার রাজা হয় জেস, আর রাণী হয় লেসলি। টেরাবিথিয়ার অদ্ভুত সুন্দর সব জীব-জন্তুর সাথে তাদের পরিচয় হয়। শত্রুপক্ষের সাথে তারা যুদ্ধ করে, টেরাবিথিয়ানরা সে যুদ্ধে তাদেরকে সহায়তা করে। এভাবেই কাহিনী এগিয়ে যায়। সিনেমার শেষে তাদের সেই রূপকথার রাজ্যে অনেক পরিবর্তনই দেখা যায়, কেউ রাজ্য ছেড়ে চলে যায়, আবার নতুন কেউ এসে যোগ দেয়।
চরিত্রসমূহ
[সম্পাদনা]- জশ হাচারসন - জেস অ্যারন্স
- আনাসোফিয়া রব - লেসলি বার্ক
- জুই' ডেশানেল - মিস এডমান্ড্স (জেসদের স্কুলের গানের শিক্ষিকা)
- রবার্ট প্যাট্রিক - জ্যাক অ্যারন্স (জেসের বাবা)
- বেইলি মেডিসন - মে বিল অ্যারন্স (জেসের ছোট বোন)
- কেইট বাটলার - মেরি অ্যারন্স (জেসের মা)
- ডেভন উড - ব্রেন্ডা অ্যারন্স
- এমা ফেন্টন - এলি অ্যারন্স
- গ্রেইস ব্র্যানিগান - জয়েস অ্যারন্স
- ল্যাথাম গ্রেইন্স - বিল বার্ক (লেসলির বাবা)
- জুডি ম্যাকিন্টশ - জুডি বার্ক (লেসলির মা)
- প্যাট্রিসিয়া অ্যাল্ডার্সলি - গ্র্যান্ডমা বার্ক
- এলিয়ট ললেস - গ্যারি ফুলচার
- ক্যামেরন ওয়েকফিল্ড - স্কট হোগার
- লরেন ক্লিনটন - জেনিস এইভ্রি
- ইসাবেল রোস কার্শার - কার্ল
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]বক্সঅফিসপ্রোফেট্স ডট কম এর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে ব্রিজ টু টেরাবিথিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বক্স অফিসে দুই নম্বর স্থানে ছিল। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আয় হয়েছে। মাত্র ২,২৮৪টি স্ক্রিনে ২৮,৫৩৬,৭১৭ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। স্ক্রিন প্রতি ৯,৮৮৫ মার্কিন ডলার। ২০০৭ সালের ৬ই এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী আয়ের পরিমাণ ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতেই ৮০ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে।
অধিকাংশ সমালোচকই প্রশংসা করেছেন। রটেন টম্যাটোস-এ রেটিং ৮৫%, অর্থাৎ শতকরা ৮৫ ভাগ সমালোচকই প্রশংসা করেছেন। রিলভিউস-এর জেমস বেরার্ডিনেলি বলেছেন, এটা ২০০৭ সালের সেরা পারিবারিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। নিউ ইয়র্ক টাইম্সের জিনেট ক্যাটসুলিস বলেছেন, মাকড়সার জালের মত আঁকড়ে ধরে রাখে, ব্রিজ টু টেরাবিথিয়ার মত শিশুতোষ চলচ্চিত্র বর্তমানে খুব একটা দেখা যায় না।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Movie Jungle Interviews - Bridge to Terabithia Interviews - Gabor Csupo & David Paterson"। Movie Jungle। ৩ এপ্রিল ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০০৯।
- ↑ "Bridge to Terabithia"। The Numbers। Nash Information Services। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৬, ২০১৪।
- ↑ "Bridge to Terabithia"। Box Office Mojo। সংগ্রহের তারিখ মে ১৩, ২০০৯।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Bridge to Terabithia at waldenfans.com
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ব্রিজ টু টেরাবিথিয়া (ইংরেজি)
- Official Bridge to Terabithia website and trailer - ডিজনি
- রটেন টম্যাটোসে Bridge to Terabithia (ইংরেজি)
- Bridge to Terabithia interviews with AnnaSophia Robb, Josh Hutcherson, author Katherine Paterson and producer David Paterson - Sidewalks Entertainment
- Interview with Katherine Paterson
- ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ২০০৭-এর চলচ্চিত্র
- মার্কিন চলচ্চিত্র
- মার্কিন ফ্যান্টাসি চলচ্চিত্র
- রূপকথার চলচ্চিত্র
- শিশুতোষ চলচ্চিত্র
- ডিজনির চলচ্চিত্র
- বন্ধুত্ব সম্পর্কিত চলচ্চিত্র
- পরিবার সম্পর্কে চলচ্চিত্র
- মার্কিন নাট্য চলচ্চিত্র
- মার্কিন কিশোর নাট্য চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের নাট্য চলচ্চিত্র
- নিউজিল্যান্ডে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- সামিট এন্টারটেইনমেন্টের চলচ্চিত্র
- ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ২০০০-এর দশকের মার্কিন চলচ্চিত্র