ব্যবহারকারী আলাপ:AS Shila(MiNi WRitER)

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম[সম্পাদনা]

ধ্বনিমূল ও সহধ্বনি বলতে কি বোঝ? বাংলা ধ্বনিমূল সমূহের পরিচয় দাও।[সম্পাদনা]

১৯৩০ সালের আগেই ইউরোপ- আমেরিকায় গঠনমূলক ভাষাতত্ত্বের চর্চা শুরু হয়; যার প্রানপুরুষ ফার্ডিন্যান্ড দ্যা সস্যুর। যারা ধ্বনিমূল আলোচনায় একটা পর্যায়ে আসেন রাদের তিনটি গ্রুপভিত্তিক ভাষা বিজ্ঞান বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে, এরা হলো জেনিভা দল, প্রাগ দল এবং তৃতীয় পর্যায়ের দল হলো গ্লসমেটিসিয়ান।

বৃটিশ ধ্বনিতত্ত্ববিদ হেনরি সুইট ও ফরাসি ধ্বনিতত্ত্ববিদ পল প্যাসী সর্বপ্রথম উচ্চারনীয় ধ্বনিতত্ত্বের প্রেক্ষিতে ধ্বনিগুলো যে বিভিন্ন শব্দের অর্থগত পার্থক্য নির্দেশ করে তার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। ১৮৭৯ সালে সস্যুর তার দুটি গ্রন্থে সর্বপ্রথম ধ্বনিমূল শব্দটি ব্যবহার করেন। কিন্তু ক্রুজেস্কি ধ্বনিমূল আলোচনার রাস্তা সুগম করেন। তিনি বলেন "ধ্বনিমূল হচ্ছে একটি ধ্বনিগত একক, যার একটি স্বতন্দ্র কাজ হচ্ছে যোগাযোগে সহায়তা করা।"

একটি ভাষার কয়েকটি বিশেষ ধ্বনি অসংখ্য বাগ্ ধ্বনির সৃষ্টি করতে পারে। কারন আমরা একটি ধ্বনি একই ভাবে একই রুপে পর পর দুইবার উচ্চারণ করি না। এ কারনে ভাষাতাত্ত্বিক আলোচনায় বিশেষ ভাষার বাগ্ ধ্বনিগুলোকে কতগুলো ধ্বনিতাত্ত্বিক এককে এভাবে সীমিত করা হয় যে, কোন একটি শব্দে একটি এককের স্থানে অন্য একক বসালে শব্দটির অর্থ পরিবর্তিত হয়ে যায়। অর্থস্বাতন্দ্রসূচক এ ধ্বনিতাত্ত্বিক এককটিই ধ্বনিমূল ।

অর্থাৎ ধ্বনিমূল এমন একটি ধ্বনি একক যা শব্দের অর্থবৈপরীত্য সৃষ্টি করতে পারে। একাধিক ধ্বনি সমন্বয়ে গঠিত একটি শব্দের যে কোন একটি ধ্বনির পরিবর্তে অন্য একটি ধ্বনি বসালে যদি স্বতন্দ্র অর্থবোধক একটি নতুন শব্দ তৈরি হয়, তবে বুঝতে হবে, ধ্বনি দুটির প্রত্যেকেই এক একটি ধ্বনিমূল । যেমনঃ 'কাজ' শব্দটির 'ক' এর পরিবর্তে যদি 'ত' বসানো হয় তাহলে 'তাজ' শব্দটি পাই এবং এটি একটি ভিন্নার্থক শব্দ। এবং এখানে 'ক' এবং 'ত' প্রত্যেকেই ধ্বনিমূল । AS Shila(MiNi WRitER) (আলাপ) ০৬:১৪, ১০ মে ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]