ব্যবহারকারী আলাপ:আশিকুল কায়েস

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পরিচিতি :

আশিকুল কায়েস : ১৯৯০ সালে ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। মাগুরা জেলা শালিখা উপজেলার বুনাগাতী ইউনিয়নের রাধাডাঙ্গা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা- মোঃ আব্দুল হাই বিশ্বাস, মাতা- মোসা: শাহানারা খাতুন। বংশ পদবি ‘বিশ্বাস’। পারিবারিক ডাক নাম সোহেল।চার সদস্যের পরিবারে আশিকুল কায়েস ছোট। বাবা অব: এইচ আই (স্বাস্থ্য), মা স্থানীয় রাধাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।

শিক্ষাকাল :

আশিকুল কায়েস তার মায়ের শিক্ষকতা পেশায় থাকাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পান। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে স্বনামধন্য পুলুম গোলাম ছরোয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন ২০০১ সালে। ২০০৬ সালে কৃতিত্বের সাথে ব্যবসায় শাখা থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ফলাফলের বিলম্বের কারনে একই ২০০৬ সালেই নড়াইল যুব কম্পিউটার থেকে ‘সার্টিফিকেট ইন ডাটাবেজ প্রোগ্রাম’ উপর সনদ অর্জন করেন। ২০১৮ সালে স্থানীয় বুনাগাতী ডিগ্রি কলেজে ব্যবসায় শাখা হতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করেন। এসময় থেকে টুকিটাকি ডাইয়েরি লেখার অভ্যাস করেন। বাবার স্বপ্ন পূরণে ২০০৮ সালে উচ্চশিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান ঢাকায়। বড় ভাইয়ের তত্ত্বাবধানে থেকে নয়াবাজার ইউসিসি কোচিং এ ভর্তি হন। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী শেষ করেন। অনার্স প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থায় লেখালেখির জগতে পুরোদমে প্রবেশ করেন।

লেখালেখিতে প্রবেশ :

বাবার উৎসাহ উদ্দীপনায় ২০০৯ সালে বাংলা একাডেমীর একুশে গ্রন্থমেলায় ‘প্রহরের দিনগুলি’ উপন্যাস প্রকাশিত হয়। ২০১০ সালের প্রথমার্ধে বাংলা একাডেমী থেকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত লেখিকা জাহানারা জানির সঙ্গে সুযোগ্য সাক্ষাত হয় এবং তারই সহযোগিতায় জাতীয় কবিতা পরিষদে অনুপ্রবেশ। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস “ভাই ফোঁটা”। এসময় তিনি বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লেখা-লেখার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েন।

সংগঠক :

২০১০ সালে তরুণ লেখক সংঘের সভাপতির পদ লাভ করেন। তৎকালীন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি আসলাম সানির উৎসাহে আন্দোলিত হয়ে তরুণ লেখক সংঘের কিছু সদস্যদের দ্বারা প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ তরুণ লেখক পরিষদ। পরিষদের অগাধ জনপ্রিয়তা ও অরাজনৈতিক সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মানুষের বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে বর্তমানে প্রায় ১৮টি জেলার ৭০টি কলেজে সৃজনশীল সংগঠন বাংলাদেশ তরুণ লেখক পরিষদের কর্মকাণ্ড চলছে। বাংলাদেশ তরুণ লেখক পরিষদের প্রথম কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে এসময় তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের দ্বিতীয় দফা ও ২০১৭ সালে তৃতীয় দফা নির্বাচনে আজও সৃজনশীল মানুষের মনিকোঠা হয়ে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

উল্লেখযোগ্য প্রকাশসমূহ :

বর্তমানে তার উল্লেখযোগ্য লেখা উপন্যাস অপেক্ষা। ছোটগল্প- উন্মাদ, স্বপ্নের দরজা, ফুঁসে উঠা জল, তপুও একদিন, পায়রা, মেলা, পথের ছেলে, টান, সহযোদ্ধা, অনুরাগ, ভালবাসার রং, পরশ। কবিতা কাব্যরস, ইতিহাস, অপেক্ষা, বৈশাখ, ছিন্ন ধুম্রজাল, শিক্ষার পথে, মহিয়সি নারী, স্বাধীনতা, আলিঙ্গন, শুধু তোমাকে, ভাবহীন দিশা, প্রাইমারী স্কুল। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়।