সুশান্ত কুমার হালদার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে


সুশান্ত কুমার হালদার ( জন্ম ১৭ মার্চ ১৯৮৬) হলেন একজন আইটি বিশেষজ্ঞ।মাধ্যমিক শেষ করে গ্রাজুয়েশন করার জন্য ২০০২ সালের দিকে ঢাকা পারি জমান এই ব্যাক্তি। গ্রাজুয়েশন শেষ করে বাংলাদেশের সর্ব বৃহত আইটি ফার্মে সফটও য়্যার সাপোর্ট বিভাগে যোগদান করেন।

পরিবার

সুশান্ত কুমার হালদারের পৈতৃক নিবাস বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার পশ্চিম পিপুলজুড়ী গ্রামে। ১৯৮৬ সালের ১৭ ই মার্চ নিজ বাড়ীতে জন্ম গ্রহন করেন। সুশান্ত কুমার হালদারের বাবা শ্রী নিত্যানন্দ হালদার সম্পন্ন কৃষক ছিলেন। তার মা শ্রীমতি পারুল রাণী হালদার সমগ্র জীবন গৃহিনী হিসেবেই জীবন যাপন করেছেন। সুশান্ত কুমার হালদার মা-বাবার ছোট ছেলে। ২ ভাই, ১ বোন নিয়ে তাদের পরিবার। বড় ভাই পিযুষ কুমার হালদার পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রি এবং বোন কল্পনা রাণী হালদার।

শিক্ষাজীবন

১৯৯৫ সালে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে তৎকালীন বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার অধীনস্থ এস.বি. নাটইখালী উচ্চবিদ্যাল য়ে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কচুয়া কেন্দ্র থেকে বিজ্ঞান শাখায় মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৩.৮৮ অর্থাৎ প্রথম বিভাগে পাশ করেন এবং পরবর্তীতে বিজ্ঞান শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে কচুয়া ডিগ্রী কলেজে পড়াশোনা করেন। ২০০৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ২.৭৫ অর্থাৎ দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ/ইনস্টিটিউট এর তালিকা|সরকারী শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভর্তি হন। ২০০৮ সালে তিনি প্রাণী বিজ্ঞানে স্নাতক সম্মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। অর্থনেতিক কারণে পরবর্তীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করা সম্ভব হয় নাই।

কর্মজীবন

ছাত্র থাকাকালেই সুশান্ত কুমার হালদারের কর্মজীবন শুরু হয়। পারিবারিক দৈন্য ধশার মধ্যে দিয়ে তার পড়াশুনা চলতে লাগল।ছাত্র জীবনে পড়াশুনার পাশাপাশি শে টিউশনি করে তার পড়াশুনার সমস্ত যোগান করে নিত।টিউশনির পাশাপাশি সে ভর্তি হয়ে গেল উপজেলার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্রে। এই কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্রে নিজের ৬ মাসের কোর্স সম্পন্ন করার পর সেই প্রতিষ্ঠান প্রধান তাকে শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষন কেন্দ্রের চাকুরী দেয়। শিক্ষকতার পাশাপাশি ভাল রেজাল্টে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর তিনি স্নাতক পড়াশুনার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ঢাকায় স্নাতক সম্মান শেষ করেই জয়েন্ট করেন দেশের বিখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে। একের পর এক প্রোজেক্ট কমপ্লিট করে অফিসে তার সুনাম ছড়িয়ে পরে। বর্তমানে তিনি সফটওয়্যার সাপোর্ট বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে নিয়োজিত আছেন।