ব্যবহারকারী:Rsh nayan

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

'বাঙ্গালী ও বাংলাদেশ'

বাঙ্গালীর ইতিহাস[সম্পাদনা]

(১৯৭১- এর ২৫ এ মার্চ র্পযন্ত )

(১৯৪৭- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

* বঙ্গভঙ্গ 

১৯৪৭ সালের আগষ্ট মাসের ১৫ তারিখ ইংরেজ শাসিত ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে গণপ্রজাতন্ত্র ভারত এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ পায়। তখন বাংলা ভাগ হয়ে পশ্চিম বাংলা ভারতের একটি অংশ এবং পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত হয়।

* প্রাদেশিক সরকার

পাকিস্তান ক্ষমতা গ্রহনের পর পূর্ব পাকিস্তান (পূর্বের পূর্ব বাংলা) পরিচালনার ক্ষমতা ছিল আনুষ্ঠানিক গভর্নর এবং পরোক্ষভাবে-নির্বাচিত প্রধান মন্ত্রীর কাছে। মে, ১৯৫৪ থেকে আগস্ট ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত নির্বাহী ক্ষমতার একমাত্র অধিকারী ছিলেন গভর্ণর এবং সেই সময় কোনো প্রধান মন্ত্রী ছিল না।

সময়কাল পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর[১]
১৫ই আগস্ট, ১৯৪৭ - ৩১শে মার্চ, ১৯৫০ Sir Frederick Chalmers
৩১শে মার্চ, ১৯৫০ - ৩১শে মার্চ ১৯৫৩ স্যার ফিরোজ খান নুন
৩১শে মার্চ, ১৯৫৩ - ২৯শে মে, ১৯৫৪ চৌধুরী খালেকুজ্জামান
২৯শে মে, ১৯৫৪ - মে, ১৯৫৫ ইস্কান্দার আলী মির্জা
মে, ১৯৫৫ - জুন, ১৯৫৫ মুহাম্মদ শাহাবুদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত)
জুন, ১৯৫৫ - ১৪ই অক্টোবর, ১৯৫৫ আমিরুদ্দিন আহমদ
১৪ই অক্টোবর, ১৯৫৫ পূর্ব বঙ্গ ভাঙ্গার প্রদেশ
সময়কাল পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী[১] রাজনৈতিক দল
১৫ই আগস্ট, ১৯৪৭ - ১৪ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ খাজা নাজিমুদ্দিন মুসলিম লীগ
১৪ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ - ৩রা এপ্রিল, ১৯৫৪ নুরুল আমিন মুসলিম লীগ
৩রা এপ্রিল, ১৯৫৪ - ২৯শে মে, ১৯৫৪ এ কে ফজলুল হক যুক্তফ্রন্ট
২৯শে মে, ১৯৫৪ - আগস্ট, ১৯৫৫ গভর্নরের শাসন
আগস্ট, ১৯৫৫ - ১৪ই অক্টোবর, ১৯৫৫ আবু হোসেন সরকার কৃষক শ্রমিক পার্টি
১৪ই অক্টোবর, ১৯৫৫ পূর্ব বঙ্গ ভাঙ্গার প্রদেশ
 * প্রাক্তন ইস্ট পাকিস্তানের প্রাদেশিক চিহ্ন 

পূর্বের পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান চারটি প্রাদেশিক চিহ্নগুলো হল, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, দোয়েল পাখি, বট গাছ এবং শাপলা ফুল। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে থেকে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এগুলোকে জাতীয় চিহ্ন হিসাবে ব্যবহার করে আসছে।

(১৯৪৯-৭০এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৫০- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৫১- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৫২- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৫৩- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৫৪- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৫৫- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৫৬- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৫৭- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৫৮- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৫৯- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৬০- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৬১- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৬২- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৬৩- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৬৪- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৬৫- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৬৬- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৬৭- এর ইতিহাস)=

(১৯৬৮- এর ইতিহাস)=

(১৯৬৯- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

(১৯৭০- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের ইতিহাস[সম্পাদনা]

(১৯৭১- এর ২৬ এ মার্চ হতে শুরু বাংলাদেশের ইতিহাস)

(১৯৭১- এর ইতিহাস)[সম্পাদনা]

মার্চ-১৯৭১[সম্পাদনা]

[স্বাধীনতার ঘোষণা]
মেজর জিয়াউর রহমানচট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।



১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। [২]। ২৬শে মার্চ [৩] পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার[৪][৫] মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। (ঘোষণাটি নিম্নরুপ:)[[:https://lh4.googleusercontent.com/proxy/PJefNJmZ7TnbJs5fp2rjJoFUBXqtVKLXalfa3JKH1PmARcz2MDJRnoLIAb3gApWMcP9IvtgICfitSUsm1PXOQBi3sav2NxpLo3ChtY-YzE98oPIDaIMJV4AtzOH1isAl8BOcP0aTkJf523v8MlnLuwp98b2fheiO3VRxmS9Mq1rc5UeQWW0N1-XlM_iG-ZdC1v3UxVFp0S30hA5p6CKdlBsNpA=w346-h475:]]

(প্রথম ঘোষনা) অনুবাদ:- 'আমি,মেজর জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির কমাণ্ডার-ইন-চিফ, হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমরা আন্তজাতিক আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তজাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের [৬][৭][৮][৯]

ঘোষণাটি পাঠ করার পর একে একে পূর্ব-পাকিস্থান আওয়ামী লীগ এর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে আসতে থাকে,তার মধে উল্লেখযোগ ১,আব্দুল মান্নান ২, ৩, এবং তারা সকলে ঘোষণাটি পাঠ করার জন জিয়াউর রহমানকে ধনবাদ জানান এবং জিয়াউর রহমানকে ঘোষণাটি পূনরায় পাঠ করার জন অনুরোধ করেন,জিয়াউর রহমান এর কারন জানতে চাইলে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান যেহেতু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার যদি তার পক্ষে ঘোষণাটি না দেয়া হয় তাহলে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে,জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমান এর জিবন বাচানোর জন (২য় বার) ঘোষণাটি সংশোধন করে পূনরায় পাঠ করেন,

(ঘোষণাটি নিম্নরুপ:) [[:চিত্র:]]

(২য় ঘোষণা) -আমি,মেজর জিয়াউর রহমান,মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসাবে জাতিয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এর পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি। আমরা আন্তজাতিক আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তজাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের সরকার জোট-নিরপেক্ষ নীতি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর। এ রাষ্ট্র সকল জাতীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে এবং বিশ্বশান্তির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। আমি সকল দেশের সরকারকে তাদের নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের নৃশংস গণহত্যার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের [১০][১১][১২][১৩] এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে যা নয় মাস স্থায়ী হয়।

মার্চ 

এপ্রিল-১৯৭১ <gallery>

উদাহরণ.jpg|ক্যাপশন১


='অস্থায়ী সরকার গঠন ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার -এর আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা হয় কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমা (বর্তমানে জেলা) বৈদ্যনাথতলার অন্তর্গত ভবেরপাড়া (বর্তমান মুজিবনগর) গ্রামে। তৎকালীন পৃর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লিগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এর অনুপস্থিতিতে তাকে রাষ্ট্রপতি করে সরকার গঠন করা হয়। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব নেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদ এর উপর।[১৪] বাংলাদেশের প্রথম সরকার দেশী-বিদেশী সাংবাদিকের সামনে শপথ গ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করে। এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে ২৬ মার্চ হতে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বিবরণ

(ইতিহাস) ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ঢাকা এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্যান্য অংশে আক্রমণ চালিয়ে ব্যাপক গণহত্যা চালায়। এই গণগত্যার প্রাক্কালে তৎকালীন পৃর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লিগ নেতৃবৃন্দ, গণপরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যগণ নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন। ৩০ মার্চের মধ্যেই তাদের অনেকে কলকাতায় সমবেত হন। প্রাদেশিক পরিষদের যে সকল সদস্য ১০ এপ্রিল এর মধ্যে কলকাতায় পৌছতে সক্ষম হন তাদের নিয়ে তাজউদ্দীন আহমদ মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। তার নির্দেশেই অধ্যাপক রেহমান সোবহান আরো কয়েকজনের সাহায্য নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া প্রণয়ন করেন[১৫]।এরপর ব্যরিস্টার আমীর-উল-ইসলাম এই ঘোষণাপত্রের আইনগত দিক গুলো সংশোধন করে একে পূর্নতা দান করেন[১৬]। এই ঘোষণাপত্রটি প্রথমে ১০ এপ্রিল মুজিবনগর থেকে প্রচার করা হয়[১৭]।এরপর আবার এপ্রিল ১৭ তারিখে মেহেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী স্থান বৈদ্যনাথতলায় (পরবর্তী নাম মুজিবনগর) এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে গণপরিষদের সদস্য এম ইউসুফ আলী আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন[১৮]। এই ঘোষণার মাধ্যমে নবগঠিত প্রবাসী আইন পরিষদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে সাথে সাথে এ ঘোষণাপত্র প্রবাসী সরকারের অবস্থান ও যৌক্তিকতা দৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠা করে[১৯]। এদিনই ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়া হয় এবং একই সাথে ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কার্যকর হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারও বৈধ বলে স্বীকৃত হয়। এ ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকলের মধ্যে চেইন অফ কমান্ড স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়।

মুজিবনগর, বাংলাদেশ তারিখ: ১০ এপ্রিল ১৯৭১

  • যেহেতু ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হয়েছিল; এবং
  • যেহেতু এই নির্বাচনে জনগণ ১৬৯টি আসনের মধ্যে পৃর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লিগ দলীয় ১৬৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিল;

এবং

  • যেহেতু জেনারেল ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সনের ৩রা মার্চ তারিখে শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিবেশন আহ্বান করেন; এবং
  • যেহেতু তিনি আহূত এই অধিবেশন স্বেচ্ছার এবং বেআইনীভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন; এবং
  • যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করার পরিবর্তে পৃর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লিগ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে পারষ্পরিক আলোচনাকালে ন্যায়নীতি বহির্ভূত এবং বিশ্বাসঘাতকতামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করেন; এবং
  • যেহেতু উল্লিখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজের জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পৃর্ব পাকিস্তান এর সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালির আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন,
  • যেহেতু পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বর্বর ও নৃশংস যুদ্ধ পরিচালনা করেছে এবং এখনও বাঙ্গালি বেসামরিক ও নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন গণহত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে; এবং
  • যেহেতুপাকিস্তান সরকার অন্যায় যুদ্ধ ও গণহত্য এবং নানাবিধ নৃশংস অত্যাচার পরিচালনার দ্বারা বাংলাদেশের জণপ্রতিনিধিদের পক্ষে একত্রিত হয়ে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা কে অসম্ভব করে তুলেছে; এবং
  • যেহেতু বাংলার জনগণ তাদের বীরত্ব, সাহসিকতা ও বিপ্লবী কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের উপর তাদের কার্যকরি কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে;

সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী বাংলার জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যে ম্যান্ডেট দিয়েছেন সে ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আমাদের সমবায়ে গণপরিষদ গঠন করে পারষ্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলার জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র ঘোষণা করছি

  • আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; এবং
  • রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন; ক্ষমা প্রদর্শনের ক্ষমতাসহ সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতার অধিকারী থাকবেন; এবং

তাঁর কর ধার্য ও অর্থব্যয়ের ক্ষমতা থাকবে; এবং

  • বাংলাদেশের জনসাধারণের জন্য আইনানুগ ও নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতারও তিনি অধিকারী হবেন।
  • জনগণ দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে,
  • কোন কারণে যদি রাষ্ট্রপ্রধান না থাকেন অথবা যদি রাষ্ট্রপ্রধান কাজে যোগদান করতে না পারেন অথবা তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে যদি অক্ষম হন, তবে রাষ্ট্রপ্রধান প্রদত্ত সকল দায়িত্ব উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পালন করবেন।
  • আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, বিশ্বের একটি জাতি হিসাবে এবং জাতিসংঘের সনদ মোতাবেক আমাদের উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্তেছে তা যথাযথভাবে আমরা পালন করব।
  • আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই স্বাধীনতার ঘোষণা ১৯৭১ সনের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।
  • আমরা আরও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি যে, আমাদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য আমরা অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলীকে যথাযথভাবে রাষ্ট্রপ্রধান ও উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান
  • পরিচালনার জন্য দায়িত্ব অর্পণ ও নিযুক্ত করলাম।

স্বাক্ষর: অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলী বাংলাদেশ গণপরিষদের ক্ষমতা দ্বারা এবং ক্ষমতাবলে যথাবিধি সর্বাধিক ক্ষমতাধিকারী।

আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ ১৯৭১ বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ব ক্ষমতাবলে একটি দিনে আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ নামে একটি আদেশ জারি করেন। ঘোষণাপত্রের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে যে সকল আইন চালু ছিল, তা রক্ষার্থে এই আদেশ বলবৎ করা হয়[১৬]

(পূর্ণ বিবরণ)

আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ ১৯৭১ মুজিবনগর, বাংলাদেশ, ১০ এপ্রিল ১৯৭১, শনিবার ১২ চৈত্র ১৩৭৭ আমি বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে এ আদেশ জারি করছি যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে যে সকল আইন চালু ছিল, তা ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একইভাবে চালু থাকবে, তবে প্রয়োজনীয় সংশোধনী সার্বভৌম স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য করা যাবে। এই রাষ্ট্র গঠন বাংলাদেশের জনসাধারণের ইচ্ছায় হয়েছে। এক্ষণে, সকল সরকারি, সামরিক, বেসামরিক, বিচার বিভাগীয় এবং কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী যারা বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্যের শপথ গ্রহণ করেছেন, তারা এতদিন পর্যন্ত নিয়োগবিধির আওতায় যে শর্তে কাজে বহাল ছিলেন, সেই একই শর্তে তারা চাকুরিতে বহাল থাকবেন। বাংলাদেশের সীমানায় অবস্থিত সকল জেলা জজ এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সকল কূটনৈতিক প্রতিনিধি যারা অন্যত্র অবস্থান করছেন, তারা সকল সরকারি কর্মচারীকে স্ব স্ব এলাকায় আনুগত্যের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। এই আদেশ ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়েছে বলে গণ্য করতে হবে।

স্বাক্ষর:- সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি

কিছু অমিমাংসিত প্রশ্ন:-
  • ১,
  • ২,
  • ৩,
  • ৪,
(তথ্যসূত্র)

  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র, তৃতীয় খণ্ড, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা, ১৯৮২, পৃষ্ঠা ৪-৭
  • বাংলাপিডিয়া নিবন্ধ: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। লেখক: সাজাহান মিয়া।
  1. 'Statesmen of Bangladesh' Retrieved April 18, 2009.
  2. "২৫শে মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেপ্তার" |url= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। defencejournal.com। ২০১২-১২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-১৮ 
  3. JYOTI SEN GUPTA, NAYA PROKASH, 206, BIDHAN SARANI, CALCUTTA-6, FIRST EDITION, 1974, CHAPTER-15, PAGE-325 and 326। HISTORY OF FREEDOM MOVEMENT IN BANGLADESH, 1943-1973: SOME INVOLVEMENT 
  4. "প্রথম আলো-গোপন মার্কিন দলিল-'একজন পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।'"। Prothom-alo.com। ২০১২-১২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-১৮ 
  5. "US State Department Secret Telegram on Bangladesh Declaration of Independence"। Docs.google.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-১৮ 
  6. JYOTI SEN GUPTA, NAYA PROKASH, 206, BIDHAN SARANI, CALCUTTA-6, FIRST EDITION, 1974, CHAPTER-15, PAGE-325 and 326। HISTORY OF FREEDOM MOVEMENT IN BANGLADESH, 1943-1973: SOME INVOLVEMENT 
  7. Maj. Gen. (Retd.) K. M. shafiullah, Bir Uttom, Academic Publishers, Dhaka, First Edition, 1989, Page-45। Bangladesh at War 
  8. Maj. Gen. (Retd.) Sukhwant Singh, Vikas Publishing House (Pvt.) Ltd, Delhi, First Edition, 1980, Page-9। India's Wars Since Independence: The liberation of Bangladesh 
  9. Lt. Gen. (Retd.) Kamal Matinuddin, Wajidalis, Lahore, First Edition, 1994, Page-255। Tragedy of Errors: East Pakistan Crisis, 1968-1971 
  10. JYOTI SEN GUPTA, NAYA PROKASH, 206, BIDHAN SARANI, CALCUTTA-6, FIRST EDITION, 1974, CHAPTER-15, PAGE-325 and 326। HISTORY OF FREEDOM MOVEMENT IN BANGLADESH, 1943-1973: SOME INVOLVEMENT 
  11. Maj. Gen. (Retd.) K. M. shafiullah, Bir Uttom, Academic Publishers, Dhaka, First Edition, 1989, Page-45। Bangladesh at War 
  12. Maj. Gen. (Retd.) Sukhwant Singh, Vikas Publishing House (Pvt.) Ltd, Delhi, First Edition, 1980, Page-9। India's Wars Since Independence: The liberation of Bangladesh 
  13. Lt. Gen. (Retd.) Kamal Matinuddin, Wajidalis, Lahore, First Edition, 1994, Page-255। Tragedy of Errors: East Pakistan Crisis, 1968-1971 
  14. মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস (পৃষ্ঠা ১০-১১) - মুহম্মদ জাফর ইকবাল
  15. রেহমান সোবহান (১৯৯৮)। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ঃ একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য। মাওলা ব্রাদার্স। পৃষ্ঠা ১০৪–১০৫। আইএসবিএন 984-410-102-6 
  16. হোসেন তওফিক ইমাম (২০০৪)। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১। আগামী প্রকাশনী। আইএসবিএন 984-401-783-1 
  17. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম (২০০৬)। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে। অনন্যা প্রকাশনী। আইএসবিএন 984-412-033-0 
  18. শামসুল হুদা চৌধুরী (২০০১)। একাত্তরের রনাঙ্গন। আহমদ পাবলিশিং হাউস। আইএসবিএন 984-11-0505-0 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: checksum (সাহায্য)  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  19. মঈদুল হাসান (২০০৪)। মূলধারা ৭১। ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড। আইএসবিএন 984 05 0121 6 


মে-১৯৭১[সম্পাদনা]

জুন-১৯৭১[সম্পাদনা]

জুলাই-১৯৭১[সম্পাদনা]

আগষ্ট-১৯৭১[সম্পাদনা]

সেপ্টেম্বর-১৯৭১[সম্পাদনা]

অক্টোবর-১৯৭১[সম্পাদনা]

নভেম্বর-১৯৭১[সম্পাদনা]

=ডিসেম্বর-১৯৭১=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/8/82/East_Bengal_Map.png: