ব্যবহারকারী:Nazrul Islam Nahid/বৈদ্য
বৈদ্য , আরও বলা হয় বৈদ্যব্রাহ্মণ[১], বৈদ্যক্ষত্রিয় ও বৈদ্যবৈশ্য,[২][৩] মূলত প্রাচীন ভারতের সনাতন ধর্মীয়সমাজের একটি পেশাভিত্তিক সম্প্রদায় যারা বৈদ্য তথা চিকিৎসক(আয়ুর্বেদিক) ছিলেন।[৪][৫][৬][৭]। "বৈদ্য" শব্দের অর্থ বাংলা এবং সংস্কৃত ভাষায় একজন চিকিৎসক, বাংলাই একমাত্র জায়গা যেখানে তারা একটি জাতি (মূলত বর্ণ) গঠন করেছিল।[৮]
ব্রাহ্মনদিতি।কন্যাগ্রহণাদত্রৌঢ়ায়ামিত্যধ্যাহার্য্যম্।‘বিদ্বান্বেষ বিধি: স্মৃত’ ইতি যাজ্ঞল্কে্যন স্ফুটীক্কতত্বাচ্চ।বাহ্মণাবৈশ্যকন্যায়াং উঢ়ায়াম্বষ্ঠাখ্যো জায়তে। (মনু ১০:৮)
সূতানামশ্বসারথ্য মম্বষ্ঠানাং চিকিৎসিতম্। বৈদেহকানাং স্ত্রীকার্য্যং মাগধানাং বণিকপথঃ।। (মনুস্মৃতি ১০:৪৭)
মনুস্মৃতিতে ব্রাহ্মণ পিতা ও বৈশ্য মাতার অনুলোম সংকর বর্ণ হিসেবে মূলত অম্বষ্ঠদের একটি সংকর ব্রাহ্মণ বর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।বৃহদ্ধর্মপুরাণ নামক একটি উপপুরাণে সংকর জাতির প্রসঙ্গে অশ্বিনের মাধ্যমে আয়ুর্বেদ সৃষ্টি এবং অম্বষ্ঠদের আয়ুর্বেদ প্রদান ও বৈদ্য নামকরণের সাক্ষ্য উপস্থিত।১৬৭৫ খ্রিস্টাব্দে বৈদ্য লেখক ভরত মল্লিকের ‘চন্দ্রপ্রভা’তে বৈদ্য বা চিকিৎসকদের জাতি হিসেবে উল্লেখ করে তাঁদের প্রাচীন অম্বষ্ঠ জাতি হিসেবে শনাক্ত করেন।[৯] তবে প্রাচীন ভারতে কেবল ব্রাহ্মণেরা একা নন, তাঁদের পাশাপাশি অপর দুই বর্ণ ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদেরো আয়ুর্বেদ চর্চার ও শিক্ষিত হওয়ার অধিকারী ছিল। তাই বৈদ্য হওয়ার সক্ষমতা শুধু ব্রাহ্মণদের নয়, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদেরও ছিল।[১০]
পদবি[সম্পাদনা]
নিম্নলিখিত পদবি বেশিরভাগ বৈদ্যদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। যেমন-
- সেনগুপ্ত
- দাশগুপ্ত
- গুপ্ত
- দত্তগুপ্ত / করগুপ্ত / ধরগুপ্ত
- সেন (বৈদ্য এবং কায়স্থ উভয়ের দ্বারা ব্যবহৃত হয়)
গোত্র[সম্পাদনা]
বৈদ্যরা নিম্নপ্রকার গোত্রভুক্ত হয়ে থাকে।
- আত্রেয়া
- আদ্যঋষি
- কাশ্যপ
- কৃষ্ণাত্রেয়
- কৌশিকি
- ধন্বন্তরি
- পরাশর
- বৈশ্বানর
- ভরদ্বাজ
- মৌদ্গল্য
- যামদগ্নি
- শক্তিঋষি
- শক্ত্রি
- শান্ডিল্য
- সত্ত্বরী
- সপ্তঋষি
- সালংক্রায়ন
- অলাদি (অথর্ব বেদের অলাদ এবং পৈপ্পঅলাদ বেদশাখা অধ্যায়নকারী)
- অগ্নি
- মৃগঋষি
- বিন্ধ্যশক্তি
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই 'লিঙ্গপুরাণ (Lingapuran)',https://books.google.co.in/books?id=1Sk1EAAAQBAJ&pg=PT201&lpg=PT201&dq=%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF+%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A3&source=bl&ots=GGlX947jUJ&sig=ACfU3U36BmyjzDn4eB-iXB32GyKx-f-_DQ&hl=en&sa=X&ved=2ahUKEwjI1dzfnMT4AhW71TgGHb9OCUMQ6AF6BAgVEAI#v=onepage&q=%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A3&f=false
- ↑ প্যারীমোহন সেনগুপ্তের বই 'বৈদ্য-বর্ণ-বিনির্ণয়'
- ↑ "বৈদ্য সম্পর্কে"। আনন্দ বাজার, শুভজিৎ আওন,মাকড়দহ, হাওড়া। কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। ৪ জানুয়ারি, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৬,২০২২। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Bandyopādhyāẏa, Śekhara (২০০৪)। Caste, Culture and Hegemony: Social Dominance in Colonial Bengal। SAGE। পৃষ্ঠা 24,25, 240। আইএসবিএন 978-0-76199-849-5।
- ↑ Dutt, Nripendra Kumar (১৯৬৮)। Origin and growth of caste in India, Volume 2। Firma K. L. Mukhopadhyay। পৃষ্ঠা 69–70।
- ↑ Mukharji, Projit Bihari (২০১১)। Nationalizing the Body: The Medical Market, Print and Daktari Medicine (ইংরেজি ভাষায়)। Anthem Press। পৃষ্ঠা 4। আইএসবিএন 978-0-85728-935-3।
- ↑ Ghosh, Shaurindrakumar (২০০৬)। Bangali jati parichay। Sahityalok। আইএসবিএন 978-81-86946-02-2।
- ↑ Seal, Anil (১৯৬৮), "Glossary", The Emergence of Indian Nationalism: Competition and Collaboration in the Later Nineteenth Century, Cambridge University Press, পৃষ্ঠা 374, আইএসবিএন 978-0-521-09652-2, সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩০
- ↑ "বৈদ্য সম্পর্কে"। আনন্দ বাজার, শুভজিৎ আওন,মাকড়দহ, হাওড়া। কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। ৪ জানুয়ারি, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৬,২০২২। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "বৈদ্য সম্পর্কে"। আনন্দ বাজার, শুভজিৎ আওন,মাকড়দহ, হাওড়া। কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। ৪ জানুয়ারি, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৬,২০২২। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)