ব্যবহারকারী:Mayeenul Islam/বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব/sandbox

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এই সাময়িক তথ্য সংরক্ষণাগারটি তৈরি করা হচ্ছে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিবন্ধে স্থান পাবার উপযোগী কিংবা স্থান দেবার জন্য গবেষণার উপযোগী তথ্যগুলো একত্র করার স্বার্থে। মূল নিবন্ধে যোগ করামাত্রই এই নিবন্ধের তথ্যগুলো, এবং যাবতীয় তথ্য যোগ করাস্বাপেক্ষে এই সাময়িক নিবন্ধ বা তথ্য-সংরক্ষাণাগারটিই মুছে ফেলা হবে

  • ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে বাঁশ দিয়ে চারাগাছের আগায় জমা কুয়াশা ঝেড়ে দিচ্ছেন চাষীরা। ফরিদপুর সদরের বাখুণ্ডার চিত্র এটি। সাইবেরিয়া থেকে আসা হিমেল হাওয়া পূর্ববর্তি বছরগুলোর তুলনায় নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং পশ্চিম দিক থেকে আসা এই হিমশীতল বায়ুপ্রবাহ হিমালয়ের নিচের দিকে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ভারত ও বাংলাদেশের ওপরে বিস্তৃতি লাভ করে এই তীব্র শ্বৈত্যপ্রবাহের জন্ম দিয়েছে। এই শ্বৈত্যপ্রবাহ শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতের বিহার, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লিসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় স্মরণকালের ভয়াবহ শীত পড়েছে। তিনদিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দেশের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। সারাদেশে মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে (১২ জানুয়ারি ২০১৩)।[১]
  • ৫০ বছরের শীতকালীন তাপমাত্রা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ২০-৩০ বছর ধরে এদেশে শ্বৈত্যপ্রবাহের দিনসংখ্যা বাড়ছে; সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও কমছে। ১৯৬০ সালের দিকে পুরো শীত মৌসুমে ২-৩টি শ্বৈত্যপ্রবাহ এলেও '৭০-'৮০-র দশকে এসে তা ৩-৪টিতে দাঁড়ায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে (২০১৩ সমসাময়িক) ডিসেম্বর - ফেব্রুয়ারিতে ৫-৭টি শ্বৈত্যপ্রবাহ আসতে দেখা যাচ্ছে। আগে একেকটি শ্বৈত্যপ্রবাহ ১-২ দিন থাকলেও এখন ৩-৫ দিন স্থায়ী হচ্ছে। এসময় তাপমাত্রা ৩-৫ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকায় গম, শীতকালীন সবজি, বিশেষ করে ধান ও আলুর বিশেষ ক্ষতি করে থাকে।[২]
  • জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বুয়েটের যৌথ গবেষণায় দেখা যায় শীতকালে ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। কেননা এ সময়টায় বাতাসের গতিবেগ কম থাকায় ভারী পদার্থকণা স্থির অবস্থায় থাকে। ঢাকায় ধুলা ও জলীয়বাষ্প মিলে যে কুয়াশা তৈরি হয়, তার মধ্যে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক পদার্থ পলি অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বনের (PAH) পরিমাণ মানমাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। যেমন বাংলাদেশের বাতাসে এই ভারি বস্তুটির পরিমাণ ২৪ ঘন্টায় প্রতি কিউবিক মিটারে ১৫০ মাইক্রোগ্রাম থাকার কথা। কিন্তু আমরা পেয়েছি আড়াই শতাধিক। দিনের চেয়ে এটি রাতে বেশি পাওয়া গেছে। এ পদার্থটি মানুষের শরীরে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে।[২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মানুষের কষ্ট, ফসলেরও ক্ষতি, ইফতেখার মাহমুদ; দৈনিক প্রথম আলো, পৃষ্ঠা ১: প্রথম পাতা; ১২ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ; ঢাকা থেকে প্রকাশিত। সংগ্রহের তারিখ: ৫ মার্চ ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  2. শীতকেও দুর্যোগ হিসেবে দেখতে হবে, ড. মাফিজুর রহমান (অধ্যাপক, পুরকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)); দৈনিক প্রথম আলো, পৃষ্ঠা ২: সারা দেশে; ১২ জানুয়ারি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ; ঢাকা থেকে প্রকাশিত। সংগ্রহের তারিখ: ৫ মার্চ ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।