ব্যবহারকারী:BadhonCR/খেলাঘর/৬
| কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী | |
|---|---|
| অন্য নাম |
|
| পালনকারী | হিন্দু |
| ধরন | ধর্মীয় সাংস্কৃতিক |
| উদযাপন | দহি হান্ডি/নন্দোৎসব (পরের দিন উত্তরে), ঘুড়ি ওড়ানো, শিশু কৃষ্ণের পায়ের ছাপ আঁকা, উপবাস, ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খাবার ইত্যাদি। |
| পালন | নৃত্য-নাটক, পূজা, রাত জাগরণ, উপবাস |
| তারিখ | শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি |
| সংঘটন | বার্ষিক |
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী (যা কেবল কৃষ্ণাষ্টমী, জন্মাষ্টমী বা গোকুলাষ্টমী নামেও পরিচিত) একটি বার্ষিক হিন্দু উৎসব যা বিষ্ণুর অষ্টম অবতার কৃষ্ণের জন্ম উদযাপন করে।[১] গীতগোবিন্দম্ এর মতো কিছু হিন্দু গ্রন্থে কৃষ্ণকে পরম ঈশ্বর এবং সমস্ত অবতারের উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কৃষ্ণের জন্ম শ্রাবণ মাসের (অমন্ত ঐতিহ্য অনুসারে) কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে উদযাপিত এবং পালন করা হয়। পূর্ণিমন্ত ঐতিহ্য অনুসারে, কৃষ্ণের জন্ম ভাদ্রপদ মাসের (কৃষ্ণপক্ষের) অষ্টমী তিথিতে উদযাপিত হয় । যা গ্রেগরিয়ান দিনপঞ্জির আগস্ট বা সেপ্টেম্বরের সাথে মিলে যায় ।[২]
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, বিশেষত হিন্দুধর্মের বৈষ্ণবধারায়।[৩] জনমাষ্টমীর সাথে যুক্ত বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে উৎসবমুখর উদযাপন, ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠ ও আবৃত্তি, ভাগবত পুরাণ অনুসারে কৃষ্ণলীলার নৃত্য ও নাট্যরূপ, মধ্যরাত পর্যন্ত ভক্তিমূলক সংগীত পরিবেশনা (যে সময়ে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল), এবং উপবাস পালন।[৪] অনেকে দিনব্যাপী উপবাস শেষে মধ্যরাতে ভোজের মাধ্যমে তা ভঙ্গ করেন।[৫][৬] কৃষ্ণ জনমাষ্টমী শুধু ভারতেই নয়, বিদেশেও ব্যাপকভাবে উদযাপিত হয়।[৭][৮]
ব্যুৎপত্তি
[সম্পাদনা]সংস্কৃত শব্দ "জন্মাষ্টমী"-এর অর্থ বোঝা যায় এটিকে দুটি অংশে ভাগ করলে— "জন্ম" ও "অষ্টমী"। এখানে "জন্ম" অর্থ ভূমিষ্ঠ হওয়া বা জন্ম গ্রহণ করা[৯] এবং "অষ্টমী" অর্থ আট। সুতরাং কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী হলো ভাদ্র মাসের (আগস্ট–সেপ্টেম্বর) কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম দিনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব।[১০][১১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]শ্রীকৃষ্ণের জীবনসংক্রান্ত তথ্য মহাভারত, পুরাণ ও ভাগবত পুরাণে লিপিবদ্ধ আছে। কৃষ্ণ দেবকী (মাতা) ও বসুদেব (পিতা)-এর অষ্টম সন্তান।[১২] তাঁর জন্মের সময় ভয় ও নির্যাতন ছড়িয়ে পড়েছিল, মানুষের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছিল এবং রাজা কংসের জীবনে বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল।[১৩] শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ভারতের মথুরায় কারাগারের ভেতরে, যেখানে তাঁর পিতা-মাতা কংসের হাতে বন্দি ছিলেন। দেবকীর বিবাহের সময় এক আকাশবাণীতে সতর্ক করা হয়েছিল যে দেবকীর অষ্টম সন্তানই হবে কংসের মৃত্যুর কারণ। এই ভবিষ্যদ্বাণীকে অকার্যকর করার জন্য কংস তাঁর বোন দেবকী ও ভগ্নিপতি বসুদেবকে বন্দি করে রাখে এবং দেবকীর জন্ম নেওয়া প্রথম ছয়টি সন্তানকেই হত্যা করে। কৃষ্ণ জন্মানোর সময় কারারক্ষীরা ঘুমিয়ে পড়ে এবং অলৌকিকভাবে কারাগারের দরজা খুলে যায়। এ সুযোগে বসুদেব কৃষ্ণকে যমুনা নদী পার করিয়ে তাঁর পালক-মাতা যশোদা ও পালক-পিতা নন্দের কাছে পৌঁছে দেন। এই কাহিনিই জন্মাষ্টমী উপলক্ষে স্মরণ করা হয়, যেখানে মানুষ উপবাস পালন করে, ভক্তিমূলক সংগীত গেয়ে কৃষ্ণপ্রেমে ভক্তি প্রকাশ করে এবং রাতজাগরণ করে উৎসব উদযাপন করে।[১৪]
শ্রীকৃষ্ণের শৈশব ও যৌবনের পুরো সময়জুড়ে তাঁর সৎভ্রাতা বলরাম ছিলেন এক "অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী"। বৃন্দাবন, ব্রজ, মথুরা ও দ্বারকা প্রভৃতি স্থানে স্মরণীয় হয়ে ওঠা নানা ঘটনায় কৃষ্ণের সঙ্গে বলরামও অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— মাখন চুরি, বাছুর তাড়া করা, গোপালকদের সঙ্গে গোয়ালঘরে খেলা এবং কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ।[১৫]
পালন এবং উদযাপন
[সম্পাদনা]
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী কৃষ্ণভক্তদের পাশাপাশি বিশ্বের সব হিন্দুদের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে এর উদযাপন ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি ও প্রথা অনুযায়ী বৈচিত্র্যময় রূপ ধারণ করে।[১৬][১৭] হিন্দুরা এদিন উপবাস পালন, ভজন-সংগীত গাওয়া, একত্রে প্রার্থনা, বিশেষ খাবার রান্না ও ভাগাভাগি, রাত্রিজাগরণ এবং কৃষ্ণ বা বিষ্ণুমন্দির পরিদর্শনের মাধ্যমে উৎসব পালন করে। মথুরা ও বৃন্দাবন এ উপলক্ষে তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে।[১৮] অনেক মন্দিরে জন্মাষ্টমীর আগে ভগবদ্গীতা পাঠ ও আবৃত্তির আয়োজন করা হয়। উত্তর ভারতের বহু স্থানে রাসলীলা বা কৃষ্ণলীলা নামের নৃত্য-নাট্যের আয়োজন করা হয়।[১৯] এই ঐতিহ্য বিশেষভাবে জনপ্রিয় মথুরা অঞ্চলে, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মণিপুর ও আসামে, এবং রাজস্থান ও গুজরাটের কিছু অংশে। স্থানীয় শিল্পীদের দল এসব নাট্য-নৃত্য পরিবেশন করে, যা স্থানীয় মানুষের উৎসাহে কয়েক দিন আগেই শুরু হয়।[২০][২১] জন্মাষ্টমীর সময় মানুষ ঘরবাড়ি ফুল ও আলো দিয়ে সাজায়[২২] এবং সবাই মিলে সশ্রদ্ধ কণ্ঠে জপ করে— "হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে"। জন্মাষ্টমীর পরদিন দই-হান্ডি উৎসব পালিত হয়।[২৩][২৪]
মধ্যরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম মুহূর্তে শিশু কৃষ্ণের প্রতিমাকে স্নান করানো হয়, নতুন বস্ত্র পরানো হয় এবং দোলনায় শায়িত করা হয়। এরপর ভক্তরা উপবাস ভঙ্গ করে পরস্পরের সঙ্গে নানান খাদ্য ও মিষ্টান্ন ভাগাভাগি করে খান। নারীরা ঘরের দরজা ও রান্নাঘরের বাইরে ছোট ছোট পায়ের ছাপ আঁকেন, যা প্রতীকীভাবে শ্রীকৃষ্ণের তাঁদের গৃহে আগমনের ইঙ্গিত বহন করে।[২৫]
উত্তর ভারত
[সম্পাদনা]
উত্তর ভারতের ব্রজ অঞ্চলে জন্মাষ্টমী সবচেয়ে বড় উৎসব হিসেবে পালিত হয়, বিশেষত মথুরায়—যেখানে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয় এবং বৃন্দাবনে—যেখানে তিনি শৈশব কাটিয়েছিলেন।[২৬] উত্তর প্রদেশের এই শহরগুলোর বৈষ্ণব সম্প্রদায়সহ রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমালয়াঞ্চল জুড়েও জন্মাষ্টমী মহাসমারোহে পালিত হয়। কৃষ্ণমন্দিরগুলো সাজানো ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়, যেখানে বিপুল ভক্তসমাগম ঘটে। ভক্তরা ভজন-সংগীত, ধর্মীয় আসর এবং রাত্রিজাগরণের মধ্য দিয়ে এই উৎসব পালন করেন।[২৭]
উত্তর ভারতে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করলে, যখন ক্ষেত ফসলভারে সমৃদ্ধ এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অবসর সময় থাকে, তখনই সাধারণত জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হয়। উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে জন্মাষ্টমী উদযাপনের প্রধান আকর্ষণ হলো রাসলীলা প্রথা। "রাস" অর্থ সারসত্তা বা আনন্দ, আর "লীলা" অর্থ খেলা বা নাট্যরূপ; অর্থাৎ রাসলীলা মানে আনন্দের নাট্যখেলা। এই প্রথায় একক বা দলীয় নৃত্য ও নাট্য পরিবেশিত হয়, যেখানে কৃষ্ণসংক্রান্ত রচনা গাওয়া হয়, বাদ্যযন্ত্র বাজে, আর দর্শক ও শিল্পীরা হাততালি দিয়ে তাল মিলিয়ে পরিবেশনা উপভোগ করেন।[২৮] কৃষ্ণের শৈশবের দুষ্টুমি ও রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা বিশেষভাবে জনপ্রিয়। গবেষক ক্রিশ্চিয়ান রয়সহ অনেক পণ্ডিতের মতে, এই রাধা-কৃষ্ণ প্রেমকাহিনি আসলে হিন্দু প্রতীকবাদ, যা মানুষের আত্মার ঈশ্বর বা ব্রহ্মের প্রতি আকুলতা ও প্রেমের প্রতীক।[২৯][৩০]
পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে ব্রজ অঞ্চলে কৃষ্ণের বীরত্ব ও লীলাবিষয়ক কবিতা বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এসব রচনা স্থানীয় ভাষা ব্রজভাষায় (বর্তমান হিন্দির একটি উপভাষা) রচিত।[৩১] সুরদাসের সুরসাগর নামে পরিচিত ব্রজভাষার কবিতাগুলো বিশেষভাবে সমাদৃত, যার অনেকগুলোতেই শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও শৈশবের বিবরণ পাওয়া যায়।[৩২]
জম্মু অঞ্চল
[সম্পাদনা]জম্মু অঞ্চলে জন্মাষ্টমী জনপ্রিয়ভাবে পরিচিত “ঠোগড়ে/ঠাকুরে দা ব্রত” নামে, যার অর্থ ঠাকুর (অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ) উদ্দেশ্যে নিবেদিত উপবাস।[৩৩] এদিনের প্রধান আচার হলো একদিনব্যাপী ফলাহারী উপবাস পালন। পাশাপাশি জম্মুর প্রধান শহরগুলোতে রাস্তাজুড়ে অসংখ্য ফলাহারী ধাম বা ভাণ্ডারার আয়োজন করা হয়।
জন্মাষ্টমী জম্মু অঞ্চলে ঘুড়ি ওড়ানোর মৌসুমের সূচনা হিসেবেও পরিচিত। এসময় স্থানীয়রা ছাদে জড়ো হয়ে রঙিন ও সজ্জিত ঘুড়ি উড়ান।[৩৪] অন্যদিকে, মেয়েরা ও নারীরা তাঁদের হাতের তালুতে স্থানীয় এক গাছ থেকে তৈরি রঙ তীরা দিয়ে অলঙ্করণ করেন।[৩৫]
এ অঞ্চলে জন্মাষ্টমীর আরেকটি বিশেষ অনুষ্ঠান হলো “দেয়া পারনা”, যেখানে দোগরা জনগোষ্ঠী তাঁদের পূর্বপুরুষ ও কুলদেবতার উদ্দেশ্যে শস্যদান করেন। এদিন নারীরা জান্ড নামের একটি পবিত্র বৃক্ষ পূজা করেন। এছাড়া বিশেষ ধরনের রুটি, যাকে দ্রৌপদ বলা হয়, তা প্রস্তুত করে গরু ও দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদন করা হয়।[৩৬]
কাশ্মীর
[সম্পাদনা]জন্মাষ্টমী কাশ্মীরের আদি অধিবাসী কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মধ্যে “জারম সতম” (জন্ম সপ্তমী) নামে পরিচিত। এ উৎসব উপলক্ষে ভক্তরা সারাদিন উপবাস পালন করেন এবং রাতের বেলা ঠোকুর কুঠ (কৃষ্ণ মন্দিরে) দর্শনে যান। মধ্যরাতে মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কৃষ্ণের মূর্তিতে অভিষেক (পবিত্র স্নান) করা হয় এবং ভজন গাওয়া হয়। এদিন উপবাসের জন্য উপযুক্ত খাবার হিসেবে গেয়ার বা সিংহাড়া লাপসি (পানিফল আটা দিয়ে তৈরি), ফলমূল এবং শুকনো ফল ভক্ষণ করা হয়।[৩৭]
মহারাষ্ট্র
[সম্পাদনা]জন্মাষ্টমী মহারাষ্ট্রে জনপ্রিয়ভাবে দহি হান্ডি নামে পরিচিত, যা মুম্বাই, লাতুর, নাগপুর ও পুনে শহরে ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়।[৩৮] এটি আনন্দের উৎসব এবং সামাজিক ঐক্যের প্রতীক।[৩৯] দই হান্ডি মূলত কৃষ্ণের শৈশবকালের সেই ঘটনাকে স্মরণ করায়, যখন তিনি মাখন চুরি করতেন।[৪০] এই কাহিনি ভারতের নানা মন্দিরের অলংকরণ, সাহিত্য এবং নৃত্যনাট্যে প্রতিফলিত হয়েছে, যা শিশুদের নির্দোষ আনন্দ, ভালোবাসা এবং জীবনের খেলাকে ঈশ্বরের প্রকাশ হিসেবে চিহ্নিত করে।[৪১][৪২]
প্রথা অনুযায়ী, যুবকরা দলবদ্ধ হয়ে দই হান্ডিতে অংশ নেয়। এ আয়োজনে একটি মাটির হাঁড়ি টকদই বা মাখনভরা অবস্থায় অনেক উঁচুতে ঝোলানো হয়।[৪৩] এরপর বিভিন্ন যুবদল মানবপিরামিড তৈরি করে হাঁড়িটি ভাঙার চেষ্টা করে। হাঁড়ি ভাঙার পর যা ছড়িয়ে পড়ে, তা প্রসাদ (উৎসবীয় নৈবেদ্য) হিসেবে গ্রহণ করা হয়।[৪৪][৪৫][৪৬][৪৭] এটি এক বিশাল জনসমাগমমুখর আয়োজন, যা সমবেতভাবে উল্লাস ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়।[৪৮][৪৯]
গুজরাট এবং রাজস্থান
[সম্পাদনা]গুজরাটের দ্বারকায় (বিশ্বাস করা হয় যে শ্রীকৃষ্ণ এই রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন) মাখন হান্ডি (তাজা মাখনভরা হাঁড়ি) উৎসবের মাধ্যমে জন্মাষ্টমী পালিত হয়, যা দই হান্ডির অনুরূপ একটি প্রথা। অনেকে এদিন লোকনৃত্য যেমন গরবা ও রাস পরিবেশন করেন, ভজন গেয়ে থাকেন এবং দ্বারকাধীশ মন্দির বা নাথদ্বারার মতো কৃষ্ণমন্দিরে দর্শন করেন। কচ্ছ জেলায় কৃষকরা তাদের বলদগাড়ি সাজিয়ে কৃষ্ণপ্রতিমা সহ শোভাযাত্রা বের করেন, যেখানে দলবদ্ধভাবে গান ও নাচ অনুষ্ঠিত হয়।[৫০] এ দিনটি পুষ্টিমার্গ ও স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের ভক্তদের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।[৫১]
জন্মাষ্টমীর সময় গুজরাটি কবি নরসিংহ মেহতা (১৪১৪–১৪৮০ খ্রি.), দয়ারাম (১৭৭৭–১৮৫২ খ্রি.) এবং রাজস্থানি কবি মীরাবাঈ (প্রায় ১৫০০ খ্রি.)-এর রচিত ভক্তিমূলক পদাবলী পুনরায় গাওয়া হয়। এসব রচনা ভক্তি আন্দোলনের অংশ, যা কৃষ্ণকে নিবেদিত ভক্তিগীতি বা কবিতা হিসেবে পরিচিত।[৫২][৫৩]
দক্ষিণ ভারত
[সম্পাদনা]কেরালা-তে জন্মাষ্টমী সাধারণত মালয়ালম ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসে পালিত হয়।

কর্ণাটকে বিশেষ করে উদুপি, মাঙ্গালুরু ও দক্ষিণ কন্নড় অঞ্চলে জন্মাষ্টমী শুধু ধর্মীয় আচার নয়, বরং ভক্তি, সংস্কৃতি ও সামাজিক মিলনের এক বর্ণিল উৎসব। ভক্তরা সারাদিন শ্লোক পাঠ ও ভজন গেয়ে থাকেন। অনেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপবাস থেকে কৃষ্ণের জন্মমুহূর্তের অপেক্ষা করেন। মধ্যরাতের পূজা শেষে প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে উপবাস ভঙ্গ করা হয়। প্রসাদে দই, মাখন ও পানপাতা থাকে—যা কৃষ্ণের প্রিয় খাদ্য হিসেবে ধরা হয়। শিশুদের কৃষ্ণ ও রাধার সাজে সাজানো হয়, আবার উদুপি-মাঙ্গালুরু অঞ্চলে বাচ্চারা অষ্টমী বেশ (সিংহ, বাঘ বা ভালুকের সাজ) পরে আনন্দে রাস্তায় ঘোরে।
এরপরের দিন মোসারু কুডিকে পালিত হয়, যা কর্ণাটকের দই হান্ডির রূপ। এদিন প্রতিটি মহল্লায় দই, মাখন ও নানা খাবারে ভরা হাঁড়ি দড়িতে উঁচুতে বেঁধে ঝোলানো হয়। কৃষ্ণের মাখন চুরির লীলা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তরুণরা মানবপিরামিড তৈরি করে হাঁড়ি ভাঙে। সংগীত, নৃত্য ও দর্শকদের উল্লাসে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
তামিলনাড়ুতে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাড়ির উঠোনে কোলম (চালগুঁড়োর গুঁড়া দিয়ে আঁকা নকশা) অঙ্কন করা হয়। ভক্তরা কৃষ্ণের প্রশংসায় গীতগোবিন্দম্সহ ভক্তিগীতি পরিবেশন করেন। ঘরের প্রবেশদ্বার থেকে পূজাঘর পর্যন্ত ছোট ছোট পদচিহ্ন আঁকা হয়, যা শিশুকৃষ্ণের আগমনকে নির্দেশ করে। ভগবদ্গীতা পাঠও প্রচলিত প্রথা। ভোগে থাকে ফল, পানপাতা, মাখন এবং দুধজাত খাবার যেমন সুইট সীদাই ও ভেরকাদালাই উরুণ্ডাই (চিনাবাদামের লাড্ডু)।[৫৪] সন্ধ্যাবেলায় পূজা হয়, কারণ কৃষ্ণ মধ্যরাতে জন্মেছিলেন। অধিকাংশ ভক্তই এদিন কঠোর উপবাস পালন করেন।[৫৫]

অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় জন্মাষ্টমীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো শ্লোক পাঠ ও ভক্তিগীতি পরিবেশন। এ উৎসবের একটি বিশেষ দিক হলো—কিশোর ছেলেরা কৃষ্ণের সাজে সেজে প্রতিবেশী ও বন্ধুদের বাড়িতে যায়। এখানকার মানুষরাও এদিন উপবাস পালন করেন। কৃষ্ণকে নিবেদিত ভোগ হিসেবে বিভিন্ন মিষ্টান্ন যেমন চাকোড়ি, মুরুক্কু ও সীদাই প্রস্তুত করা হয়।[৫৬] অনেক মন্দিরে কৃষ্ণের নামে উল্লাসধ্বনি ধ্বনিত হয়। তবে কৃষ্ণমন্দিরের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, কারণ এখানে কৃষ্ণকে মূর্তি নয়, বরং চিত্রকলার মাধ্যমে পূজা করার প্রথা প্রচলিত।
দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় কৃষ্ণমন্দিরগুলোর মধ্যে রয়েছে তিরুভারুর মান্নারগুড়ির রাজাগোপালস্বামী মন্দির, কাঞ্চিপুরামের পাণ্ডবধূতার মন্দির, উদুপির শ্রীকৃষ্ণ মন্দির এবং গুরুভায়ূরের কৃষ্ণ মন্দির। বিশ্বাস করা হয়, গুরুভায়ূরে প্রতিষ্ঠিত কৃষ্ণমূর্তিটি মূলত দ্বারকার রাজ্য থেকে আনা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে সাগরে ডুবে যায়।[৫৭]
পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত
[সম্পাদনা]পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে কৃষ্ণভক্ত এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্মাষ্টমী ব্যাপকভাবে পালিত হয়। এ অঞ্চলে কৃষ্ণভক্তির প্রসার মূলত ১৫শ ও ১৬শ শতকের শঙ্করদেব ও চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা ও প্রচেষ্টার ফল বলে ধরা হয়। শঙ্করদেব ভক্তিমূলক সঙ্গীত বরগীত এবং নৃত্যনাট্যের ধারা অংকীয়া নাট ও সত্রীয়া প্রবর্তন করেন,[৫৮] যা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মণিপুর রাজ্যে জন্মাষ্টমীর সময়ে পরিবেশিত হয় ঐতিহ্যবাহী নৃত্য রাসলীলা, যা কৃষ্ণ, রাধা ও গোপীদের প্রেম ও ভক্তি বিষয়ক কাহিনি অবলম্বনে মণিপুরী নৃত্যশৈলীতে উপস্থাপিত হয়।[৫৯][৬০][৬১][৬২] এ সকল নৃত্যনাট্যের শিকড় প্রাচীন নাট্যশাস্ত্রে খুঁজে পাওয়া যায়, তবে এগুলোতে ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়।[৬৩][৬৪][৬৫]

জন্মাষ্টমীতে বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানদের কৃষ্ণ বা গোপীর সাজে সাজান। মন্দির ও সমাজকেন্দ্রগুলো স্থানীয় ফুল ও পত্রপল্লব দিয়ে সজ্জিত করা হয়। ভক্তরা দলবদ্ধভাবে বা এককভাবে ভাগবত পুরাণের দশম স্কন্ধ এবং ভগবদ্গীতা পাঠ ও শ্রবণ করেন।[৬৬]
মণিপুরে জন্মাষ্টমী উপবাস, জাগরণ, শাস্ত্রপাঠ ও কৃষ্ণপ্রার্থনার মধ্য দিয়ে একটি প্রধান উৎসব হিসেবে পালিত হয়।[৬৭] রাসলীলা নৃত্য পরিবেশনা এদিনের অন্যতম বার্ষিক ঐতিহ্য, বিশেষ করে মথুরা ও বৃন্দাবনে।[৬৮] মণিপুরের মেইতেই কৃষ্ণভক্ত সম্প্রদায়ের শিশুরা আনন্দের সঙ্গে লিকোল সান্নাবা খেলা খেলে থাকে।[৬৯]
শ্রী গোবিন্দজি মন্দির এবং ইস্কন মন্দিরসমূহে জন্মাষ্টমী বিশেষভাবে উদযাপিত হয়।[৭০] আসামে জন্মাষ্টমী পালিত হয় গৃহে ও সমাজকেন্দ্রে, যেগুলোকে নামঘর বলা হয়। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী ভক্তরা নামকীর্তন গেয়ে থাকেন, পূজা সম্পাদন করেন এবং প্রসাদ ভাগাভাগি করে গ্রহণ করেন।[৭১]

ওড়িশা রাজ্যে বিশেষ করে পুরী অঞ্চল এবং পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপে জন্মাষ্টমীকে শ্রীকৃষ্ণ জয়ন্তী বা সংক্ষেপে শ্রী জয়ন্তী নামেও ডাকা হয়।[৭২][৭৩] এদিন ভক্তরা উপবাস ও পূজা করে মধ্যরাত পর্যন্ত কৃষ্ণজন্মের প্রতীক্ষা করেন। ভাগবত পুরাণের দশম স্কন্ধ, যেখানে কৃষ্ণের জীবনকাহিনি বর্ণিত হয়েছে, তা পাঠ করা হয়। জন্মাষ্টমীর পরের দিনকে বলা হয় নন্দ উৎসব, যা কৃষ্ণের পালকপিতা-মাতা নন্দ ও যশোদার আনন্দোৎসব হিসেবে পালিত হয়। ভক্তরা জন্মাষ্টমীর পুরোদিন উপবাসে থাকেন এবং গঙ্গাজল এনে রাধামাধবের অভিষেক করেন। মধ্যরাতে ক্ষুদ্র রাধামাধবের জন্য এক মহা-অভিষেকের আয়োজন করা হয়। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে, যা বিখ্যাত রথযাত্রার জন্য সুপরিচিত, জন্মাষ্টমীতেও এক বিশেষ রথযাত্রার আয়োজন করা হয়।[৭৪]
ভারতের বাইরে
[সম্পাদনা]নেপাল
[সম্পাদনা]
নেপালের প্রায় আশি শতাংশ জনসংখ্যা নিজেদের হিন্দু হিসেবে পরিচয় দেয় এবং কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উদযাপন করে। তারা মধ্যরাত পর্যন্ত উপবাস করে জন্মাষ্টমী পালন করে। এটি নেপালে একটি জাতীয় ছুটির দিন।[৭৫] ভক্তরা ভগবদ গীতা পাঠ করেন এবং ভজন ও কীর্তন গায়। কৃষ্ণের মন্দিরগুলি সজ্জিত করা হয়। দোকান, রাস্তা এবং ঘরগুলিতে কৃষ্ণের নকশা করা হয়।[৭৬]
বাংলাদেশ
[সম্পাদনা]জন্মাষ্টমী বাংলাদেশে একটি জাতীয় ছুটির দিন ।[৭৭] জন্মাষ্টমীতে, বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে একটি শোভাযাত্রা শুরু হয় এবং তারপর পুরান ঢাকার রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যায় । শোভাযাত্রাটি ১৯০২ সালে শুরু হয়েছিল, কিন্তু ১৯৪৮ সালে বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৯ সালে শোভাযাত্রাটি পুনরায় শুরু হয়।[৭৮]
ফিজি
[সম্পাদনা]ফিজির জনসংখ্যার অন্তত এক-চতুর্থাংশ হিন্দু ধর্ম পালন করে এবং প্রথম ভারতীয় চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকরা ফিজিতে আসার পর থেকে এই ছুটি পালিত হয়ে আসছে। ফিজিতে জন্মাষ্টমী "কৃষ্ণাষ্টমী" নামে পরিচিত। ফিজির বেশিরভাগ হিন্দুর পূর্বপুরুষ উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং তামিলনাড়ু থেকে এসেছেন , যা তাদের জন্য এটিকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব করে তোলে। ফিজির জন্মাষ্টমী উদযাপন অনন্য কারণ এটি অষ্টমীর দিন পর্যন্ত (যেদিন কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল) আট দিন ধরে চলে। এই আট দিনে, হিন্দুরা সন্ধ্যা ও রাতে তাদের 'মণ্ডলী' বা ভক্তিমূলক দল নিয়ে বাড়িতে এবং মন্দিরে জড়ো হয় এবং ভাগবত পুরাণ পাঠ করে, কৃষ্ণের জন্য ভক্তিমূলক গান গায় এবং প্রসাদ বিতরণ করে।[৭৯]
পাকিস্তান
[সম্পাদনা]করাচির শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে পাকিস্তানি হিন্দুরা ভজন গাওয়া এবং কৃষ্ণের উপর ধর্মোপদেশ প্রদানের মাধ্যমে জন্মাষ্টমী উদযাপন করে ।[৮০] এটি পাকিস্তানে একটি ঐচ্ছিক ছুটির দিন । ভারতভাগের আগে ডেরা গাজী খান কেভালরামের থাল্লায় জন্মাষ্টমী মেলার কেন্দ্র ছিল। এই মেলাটি এখন নতুন দিল্লির ইন্দর পুরীতে পুনর্নির্মিত করা হয়েছে।[৮১]
অন্যান্য
[সম্পাদনা]মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় গভর্নর জ্যানেট নেপোলিটানো ছিলেন প্রথম মার্কিন নেতা যিনি জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছিলেন এবং ইসকনকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন ।[৮২] ক্যারিবিয়ান দেশ গায়ানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, জ্যামাইকা এবং সুরিনামেও কৃষ্ণধর্মাবলম্বীরা এই উৎসবটি ব্যাপকভাবে উদযাপন করেন । এই দেশগুলিতে অনেক হিন্দু তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার থেকে এসেছেন; তারা তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বাংলা এবং উড়িষ্যা থেকে চুক্তিবদ্ধ অভিবাসীদের বংশধর।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ James G. Lochtefeld (২০০২)। The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A–M (পিডিএফ)। The Rosen Publishing Group। আইএসবিএন ৯৭৮-০৮২৩৯৩১৭৯৮।
- ↑ James G. Lochtefeld (২০০২)। The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A–M (পিডিএফ)। The Rosen Publishing Group। আইএসবিএন ৯৭৮-০৮২৩৯৩১৭৯৮।
- ↑ J. Gordon Melton (২০১১)। Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays, Festivals, Solemn Observances, and Spiritual Commemorations। ABC-CLIO। পৃ. ৩৯৬। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৮৮৪-২০৫-০।
- ↑ Edwin Francis Bryant (২০০৭)। Sri Krishna: A Sourcebook। Oxford University Press। পৃ. ২২৩–২২৫। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৮০৩৪০০-১।
- ↑ Sen, Colleen Taylor (২০১৪)। Feasts and Fasts: A History of Food in India। London: Reaktion Books। পৃ. ১০৫।
- ↑ Patil, Vimla (১৯৯৪)। Celebrations : festive days of India। Bombay: India Book House। পৃ. ৬৬।
- ↑ James G. Lochtefeld (২০০২)। The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A–M (পিডিএফ)। The Rosen Publishing Group। আইএসবিএন ৯৭৮-০৮২৩৯৩১৭৯৮।
- ↑ Bryant, Edwin (২০০৭)। Krishna A Sourcebook। Oxford University Press। পৃ. ৫৩৮–৫৩৯।
- ↑ "Janma: English Translation of the Sanskrit word: Janma-- Sanskrit Dictionary"। sanskritdictionary.org। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২৩।
- ↑ "Happy Janmashtami 2022: History and significance behind Lord Krishna's birth anniversary explained"। The Economic Times। ১৬ আগস্ট ২০২২। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২৩।
- ↑ "Janmashtami | Celebration, Date, India, & Facts | Britannica"। www.britannica.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০২৩।
- ↑ James G. Lochtefeld (২০০২)। The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A–M (পিডিএফ)। The Rosen Publishing Group। আইএসবিএন ৯৭৮-০৮২৩৯৩১৭৯৮।
- ↑ Pavan K. Varma (২০০৯)। The Book of Krishna। Penguin Books। পৃ. ৭–১১। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৪-৩০৬৭৬৩-৪।
- ↑ Constance A Jones (২০১১)। J. Gordon Melton (সম্পাদক)। Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays, Festivals, Solemn Observances, and Spiritual Commemorations। ABC-CLIO। পৃ. ৪৫৯। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৮৮৪-২০৬-৭।
- ↑ Vemsani, Lavanya (১৩ জুন ২০১৬)। Krishna in History, Thought, and Culture: An Encyclopedia of the Hindu Lord of Many Names: An Encyclopedia of the Hindu Lord of Many Names (ইংরেজি ভাষায়)। ABC-CLIO। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৬১০৬৯-২১১-৩।
- ↑ Fenton, Stephanie (১৫ আগস্ট ২০২২)। "Krishna Janmashtami: Celebrating Lord Krishna around the world"। Religious Holidays (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২৩।
- ↑ J. Gordon Melton (২০১১)। Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays, Festivals, Solemn Observances, and Spiritual Commemorations। ABC-CLIO। পৃ. ৩৯৬। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৮৮৪-২০৫-০।
- ↑ Bryant, Edwin (২০০৭)। Krishna A Sourcebook। Oxford University Press। পৃ. ৫৩৮–৫৩৯।
- ↑ Constance A Jones (২০১১)। J. Gordon Melton (সম্পাদক)। Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays, Festivals, Solemn Observances, and Spiritual Commemorations। ABC-CLIO। পৃ. ৪৫৯। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৮৮৪-২০৬-৭।
- ↑ Pavan K. Varma (২০০৯)। The Book of Krishna। Penguin Books। পৃ. ১৬০–১৬২। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৪-৩০৬৭৬৩-৪।
- ↑ Edwin Francis Bryant (২০০৭)। Krishna: A Sourcebook। Oxford University Press। পৃ. ৪৪৯–৪৫৭। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৮০৩৪০০-১।
- ↑ "Janmashtami 2021: Date, history, significance and importance of Krishna Janmashtami"। Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ আগস্ট ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Krishna Janmashtami 2021 Date, Puja Muhurat and Significance"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ আগস্ট ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২১।
- ↑ "Janmashtami 2021: Know The Date, Timing, Significance And Celebrations Of Krishna Janmashtami"। NDTV। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০২১।
- ↑ Constance A Jones (২০১১)। J. Gordon Melton (সম্পাদক)। Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays, Festivals, Solemn Observances, and Spiritual Commemorations। ABC-CLIO। পৃ. ৪৫৯। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৮৮৪-২০৬-৭।
- ↑ Constance A Jones (২০১১)। J. Gordon Melton (সম্পাদক)। Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays, Festivals, Solemn Observances, and Spiritual Commemorations। ABC-CLIO। পৃ. ৪৫৯। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৮৮৪-২০৬-৭।
- ↑ Kishore, B. R. (২০০১)। Hinduism। Diamond। পৃ. ১১৮। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭১৮২-০৭৩-৩।
- ↑ Christian Roy (২০০৫)। Traditional Festivals: A Multicultural Encyclopedia। ABC-CLIO। পৃ. ২১৩–২১৫। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৭৬০৭-০৮৯-৫।
- ↑ Edwin Francis Bryant (২০০৭)। Krishna: A Sourcebook। Oxford University Press। পৃ. ৯–১০, ১১৫–১১৬, ২৬৫–২৬৭। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৮০৩৪০০-১।
- ↑ Christian Roy (২০০৫)। Traditional Festivals: A Multicultural Encyclopedia। ABC-CLIO। পৃ. ২১৩–২১৫। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৭৬০৭-০৮৯-৫।
- ↑ Hawley, John Stratton (৭ এপ্রিল ২০০৯)। The Memory of Love: Surdas Sings to Krishna (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। পৃ. ৬। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-০৪৫১৯৫-০।
- ↑ Edwin Francis Bryant (২০০৭)। Sri Krishna: A Sourcebook। Oxford University Press। পৃ. ২২৩–২২৫। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৮০৩৪০০-১।
- ↑ Sharma, Medhavi (১৪ আগস্ট ২০২০)। "Janmashtami in Jammu, A Visual Treat"। Indic Today (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "The Festival of Kite Flying in Jammu"। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০১২।
- ↑ Sharma, Medhavi (১৪ আগস্ট ২০২০)। "Janmashtami in Jammu, A Visual Treat"। Indic Today (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০২২।
- ↑ Sharma, Medhavi (১৪ আগস্ট ২০২০)। "Janmashtami in Jammu, A Visual Treat"। Indic Today (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "Zaram Satam – Bhad'ru'peth Gatt Pachh Satam | Kashmir As It Is" (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০২২।
- ↑ J. Gordon Melton (২০১১)। Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays, Festivals, Solemn Observances, and Spiritual Commemorations। ABC-CLIO। পৃ. ৩৯৬। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৮৮৪-২০৫-০।
- ↑ J. Gordon Melton (২০১১)। Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays, Festivals, Solemn Observances, and Spiritual Commemorations। ABC-CLIO। পৃ. ৩৯৬। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৮৮৪-২০৫-০।
- ↑ "Krishna Janmashtami 2022: When is Dahi Handi? Know all about its date, history, celebrations and significance"। Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ John Stratton Hawley (২০১৪)। Krishna, The Butter Thief। Princeton University Press। পৃ. ix–xi, ৩–১১, ৮৯, ২৫৬, ৩১৩–৩১৯। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪০০৮-৫৫৪০-৭।
- ↑ Edwin Francis Bryant (২০০৭)। Krishna: A Sourcebook। Oxford University Press। পৃ. ১১৪–১১৮। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৮০৩৪০০-১।
- ↑ J. Gordon Melton (২০১১)। Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays, Festivals, Solemn Observances, and Spiritual Commemorations। ABC-CLIO। পৃ. ৩৯৬। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৮৮৪-২০৫-০।
- ↑ J. Gordon Melton (২০১১)। Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays, Festivals, Solemn Observances, and Spiritual Commemorations। ABC-CLIO। পৃ. ৩৯৬। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৯৮৮৪-২০৫-০।
- ↑ "Krishna Janmashtami 2022: When is Dahi Handi? Know all about its date, history, celebrations and significance"। Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২৩।
- ↑ Ambarish Mishra; Nitin Yeshwantrao; Bella Jaisinghani (১১ আগস্ট ২০১২)। "Nine-tier handi breaks into Guinness Records"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৪।
- ↑ "Janmashtami celebrated with zeal, enthusiasm"। Mid Day। ২৪ আগস্ট ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০০৯।
- ↑ Christian Roy (২০০৫)। Traditional Festivals: A Multicultural Encyclopedia। ABC-CLIO। পৃ. ২১৩–২১৫। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৭৬০৭-০৮৯-৫।
- ↑ DMello, Daniel (৪ অক্টোবর ২০১১)। "8 incredible facts about Mumbai"। CNN। ২৯ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৪।
- ↑ Anjali H. Desai (২০০৭)। India Guide Gujarat। India Guide। পৃ. ৭১, ৭৬। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৯৭৮৯৫১৭-০-২।
- ↑ Basu, Helene (২০১৮)। "Gujarat"। Knut A., Jacobsen; Basu, Helene; Malinar, Angelika; Narayanan, Vasudha (সম্পাদকগণ)। Brill's Encyclopedia of Hinduism Online। Brill।
- ↑ Dwyer, Rachel (২০০১)। The Poetics of Devotion: The Gujarati Lyrics of Dayaram (ইংরেজি ভাষায়)। Psychology Press। পৃ. ৩১–৩২। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭০০৭-১২৩৩-৫।
- ↑ Edwin Francis Bryant (২০০৭)। Sri Krishna: A Sourcebook। Oxford University Press। পৃ. ২২৩–২২৫। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৮০৩৪০০-১।
- ↑ Sengar, Resham। "This is how the South India celebrates Krishna Janmashtami"। The Times of India। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩।
- ↑ Sengar, Resham। "This is how the South India celebrates Krishna Janmashtami"। The Times of India। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩।
- ↑ Sengar, Resham। "This is how the South India celebrates Krishna Janmashtami"। The Times of India। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২৩।
- ↑ Manohar Laxman Varadpande (১৯৮২)। Krishna Theatre in India (ইংরেজি ভাষায়)। Abhinav Publications। পৃ. ৯৪। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭০১৭-১৫১-৫।
- ↑ Banham, Martin (৭ মার্চ ১৯৯৬)। The Cambridge Paperback Guide to Theatre (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃ. ১৩। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৪৪৬৫৪-৯।
- ↑ James G. Lochtefeld (২০০২)। The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A-M। The Rosen Publishing Group। পৃ. ৪২০–৪২১। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮২৩৯-৩১৭৯-৮।
- ↑ Reginald Massey 2004, পৃ. 177।
- ↑ Ragini Devi 1990, পৃ. 175–180।
- ↑ Devi, Dr Yumlembam Gopi (১৬ জুন ২০১৯)। Glimpses of Manipuri Culture (ইংরেজি ভাষায়)। Lulu.com। পৃ. ১৯৩। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩৫৯-৭২৯১৯-৭।
- ↑ Saryu Doshi 1989, পৃ. xv–xviii।
- ↑ Natalia Lidova 2014।
- ↑ Tarla Mehta 1995।
- ↑ Christian Roy (২০০৫)। Traditional Festivals: A Multicultural Encyclopedia। ABC-CLIO। পৃ. ২১৩–২১৫। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৭৬০৭-০৮৯-৫।
- ↑ Prakasan, Chethana (১৯ আগস্ট ২০১৬)। "Latest travel Articles & blogs"। India News, Breaking News, Entertainment News | India.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Vijaya Ghose; Jaya Ramanathan; Renuka N. Khandekar, সম্পাদকগণ (১৯৯২)। Tirtha, A Treasury of Indian Expressions। New Delhi: CMC। পৃ. ১৮৪। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৯০০২৬৭-০-৩।
Raslila plays are specially enacted during Janmashtami and Holi festivals at Mathura, Bridavan in the Braj region.
- ↑ Naorem Sanajaoba (১৯৮৮)। Manipur, Past and Present: The Heritage and Ordeals of a Civilization। Mittal। পৃ. ২৮৪–২৮৫। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭০৯৯-৮৫৩-২।
- ↑ Janmashtami joy in Assam and Manipur, The Times of India (26 August 2016)
- ↑ Janmashtami joy in Assam and Manipur, The Times of India (26 August 2016)
- ↑ Prabhat Mukherjee (১৯৮১)। The History of Medieval Vaishnavism in Orissa। Asian Educational Services। পৃ. ১৮৫। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-২০৬-০২২৯-৮।
- ↑ Bhakti Prajnan Yati Maharaj (১৯৭৮)। Renaissance of Gaudiya Vaishnava Movement। Sree Gaudiya Math। পৃ. ২৬০। ওসিএলসি 6199191।
His Madras visit took place during the Sri Janmashtami (Sri Krishna's Advent day) ... they made an appeal to Srila Acharyadeva to visit Madras Math every year particularly during the Sri Jayanti (Janmastami).
- ↑ Badlani, Dr Hiro G. (৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। Hinduism: Path of the Ancient Wisdom (ইংরেজি ভাষায়)। iUniverse। পৃ. ৩২৩। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫৯৫-৮৭৯৬১-৮।
- ↑ "Krishna Janmashtami 2020: Puja Vrat Vidhi, Fasting and Significance"। SpotlightNepal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Janmashtami in Nepal: Devotees throng magnificent Krishna Temple"। ANI News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Grover, Verinder (২০০০), Bangladesh: Government and Politics, Deep and Deep Publications, পৃ. ৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭১০০-৯২৮-২
- ↑ "Bangladesh blessings"। Hinduism Today। ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭।
- ↑ Mala, Shahani (৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Hindus Mark Birth of Lord Krishna"। Fiji Sun।
- ↑ "KARACHI: Janamashtami festival celebrated Jai Sri Krishna"। Dawn। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১২।
- ↑ Entwistle, Alan William। The Rāsa Mana Ke Pada of Kevalarāma: A Medieval Hindi Text of the Eight Gaddī of the Vallabha Sect (অভিসন্দর্ভ)। University of London। পৃ. ৮১–৮২, ১০৬।
- ↑ Executive Orders, Proclamations of General Applicability, and Statements Issues by the Governor Pursuant to A.R.S. § 41-1013(B)(3), Arizona State Government, USA (2008)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিমিডিয়া কমন্সে BadhonCR/খেলাঘর/৬ সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- আগস্ট উদ্যাপন
- সেপ্টেম্বর উদ্যাপন
- ভারতের হিন্দু উৎসব
- ভারতের ধর্মীয় উৎসব
- হিন্দু উৎসব
- হিন্দুদের পবিত্র দিন
- বাংলাদেশের সরকারি ছুটির দিন
- নেপালে সরকারি ছুটির দিন
- নেপালের হিন্দু উৎসব
- কৃষ্ণ
- বৈষ্ণব সম্প্রদায়
- মানব দুর্গ
- ব্যক্তিভেদে জন্মদিন
- বাংলাদেশের ধর্মীয় উৎসব
- পাকিস্তানের ধর্মীয় উৎসব
- গায়ানার ধর্মীয় উৎসব
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় উৎসব
- ফিজির ধর্মীয় উৎসব
- ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে ধর্মীয় উৎসব
- সুরিনামের ধর্মীয় উৎসব
- জ্যামাইকার ধর্মীয় উৎসব
- বাংলাদেশের হিন্দু উৎসব
- আসামের উৎসব
