ব্যবস্থাপত্র ছাড়া লভ্য ঔষধ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্যবস্থাপত্র ছাড়া লভ্য ঔষধ

ব্যবস্থাপত্র ছাড়া লভ্য ঔষধ বা চিকিৎসা ছাড়পত্র ছাড়া ঔষধ বলতে সেই সব ওষুধ বোঝায় যেগুলো ক্রেতার কাছে সরাসরি ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়াই বিক্রি করা হয়।[১] জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিজের উপসর্গ বুঝে গ্রহণযোগ্য মাত্রায় এ ওষুধ সেবন করতেও খুব একটা বাধা নেই।

অনেক ওষুধ এমন আছে যেগুলোর অপব্যবহার করা হয়। যেমন ব্যথা-বেদনা কমাতে বহুল ব্যবহৃত ওষুধ মরফিন, হেরোইন ইত্যাদি নেশা করতে অপব্যবহার করা হয়। প্রশাসনিক বা আইনগতভাবে সব ওষুধকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হল নিয়ন্ত্রিত ওষুধ, এগুলো কিনতে হলে রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র লাগে; আর অপরটি হল ব্যবস্থাপত্র ছাড়া লভ্য ওষুধ।[২] এগুলো কিনতে রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র লাগে না। যেমন, জ্বর ও ব্যথা-বেদনা কমাতে প্রদাহবিরোধী- প্যারাসিটামল, এসপিরিন; সাধারণ সর্দি কাশির ওষুধ ক্লোরফেনার‍্যামিন ইত্যাদি কিনতে রেজিস্ট্রার্ড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন লাগে না। এগুলো ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ। সাধারণত, ওষুধের দোকানে গিয়ে কাউন্টারে দাঁড়িয়ে ব্যবস্থাপত্র দেখানো ছাড়াই এসব ওষুধ কেনা যায় যায় বলে এদের নামকরণ হয়েছে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া লভ্য ওষুধ।

‘জাতীয় ওষুধ নীতি-২০১৪’র খসড়ায় চিকিৎসা ছাড়পত্র ছাড়া যেসব ওষুধ (ওটিসি) খুচরা বিক্রি করা হয় তার তালিকা করে বিক্রির একটি নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রেও শর্ত দেয়া হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকাও নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। আগে অত্যাবশ্যকীয় তালিকায় ওষুধ ২০৯টি থাকলেও এখন তা সংযোজন-বিয়োজন করে ২৫৪টি করা হয়েছে। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া (ওটিসি) যেসব ওষুধজাতীয় খাদ্য বিক্রি করা হচ্ছে তা আইন করে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Over-the-Counter Medicines: What's Right for You?. Fda.gov (2009-04-30). Retrieved on 2012-07-04.
  2. জাতীয় ওষুধ নীতি ২০০৫, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ
  3. প্রস্তাবিত জাতীয় ওষুধ নীতি ২০১৪, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ.