ব্যক্তিত্বের ব্যাধি
| ব্যক্তিত্বের ব্যাধিগুলি |
|---|
| ক্লাস্টার এ (অদ্ভুত) |
| ক্লাস্টার বি (ড্রামাটিক) |
| ক্লাস্টার সি (অ্যাংজিয়াস) |
| স্পেসিফাইড নয় |
ব্যক্তিত্বের ব্যাধি মানসিক স্বাস্থ্যজনিত অবস্থার একটি শ্রেণি, যা আচরণ, জ্ঞানপ্রক্রিয়া, অভ্যন্তরীণ অভিজ্ঞতার দীর্ঘস্থায়ী ও অভিযোজনবিরোধী ধরনে চিহ্নিত যা নানান প্রেক্ষাপটে দৃশ্যমান হয়। এবং সংস্কৃতিতে স্বীকৃত মানদণ্ড থেকে বিচ্যুত।[১] এসব ধরন সাধারণত জীবনের শুরুর দিকে গঠিত হয়, দীর্ঘকাল অনমনীয় থাকে এবং উল্লেখযোগ্য মানসিক কষ্ট বা কার্যক্ষমতার ঘাটতির সঙ্গে সম্পর্কিত।[২] উৎসভেদে সংজ্ঞা ভিন্ন হতে পারে এবং এ নিয়ে বিতর্কও আছে।[৩][৪][৫] ব্যক্তিত্বের ব্যাধি নির্ণয়ের আনুষ্ঠানিক মানদণ্ড রোগ ও সম্পর্কিত স্বাস্থ্যসমস্যার আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানগত শ্রেণিবিন্যাস (আইসিডি) এর ষষ্ঠ অধ্যায়ে এবং আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন প্রণীত মানসিক ব্যাধির নির্ণয় ও পরিসংখ্যান নির্দেশিকাতে সন্নিবেশিত।[৬]
ব্যক্তিত্বকে মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সংজ্ঞায়িত করা হয় মানুষের স্থায়ী আচরণগত ও মানসিক বৈশিষ্ট্যের সমষ্টি হিসেবে। ফলে, ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে এমন অভিজ্ঞতা ও আচরণ দেখা যায়, যা সামাজিক বিধি ও সামাজিক প্রত্যাশা থেকে বিচ্যুত। এ ধরনের নির্ণয়প্রাপ্ত ব্যক্তিদের জ্ঞানপ্রক্রিয়া, আবেগপ্রকাশ, আন্তঃব্যক্তিক কার্যকারিতা বা |প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা থাকতে পারে। মনোরোগ সম্পর্কিত রোগীদের মধ্যে এই ব্যাধির প্রাদুর্ভাব আনুমানিক ৪০% থেকে ৬০%।[৭][৮][৯] ব্যক্তিত্বের ব্যাধির বৈশিষ্ট্য সাধারণত কৈশোরে, প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের শুরুতে, কখনও বা শৈশবেই, চিহ্নিত হয় এবং জীবনের মানে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।[১][১০][১১]
ব্যক্তিত্বের ব্যাধির চিকিৎসা প্রধানত মনোচিকিৎসা নির্ভর। প্রমাণভিত্তিক পদ্ধতির মধ্যে জ্ঞানীয় আচরণভিত্তিক থেরাপি এবং দ্বান্দ্বিক আচরণ থেরাপি বিশেষ করে সীমারেখা ব্যক্তিত্বের ব্যাধির ক্ষেত্রে,কার্যকর বলে বিবেচিত হয়েছে।[১২][১৩] পাশাপাশি নানাপ্রকার মনোবিশ্লেষণ ভিত্তিক কৌশলও ব্যবহার হয়।[১৪] ব্যক্তিত্বের ব্যাধি নিয়ে জনপ্রিয় সংস্কৃতি ও চিকিৎসা পরিসরে উল্লেখযোগ্য কলঙ্ক রয়েছে।[১৫] তদুপরি, বিভিন্ন শ্রেণিবিন্যাস, পদ্ধতি থাকলেও শ্রেণিবদ্ধকরণে নানা জটিলতা দেখা দেয়, কারণ তত্ত্ব ও নির্ণয় নির্দিষ্ট সময়ের সামাজিক প্রত্যাশা নির্ভর; ফলে কিছু বিশেষজ্ঞ এদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং যুক্তি দেন ধারণাগুলোর পেছনে সামাজিক, এমনকি সামাজিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনাও কাজ করে, তাই কিছুটা বিষয়গততা অনিবার্য।[১৬]
শ্রেণিবিন্যাস ও লক্ষণ
[সম্পাদনা]২০২৫-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ] অনুযায়ী, শ্রেণিবিন্যাসের প্রধান দুই পদ্ধতির সর্বশেষ সংস্করণ হলো: আইসিডি ১১ এবং ডিএসএম ৫ টিআর। আইসিডি হলো বর্ণানুক্রমিক কোডের একটি সংকলন, যা সমস্ত জ্ঞাত রোগাবস্থার জন্য নির্ধারিত এবং চিকিৎসা নথি, বিলিং, পরিসংখ্যান ও গবেষণায় অভিন্ন পরিভাষা দেয়। অন্যদিকে, ডিএসএম গবেষণা ও বিশেষজ্ঞমতের ভিত্তিতে মানসিক ব্যাধির নির্ণয়ের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। যদিও ডিএসএম ৫ টিআর এর আদর্শ মডেলে ব্যক্তিত্বের ব্যাধিকে পৃথক শ্রেণি হিসেবে ধরা হয়, আইসিডি ১১ একটিমাত্র ব্যক্তিত্বের ব্যাধিকে তীব্রতা ভিত্তিক মাত্রাভিত্তিক পদ্ধতিতে নির্ণয় করে এবং অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য ডোমেইন উল্লেখের সুযোগ রাখে।[১৭]
ব্যক্তিত্বের ব্যাধির জন্য বিকল্প ডিএসএম ৫ মডেলে একটি মিশ্র মাত্রাভিত্তিক বিভাগভিত্তিক রূপরেখা বেছে নেওয়া হয়েছে,[১৮] যেখানে রোগনির্ণয় নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য ও কার্যকারিতার স্তর অনুযায়ী পূর্বনির্ধারিত শ্রেণিতে[১৯] অথবা ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট নামে সাধারণ নির্ণয়ের মাধ্যমে দেওয়া যেতে পারে।[১৯] আইসিডি ১১ এ সিজোটাইপাল ব্যাধিকে ডিএসএম ৫ এর মতো ব্যক্তিত্বের ব্যাধির মধ্যে না রেখে প্রাথমিক সাইকোটিক ব্যাধির অধ্যায়ে স্থান দেওয়া হয়েছে।[২০] নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধির শ্রেণিগুলোকে একে, অপরের থেকে পৃথক করার ক্ষেত্রে স্বীকৃত নির্ণয়গত সমস্যা ও বিতর্ক রয়েছে।[২১]
ধারণাগত পদ্ধতি
[সম্পাদনা]ব্যক্তিত্বের ব্যাধির শ্রেণিবিন্যাস সাধারণত দুটি পথে দেখা হয়। একটি বিভাগভিত্তিক পদ্ধতি এবং একটি মাত্রাভিত্তিক পদ্ধতি। বিভাগভিত্তিক পদ্ধতি এসব ব্যাধিকে স্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব থেকে পৃথক স্বতন্ত্র সত্তা হিসেবে দেখে; বিপরীতে, মাত্রাভিত্তিক পদ্ধতি ধরে যে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি একটানা ধারায় বিদ্যমান, যেখানে বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকারের চেয়ে মাত্রায় ভিন্ন।[২২] এই মাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আরও সূক্ষ্ম উপলব্ধি ও নমনীয় রোগনির্ণয়ের সুযোগ দেয়। বিভাগভিত্তিক মডেলকে মাত্রাভিত্তিক পদ্ধতিতে রূপান্তরের দীর্ঘ প্রচেষ্টা চলছে।[২৩][২৪]
বিভাগভিত্তিক মডেলের সমালোচনার মধ্যে আছে পর্যাপ্ত প্রমাণের ঘাটতি[২৫], সহাব্যাধির অতিরিক্ত প্রাদুর্ভাব[২৩][২৪] যেখানে অনেক রোগীই আরও একটি ব্যক্তিত্বের ব্যাধির মানদণ্ড পূরণ করেন ।[২৬] একই বিভাগের ভেতরের বৈচিত্র্য[২৪] এবং কলঙ্ক সৃষ্টির প্রবণতা[২৩]। এএমপিডি (বিকল্প মডেল) সম্পর্কে বলা হয়েছে, [এ] ই সীমাবদ্ধতার ফলে, চিকিৎসাক্ষেত্রে অনেক রোগী একাধিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধির নির্ণয়, একটি 'অন্যথায় অনির্দিষ্ট' ব্যক্তিত্বের ব্যাধির নির্ণয়, অথবা কোনো ব্যক্তিত্বের ব্যাধির নির্ণয়ই পান না, যদিও তাদের উপসর্গের ব্যাখ্যায় ব্যক্তিত্বের ব্যাধির নির্ণয় প্রাসঙ্গিক ছিল"।[২৫]
এর প্রেক্ষিতে, মাত্রাভিত্তিক মডেলগুলো কার্যকারিতার তীব্রতা ও অসংগতিপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে।[২৩] সাম্প্রতিক গবেষণা ইঙ্গিত দেয়, এসব মাত্রিক মডেল নির্ণয়ের শ্রেণির বদলে অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্য মাত্রার সাথে চিকিৎসা ,কৌশল সমন্বয় করে মনোচিকিৎসাকে ব্যক্তিগতকরণে সহায়তা করতে পারে।[২৭] এই পরিবর্তন ডিএসএম ৫ এর তৃতীয় বিভাগে এএমপিডি অন্তর্ভুক্তি এবং আইসিডি ১১ এ মাত্রাভিত্তিক পদ্ধতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। ধারণা করা হয়, নতুন পদ্ধতিগুলো বিভাগভিত্তিক মডেলের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা দূর করবে,[২৪] চিকিৎসাগত উপযোগিতা বাড়াবে[২২] এবং সম্ভবত কলঙ্কও কমাবে,[২৩][২২] যদিও এখনো কলঙ্ক, নিষ্ক্রমণের উপর সরাসরি প্রভাবনির্ণায়ক গবেষণা হয়নি।[২২]
যাদের মধ্যে ব্যক্তিত্বের ব্যাধির মানদণ্ড পূরণ হতে পারে, অথবা যাদের পূর্বে এমন নির্ণয় হয়েছে, তাদের জীবনে মানসিক আঘাত, সম্পর্কিত ঘটনার হার অনেক সময় বেশি থাকে; তাই পর আঘাতজনিত মানসিক চাপজনিত ব্যাধি (পিটিএসডি) ও জটিল পিটিএসডি (সি–পিটিএসডি) ইত্যাদির পৃথকীকৃত নির্ণয়ও বিবেচ্য। একটি পিয়ার রিভিউ করা প্রবন্ধে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএসের) কিছু কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ফলাফল আলোচিত হয়েছে; মানসিক স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ, শিক্ষা এবং অনুশীলন জার্নাল' এ প্রকাশিত দারংকামাস, জে., ও সহলেখকদের (২০২০) সেই প্রবন্ধে ট্রমা সম্পর্কিত আবেগীয় নিয়ন্ত্রণ ও আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কের অসুবিধা, সংক্ষেপে টিয়েরিতে ভোগা ব্যক্তিদের সাথে কাজের জন্য কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ডিএসএম-৫
[সম্পাদনা]মানসিক ব্যাধির নির্ণয় ও পরিসংখ্যান নির্দেশিকার ডিএসএম ৫ সংস্করণে বলা হয়েছে, ব্যক্তিত্বের ব্যাধি হলো দীর্ঘস্থায়ী ও অনমনীয় আচরণ ধারা, যা উল্লেখযোগ্য কষ্ট বা কার্যকারিতার ব্যাঘাত ঘটায় এবং যা কোনো মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বা অন্য শারীরিক অবস্থার ফল নয়। ডিএসএম ৫ ব্যক্তিত্বের ব্যাধি গুলোকে অন্যান্য মানসিক ব্যাধির মতোই তালিকাভুক্ত করেছে; আগের মতো আলাদা ‘অক্ষ’ ব্যবস্থায় নয়।[২৮] ডিএসএম ৫ দশটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধি তালিকাভুক্ত করেছে:
- প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- সিজয়েড ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- সিজোটাইপাল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- বিরোধী সামাজিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- সীমারেখা ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- প্রদর্শনধর্মী (হিস্ট্রিয়োনিক) ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- আত্মমুগ্ধ (নার্সিসিস্টিক) ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- পরিহারী ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- নির্ভরশীল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি এবং
- আবেশ–জবরতা (ওসিপিডি) ব্যক্তিত্বের ব্যাধি।[২৯]
ডিএসএম ৫ এবং এর সাম্প্রতিক সংস্করণ ডিএসএম ৫ টিআর সাধারণ ব্যক্তিত্বের ব্যাধির জন্য একটি সংজ্ঞা ও ছয়টি নির্ণায়ক দিয়েছে। এর দশটি ব্যক্তিত্বের ব্যাধি যেকোনো একটির নির্ণয়ের ক্ষেত্রে[৩০] এই সাধারণ সংজ্ঞা প্রযোজ্য, যার জন্য পৃথকীকৃত নির্ণয় (ডিফারেনশিয়াল রোগ নির্ণয়) করতে হয়। অর্থাৎ নিশ্চিত করতে হয় যে সমস্যাটি অন্য কোনো মানসিক ব্যাধি, শারীরিক অবস্থা বা মাদকদ্রব্যের প্রভাব নয়; এটি সময়ের সাথে স্থিতিশীল এবং ব্যক্তিগত ও সামাজিক নানা পরিস্থিতিতে অনমনীয় ও বিস্তৃত, যার প্রবণতা কমপক্ষে কৈশোর বা প্রাপ্তবয়স্কতার শুরু থেকেই সুস্পষ্ট।
উপরন্তু, সমস্যাটি অবশ্যই কার্যকারিতার চারটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত দুটিতে স্পষ্ট হবে:
নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধি গুলো বর্ণনাগত সাদৃশ্যের ভিত্তিতে তিনটি গুচ্ছে ( ভাগ করা হয়েছে:
গুচ্ছ ক (অস্বাভাবিক বা খামখেয়ালী)
[সম্পাদনা]এ গুচ্ছের ব্যক্তিদের মধ্যে সন্দেহপ্রবণতা দেখা দিতে পারে; তাদের কথাবার্তা, ভাবপ্রকাশ প্রায়ই অদ্ভুত বা খামখেয়ালী হওয়ায় অন্যদের বুঝতে অসুবিধা হয় এবং তারা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়া ও টিকিয়ে রাখতে অনিচ্ছুক, অসক্ষম হতে পারেন।[৩২]
- প্যারানয়েড – অন্যদের উদ্দেশ্যকে বিদ্বেষপূর্ণ ধরে নিয়ে অযৌক্তিক সন্দেহ ও অবিশ্বাসের ধারা।
- সিজয়েড – আবেগে শীতলতা, সামাজিক সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্নতা ও সীমিত আবেগ প্রকাশ।
- সিজোটাইপাল – সামাজিক মেলামেশায় তীব্র অস্বস্তি, সঙ্গে বিকৃত জ্ঞান ও উপলব্ধি।
শক্তিশালী প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, গুচ্ছ কের একটি ক্ষুদ্র অংশ, বিশেষত সিজোটাইপাল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি, সম্পন্ন ব্যক্তিরা, সিজোফ্রেনিয়া বা অন্যান্য সাইকোটিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। যাদের নিকটাত্মীয়দের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়া বা গুচ্ছ কের ব্যাধি আছে, তাদের ঝুঁকিও তুলনামূলক বেশি।[৩৩]
গুচ্ছ খ (নাটকীয়, আবেগপ্রবণ বা খাপছাড়া)
[সম্পাদনা]এ গুচ্ছের ব্যাধিগুলো নাটকীয়তা, আবেগপ্রবণতা, আত্মবিধ্বংসী বা অবোধ্য আচরণের ধারায় লক্ষণীয়।[৩২]
- বিরোধী সামাজিক – অন্যের অধিকার অগ্রাহ্য/লঙ্ঘনের প্রবণতা, সহানুভূতি, অনুশোচনার ঘাটতি, কৌশলী ও আবেগতাড়িত আচরণ।
- সীমারেখা – আবেগীয় অস্থিরতা, অনুপযুক্ত রাগ, পরিত্যক্ত হওয়ার ভয়, নির্ভরশীল আসক্তি, পরিবর্তিত সহানুভূতি,[৩৪] অবিশ্বাস এবং সম্পর্ক, আত্মপরিচয় ও আচরণে বিস্তৃত অস্থিরতা; প্রায়ই আত্ম, ক্ষতি ও আবেগতাড়িত কাজ (বেপরোয়া খরচ, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার, অতিরিক্ত খাওয়া ইত্যাদি)।
- প্রদর্শনধর্মী (হিস্ট্রিয়োনিক) – মনোযোগ আকর্ষণকারী আচরণের ধারা অতিরিক্ত আবেগ, প্রভাবিতকর বাচনভঙ্গি, অনুপযুক্ত প্রলোভন, প্রদর্শনবাদ ও আত্মকেন্দ্রিকতা।
- আত্মমুগ্ধ (নার্সিসিস্টিক) – অহমিকা, ঔদ্ধত্য, সমালোচনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া (ক্রোধ), অপ্রতিরোধ্য ঈর্ষা, প্রশংসার প্রয়োজন, প্রতারণামূলক, প্রতিহিংসামূলক প্রবণতা ও সহানুভূতির ঘাটতি (গুরুতর ক্ষেত্রে অনুশোচনাসহ অপরাধপ্রবণতা)।[৩৫]
গুচ্ছ গ (উদ্বিগ্ন বা ভয়ার্ত)
[সম্পাদনা]এ গুচ্ছের ব্যাধিগুলোতে উদ্বিগ্ন চিন্তা বা আচরণের ধারাবাহিকতা স্পষ্ট।[৩২]
- পরিহারী – সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, অযোগ্যতার ব্যাপক অনুভূতি ও নেতিবাচক মূল্যায়নের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
- নির্ভরশীল – অন্যের দ্বারা যত্ন পাওয়ার তীব্র মানসিক চাহিদা।
- আবেশ জবরতা (ওসিপিডি) – নিয়ম অনুশাসনে অতিরিক্ত কঠোরতা, নিখুঁততাবাদের প্রবণতা ও নিয়ন্ত্রণচেষ্টা যার ফলে অবসর/বন্ধুত্ব বিসর্জনও ঘটতে পারে (এটি অবসেসিভ কম্পালসিভ ব্যাধি থেকে পৃথক)।
অন্যান্য ব্যক্তিত্বের ব্যাধি
[সম্পাদনা]ডিএসএম ৫ এর ব্যক্তিত্বের ব্যাধি অধ্যায়ে এমন তিনটি অবস্থার জন্যও নির্ণায়ক আছে, যেগুলো উপরের দশটি শ্রেণিতে পড়ে না,[৩৬] কিন্তু ব্যক্তিত্বের ব্যাধির বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে:
- অন্য শারীরিক অবস্থাজনিত ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন – কোনো শারীরিক অবস্থার সরাসরি প্রভাবের কারণে ব্যক্তিত্বে স্থায়ী ব্যাঘাত।[৩৭]
- অন্যান্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধি – ব্যক্তিত্বের ব্যাধি আছে বলে নথিভুক্ত করতে হবে, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণিতে ফেলার কারণ (বিশেষ পার্থক্য) উল্লেখযোগ্য নয়/উপস্থিত নয়।[৩৬]
- অনির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধি – রোগী ব্যক্তিত্বের ব্যাধির লক্ষণ দেখায় ও কষ্ট/ব্যাঘাত ঘটে, কিন্তু চিকিৎসক কারণ উল্লেখ না করার সিদ্ধান্ত নেন অথবা সঠিক নির্ণয়ের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য অনুপস্থিত।[৩৬]
ডিএসএম–৫ বিকল্প মডেল
[সম্পাদনা]ব্যক্তিত্বের ব্যাধির জন্য বিকল্প ডিএসএম–৫ মডেল (এএমপিডি) নির্ণয়ের জন্য একটি মাত্রাভিত্তিক বিভাগভিত্তিক পদ্ধতি উপস্থাপন করে,[১৮] যা ডিএসএম–৫ এর দ্বিতীয় বিভাগ এবং আইসিডি–১০ এর মতো বিদ্যমান বিভাগভিত্তিক পদ্ধতির বিপরীত।[২৫] লক্ষ্য হলো বিভাগভিত্তিক পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাগুলো বিশেষ করে অতিরিক্ত সহাব্যাধি সম্পর্কিত অস্পষ্টতা সমাধান করা।[৩৮] এই মডেলে ব্যক্তিত্ব রোগতত্ত্বকে দুইটি ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিত্ব কার্যকারিতা (নির্ণায়ক ক) এবং রোগগত ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য (নির্ণায়ক খ)।[২৫]
ব্যক্তিত্ব কার্যকারিতা (নির্ণায়ক ক) আত্ম ও আন্তঃব্যক্তিক ডোমেইনে মূল্যায়িত হয়। ‘আত্ম’ ডোমেইনে পরিচয় ও স্বনির্দেশনা, আর ‘আন্তঃব্যক্তিক’ ডোমেইনে সহানুভূতি ও ঘনিষ্ঠতা অন্তর্ভুক্ত।[৩৯] চিকিৎসকেরা ‘লেভেল অব পার্সোনালিটি ফাংশনিং স্কেল’ (এলপিএফএস) ব্যবহার করে ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করেন স্কোর ০ (সামান্য, নেই) থেকে ৪ (চরম)।[৪০] নির্ণায়ক খ এ পাঁচটি রোগগত বৈশিষ্ট্য ডোমেইন ধরা হয়, যা রোগগত ব্যক্তিত্ব প্রকাশকে চিহ্নিত করে: নেতিবাচক আবেগপ্রবণতা, বিচ্ছিন্নতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, অসংযম এবং সাইকোটিসিজম।[৪১] প্রত্যেক ডোমেইন আবার ২৫টি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য উপাংশে বিভক্ত;[৪১] যেমন ‘‘অসংযম’’ ডোমেইনে ‘‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা’’ ও ‘‘ঝুঁকি নেওয়া’’।[২৫]
এএমপিডিতে ছয়টি নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধি ধরা হয়েছে, যা নির্ণায়ক ক ও খ এর মিলিত মানদণ্ডে সংজ্ঞায়িত;[২৫] এগুলো হলো: বিরোধী সামাজিক, পরিহারী, সীমারেখা, আত্মমুগ্ধ, আবেশ জবরতা (ওসিপিডি) এবং সিজোটাইপাল।[১৯] আদর্শ মডেলে থাকা চারটি বিভাগ (নির্ভরশীল, প্রদর্শনধর্মী , হিস্ট্রিয়োনিক, প্যারানয়েড ও সিজয়েড) এখানে বাদ পড়েছে।[৪২] যেসব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যাধির মানদণ্ড পূরণ না হলেও উল্লেখযোগ্য ক্ষতি আছে, তাদের জন্য ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট (পিডি টিএস) শিরোনাম ব্যবহার করা হয়; এখানে কার্যকরী ক্ষতি ও রোগগত বৈশিষ্ট্যের নির্দিষ্ট ধরণ নথিভুক্ত করা যায়।[৪৩]
নির্ণয়ের জন্য এএমপিডিতে প্রয়োজন, ব্যাঘাতটি নানা পরিস্থিতিতে পরিব্যাপ্ত ও সময়ের সঙ্গে স্থিতিশীল হতে হবে। সাধারণত কৈশোর বা প্রাথমিক প্রাপ্তবয়স্কতায় এর শুরু। ব্যাঘাতগুলো অন্য কোনো মানসিক ব্যাধি, মাদকদ্রব্যের ব্যবহার, শারীরিক অবস্থা, কিংবা বয়স উপযোগী বিকাশস্তর বা সমাজ সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট দ্বারা ভালোভাবে ব্যাখ্যাত হওয়া চলবে না।[৪০]
আইসিডি–১১
[সম্পাদনা]আইসিডি–১১ অনুযায়ী ব্যক্তিত্বের ব্যাধির শ্রেণিবিন্যাস[১৭][৪৪][৪৫] হলো মাত্রাভিত্তিক মডেলের বাস্তবায়ন অর্থাৎ ব্যক্তি ধারাবাহিক গুণলক্ষণ (ট্রেইট) মাত্রার ওপর মূল্যায়িত হন,[৪৬] যেখানে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি স্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব কার্যনের ধারাবাহিকতায় থাকা ট্রেইটগুলোর অননুকূল (ম্যালঅ্যাডাপটিভ) রূপের প্রতিফলন; শ্রেণিবিন্যাস করা হয় কার্যকারিতার ঘাটতির তীব্রতা ও প্রধান ট্রেইট ডোমেইন নির্দিষ্টকারকের ভিত্তিতে।[৪৬]
আইসিডি–১১ এ পূর্ববর্তী আইসিডি–১০ এর চেয়ে মৌলিক পরিবর্তন এসেছে;[৪৬] আলাদা আলাদা ব্যক্তিত্বের ব্যাধির বদলে একটিই নির্ণয় রাখা হয়েছে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি ( ৬ডি-১০ ), যা স্বল্পমাত্রার, মধ্যমাত্রার, তীব্র অথবা তীব্রতা অনির্দিষ্ট হিসেবে কোড করা যায়।[১৭] তীব্রতা নির্ধারিত হয় ব্যক্তি অনুভূত কষ্ট ও দৈনন্দিন কার্যাবলিতে প্রতিবন্ধকতার মাত্রা দিয়ে স্ব–কার্যনির্বাহ (স্ব–পরিচয়, আত্মমর্যাদা, স্ব-ধারণার যথার্থতা, স্বনির্দেশ) ও আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কে (ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইচ্ছা/সক্ষমতা, দ্বন্দ্ব সামলানো) অসুবিধা; সঙ্গে আচরণগত, জ্ঞানসংক্রান্ত ও আবেগীয় অসামঞ্জস্য।[১৭][৪৫]
এর বাইরে ব্যক্তিত্বের অসুবিধা (কিউই-৫০.৭) নামে অতিরিক্ত একটি শ্রেণি আছে, ব্যক্তিত্বগত এমন লক্ষণ বোঝাতে, যা সমস্যাজনক হলেও পিডির পূর্ণ মানদণ্ডে পড়ে না।[৪৭] কোনো ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বা ‘ডিফিকাল্টি’কে নিচের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য বা ধরণ ( ৬ডি-১১) গুলোর এক একাধিক দ্বারা নির্দিষ্ট করা যায়: নেতিবাচক আবেগপ্রবণতা, বিচ্ছিন্নতা, অসামাজিকতা, নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অ্যানানকাস্টিয়া।[৪৬] ট্রেইট নির্দিষ্টকারকের পাশাপাশি বর্ডারলাইন প্যাটার্ন ( ৬ডি-১১.৫ ) যা সীমারেখা ব্যক্তিত্বের ব্যাধি এর বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য নির্দিষ্ট করা যেতে পারে।[১৭]
আইসিডি–১১ অনুযায়ী নির্ণয়ের জন্য নিম্নের সব শর্ত পূরণ থাকা আবশ্যক:[৪৮]
- স্ব–কার্যনির্বাহ (যেমন: স্ব–পরিচয়, আত্মমর্যাদা, স্ব–ধারণার যথার্থতা, স্বনির্দেশ) এবং অথবা আন্তঃব্যক্তিক কার্যকারিতায় (যেমন: ঘনিষ্ঠ ও পারস্পরিক তৃপ্তিদায়ক সম্পর্ক গড়া বজায় রাখা, দৃষ্টিভঙ্গি, বুঝতে পারা, দ্বন্দ্ব, ব্যবস্থাপনা) দীর্ঘস্থায়ী ব্যাঘাত।
- ব্যাঘাতটি দীর্ঘসময় (সাধারণত কমপক্ষে ২ বছর) অব্যাহত।
- জ্ঞান, আবেগীয় অভিজ্ঞতা প্রকাশ ও আচরণে অননুকূল, অনমনীয় বা দুর্বলভাবে নিয়ন্ত্রিত ধরন হিসেবে ব্যাঘাতের প্রকাশ।
- ব্যাঘাতটি নানা ব্যক্তিগত সামাজিক পরিসরে দৃশ্যমান (নির্দিষ্ট সম্পর্ক ভূমিকায় সীমিত নয়); যদিও কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে নিয়মিতভাবে দেখা দিতে পারে।
- লক্ষণগুলো কোনো ওষুধ, পদার্থের প্রত্যক্ষ প্রভাব (উইথড্রয়ালসহ) বা অন্য মানসিক ব্যাধি, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ বা শারীরিক অবস্থার দ্বারা ভালোভাবে ব্যাখ্যাত নয়।
- ব্যাঘাতটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, শিক্ষাগত, পেশাগত বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কষ্ট, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
- আচরণ যদি বয়সোপযোগী (যেমন: কৈশোরে স্ব–পরিচয় গঠনের টানাপোড়েন) বা প্রধানত সামাজিক সাংস্কৃতিক উপাদান (সামাজিক রাজনৈতিক সংঘাতসহ) দ্বারা ব্যাখ্যাত হয়। তবে ব্যক্তিত্বের ব্যাধির নির্ণয় করা উচিত নয়।
আইসিডি–১০
[সম্পাদনা]আইসিডি–১০ এ সাধারণ নির্দেশিকায় উল্লেখ আছে:[৪৯]
- স্পষ্টতই বেসুরো (ডিশারমোনিয়াস) মনোভাব ও আচরণ, যা সাধারণত কার্যকারিতার একাধিক ক্ষেত্রে, আবেগীয়তা, উদ্দীপনা, আবেগ, নিয়ন্ত্রণ, উপলব্ধি ও চিন্তার ধরন, অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কের ধরন, প্রভাব ফেলে।
- অস্বাভাবিক আচরণ ধারা দীর্ঘস্থায়ী, বহুদিনের এবং কেবল মানসিক রোগের পর্বে সীমাবদ্ধ নয়।
- এই অস্বাভাবিক আচরণ, ধারা সর্বব্যাপী এবং বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও সামাজিক পরিসরে স্পষ্টভাবে অননুকূল।
- প্রকাশভঙ্গির শুরু সাধারণত শৈশব, কৈশোরে, যা প্রাপ্তবয়স্কজীবন পর্যন্ত অব্যাহত।
- ব্যাধিটি ব্যক্তিগতভাবে উল্লেখযোগ্য কষ্টের কারণ, যদিও তা অনেক সময় রোগক্রমের পরবর্তী পর্যায়ে প্রকট হয়।
- ব্যাধিটি প্রায়ই, তবে সবসময় নয়, পেশাগত ও সামাজিক কর্মদক্ষতায় উল্লেখযোগ্য সমস্যার সঙ্গে যুক্ত থাকে।
আইসিডির সংযোজন: ভিন্ন সংস্কৃতির জন্য সামাজিক নিয়ম, বিধি ও দায়িত্ব, সম্পর্কিত নির্দিষ্ট মানদণ্ড প্রণয়ন প্রয়োজন হতে পারে।[৪৯]
আইসিডি–১০ এর অধ্যায় ভি-তে মানসিক ও আচরণগত ব্যাধির মধ্যে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যক্তিত্ব, পরিবর্তনের শ্রেণিসমূহ রয়েছে। এগুলো এমন প্রোথিত (ইনগ্রেইন্ড) ধরন, অনমনীয়, অক্ষমতাজনিত প্রতিক্রিয়ায় চিহ্নিত, যা সংশ্লিষ্ট সংস্কৃতির গড় ব্যক্তির উপলব্ধি, চিন্তা, অনুভব ও বিশেষত সম্পর্ক স্থাপনের ধরন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন।[৫০]
নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধি সমূহ (এফ-৬০): প্যারানয়েড, সিজয়েড, অসামাজিক, আবেগগতভাবে অস্থিতিশীল (সীমারেখা ধরন ও আবেগপ্রবণ ধরন), প্রদর্শনধর্মী, আনানকাস্টিক, উদ্বিগ্ন (পরিহারী) এবং নির্ভরশীল।[৫১] একই শ্রেণিতে অন্যান্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধি ও আছে (যার মধ্যে অদ্ভুত আচরণ, হাল্টলোসে, অপরিণত, আত্মমুগ্ধ, নিষ্ক্রিয় আক্রমণাত্মক বা সাইকোনিউরোটিক বৈশিষ্ট্যবিশিষ্ট পিডি অন্তর্ভুক্ত) এবং অনির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধি (যার মধ্যে “চরিত্র নিউরোসিস” ও “রোগগত ব্যক্তিত্ব” অন্তর্ভুক্ত)।
নির্দিষ্ট পিডি গুলোর পাশাপাশি আরও দুটি শ্রেণি রয়েছে:
- মিশ্র এবং অন্যান্য ব্যক্তিত্বের ব্যাধি (এফ-৬১)— লক্ষণসমূহ ঝামেলাপূর্ণ হলেও কোনো নামযুক্ত ব্যাধির নির্দিষ্ট ধরন স্পষ্ট নয়।
- মস্তিষ্কের ক্ষতি এবং রোগের কারণে নয়, স্থায়ী ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন (এফ-৬২)— প্রাপ্তবয়স্কদের দীর্ঘস্থায়ী ব্যক্তিত্ব, পরিবর্তন, যা পূর্বে পিডির নির্ণয় ছাড়াই কোনো বিপর্যয়কর, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ বা অন্যান্য মনোরোগ, পরবর্তী অবস্থায় উদ্ভূত হয়।
অন্যান্য ব্যক্তিত্বপ্রকার ও মিলনের ব্যাখ্যা
[সম্পাদনা]কিছু নির্ণায়ক ম্যানুয়ালের পূর্ববর্তী সংস্করণে যে ব্যক্তিত্বের ব্যাধির ধরনগুলো ছিল, পরবর্তী সময়ে সেগুলোর কয়েকটি বাদ পড়ে। উদাহরণ: সাদিস্টিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি নিষ্ঠুর, অবমাননাকর ও আক্রমণাত্মক আচরণের ধারাবাহিকতা; এবং স্ব–পরাজয়ী ম্যাসোকিস্টিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি যেখানে আচরণ ধারাবাহিকভাবে ব্যক্তির আনন্দ ও লক্ষ্যকে খর্ব করে। এগুলো ডিএসএম–৩ আর এর পরিশিষ্টে অধিক গবেষণার প্রয়োজন শ্রেণিতে প্রস্তাবিত ছিল; সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড দেওয়া হয়নি।[৫২]
- মনোবিজ্ঞানী থিওডোর মিলন যিনি ব্যক্তিত্বের ব্যাধি নিয়ে বিস্তর কাজ করেছেন। এবং অন্যান্য গবেষকেরা মনে করেন, কিছু অবমূল্যায়িত নির্ণয়ও যথেষ্ট বৈধ হতে পারে; পাশাপাশি তাঁরা স্বীকৃত নির্ণয়গুলোর ভিন্ন শ্রেণির বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণসহ অতিরিক্ত ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বা উপধরনের প্রস্তাবও দিতে পারেন।[৫৩]
অতিরিক্ত বিষয়াবলি
[সম্পাদনা]শ্রেণি (শ্রেণিবিভাগ) ও গুচ্ছ (ক্লাস্টার) ভিত্তিক বিন্যাসের পাশাপাশি, তীব্রতা, সামাজিক কার্যকারিতার ওপর প্রভাব এবং আত্রিবিউশন ইত্যাদি অতিরিক্ত উপাদানের ভিত্তিতেও ব্যক্তিত্বের ব্যাধি শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে।[৫৪]
উপস্থাপন
[সম্পাদনা]সহাবস্থান (কো-অকারিং)
[সম্পাদনা]ব্যক্তিত্বের ব্যাধির সঙ্গে অন্য ধরণের উপসর্গের সহাবস্থান (কো-অকারিং) একটি সাধারণ ঘটনা। ডিএসএম-IV-টিআর মানদণ্ডে কোনো এক ব্যক্তিত্বের ব্যাধির জন্য উপযুক্ত এমন রোগীরা প্রায়ই আরেকটি ব্যক্তিত্বের ব্যাধির মানদণ্ডও পূরণ করে থাকেন।[৫৫] সাইকোটিক, আবেগজনিত (অ্যাফেকটিভ) এবং উদ্বেগজনিত ব্যাধির সহাবস্থান ব্যক্তিত্বের ব্যাধির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ; ফলে ব্যক্তিত্বের ব্যাধির নির্ণয় এড়িয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। নির্ণায়ক শ্রেণিসমূহ আলাদা আলাদা ব্যক্তিত্ব ধরনের স্পষ্ট ও জীবন্ত বর্ণনা দিলেও, বাস্তব রোগীর ব্যক্তিত্ব গঠনকে অনেক সময় অননুকূল ব্যক্তিত্ব ট্রেইটগুলোর এক নক্ষত্রপুঞ্জ (কনস্টেলেশন) হিসেবে বর্ণনা করা অধিক যথার্থ।
| ব্যক্তিত্বের ব্যাধির ধরন | পিপিডি | এসজেডপিডি | এসটিপিডি | এএসপিডি | বি পিডি | এইচপিডি | এনপিডি | এভিপিডি | ডিপিডি | ওসিপিডি | পিএপিডি |
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| প্যারানয়েড (পিপিডি) | — | ৮ | ১৯ | ১৫ | ৪১ | ২৮ | ২৬ | ৪৪ | ২৩ | ২১ | ৩০ |
| স্কিজয়েড (এসজেডপিডি) | ৩৮ | — | ৩৯ | ৮ | ২২ | ৮ | ২২ | ৫৫ | ১১ | ২০ | ৯ |
| স্কিজোটাইপাল (এসটিপিডি) | ৪৩ | ৩২ | — | ১৯ | ৪ | ১৭ | ২৬ | ৬৮ | ৩৪ | ১৯ | ১৮ |
| বিরুদ্ধ-সামাজিক (এএসপিডি) | ৩০ | ৮ | ১৫ | — | ৫৯ | ৩৯ | ৪০ | ২৫ | ১৯ | ৯ | ২৯ |
| বর্ডারলাইন (বি পিডি) | ৩১ | ৬ | ১৬ | ২৩ | — | ৩০ | ১৯ | ৩৯ | ৩৬ | ১২ | ২১ |
| হিস্ট্রিওনিক (এইচপিডি) | ২৯ | ২ | ৭ | ১৭ | ৪১ | — | ৪০ | ২১ | ২৮ | ১৩ | ২৫ |
| নার্সিসিস্টিক (এনপিডি) | ৪১ | ১২ | ১৮ | ২৫ | ৩৮ | ৬০ | — | ৩২ | ২৪ | ২১ | ৩৮ |
| পরিহারপ্রবণ (এভিপিডি) | ৩৩ | ১৫ | ২২ | ১১ | ৩৯ | ১৬ | ১৫ | — | ৪৩ | ১৬ | ১৯ |
| নির্ভরশীল (ডিপিডি) | ২৬ | ৩ | ১৬ | ১৬ | ৪৮ | ২৪ | ১৪ | ৫৭ | — | ১৫ | ২২ |
| আবেশ–বাধ্যতামূলক (ওসিপিডি) | ৩১ | ১০ | ১১ | ৪ | ২৫ | ২১ | ১৯ | ৩৭ | ২৭ | — | ২৩ |
| নিষ্ক্রিয়–আক্রমণাত্মক (পিএপিডি) | ৩৯ | ৬ | ১২ | ২৫ | ৪৪ | ৩৬ | ৩৯ | ৪১ | ৩৪ | ২৩ | — |
গবেষণা সাইটগুলো ডিএসএম-III-আর মানদণ্ড সেট ব্যবহার করেছে। ডেটা সংগৃহীত হয়েছে ডিএসএম-IV-টিআর এর ব্যক্তিত্বের ব্যাধির নির্ণায়ক মানদণ্ড প্রণয়নে তথ্য দেওয়ার উদ্দেশ্যে।
ব্যবহৃত সংক্ষিপ্ত রূপসমূহ:
- পিপিডি – প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- এসজেডপিডি – স্কিজয়েড ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- এসটিপিডি – স্কিজোটাইপাল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- এএসপিডি – বিরুদ্ধ-সামাজিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- বি পিডি – বর্ডারলাইন ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- এইচপিডি – হিস্ট্রিওনিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- এনপিডি – নার্সিসিস্টিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- এভিপিডি – পরিহারপ্রবণ ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- ডিপিডি – নির্ভরশীল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- ওসিপিডি – আবেশ-জবরতা ব্যক্তিত্বের ব্যাধি,
- পিএপিডি – নিষ্ক্রিয়-আক্রমণাত্মক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি।
তিনটি ক্লাস্টারের প্রতিটি ব্যাধির মধ্যে যথাক্রমে জ্ঞানীয় (কগনিশন), আবেগ ও ইম্পালস নিয়ন্ত্রণ এবং আচরণগত রক্ষণ, নিষেধাজ্ঞা, এই ভিত্তিতে কিছু অভিন্ন আন্ডারলাইনিং স্পর্শকাতরতা থাকতে পারে। এগুলোর সঙ্গে কিছু সিন্ড্রোমাল মানসিক ব্যাধির স্পেকট্রাম সম্পর্কও থাকতে পারে:[৫৫]
- প্যারানয়েড, স্কিজয়েড বা স্কিজোটাইপাল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বিভ্রান্তিকর ব্যাধি বা সিজোফ্রেনিয়ার প্রিমরবিড পূর্বসূরি হিসেবে দেখা যেতে পারে।
- বর্ডারলাইন ব্যক্তিত্বের ব্যাধির সঙ্গে মুড ও উদ্বেগজনিত ব্যাধি, ইম্পালস কন্ট্রোল ডিসঅর্ডার সমূহ, ইটিং ডিসঅর্ডার্স, এডিএইচডি, এএসডি অথবা সাবস্ট্যান্স ইউজ ডিসঅর্ডারের সহাবস্থান দেখা যায়।
- পরিহারপ্রবণ ব্যক্তিত্বের ব্যাধির সঙ্গে সামাজিক উদ্বেগজনিত ব্যাধি সম্পর্কিত থাকতে পারে।
কার্যকারিতায় প্রভাব
[সম্পাদনা]সাধারণভাবে ধরে নেওয়া হয়, সব ব্যক্তিত্বের ব্যাধিই কার্যকারিতার ঘাটতি ও জীবনমান (কিউএল) হ্রাসের সঙ্গে যুক্ত; কারণ সেটিই মৌলিক নির্ণায়ক শর্ত। তবে গবেষণা বলছে, বিষয়টি সব ধরনের ব্যাধির ক্ষেত্রে সমানভাবে সত্য নাও হতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পরিহারপ্রবণ, নির্ভরশীল, স্কিজয়েড, প্যারানয়েড, স্কিজোটাইপাল ও বিরুদ্ধ সামাজিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে প্রতিবন্ধকতা বেশি এবং কিউএল কম। এই সম্পর্কটি বিশেষত পরিহারপ্রবণ, স্কিজোটাইপাল ও বর্ডারলাইন ব্যাধিতে শক্তিশালী। সমাজে খাপ খাওয়াতে না পারা, বিশেষ করে বর্ডারলাইন ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে আত্মহত্যার উচ্চ ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিতে পারে; তবে চিকিৎসার মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো সম্ভব।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] অন্যদিকে, আবেশ বাধ্যতামূলক ব্যক্তিত্বের ব্যাধির সঙ্গে কিউএল হ্রাস বা প্রতিবন্ধকতা বৃদ্ধির সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। একটি ভবিষ্যৎমুখী গবেষণায় দেখা গেছে ১৫ বছর পরে অধিকাংশ ব্যক্তিত্বের ব্যাধির সঙ্গে উল্লেখযোগ্য প্রতিবন্ধকতা যুক্ত থাকলেও, আবেশ বাধ্যতামূলক এবং নার্সিসিস্টিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে তা ব্যতিক্রম।[৫৬]
আরেক গবেষণায় “জীবনের সাফল্য” (সমাজে অবস্থান, সম্পদ, এবং সফল অন্তরঙ্গ সম্পর্ক) সূচকের কিছু দিক পরীক্ষা করা হয়। সেখানে স্কিজোটাইপাল, বিরুদ্ধ সামাজিক, বর্ডারলাইন ও নির্ভরশীল ব্যাধিতে তুলনামূলক দুর্বলতা দেখা যায়; স্কিজয়েড ব্যাধিতে এই সূচকে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল। প্যারানয়েড, হিস্ট্রিওনিক ও পরিহারপ্রবণ ব্যাধি গড়পড়তা ছিল। তবে নার্সিসিস্টিক ও আবেশ বাধ্যতামূলক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি উচ্চ কার্যকারিতা দেখায় এবং জীবনের সাফল্যের উল্লিখিত দিকগুলোতে তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক অবদান রাখে বলে প্রতীয়মান হয়।[১১] এছাড়া নির্ণায়ক মানদণ্ডের সংখ্যার সঙ্গে জীবনমানের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রতিটি অতিরিক্ত ব্যক্তিত্বের ব্যাধির মানদণ্ড পূরণ হলে জীবনমানে ক্রমহ্রাস ঘটে।[৫৭] আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, নেগেটিভ অ্যাফেকটিভিটি আত্মহত্যাচেষ্টার পূর্বাভাস দেয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ব্যক্তিত্বের ব্যাধি, বিশেষত নির্ভরশীল, নার্সিসিস্টিক ও স্যাডিস্টিক ব্যাধি, বিভিন্ন ধরনের বিপরীতমুখী কাজের আচরণ -কে (যেমন জ্ঞান, লুকানো ও জ্ঞান-ধ্বংসাত্মক আচরণ) উৎসাহিত করতে পারে।[৫৮]
কর্মস্থলে
[সম্পাদনা]ব্যক্তিত্বের ব্যাধি নির্ণয়, তীব্রতা, ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য ও কর্মপরিবেশের প্রেক্ষিতে ভিন্নভাবে কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতাকে প্রভাবিত করতে পারে। কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক, যোগাযোগ বা চাপ-পরিচালনায় অসুবিধা দেখা দিতে পারে, যা কর্মক্ষেত্রের গতিশীলতায় প্রভাব ফেলে।[৫৯][৬০] ব্যক্তিত্ব সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্যের প্রত্যক্ষ প্রভাবের পাশাপাশি সহাবস্থানকারী মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যা, শিক্ষাগত চ্যালেঞ্জ বা বহিরাগত জীবনের চাপের মতো পরোক্ষ উপাদানও চাকরির পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে।[৬১][৬২]
চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, ব্যক্তিত্বের ব্যাধি সম্বলিত ব্যক্তি কর্পোরেট জগতে উচ্চ পর্যায়ের পদেও থাকতে পারেন। ২০০৫ সালে এবং আবার ২০০৯ সালে, যুক্তরাজ্যের সারে বিশ্ববিদ্যালয় এর মনোবিজ্ঞানী বেলিন্ডা বোর্ড ও ক্যাটারিনা ফ্রিটজন উচ্চপদস্থ ব্রিটিশ নির্বাহীদের সাক্ষাৎকার ও ব্যক্তিত্ব-পরীক্ষা নিয়ে তাদের প্রোফাইলকে যুক্তরাজ্যের ব্রডমুর হাসপাতাল এর অপরাধী মনোরোগীদের সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁরা দেখতে পান, এগারোটি ব্যক্তিত্বের ব্যাধির মধ্যে তিনটি হিস্ট্রিওনিক, নার্সিসিস্টিক এবং আবেশ বাধ্যতামূলক ‘বিক্ষিপ্ত অপরাধীদের’ তুলনায় নির্বাহী পর্যায়ে বেশি দেখা যায়।[৬৩] নেতৃত্ববিষয়ক গবেষক ম্যানফ্রেড এফ.আর. ক্যাচ দ্য ফ্রস্ট এর মতে, শীর্ষ ব্যবস্থাপনায় কিছু ব্যক্তিত্বের ব্যাধির উপস্থিতি প্রায় অবশ্যম্ভাবী।[৬৪]
সমস্যা
[সম্পাদনা]শিশু ও কৈশোরে
[সম্পাদনা]শিশুদের ক্ষেত্রে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি নির্ণয় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করা হয়। শৈশব ও কৈশোরে ব্যক্তিত্ব গুণলক্ষণ গঠনের প্রক্রিয়া চলতে থাকে, একই সাথে জ্ঞানীয় ও আবেগীয় বিকাশও অব্যাহত থাকে। তদুপরি, কোনো শিশুকে ব্যক্তিত্বের ব্যাধির নির্ণয় দেওয়া হলে সেটির সঙ্গে একটি বড় ধরনের সামাজিক কলঙ্ক জড়িয়ে যায়, যা শিশুর পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হতে পারে।[৬৫] তাই আনুষ্ঠানিক নির্ণয়ে একমাত্র জোর না দিয়ে, চিকিৎসক ও গবেষকেরা প্রায়ই এমন প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্তকরণের ওপর গুরুত্ব দেন , যেসব অঅনুকূল (ম্যালঅ্যাডাপটিভ) আচরণ, প্যাটার্ন সময়ের সাথে স্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। ব্যক্তিত্বের ব্যাধির প্রারম্ভিক ধাপ ও প্রাথমিক রূপে বহুমাত্রিক ও প্রারম্ভিক চিকিৎসা-পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। ব্যক্তিত্ব বিকাশের ব্যাধিকে প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে দেখা দেওয়া ব্যক্তিত্বের ব্যাধির শৈশবকালীন ঝুঁকি কারক বা প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ ছাড়া, রবার্ট এফ. ক্রুগার এর পর্যালোচনায় তাদের গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে কিছু শিশু ও কিশোর-কিশোরী চিকিৎসাগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিত্বের ব্যাধির অনুরূপ সিন্ড্রোমে ভোগে, এবং এসব সিন্ড্রোম অর্থবহ সহসম্পর্ক দেখায় ও পরিণামদায়ক। এ সংক্রান্ত গবেষণার বড় অংশই দ্বিতীয় অক্ষ এ বর্ণিত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিত্বের ব্যাধির নির্মাণ (কনস্ট্রাক্ট) অনুসরণে সাজানো হয়েছে (ডায়াগনস্টিক এবং পরিসংখ্যান ম্যানুয়াল) । ফলে তারা তাদের পর্যালোচনার শুরুতে যে প্রথম ঝুঁকির কথা বলেছিলেন, অর্থাৎ তরুণদের মধ্যে পিডি কনস্ট্রাক্ট ব্যবহারে চিকিৎসক ও গবেষকেরা একেবারে এড়িয়ে যাচ্ছেন সে ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম। তবে দ্বিতীয় ঝুঁকিযে বিকাশগত প্রেক্ষাপটে এসব সিন্ড্রোম ঘটে সেটিকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন না করা তার মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ পিডি কনস্ট্রাক্ট সময়ের সাথে ধারাবাহিকতা দেখালেও, সেগুলো সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে পূর্বাভাস দেয়; পিডিসদৃশ উপসর্গ দেখা দেওয়া সব তরুণ, তরুণীই পরবর্তীতে প্রাপ্তবয়স্ক পিডি কেস হয়ে ওঠে না।[৬৬]
অভিজ্ঞতার প্রতি উন্মুক্ততা
[সম্পাদনা]অভিজ্ঞতার প্রতি উন্মুক্ততার অন্তত তিনটি দিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বোঝার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক: জ্ঞানীয় বিকৃতি (জ্ঞানোন্মোচনগত বিকৃতি), অন্তর্দৃষ্টির ঘাটতি (অর্থাৎ নিজের মানসিক অসুস্থতা শনাক্ত করার সক্ষমতা) এবং আবেগপ্রবণতা (আকস্মিকতা)। অতিরিক্ত উন্মুক্ততার সঙ্গে যুক্ত যে সমস্যা সামাজিক বা পেশাগত কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত কল্পনা প্রবণতা, অদ্ভুত চিন্তাভাবনা, অস্পষ্ট বিচ্ছুরিত পরিচয়বোধ, অস্থির লক্ষ্য এবং সমাজের চাহিদার সঙ্গে অসঙ্গতি।[৬৭]
উচ্চ উন্মুক্ততা সিজোটাইপাল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি এ (অদ্ভুত ও খণ্ডিত চিন্তা), নার্সিসিস্টিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি এ (অতিরঞ্জিত আত্ম-মূল্যায়ন) এবং প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের ব্যাধি এ (বহির্জগতের শত্রুভাবাপন্নতার প্রতি অতিসংবেদনশীলতা) বেশি দেখা যায়। আর অন্তর্দৃষ্টি ঘাটতি (কম উন্মুক্ততা নির্দেশ করে) সব ব্যক্তিত্বের ব্যাধিরই সাধারণ বৈশিষ্ট্য এবং এটি অঅনুকূল আচরণ প্যাটার্নের স্থায়িত্ব ব্যাখ্যা করতে সহায়তা করতে পারে।[৬৮]
কম উন্মুক্ততার সঙ্গে যুক্ত সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে অসুবিধা, ভিন্ন জীবনদর্শন/জীবনধারার প্রতি কম সহনশীলতা, আবেগীয় সমতলতা, অ্যালেক্সিথিমিয়া এবং আগ্রহের ক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা।[৬৭] ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে (কম) উন্মুক্ততার সবচেয়ে দৃশ্যমান দিক হলো অনমনীয়তা রিজিডিটি যা নিজের আবেগীয় অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জ্ঞানের ঘাটতিকে ইঙ্গিত করে। এটি অবসেসিভ কম্পালসিভ পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে সবচেয়ে প্রবল; এর বিপরীতধর্মী প্রকাশ এখানে আবেগপ্রবণতা (উন্মুক্ততার এমন দিক যা অস্বাভাবিক বা আত্মকেন্দ্রিক, অটিস্টিক আচরণপ্রবণতা দেখায়) তা স্কিজোটাইপাল ও সীমান্তরেখা ব্যক্তিত্বের ব্যাধি এ বেশি দেখা যায়।[৬৮]
কারণসমূহ
[সম্পাদনা]ব্যক্তিত্বের ব্যাধি জটিল অবস্থা, যা জিনগত, পরিবেশগত ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সম্মিলিত প্রভাবে বিকশিত হয়। বহু নির্ধারকের পারস্পরিক ক্রিয়ায় এগুলো গড়ে ওঠে বলে নির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করা কঠিন। পরিবেশগত উপাদানগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে, যেমন প্রসবপূর্ব অবস্থা, শৈশবকালীন ট্রমা, নির্যাতন, অবহেলা এবং অন্যান্য শৈশবের প্রতিকূল অভিজ্ঞতা । সম্ভাব্য জিনগত ও স্নায়ুজীববৈজ্ঞানিক কারণও শনাক্ত হয়েছে।
কার্যকারণ নিম্নরূপ শ্রেণিবদ্ধ করা যায়: প্রয়োজনীয় কারণ, যে উপাদানগুলো কোনো ঘটনার আগে উপস্থিত থাকতে হয় কিন্তু একা নিজেরা ব্যাধি ঘটাতে যথেষ্ট নয়; পর্যাপ্ত কারণ, যেগুলো অন্য উপাদানের উপস্থিতি ছাড়াই একাই প্যাথোলজি ঘটাতে সক্ষম; এবং অবদানমূলক কারণ যেগুলো ব্যাধির সম্ভাবনা বাড়ায়, কিন্তু একা নিজেরা না আবশ্যিক, না পর্যাপ্ত। সামাজিক অর্থনৈতিক উপাদান, শৈশবের ট্রমা বা অন্যান্য অপ্রতিকূল জীবনঘটনা ব্যক্তিত্বের ব্যাধির উত্থানে অবদান রাখতে পারে, তবে এগুলো চূড়ান্ত, নির্ণায়ক কারণ নয়।
জিনগত বিভ্রান্তিকরের সমস্যাটি ২০০৯ সালের এক পর্যালোচনায় মনোবিজ্ঞানী সোভেন টর্গারসেন ব্যাখ্যা করেছেন:[৬৯]
যদি পিতামাতারা তাদের সন্তানদের খারাপভাবে আচরণ করেন, এবং সন্তানরা ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, তাহলে তা অবশ্যই নির্দেশ করে না যে, তাদের প্রতি পিতামাতার আচরণই ব্যাধির বিকাশের কারণ। একটি বিকল্প ব্যাখ্যা হতে পারে যে, পিতামাতাদের নিজেদের কিছু ব্যক্তিত্বজনিত বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে, যা আংশিকভাবে জেনেটিক কারণে হতে পারে। এই জেনেটিকভাবে প্রভাবিত বৈশিষ্ট্যগুলি খারাপ প্যারেন্টিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে, যা প্যারেন্টিংয়ের উপর জেনেটিক প্রভাব ব্যাখ্যা করে। সন্তানরা এসব জেনেটিক বৈশিষ্ট্য উত্তরাধিকারসূত্রে লাভ করে এবং পরবর্তীতে ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। সুতরাং, ব্যক্তিত্বের ব্যাধি যে কোনো অবস্থাতেই বিকশিত হতে পারে, শিশু-কালের শর্তাবলীর ওপর নির্ভরশীল না হয়ে।[৭০]
যমজ (টুইন) গবেষণা বিজ্ঞানীদের জিন ও পরিবেশের প্রভাব মূল্যায়নে সহায়তা করে, বিশেষ করে, কোনো বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতার কতটা ‘‘ভাগ করা পরিবেশ’’ (যমজদের ভাগাভাগি প্রভাব যেমন বাবা-মা ও লালনপালন) এবং কতটা ‘‘ভাগাভাগি না করা পরিবেশ’’ (পরিমাপ ত্রুটি, দৈবতা, যমজদের ভিন্ন অসুস্থতা, মস্তিষ্কবৃদ্ধির দৈব পার্থক্য, ও যে সামাজিক অসামাজিক অভিজ্ঞতা কেবল এক যমজের হয়েছে) দ্বারা ব্যাখ্যাতা নির্ণয়ে।[৭১][৭২][৬৯]
শৈশব ও প্যারেন্টিং
[সম্পাদনা]প্রাথমিক শৈশবের অভিজ্ঞতা, বিশেষত প্রধান পরিচর্যাকারীদের (প্রাথমিক পরিচর্যাকারী) সঙ্গে সম্পর্ক ব্যক্তিত্ব গুণলক্ষণ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ। মনোবিশ্লেষণধর্মী তত্ত্বে বলা হয়, শৈশব ট্রমা ও প্রাথমিক সম্পর্কগুলো ব্যক্তিত্ব বিকাশে সমালোচনামূলক; তবে কোন বিশেষ শৈশব, অভিজ্ঞতাই বা সবচেয়ে প্রভাবশালীতা নিয়ে বিতর্ক আছে।
নির্যাতন ও অবহেলা
[সম্পাদনা]শিশুনির্যাতন ও অবহেলা প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বিকাশের ঝুঁকি-কারক হিসেবে ধারাবাহিকভাবে চিহ্নিত হয়েছে।[৭৩] আজীবন সাইকোপ্যাথোলজি প্রদর্শনকারী অংশগ্রহণকারীদের অতীত নির্যাতনের প্রত্যাবর্তনমূলক (রেট্রোস্পেকটিভ) বিবরণ বিশ্লেষণকারী এক গবেষণায় দেখা যায়, তাদের নির্যাতনের অভিজ্ঞতা ছিল। ৭৯৩ জন মা–শিশুকে নিয়ে আরেক গবেষণায় মায়েদের জিজ্ঞেস করা হয় তারা কি কখনো শিশুদের ওপর চিৎকার করেছেন, “ভালোবাসি না” বলেছেন বা বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন কি না। এ ধরনের মৌখিক নির্যাতন অভিজ্ঞ শিশুদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে বর্ডারলাইন, নার্সিসিস্টিক, আবেশ, বাধ্যতামূলক বা প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের ব্যাধির সম্ভাবনা, এমন অভিজ্ঞতা না থাকা শিশুদের তুলনায় তিন গুণ বেশি ছিল।[৭৪] যৌন নির্যাতন অভিজ্ঞ গোষ্ঠীতে সবচেয়ে ধারাবাহিকভাবে উচ্চ সাইকোপ্যাথোলজি দেখা গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাইকৃত শারীরিক নির্যাতন বিরুদ্ধ সামাজিক ও ইমপালসিভ আচরণ-বিকাশের সঙ্গে অত্যন্ত শক্তিশালী সহসম্পর্ক দেখায়। অন্যদিকে, অবহেলাজাত নির্যাতনের ফলে শৈশবে যে সাইকোপ্যাথোলজি দেখা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে তার আংশিক প্রশমন (আংশিক মওকুফ) লক্ষ্য করা গেছে।[৭৩]
প্যারেন্টিং ও অ্যাটাচমেন্ট
[সম্পাদনা]প্রমাণ দেখায়, পিতামাতার ব্যক্তিত্বগত সমস্যাকে কেন্দ্র করেই অনেক সময় ব্যক্তিত্বের ব্যাধির শুরু; এর ফলে সন্তানেরা প্রাপ্তবয়স্ক বয়সে উচ্চশিক্ষা, চাকরি লাভ ও নির্ভরযোগ্য সম্পর্ক স্থাপনে সমস্যায় পড়তে পারে। জিনগত বা মডেলিং প্রক্রিয়ায় শিশুরা এসব বৈশিষ্ট্য আত্মস্থ করতে পারে।[৭৫] দুর্বল প্যারেন্টিং ব্যক্তিত্বের ব্যাধির উপসর্গ বাড়াতে পারে বলেও প্রমাণ আছে।[৭৫] আরও নির্দিষ্টভাবে, মাতৃত্ব বন্ধনের ঘাটতির সঙ্গেও ব্যক্তিত্বের ব্যাধির সম্পর্ক পাওয়া গেছে। ১০০ জন সুস্থ ব্যক্তি ও ১০০ জন সীমান্তরেখা ব্যক্তিত্বের ব্যাধি রোগীর তুলনামূলক এক গবেষণায় দেখা যায় বিপিডি রোগীদের শিশু-কালে স্তন্যদান না পাওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি (বিপিডি-এ ৪২.৪% বনাম সুস্থ নিয়ন্ত্রণে ৯.২%)।[৭৬] গবেষকদের মতে, “স্তন্যদান মা–শিশু সম্পর্কের একটি প্রাথমিক সূচক হিসেবে কাজ করতে পারে, যা পরবর্তী জীবনের বন্ডিং ও অ্যাটাচমেন্টের জন্য প্রাসঙ্গিক।” আরও দেখা গেছে, অ্যাটাচমেন্টের দুটি চলক, মাতৃ উপস্থিতি ও নির্ভরযোগ্যতার সঙ্গে ব্যক্তিত্বের ব্যাধির নেতিবাচক সহসম্পর্ক আছে। এগুলো লালিত না হলে, পরে জীবনে অন্যান্য অ্যাটাচমেন্ট ও আন্তঃব্যক্তিক সমস্যা দেখা দেয়, যা শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিত্বের ব্যাধির উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।[৭৭]
পিতা–সন্তান পারস্পরিক ক্রিয়ার নেতিবাচক, বিকল ধারা বারবার পুনরাবৃত্ত হলে অনুকূল ব্যক্তিত্ব ট্রেইটের বিকাশ আরও দৃঢ় হয়। উদাহরণস্বরূপ, অসঙ্গত বা দণ্ডমূলক প্যারেন্টিং শিশুদের মধ্যে উদ্বিগ্ন বা পরিহারপ্রবণ আচরণ বাড়াতে পারে, যা পরে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।
জেনেটিক
[সম্পাদনা]বর্তমানে ব্যক্তিত্বের ব্যাধির বিকাশ বোঝার ক্ষেত্রে জেনেটিক গবেষণা পর্যাপ্ত নয়। তবু কিছু সম্ভাব্য ঝুঁকি কারক শনাক্তকরণের কাজ চলছে। গবেষকেরা আগ্রাসন, ভয় ও উদ্বেগের মতো বৈশিষ্ট্যের জেনেটিক প্রক্রিয়া অনুসন্ধান করছেন, যেগুলো নির্ণীত ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। ব্যাধি, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াগুলো নিয়েও আরও গবেষণা চলছে।[৭৮]
সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থা
[সম্পাদনা]আর্থ-সামাজিক অবস্থা (সামাজিক অর্থনৈতিক মর্যাদা) ব্যক্তিত্বের ব্যাধির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পিতামাতা, পাড়ার নিম্ন সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে ব্যক্তিত্বের ব্যাধির উপসর্গের শক্তিশালী সহসম্পর্ক লক্ষ করা গেছে।[৭৫] ২০১৫ সালে বন, (জার্মানি) থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণায় , যেখানে পিতামাতার সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থা ও সন্তানের ব্যক্তিত্ব তুলনা করা হয়েছিল দেখা যায়, উচ্চ সামাজিক অর্থনৈতিক পটভূমির শিশুদের পরোপকারিতা বেশি, ঝুঁকি-প্রীতি কম এবং সামগ্রিকভাবে বেশি বুদ্ধ্যঙ্ক থাকে।[৭৯] এসব বৈশিষ্ট্য পরবর্তী জীবনে ব্যক্তিত্বের ব্যাধির ঝুঁকি কম থাকার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে আটক হওয়া কিশোরীদের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, মানসিক সমস্যার সঙ্গে সামাজিক অর্থনৈতিক সমস্যার নেতিবাচক সহসম্পর্ক সবচেয়ে প্রবল।[৮০] আরও দেখা গেছে, সামাজিক বিশৃঙ্খলা ব্যক্তিত্বের ব্যাধির উপসর্গের সঙ্গে ধনাত্মক সহসম্পর্কযুক্ত।[৮১]
নিউরোবায়োলজিকাল
[সম্পাদনা]গবেষণা বলছে, ব্যক্তিত্বের ব্যাধিতে কয়েকটি মস্তিষ্কাঞ্চলে পরিবর্তন দেখা যায়; বিশেষত হিপোক্যাম্পাস প্রায় ১৮% পর্যন্ত ছোট, অ্যামিগডালার আকার ছোট, স্ট্রাইটাম,নিউক্লিয়াস অ্যাকাম্বেন্স এবং সিঙ্গুলাম কে সংযোগকারী স্নায়ুপথ গুলোর অকার্যকারিতা যেগুলো বহু ইন্দ্রিয় থেকে আগত তথ্যের ভিত্তিতে কীভাবে সাড়া দেওয়া হবে তার ফিডব্যাক লুপ নিয়ন্ত্রণ করে; ফলত যে আচরণ প্রকাশ পায় তা সামাজিক রীতিনীতি এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য ও উপযুক্তও নয়।[৮২][৮৩]
ব্যবস্থাপনা
[সম্পাদনা]পার্সোনালিটি ডিজ অর্ডার বা ব্যক্তিত্বের ব্যাধির ব্যবস্থাপনার মধ্যে সাইকোথেরাপিউটিক, আচরণগত এবং মাঝে মাঝে ফার্মাকোলজিক্যাল বা ঔষধ সংক্রান্ত হস্তক্ষেপের সমন্বয় জড়িত, যার লক্ষ্য হলো উপসর্গ কমানো, আন্তঃব্যক্তিক কার্যকারিতা উন্নত করা এবং জীবনের মান বৃদ্ধি করা। ব্যক্তিত্বের ব্যাধি গুলোর ভিন্নধর্মী প্রকৃতির কারণে, চিকিৎসার পদ্ধতিগুলো প্রায়শই ব্যক্তির নির্দিষ্ট রোগ নির্ণয়, তীব্রতা এবং সহ-অবস্থিত অন্যান্য অসুস্থতার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে বিভিন্ন নির্দিষ্ট তত্ত্ব বা থেরাপির ধারা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এগুলো সাইকোডাইনামিক কৌশল, অথবা কগনিটিভ বা বিহেভিওরাল কৌশলের উপর জোর দিতে পারে। ক্লিনিক্যাল практике, অনেক থেরাপিস্ট একটি 'সারগ্রাহী' বা মিশ্র পদ্ধতি ব্যবহার করেন, যেখানে তারা বিভিন্ন পদ্ধতির উপাদানগুলোকে প্রয়োজন অনুযায়ী একজন নির্দিষ্ট ক্লায়েন্টের জন্য ব্যবহার করেন। এছাড়াও প্রায়শই সাধারণ বিষয়গুলোর উপর জোর দেওয়া হয় যা কৌশলের ঊর্ধ্বে গিয়েও উপকারী বলে মনে হয়। এর মধ্যে রয়েছে থেরাপিস্টের গুণাবলী (যেমন বিশ্বাসযোগ্যতা, যোগ্যতা, যত্ন), ক্লায়েন্টকে প্রদত্ত প্রক্রিয়া (যেমন অসুবিধা এবং আবেগ প্রকাশ ও গোপন করার ক্ষমতা), এবং উভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য (যেমন পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং সীমানা নির্ধারণের লক্ষ্য)।
এএসপিডি এবং বিপিডি ব্যবস্থাপনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তৈরি চিকিৎসা নির্দেশিকাগুলো সহ-অবস্থিত রোগ নির্ণয়ের চিকিৎসার উপর জোর দেয়।[৮৪][৮৫] এভিপিডি,[৮৬] ডিপিডি,[৮৭][৮৮] এইচপিডি,[৮৯] এনপিডি,[৯০][৯১] ওসিপিডি,[৯২][৯৩] পিপিডি,[৯৪] এসজিপিডি,[৯৫] এবং এসটিপিডির[৯৬] চিকিৎসার ক্ষেত্রে সীমিত পরিমাণে প্রমাণ রয়েছে। উপরে উল্লিখিত ব্যক্তিত্বের ব্যাধি গুলোর ব্যবস্থাপনার মধ্যে ঔষধ এবং থেরাপি অন্তর্ভুক্ত।[৯৭]
| ক্লাস্টার | মস্তিষ্কের কর্মহীনতার জন্য প্রমাণ | জৈবিক চিকিৎসায় প্রতিক্রিয়া | মনোসামাজিক চিকিৎসায় প্রতিক্রিয়া |
|---|---|---|---|
| এ | সিজোটাইপ্যাল পার্সোনালিটির সাথে সিজোফ্রেনিয়ার সম্পর্কের প্রমাণ রয়েছে; এছাড়া অন্য কোনোটি জানা নেই। | সিজোটাইপ্যাল রোগীরা অ্যান্টিসাইকোটিক ঔষধে উন্নতি করতে পারে; এছাড়া অন্য ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়। | সিজয়েড এবং প্যারানয়েড পার্সোনালিটির ক্ষেত্রে দুর্বল। সিজোটাইপ্যাল পার্সোনালিটির ক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল। |
| বি | অ্যান্টিসোশ্যাল এবং বর্ডারলাইন পার্সোনালিটির জন্য ইঙ্গিতপূর্ণ প্রমাণ রয়েছে; এছাড়া অন্য কোনোটি জানা নেই। | অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টিসাইকোটিক অথবা মুড স্টেবিলাইজার বর্ডারলাইন পার্সোনালিটির জন্য সাহায্য করতে পারে; এছাড়া অন্য ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়। | অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটির ক্ষেত্রে দুর্বল। বর্ডারলাইন, নার্সিসিস্টিক এবং হিস্ট্রিয়োনিক পার্সোনালিটির ক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল। |
| সি | কোনোটিই জানা নেই। | সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। ঔষধ সহ-অবস্থিত উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। | এই ব্যাধিগুলোর জন্য সবচেয়ে সাধারণ চিকিৎসা। প্রতিক্রিয়া পরিবর্তনশীল। |
সাইকোথেরাপি
[সম্পাদনা]ব্যক্তিগত সাইকোথেরাপি চিকিৎসার একটি প্রধান অবলম্বন।[১০২] এর দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী (সংক্ষিপ্ত) উভয় রূপই রয়েছে। ব্যক্তিগত থেরাপির মধ্যে বিভিন্ন তত্ত্ব এবং থেরাপির ধারা ব্যবহৃত হয়। আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন এবং ককরেন উভয়ই বিপিডির চিকিৎসায় সাইকোথেরাপিকে কার্যকর বলে মনে করেছে।[১০৩][১০৪][১০৫]
প্রস্তাবিত নন-ফার্মাকোলজিক্যাল চিকিৎসাগুলোর মধ্যে রয়েছে এভিপিডির জন্য আচরণগত থেরাপি, কগনিটিভ থেরাপি, সংক্ষিপ্ত সাইকোডাইনামিক চিকিৎসা, স্কিমা থেরাপি, ক্রমবর্ধমান এক্সপোজার, সামাজিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ, সাইকোডাইনামিক সাইকোথেরাপি, এবং সাপোর্টিভ এক্সপ্রেসিভ সাইকোথেরাপি;[১০৬][৮৬] ডিপিডির জন্য স্পষ্টীকরণ ভিত্তিক সাইকোথেরাপি এবং কগনিটিভ থেরাপি;[৮৭][১০৭] এইচপিডির জন্য জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ঔষধ এবং সিবিটি বা দলগত থেরাপির মতো সাইকোথেরাপি;[১০৮][১০৯] এসজিপিডির জন্য সামাজিকীকরণ গ্রুপ এবং সাইকোডাইনামিক সাইকোথেরাপি;[৯৫] এসটিপিডির জন্য সামাজিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ;[১১০] এবং ওসিপিডির জন্য সাইকোডাইনামিক থেরাপি, কগনিটিভ থেরাপি, এবং র্যাডিকালি ওপেন ডায়ালেকটিক্যাল বিহেভিওর থেরাপি।[৯২][৯৩]
কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি
[সম্পাদনা]কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি (সিবিটি) হলো সাইকোথেরাপির একটি রূপ যা বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার, প্রধানত বিষণ্ণতা, পিটিএসডি, এবং উদ্বেগজনিত ব্যাধির উপসর্গ কমাতে লক্ষ্য রাখে।[১১১][১১২][১১৩]
কগনিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি জ্ঞানীয় বিকৃতি (চিন্তাভাবনা, বিশ্বাস এবং মনোভাব) এবং তাদের সাথে সম্পর্কিত আচরণগুলোকে চ্যালেঞ্জ ও পরিবর্তন করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যাতে আবেগিক নিয়ন্ত্রণ উন্নত করা যায় এবং ব্যক্তিকে সমস্যা মোকাবেলার জন্য মোকাবেলার কৌশল বিকাশে সহায়তা করা যায়।[১১২][১১৪] সিবিটি ব্যক্তিত্বের ব্যাধি গুলোতে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হয়, যা নেতিবাচক চিন্তার ধরণ এবং ত্রুটিপূর্ণ আচরণ ব্যবস্থাপনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এটি প্রমাণ ভিত্তিক এবং সাধারণত অ্যাভয়ডেন্ট, অবসেসিভ কম্পালসিভ এবং ডিপেন্ডেন্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধি গুলোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি প্যারানয়েড পিডির জন্যও প্রস্তাব করা হয়েছে।[৯৪]
ডায়ালেকটিক্যাল বিহেভিওর থেরাপি
[সম্পাদনা]ডায়ালেকটিক্যাল বিহেভিওর থেরাপি (ডিবিটি) একটি প্রমাণ ভিত্তিক[১১৫] সাইকোথেরাপি যা ব্যক্তিত্বের ব্যাধি এবং আন্তঃব্যক্তিক দ্বন্দ্বের চিকিৎসার প্রচেষ্টার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল।[১১৫] প্রমাণ থেকে জানা যায় যে ডিবিটি মুড ব্যাধি এবং আত্মহত্যার প্রবণতা চিকিৎসার পাশাপাশি আত্মক্ষতি এবং পদার্থ ব্যবহারের মতো আচরণগত ধরণ পরিবর্তনের জন্য কার্যকর হতে পারে।[১১৬] ডিবিটি এমন একটি প্রক্রিয়ায় বিকশিত হয়েছে যেখানে থেরাপিস্ট এবং ক্লায়েন্ট গ্রহণযোগ্যতা এবং পরিবর্তন ভিত্তিক কৌশল নিয়ে কাজ করে এবং অবশেষে সেগুলোকে ভারসাম্যপূর্ণ এবং সংশ্লেষিত করে যা থিসিস ও অ্যান্টিথিসিস এবং তারপর সংশ্লেষণের দার্শনিক দ্বন্দ্বমূলক প্রক্রিয়ার সাথে তুলনীয়।[১১৫] বিপিডির জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স রিভিউ বিপিডির উপসর্গের চিকিৎসায় ডিবিটির সুপারিশ করেছে।[৮৪]
মনোসামাজিক
[সম্পাদনা]ব্যক্তিত্বের ব্যাধির জন্য বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা ব্যবহৃত হয়:[১০২]
- পারিবারিক থেরাপি, দম্পতি থেরাপিসহ।
- পার্সোনালিটি ডিজ অর্ডারের জন্য দলগত থেরাপি সম্ভবত[কার মতে?] দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত চিকিৎসা। এএসপিডি বিরোধী সামাজিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধির জন্য, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স নির্দেশিকা উপসর্গগুলো ব্যবস্থাপনার জন্য কগনিটিভ এবং আচরণগত কৌশলের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে দলগত থেরাপির সুপারিশ করে।[৮৫]
- মনোশিক্ষা একটি অতিরিক্ত চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
- স্ব-সহায়ক দলগুলো ব্যক্তিত্বের ব্যাধির জন্য সম্পদ সরবরাহ করতে পারে।
- মিলিউ থেরাপি, এক ধরণের দল-ভিত্তিক আবাসিক পদ্ধতি, থেরাপিউটিক কমিউনিটি সহ ব্যক্তিত্বের ব্যাধির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে।
শৈশবে আচরণগত ব্যবস্থাপনা
[সম্পাদনা]পিতামাতার কৌশলগুলোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে প্রাথমিক হস্তক্ষেপ ত্রুটিপূর্ণ ব্যক্তিত্বের বিকাশের ঝুঁকি কমাতে পারে: শাস্তিমূলক পদ্ধতি প্রায়শই উদ্বেগ, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বা আগ্রাসনের কারণ হয়। শাস্তিমূলক শাসনের পরিবর্তে সহায়ক এবং কাঠামোগত পদ্ধতি স্বাস্থ্যকর আবেগিক বিকাশে সহায়তা করে। শর্তাধীন পুরস্কার পদ্ধতি অনুমোদনের উপর নির্ভরতা বাড়াতে পারে। স্বায়ত্তশাসন এবং আত্ম-মূল্যের উৎসাহের সাথে পুরস্কারের ভারসাম্য বজায় রাখার সুপারিশ করা হয়। অসামঞ্জস্যপূর্ণ অভিভাবকত্ব বিভ্রান্তি এবং উদ্বেগের কারণ হয়। শাসনে ধারাবাহিকতা এবং কাঠামো অভিযোজিত আচরণগত ধরণ বিকাশে সহায়তা করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ফার্মাকোলজিক্যাল (ঔষধ সংক্রান্ত)
[সম্পাদনা]মনোরোগের ঔষধ ব্যক্তিত্বের ব্যাধির প্রাথমিক চিকিৎসা নয়, এবং এই উদ্দেশ্যে এর ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।[১১৯] তবে, এগুলো সহ-অবস্থিত উপসর্গ,[১১৯] যেমন উদ্বেগ, বিষণ্ণতা বা আবেগপ্রবণতা মোকাবেলার জন্য নির্ধারিত হতে পারে। সাধারণ ঔষধগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট (মনোভাব সম্পর্কিত উপসর্গের জন্য), অ্যাংজিওলাইটিক (স্বল্পমেয়াদী উদ্বেগের জন্য সতর্কতার সাথে ব্যবহৃত), এবং অ্যান্টিসাইকোটিক (গুরুতর জ্ঞানীয় বিকৃতি বা প্যারানয়েড চিন্তাভাবনার জন্য)। প্রস্তাব করা হয়েছে যে ফার্মাকোলজিক্যাল চিকিৎসার ভবিষ্যৎ উন্নয়ন এএমপিডি এবং আইসিডি-১১ শ্রেণীবিন্যাসের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোর চিকিৎসার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত।[১১৯]
জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ইনস্টিটিউট নির্দেশিকা এএসপিডি এবং বিপিডি, বা তাদের উপসর্গ এবং সম্পর্কিত আচরণের চিকিৎসার জন্য ঔষধ ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করে।[৮৫][৮৪] এএসপিডি-র জন্য ককরেন রিভিউ দেখেছে যে এএসপিডি-র চিকিৎসার জন্য ঔষধ বা থেরাপির ব্যবহারের জন্য কোনো ভালো মানের প্রমাণ নেই।[১২০][১২১] আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন এবং ককরেন উভয়ই দেখেছে যে বিপিডির চিকিৎসায় ঔষধ কার্যকর হওয়ার প্রমাণ দুর্বল।[১০৩][১০৪][১০৫] এসজিপিডির ক্ষেত্রে সিজোফ্রেনিয়ার মতো নেতিবাচক উপসর্গের চিকিৎসার জন্য ঔষধ প্রস্তাব করা হয়েছে।[৯৫] এসটিপিডির জন্য রিসপেরিডোন এবং ওলাঞ্জাপিন প্রস্তাব করা হয়েছে।[১১০]
ব্যক্তিত্বের ব্যাধি যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অ্যান্টিসাইকোটিকের উপকারের পক্ষে প্রমাণের অভাব সত্ত্বেও, যুক্তরাজ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় যাদের কোনো গুরুতর মানসিক অসুস্থতা নেই, তাদের মধ্যে প্রতি ৪ জনে ১ জনকে এটি প্রেসক্রাইব করা হয়। অনেক মানুষ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স নির্দেশিকার বিপরীতে, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ঔষধ গ্রহণ করে।[১২২][১২৩] ব্যক্তিত্বের ব্যাধির চিকিৎসার উদ্দেশ্যে কোনো ঔষধ ইউ.এস. ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্তৃক অনুমোদিত হয়নি।[১১৯]
মহামারীবিজ্ঞান
[সম্পাদনা]সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যক্তিত্বের ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু হওয়া সমীক্ষার আগে পর্যন্ত মূলত অজানা ছিল। ২০০৮ সালে তিনটি দেশের ছয়টি প্রধান গবেষণার উপর ভিত্তি করে, নির্ণয়যোগ্য পিডি-র মধ্যক হার ১০.৬% অনুমান করা হয়েছিল। প্রতি দশজনে প্রায় একজনের এই হার, বিশেষ করে কোকেনের উচ্চ ব্যবহারের সাথে সম্পর্কিত হওয়ায়, এটিকে একটি প্রধান জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে যা গবেষক এবং চিকিৎসকদের মনোযোগের দাবি রাখে।[১২৪] স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের ব্যাধি প্রাদুর্ভাব অবসেসিভ কম্পালসিভ, সিজোটাইপ্যাল, অ্যান্টিসোশ্যাল, বর্ডারলাইন এবং হিস্ট্রিয়োনিকের মতো সাধারণ প্রকারগুলোর জন্য প্রায় ২% থেকে ৮% পর্যন্ত এবং নার্সিসিস্টিক ও অ্যাভয়ডেন্টের মতো সর্বনিম্ন সাধারণ প্রকারগুলোর জন্য ০.৫–১% পর্যন্ত হতে পারে।[১২৫][৫৫]
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা ১৩টি দেশে ডিএসএম-৪ মানদণ্ড ব্যবহার করে পরিচালিত একটি স্ক্রিনিং সমীক্ষায় ২০০৯ সালে ব্যক্তিত্বের ব্যাধির প্রাদুর্ভাবের হার প্রায় ৬% বলে রিপোর্ট করা হয়েছিল। এই হার কখনও কখনও জনসংখ্যাতাত্ত্বিক এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক কারণগুলোর সাথে পরিবর্তিত হতো এবং কার্যক্ষমতার প্রতিবন্ধকতা আংশিকভাবে সহ-অবস্থিত মানসিক ব্যাধি দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।[১২৬] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ২০০১ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ন্যাশনাল কোমর্বিডিটি সার্ভে রেপ্লিকেশন থেকে প্রাপ্ত স্ক্রিনিং ডেটা এবং উত্তরদাতাদের একটি উপসেটের সাক্ষাৎকারের সমন্বয়ে, মোট ব্যক্তিত্বের ব্যাধির জন্য জনসংখ্যার প্রাদুর্ভাব প্রায় ৯% নির্দেশ করে। রোগ নির্ণয়ের সাথে সম্পর্কিত কার্যক্ষমতার অক্ষমতা মূলত সহ-অবস্থিত মানসিক ব্যাধি (ডিএসএম এর অ্যাক্সিস I) এর কারণে বলে মনে হয়েছিল।[১২৭] এই পরিসংখ্যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য গবেষণা দ্বারা সমর্থিত হয়েছে, এবং বিশ্বব্যাপী সামগ্রিক প্রাদুর্ভাবের পরিসংখ্যান ৯% থেকে ১১% পর্যন্ত রয়েছে।[১২৮][১২৯]
যুক্তরাজ্যের একটি জাতীয় মহামারীবিজ্ঞানীয় সমীক্ষা (ডিএসএম-৪ স্ক্রিনিং মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে), যা শুধুমাত্র রোগ নির্ণয়ের পরিবর্তে তীব্রতার স্তর অনুযায়ী পুনরায় শ্রেণীবিন্যাস করা হয়েছিল, ২০১০ সালে রিপোর্ট করে যে বেশিরভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিছু ব্যক্তিত্বের অসুবিধা প্রদর্শন করে (নির্ণয়ের সীমার নিচে), যেখানে সবচেয়ে জটিল এবং গুরুতর কেস (বিভিন্ন ক্লাস্টারে একাধিক নির্ণয়ের মানদণ্ড পূরণ সহ) প্রাদুর্ভাব ১.৩% অনুমান করা হয়েছিল। এমনকি ব্যক্তিত্বের উপসর্গের নিম্ন স্তরও কার্যক্ষমতার সমস্যার সাথে যুক্ত ছিল, তবে পরিষেবার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এমন গোষ্ঠীটি অনেক ছোট ছিল।[১৩০] ব্যক্তিত্বের ব্যাধি গুলো (বিশেষ করে ক্লাস্টার এ) গৃহহীন মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়।[১৩১]
ব্যক্তিত্বের ব্যাধির প্রাদুর্ভাবে কিছু লিঙ্গগত পার্থক্য রয়েছে যা নিচের সারণীতে দেখানো হয়েছে।[১৩২]:২০৬ কিছু ব্যক্তিত্বের ব্যাধি, বিশেষ করে বর্ডারলাইন পিডি এবং অ্যান্টিসোশ্যাল পিডির জ্ঞাত প্রাদুর্ভাব রোগ নির্ণয়ের পক্ষপাতিত্ব দ্বারা প্রভাবিত। এটি বর্ডারলাইন পিডি এবং অ্যান্টিসোশ্যাল পিডি-র প্রতি অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে উচ্চ গবেষণা, সামাজিক ও লিঙ্গগত স্টিরিওটাইপ এবং রোগ নির্ণয়ের হার ও প্রাদুর্ভাবের হারের মধ্যে সম্পর্কের মতো অনেক কারণের জন্য হয়।[১২৫] ডিএসএম-৫ থেকে ডিপ্রেসিভ পিডি, সেলফ ডিফিটিং পিডি, স্যাডিস্টিক পিডি এবং প্যাসিভ অ্যাগ্রেসিভ পিডি বাদ দেওয়ার পর থেকে, তাদের প্রাদুর্ভাব এবং জনসংখ্যাতাত্ত্বিক তথ্য বিশ্লেষণকারী গবেষণা সীমিত হয়েছে।
| ব্যক্তিত্বের ব্যাধির প্রকার | প্রধান লিঙ্গ | টীকা |
|---|---|---|
| প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | অমীমাংসিত | ক্লিনিক্যাল নমুনায় পুরুষদের হার বেশি, যেখানে মহামারীবিজ্ঞানগতভাবে মহিলাদের হার বেশি বলে জানা গেছে[৭০] যদিও প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের ব্যাধির বিতর্কের কারণে এই ফলাফলগুলোর উপযোগিতা বিতর্কিত[১২৫][১৩৩] |
| সিজয়েড ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | পুরুষ | পুরুষদের মধ্যে প্রায় ১০% বেশি সাধারণ[১৩৪] |
| সিজোটাইপ্যাল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | অমীমাংসিত | ডিএসএম-৫ অনুযায়ী এটি পুরুষদের মধ্যে কিছুটা বেশি সাধারণ, যদিও অন্যান্য ফলাফল মহিলাদের মধ্যে ৪.২% এবং পুরুষদের মধ্যে ৩.৭% প্রাদুর্ভাব নির্দেশ করে[১][১৩৫] |
| অ্যান্টিসোশ্যাল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | পুরুষ | পুরুষদের মধ্যে প্রায় তিনগুণ বেশি সাধারণ,[১৩৬] এবং কারাগারের জনসংখ্যায় হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি, কিছু ক্ষেত্রে প্রায় ৫০% পর্যন্ত[১৩৬] |
| বর্ডারলাইন ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | মহিলা | রোগ নির্ণয়ের হার মহিলাদের মধ্যে প্রায় তিনগুণ বেশি থেকে শুরু করে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সামান্য প্রাধান্য পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। এটি আংশিকভাবে মহিলাদের মধ্যে চিকিৎসা খোঁজার হার বৃদ্ধির জন্য দায়ী, যদিও এটি বিতর্কিত[১২৫][৭০] |
| হিস্ট্রিয়োনিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | সমান | প্রাদুর্ভাবের হার সমান, যদিও রোগ নির্ণয়ের হার মহিলাদের পক্ষে যেতে পারে[১৩৭][৭০][১২৫] |
| নার্সিসিস্টিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | পুরুষ | পুরুষদের জন্য ৭.৭%, মহিলাদের জন্য ৪.৮%[১৩৮][১৩৯] |
| অ্যাভয়ডেন্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | মহিলা | মহিলাদের মধ্যে ২.৮%, পুরুষদের মধ্যে ১.২%।[১২৫] |
| ডিপেন্ডেন্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | মহিলা | মহিলাদের মধ্যে ০.৬%, পুরুষদের মধ্যে ০.৪%।[৭০][১২৫] |
| ডিপ্রেসিভ ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | সমান[১৪০] | ডিএসএম-৫ এ আর উপস্থিত নেই এবং আর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় না[১] |
| প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | প্রযোজ্য নয় | ডিএসএম-৫ এ আর উপস্থিত নেই এবং আর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় না[১][১৪১] |
| অবসেসিভ-কম্পালসিভ ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | অমীমাংসিত | ডিএসএম-৫ পুরুষ-মহিলা অনুপাত ২:১ তালিকাভুক্ত করেছে, তবে অন্যান্য গবেষণায় সমান হার পাওয়া গেছে[১৪২] |
| সেলফ-ডিফিটিং ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | মহিলা[১৪৩] | ডিএসএম-৪ থেকে অপসারিত, ডিএসএম-৫ এ উপস্থিত নেই[১] |
| স্যাডিস্টিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি | পুরুষ[১৪৪] | ডিএসএম-৪ থেকে অপসারিত, ডিএসএম-৫ এ উপস্থিত নেই[১] |
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়ালের ইতিহাস
[সম্পাদনা]| ডিএসএম-১ | ডিএসএম-২ | ডিএসএম-৩ | ডিএসএম-৩-আর | ডিএসএম-৪(-টিআর) | ডিএসএম-৫ |
|---|---|---|---|---|---|
| অপর্যাপ্ত[ক] | অপর্যাপ্ত | বাদ দেওয়া হয়েছে[১৩২]:১৯ | — | — | — |
| সিজয়েড[ক] | সিজয়েড | সিজয়েড | সিজয়েড | সিজয়েড | সিজয়েড |
| সাইক্লোথাইমিক[ক] | সাইক্লোথাইমিক | পুনরায় শ্রেণীবদ্ধ[১৩২]:১৬, ১৯ | — | — | — |
| প্যারানয়েড[ক] | প্যারানয়েড | প্যারানয়েড | প্যারানয়েড | প্যারানয়েড | প্যারানয়েড |
| — | — | সিজোটাইপ্যাল | সিজোটাইপ্যাল | সিজোটাইপ্যাল | সিজোটাইপ্যাল[খ] |
| আবেগগতভাবে অস্থির[গ] | হিস্টেরিকাল[১৩২]:১৮ | হিস্ট্রিয়োনিক | হিস্ট্রিয়োনিক | হিস্ট্রিয়োনিক | হিস্ট্রিয়োনিক |
| — | — | বর্ডারলাইন[১৩২]:১৯ | বর্ডারলাইন | বর্ডারলাইন | বর্ডারলাইন |
| কম্পালসিভ[গ] | অবসেসিভ-কম্পালসিভ | কম্পালসিভ | অবসেসিভ-কম্পালসিভ | অবসেসিভ-কম্পালসিভ | অবসেসিভ-কম্পালসিভ |
| প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ, প্যাসিভ-ডিপেন্ডেন্ট উপপ্রকার[গ] |
বাদ দেওয়া হয়েছে[১৩২]:১৮ | ডিপেন্ডেন্ট[১৩২]:১৯ | ডিপেন্ডেন্ট | ডিপেন্ডেন্ট | ডিপেন্ডেন্ট |
| প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ, প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ উপপ্রকার[গ] |
প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ | প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ | প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ | বাদ দেওয়া হয়েছে[ঘ][১৪৫]:৬২৯ | — |
| প্যাসিভ-অ্যাগ্রেসিভ, অ্যাগ্রেসিভ উপপ্রকার[গ] |
— | — | — | — | — |
| — | বিস্ফোরক[১৩২]:১৮ | বাদ দেওয়া হয়েছে[১৩২]:১৯ | — | — | — |
| — | অ্যাস্থেনিক[১৩২]:১৮ | বাদ দেওয়া হয়েছে[১৩২]:১৯ | — | — | — |
| — | — | অ্যাভয়ডেন্ট[১৩২]:১৯ | অ্যাভয়ডেন্ট | অ্যাভয়ডেন্ট | অ্যাভয়ডেন্ট |
| — | — | নার্সিসিস্টিক[১৩২]:১৯ | নার্সিসিস্টিক | নার্সিসিস্টিক | নার্সিসিস্টিক |
| অ্যান্টিসোশ্যাল প্রতিক্রিয়া[ঙ] | অ্যান্টিসোশ্যাল | অ্যান্টিসোশ্যাল | অ্যান্টিসোশ্যাল | অ্যান্টিসোশ্যাল | অ্যান্টিসোশ্যাল |
| ডিসসোশ্যাল প্রতিক্রিয়া[ঙ] | — | — | — | — | — |
| যৌন বিচ্যুতি[ঙ] | পুনরায় শ্রেণীবদ্ধ[১৩২]:১৬, ১৮ | — | — | — | — |
| আসক্তি[ঙ] | পুনরায় শ্রেণীবিন্যাস[১৩২]:১৬, ১৮ | — | — | — | — |
| পরিশিষ্ট | |||||
| সেলফ ডিফিটিং | প্যাসিভ অ্যাগ্রেসিভ (নেগেটিভিস্টিক)[১৪৫]:৭৩৩ | ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বৈশিষ্ট্য নির্দিষ্ট[৪৩] | |||
| স্যাডিস্টিক | ডিপ্রেসিভ | ||||
সংযোজিত বাদ দেওয়া হয়েছে
- 1 2 3 4 ডিএসএম-১ পার্সোনালিটি প্যাটার্ন ডিস্টার্বেন্স উপবিভাগ।[১৩২]:১৬
- ↑ ব্যক্তিত্বের ব্যাধি ছাড়াও সিজোফ্রেনিয়া-স্পেকট্রাম ব্যাধি হিসেবেও শ্রেণীবদ্ধ।
- 1 2 3 4 5 ডিএসএম-১ পার্সোনালিটি ট্রেইট ডিস্টার্বেন্স উপবিভাগ।[১৩২]:১৬
- ↑ আনুষ্ঠানিক রোগ নির্ণয় থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং পরিশিষ্টে সরানো হয়েছে।
- 1 2 3 4 ডিএসএম-১ সোসিওপ্যাথিক পার্সোনালিটি ডিস্টার্বেন্স উপবিভাগ।[১৩২]:১৬
বিংশ শতাব্দীর পূর্বে
[সম্পাদনা]পার্সোনালিটি ডিজ অর্ডার শব্দটি একটি স্বতন্ত্র আধুনিক অর্থ বহন করে, যার আংশিক কারণ হলো এর ক্লিনিক্যাল ব্যবহার এবং আধুনিক মনোরোগবিদ্যার প্রাতিষ্ঠানিক চরিত্র। বর্তমানে গৃহীত অর্থটি ডিএসএম-৪ এবং এর পূর্বসূরীদের মতো ঐতিহাসিক পরিবর্তনশীল শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতির প্রেক্ষাপটে বুঝতে হবে। যদিও এটি অত্যন্ত কালানুক্রম বিবর্জিত এবং বিষয়গততা ও সামাজিক সম্পর্কের মৌলিক পার্থক্যকে উপেক্ষা করে, কেউ কেউ প্রাচীন গ্রিকদের সময়কাল পর্যন্ত ফিরে যাচ্ছি অন্যান্য ধারণার সাথে এর সাদৃশ্য প্রস্তাব করেছেন।[৪]:৩৫ উদাহরণস্বরূপ, গ্রিক দার্শনিক থিওফ্রাস্টাস ২৯টি 'চরিত্রের' প্রকারভেদ বর্ণনা করেছেন যা তিনি স্বাভাবিকের বিচ্যুতি হিসেবে দেখতেন, এবং এশীয়, আরবি এবং সেল্টিক সংস্কৃতিতেও একই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া গেছে। পশ্চিমা বিশ্বে একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ছিল গ্যালেনের ব্যক্তিত্বের প্রকারভেদের ধারণা, যা তিনি হিপোক্রেটিস কর্তৃক প্রস্তাবিত চারটি দৈহিক রসের সাথে যুক্ত করেছিলেন।
প্রাচীন ভারতে, মেজাজের ধারণাটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ধারণার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত ছিল, যা ব্যক্তিদেরকে তিনটি দোষ বাত, পিত্ত এবং কফ অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ করত। এই দোষগুলো, বা দৈহিক রস, শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যকেই নয়, একজন ব্যক্তির মানসিক এবং আবেগিক অবস্থাকেও প্রভাবিত করে বলে বিশ্বাস করা হতো। এই দোষগুলোর ভারসাম্যহীনতাকে আচরণগত অস্বাভাবিকতার কারণ বলে মনে করা হতো, যা মেজাজের পশ্চিমা ধারণার প্রতিধ্বনি করে কিন্তু এটি আরও সমগ্র, মন, দেহ সংযোগের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
একইভাবে, প্রাচীন চীনা দর্শন পাঁচটি উপাদানের (কাঠ, আগুন, পৃথিবী, ধাতু এবং জল) ভারসাম্যের উপর জোর দিয়েছিল, যেখানে প্রতিটি উপাদান নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য এবং আবেগিক প্রতিক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত ছিল। ঐতিহ্যবাহী চীনা ঔষধ এই উপাদানগুলোকে শরীরের নির্দিষ্ট অঙ্গের সাথে যুক্ত করেছিল এবং বিশ্বাস করত যে আবেগিক ভারসাম্যহীনতা শারীরিক অসুস্থতার কারণ হতে পারে। একজন ব্যক্তির আবেগিক এবং আচরণগত অবস্থা তার স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সম্পর্ক উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে এই ধারণাটি ব্যক্তিত্বের ব্যাধি সম্পর্কিত সমসাময়িক ধারণার সাথে অনুরণিত হয়।
আরব বিশ্বে, আভিসেনা (ইবনে সিনার) মতো চিন্তাবিদরা তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত লেখায় গ্যালেনের ধারণাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, যা মেজাজের ধারণাকে আরও বিকশিত করে। আভিসেনা হিপোক্রেটিস এবং গ্যালেনের প্রস্তাবিত চারটি দৈহিক রসের ধারণা আরও বিস্তৃত করেন এবং প্রস্তাব করেন যে কিছু ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য, যেমন কোলেরিক (ক্রোধী), মেলানকলিক (বিষণ্ণ), স্যাঙ্গুইন (আশাবাদী), এবং ফ্লেগমেটিক (শান্ত) দৈহিক তরলের ভারসাম্যহীনতার প্রতিফলন। ব্যক্তিত্বের প্রকারভেদ সম্পর্কিত এই প্রাথমিক ধারণাগুলো পশ্চিমা মনোরোগবিদ্যায় চরিত্রের পরবর্তী, আরও পরিমার্জিত ধারণার ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
সেল্টিক ঐতিহ্যেও ব্যক্তিত্ব শ্রেণীবিন্যাসের একটি প্রাথমিক রূপ ছিল, যদিও তা তাদের উপজাতির মধ্যে সামাজিক ভূমিকা এবং আচরণের সাথে বেশি সম্পর্কিত ছিল। সেল্টরা মানব প্রকৃতিকে প্রাকৃতিক শক্তির প্রতিফলন হিসেবে দেখত, এবং যে ব্যক্তিরা চরম বা বিচ্যুত আচরণ প্রদর্শন করত, তাদের প্রায়শই তাদের সম্প্রদায়ের নিয়মের বাইরে বলে মনে করা হতো এবং সম্ভবত আধ্যাত্মিক বা আনুষ্ঠানিক হস্তক্ষেপের যোগ্য বলে গণ্য করা হতো। এটি ব্যক্তিত্বের ব্যাধির ধারণাটি কীভাবে সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসাগত না হয়ে নৈতিক এবং সামাজিক বিচ্যুতি সাথে যুক্ত হতে শুরু করেছিল, তার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত স্থায়ী ছিল, যখন পরীক্ষা, নিরীক্ষার মাধ্যমে তথাকথিত জীববিজ্ঞানের উপর ভিত্তি করে তৈরি দৈহিক রস এবং 'মেজাজ' কে প্রশ্ন করা শুরু হয়। চরিত্র এবং 'আত্ম' এর মনস্তাত্ত্বিক ধারণাগুলো ব্যাপকতা লাভ করে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে, 'পার্সোনালিটি' বলতে একজন ব্যক্তির তার আচরণ সম্পর্কে সচেতনতাকে বোঝানো হতো, যার ব্যাধি বিযুক্তির মতো পরিবর্তিত অবস্থার সাথে যুক্ত হতে পারত। এই অর্থে শব্দটির ব্যবহারকে ডিএসএমের প্রথম সংস্করণগুলোতে 'মাল্টিপল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি' শব্দটির ব্যবহারের সাথে তুলনা করা হয়েছে।[১৪৬]
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে চিকিৎসকরা উন্মাদনার এমন কিছু রূপ নির্ণয় করতে শুরু করেন যেখানে আবেগ এবং আচরণে গোলযোগ থাকলেও, উল্লেখযোগ্য বৌদ্ধিক প্রতিবন্ধকতা বা বিভ্রান্তি বা হ্যালুসিনেশন ছিল না। ফিলিপ পিনেল এটিকে ম্যানি স্যান্স ডেলির ('প্রলাপ ছাড়া উন্মাদনা') বিভ্রান্তি ছাড়া উন্মাদনা হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানত অতিরিক্ত বা প্রয়োজনীয় ক্রোধ বা আক্রোশের বেশ কিছু ঘটনা বর্ণনা করেন। জেমস কাউলস প্রিচার্ড একটি অনুরূপ ধারণা আগে করেন যাকে তিনি নৈতিক উন্মাদনা বলেন, যা কয়েক দশক ধরে রোগীদের নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হতো। এই অর্থে 'নৈতিক' শব্দটি কেবল নৈতিক মাত্রার পরিবর্তে প্রভাব (আবেগ বা মেজাজ) কে বোঝাত, তবে এটি নিঃসন্দেহে 'মনোরোগ' নির্ণয়ের অনুশীলনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল যা ব্যক্তির সামাজিক আচরণ সম্পর্কে বিচারের সাথে এত স্পষ্টভাবে জড়িত হয়ে পড়ে।[১৪৭] প্রিচার্ড তার নিজস্ব ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক বিশ্বাসের পাশাপাশি জার্মান মনোরোগবিদ্যার ধারণা দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন।[১৪৮] এই বিভাগগুলো ব্যক্তিত্বের ব্যাধির পরবর্তী সংজ্ঞাগুলোর চেয়ে অনেক ভিন্ন এবং বিস্তৃত ছিল, এবং একই সাথে কারও কারও দ্বারা এটি নৈতিক অবক্ষয়ের একটি আরও নির্দিষ্ট অর্থে বিকশিত হয়েছিল যা 'সাইকোপ্যাথ' সম্পর্কিত পরবর্তী ধারণার অনুরূপ ছিল। আলাদাভাবে, রিচার্ড ভন ক্রাফট এবিং স্যাডিজম ও ম্যাসোকিজম, এবং সমকামিতা কে মনোরোগ সংক্রান্ত সমস্যা হিসেবে জনপ্রিয় করে তোলেন।
বিংশ শতাব্দী
[সম্পাদনা]বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, আরেকজন জার্মান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, এমিল ক্রেপেলিন, ছাত্র এবং চিকিৎসকদের জন্য তার প্রভাবশালী ক্লিনিক্যাল সাইকিয়াট্রির কাজে সাইকোপ্যাথিক হীনম্মন্যতার উপর একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করেন। তিনি ছয়টি প্রকারের প্রস্তাব করেন , উত্তেজনাপ্রবণ, অস্থির, খামখেয়ালী, মিথ্যুক, প্রতারক এবং ঝগড়াটে। এই বিভাগগুলো মূলত সবচেয়ে বিশৃঙ্খল অপরাধীদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল, এবং আবেগের বশবর্তী অপরাধী, পেশাদার অপরাধী এবং জীবনের মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়ানো অসুস্থ ভবঘুরেদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছিল। ক্রেপেলিন তিনটি প্যারানয়েড (তৎকালীন অর্থ বিভ্রান্তিমূলক) ব্যাধির ও বর্ণনা দেন, যা সিজোফ্রেনিয়া, ডিলিউশনাল ব্যাধির এবং প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের ব্যাধির পরবর্তী ধারণার অনুরূপ। শেষের ধারণাটির জন্য একটি ডায়াগনস্টিক পরিভাষা ১৯৫২ সাল থেকে ডিএসএমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এবং ১৯৮০ সাল থেকে ডিএসএমে সিজয়েড, সিজোটাইপ্যাল ও অন্তর্ভুক্ত করা হবে; আর্নস্ট ক্রেচমারের পূর্ববর্তী (১৯২১) তত্ত্বগুলোর ব্যাখ্যা এইগুলো এবং আরেকটি প্রকার, যা পরে ডিএসএমে অন্তর্ভুক্ত হয়, অর্থাৎ অ্যাভয়ডেন্ট ব্যক্তিত্বের ব্যাধির মধ্যে একটি পার্থক্য তৈরি করে।
১৯৩৩ সালে রাশিয়ান মনোরোগ বিশেষজ্ঞ পিটার বরিসোভিচ গানুশকিন তার সাইকোপ্যাথির প্রকাশ: স্ট্যাটিক্স, ডাইনামিক্স, সিস্টেমেটিক দিক বইটি প্রকাশ করেন, যা সাইকোপ্যাথির একটি বিস্তারিত টাইপোলজি তৈরির প্রথম প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে একটি ছিল। আচরণগত প্যাথলজির তিনটি প্রধান উপসর্গ হিসেবে অপ্রতুলতা, সর্বব্যাপীতা, এবং স্থিতিশীলতা কে গণ্য করে, তিনি সাইকোপ্যাথদের নয়টি ক্লাস্টারে বিভক্ত করেন: সাইক্লয়েড (সাংবিধানিকভাবে বিষণ্ণ, সাংবিধানিকভাবে উত্তেজনাপ্রবণ, সাইক্লোথাইমিক এবং আবেগ গত ভাবে অস্থির সহ), অ্যাস্থেনিক (সাইক্যাস্থেনিক সহ), সিজয়েড (স্বপ্নচারী সহ), প্যারানোয়াক (ধর্মান্ধ সহ), এপিলেপটয়েড, হিস্টেরিকাল ব্যক্তিত্ব (প্যাথলজিক্যাল মিথ্যুক সহ), অস্থির সাইকোপ্যাথ, অ্যান্টিসোশ্যাল সাইকোপ্যাথ এবং সাংবিধানিকভাবে নির্বোধ।[১৪৯] গানুশকিনের টাইপোলজির কিছু উপাদান পরে একজন রাশিয়ান কিশোর মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, আন্দ্রে ইয়েভগেনিয়েভিচ লিচকো দ্বারা বিকশিত তত্ত্বে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যিনি সাইকোপ্যাথি এবং তাদের মৃদু রূপ, তথাকথিত চরিত্রের জোর দেওয়া নিয়েও আগ্রহী ছিলেন।[১৫০]
১৯৩৯ সালে, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডেভিড হেন্ডারসন 'সাইকোপ্যাথিক স্টেট' এর একটি তত্ত্ব প্রকাশ করেন যা এই পরিভাষাটিকে অসামাজিক আচরণের সাথে জনপ্রিয়ভাবে যুক্ত করতে অবদান রাখে। হার্ভে এম. ক্লেকলির ১৯৪১ সালের লেখা, দ্য মাস্ক অফ স্যানিটি, যা তিনি কিছু বন্দীর মধ্যে লক্ষ্য করা সাদৃশ্যের ব্যক্তিগত শ্রেণীবিন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি করেছিলেন, তা সাইকোপ্যাথির আধুনিক ক্লিনিক্যাল ধারণা এবং এর জনপ্রিয় ব্যবহারের সূচনা করে।[১৫১]
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, সিগমুন্ড ফ্রয়েড এবং অন্যান্যদের দ্বারা জনপ্রিয় হওয়া শতাব্দীর শুরুর কাজের উপর ভিত্তি করে মনোবিশ্লেষণমূলক তত্ত্বগুলো জনপ্রিয় হতে শুরু করে। এর মধ্যে চরিত্রের ব্যাধি ধারণাটিও ছিল, যা নির্দিষ্ট উপসর্গের সাথে নয়, বরং ব্যাপক অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বা স্বাভাবিক শৈশবের বিকাশের বিচ্যুতিগুলির সাথে যুক্ত দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হিসেবে দেখা হতো। এগুলোকে প্রায়শই চরিত্রের দুর্বলতা বা ইচ্ছাকৃত বিচ্যুতি হিসেবে বোঝা হতো এবং নিউরোসিস বা সাইকোসিস থেকে আলাদা করা হতো। 'বর্ডারলাইন' শব্দটি এই বিশ্বাস থেকে উদ্ভূত হয়েছিল যে কিছু ব্যক্তি এই দুটি বিভাগের প্রান্তে কাজ করছে, এবং নির্ভরশীল, অবসেসিভ কম্পালসিভ এবং হিস্ট্রিয়োনিকের মতো বেশ কিছু অন্যান্য ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বিভাগ ও এই পদ্ধতি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল,[১৫২] যার মধ্যে শেষেরটি হিস্টিরিয়ার একটি রূপান্তর উপসর্গ হিসেবে শুরু হয়েছিল যা বিশেষ করে মহিলাদের সাথে যুক্ত ছিল, তারপর একটি হিস্টেরিকাল ব্যক্তিত্ব, এবং পরে ডিএসএমের পরবর্তী সংস্করণগুলোতে হিস্ট্রিয়োনিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি হিসেবে নামকরণ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কর্নেল উইলিয়াম মেনিনগার কর্তৃক সামরিক আদেশের প্রতি পুরুষদের প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে একটি প্যাসিভ অ্যাগ্রেসিভ শৈলী ক্লিনিক্যালি সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল, যা পরে ডিএসএমে একটি ব্যক্তিত্বের ব্যাধি হিসেবে উল্লেখ করা হবে।[১৫৩] অটো কার্নবার্গ বর্ডারলাইন এবং নার্সিসিস্টিক ব্যক্তিত্বের ধারণাগুলোর ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ছিলেন যা পরে ১৯৮০ সালে ডিএসএমে ব্যাধি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
এদিকে, একাডেমিয়ায় এবং কিছুটা ক্লিনিক্যালি একটি আরও সাধারণ পার্সোনালিটি সাইকোলজি বিকশিত হচ্ছিল। গর্ডন অলপোর্ট ১৯২০ এর দশক থেকে ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যের তত্ত্ব প্রকাশ করেন এবং হেনরি মারে পার্সোনোলজি নামক একটি তত্ত্ব আগে করেন, যা ব্যক্তিত্বের ব্যাধির পরবর্তী একজন প্রধান প্রবক্তা, থিওডোর মিলন কে প্রভাবিত করেছিল। ব্যক্তিত্ব মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষা, নিরীক্ষা বিকশিত বা প্রয়োগ করা হচ্ছিল, যার মধ্যে রোরশাক পরীক্ষার মতো প্রক্ষেপণমূলক পরীক্ষা, এবং মিনেসোটা মাল্টিফেজিক পার্সোনালিটি ইনভেন্টরির মতো প্রশ্নাবলী অন্তর্ভুক্ত ছিল। শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, হ্যান্স আইসেঙ্ক বৈশিষ্ট্য এবং ব্যক্তিত্বের প্রকারভেদ বিশ্লেষণ করছিলেন, এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কার্ট স্নাইডার পূর্বের 'চরিত্র', 'মেজাজ' বা 'গঠনের মতো পরিভাষাগুলোর পরিবর্তে একটি ক্লিনিক্যাল ব্যবহার জনপ্রিয় করছিলেন।
আমেরিকান মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা ১৯৫০ এর দশকে প্রথম ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল অফ মেন্টাল ব্যাধিরসে দীর্ঘস্থায়ী ব্যক্তিত্বের বিচ্যুতির ধারণাগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেন, যা মূলত মনোবিশ্লেষণমূলক ধারণার উপর নির্ভরশীল ছিল। ১৯৬৮ সালে ডিএসএম-২ এ কিছুটা বেশি নিরপেক্ষ ভাষা ব্যবহৃত হয়েছিল, যদিও পরিভাষা এবং বর্ণনাগুলোর বর্তমান সংজ্ঞাগুলোর সাথে সামান্যই সাদৃশ্য ছিল। ১৯৮০ সালে প্রকাশিত ডিএসএম-৩ কিছু বড় পরিবর্তন এনেছিল, বিশেষ করে সমস্ত ব্যক্তিত্বের ব্যাধিকে "মানসিক প্রতিবন্ধকতা" সহ একটি দ্বিতীয় পৃথক 'অক্ষে' রাখা হয়েছিল, যা আরও দীর্ঘস্থায়ী ধরণকে বোঝানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল, যা অ্যাক্সিস ওয়ান মানসিক ব্যাধি হিসেবে বিবেচিত বিষয়গুলো থেকে আলাদা ছিল। 'অপর্যাপ্ত' এবং 'অ্যাস্থেনিক' ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বিভাগগুলো বাদ দেওয়া হয়েছিল, এবং অন্যগুলোকে আরও প্রকারে প্রসারিত করা হয়েছিল, বা ব্যক্তিত্বের ব্যাধি থেকে নিয়মিত ব্যাধিতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। সোসিওপ্যাথিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি, যা সাইকোপ্যাথির পরিভাষা ছিল, তার নতুন নামকরণ করা হয়েছিল অ্যান্টিসোশ্যাল ব্যক্তিত্বের ব্যাধি। বেশিরভাগ বিভাগকে আরও নির্দিষ্ট 'কার্যকরী' সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, যার মাধ্যমে মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা গবেষণা পরিচালনা এবং রোগীদের নির্ণয়ের জন্য একমত হতে পারতেন।[১৫৪] ডিএসএম-৩ সংশোধনীতে, সেলফ-ডিফিটিং ব্যক্তিত্বের ব্যাধি এবং স্যাডিস্টিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধিকে আরও অধ্যয়নের জন্য অস্থায়ী নির্ণয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ডিএসএম-৪ এ সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছিল, যদিও একটি প্রস্তাবিত 'ডিপ্রেসিভ ব্যক্তিত্বের ব্যাধি' যোগ করা হয়েছিল; এছাড়াও, প্যাসিভ অ্যাগ্রেসিভ ব্যক্তিত্বের ব্যাধির অফিসিয়াল নির্ণয় বাদ দেওয়া হয়েছিল, যা স্বেচ্ছাসেবী পদ্ধতিতে 'নেগেটিভিস্টিক ব্যক্তিত্বের ব্যাধি' হিসেবে নামকরণ করা হয়েছিল।[১৫৫]
ব্যক্তিত্বের ব্যাধির নির্ণয়ের প্রতি মনোভাব কীভাবে বিকশিত হয়েছে তাতে আন্তর্জাতিক পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। কার্ট স্নাইডার তর্ক দিয়েছিলেন যে এগুলো 'মানসিক জীবনের অস্বাভাবিক বৈচিত্র্য' এবং তাই এগুলো অগত্যা মনোরোগবিদ্যার ক্ষেত্র নয়, এই দৃষ্টিভঙ্গিটি আজও জার্মানিতে প্রভাবশালী বলে মনে করা হয়। ব্রিটিশ মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাও এই ধরনের ব্যাধি মোকাবেলা করতে বা অন্যান্য মানসিক ব্যাধির সমকক্ষ হিসেবে বিবেচনা করতে অনিচ্ছুক ছিলেন, যা আংশিকভাবে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মধ্যে সম্পদের চাপ, এবং ব্যক্তিত্বের ব্যাধির সাথে যুক্ত আচরণগুলোর প্রতি নেতিবাচক চিকিৎসা মনোভাবের কারণে হয়েছে বলে মনে করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, প্রচলিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এবং মনোবিশ্লেষণমূলক ঐতিহ্য ব্যক্তিগত থেরাপিস্টদেরকে কিছু ব্যক্তিত্বের ব্যাধিকে আরও বিস্তৃতভাবে নির্ণয় করতে এবং তাদের জন্য চলমান চিকিৎসা প্রদানের একটি যৌক্তিকতা দিয়েছে বলে মনে করা হয়।[১৫৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 4 5 6 7 American Psychiatric Association (২০১৩)। Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (Fifth সংস্করণ)। Arlington, VA: American Psychiatric Publishing। পৃ. ৬৪৬–৪৯। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৯০৪২-৫৫৫-৮।
- ↑ Ekselius, Lisa (২ অক্টোবর ২০১৮)। "Personality disorder: a disease in disguise"। Upsala Journal of Medical Sciences। ১২৩ (4): ১৯৪–২০৪। ডিওআই:10.1080/03009734.2018.1526235। পিএমসি 6327594। পিএমআইডি 30539674।
- ↑ Magnavita JJ (২০০৪)। "Chapter 1: Classification, prevalence, and etiology of personality disorders: Related issues and controversy"। Handbook of personality disorders: theory and practice। Wiley। আইএসবিএন ০-৪৭১-২০১১৬-২। ওসিএলসি 52429596।
- 1 2 Millon T, Davis RD (১৯৯৬)। Disorders of Personality: DSM-IV and Beyond। New York: John Wiley & Sons, Inc.। পৃ. ২২৬। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪৭১-০১১৮৬-৬।
- ↑ Berrios GE (১৯৯৩)। "European views on personality disorders: a conceptual history"। Comprehensive Psychiatry। ৩৪ (1): ১৪–৩০। ডিওআই:10.1016/0010-440X(93)90031-X। পিএমআইডি 8425387।
- ↑ Ekselius L (২০১৮)। "Personality Disorder: A Disease in Disguise"। Upsala Journal of Medical Sciences। ১২৩ (4): ১৯৪–২০৪। ডিওআই:10.1080/03009734.2018.1526235। পিএমসি 6327594। পিএমআইডি 30539674।
- ↑ Beckwith H, Moran PF, Reilly J (মে ২০১৪)। "Personality disorder prevalence in psychiatric outpatients: a systematic literature review"। Personality and Mental Health। ৮ (2): ৯১–১০১। ডিওআই:10.1002/pmh.1252। পিএমআইডি 24431304।
- ↑ Tyrer P, Reed GM, Crawford MJ (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Classification, assessment, prevalence, and effect of personality disorder"। Lancet। ৩৮৫ (9969): ৭১৭–৭২৬। ডিওআই:10.1016/s0140-6736(14)61995-4। পিএমআইডি 25706217। এস২সিআইডি 25755526।
- ↑ Saß H (২০০১)। "Personality Disorders"। International Encyclopedia of the Social & Behavioral Sciences: ১১৩০১–১১৩০৮। ডিওআই:10.1016/B0-08-043076-7/03763-3। আইএসবিএন ৯৭৮-০-০৮-০৪৩০৭৬-৮।
- ↑ Kernberg OF (১৯৮৪)। Severe personality disorders: psychotherapeutic strategies। New Haven: Yale University Press। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩০০-০৫৩৪৯-৪।
- 1 2 Ullrich S, Farrington DP, Coid JW (ডিসেম্বর ২০০৭)। "Dimensions of DSM-IV personality disorders and life-success"। Journal of Personality Disorders। ২১ (6): ৬৫৭–৬৬৩। ডিওআই:10.1521/pedi.2007.21.6.657। পিএমআইডি 18072866। এস২সিআইডি 30040457।
- ↑ Panos PT, Jackson JW, Hasan O, Panos A (মার্চ ২০১৪)। "Meta-Analysis and Systematic Review Assessing the Efficacy of Dialectical Behavior Therapy (DBT)"। Research on Social Work Practice। ২৪ (2): ২১৩–২২৩। ডিওআই:10.1177/1049731513503047। পিএমসি 6405261। পিএমআইডি 30853773।
- ↑ Kliem S, Kröger C, Kosfelder J (ডিসেম্বর ২০১০)। "Dialectical behavior therapy for borderline personality disorder: a meta-analysis using mixed-effects modeling"। Journal of Consulting and Clinical Psychology। ৭৮ (6): ৯৩৬–৯৫১। ডিওআই:10.1037/a0021015। পিএমআইডি 21114345।
- ↑ Budge SL, Moore JT, Del Re AC, Wampold BE, Baardseth TP, Nienhuis JB (ডিসেম্বর ২০১৩)। "The effectiveness of evidence-based treatments for personality disorders when comparing treatment-as-usual and bona fide treatments"। Clinical Psychology Review। ৩৩ (8): ১০৫৭–১০৬৬। ডিওআই:10.1016/j.cpr.2013.08.003। পিএমআইডি 24060812।
- ↑ "There are few disorders that carry such a stigma as personality disorders"। Helpseeker.net। ২৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ McWilliams N (২৯ জুলাই ২০১১)। Psychoanalytic Diagnosis, Second Edition: Understanding Personality Structure in the Clinical Process। Guilford Press। পৃ. ১৯৬–। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৬০৯১৮-৪৯৪-০।
- 1 2 3 4 5 Bach, Bo; First, Michael B. (২৯ অক্টোবর ২০১৮)। "Application of the ICD-11 classification of personality disorders"। BMC Psychiatry। ১৮ (1): ৩৫১। ডিওআই:10.1186/s12888-018-1908-3। আইএসএসএন 1471-244X। পিএমসি 6206910। পিএমআইডি 30373564।
- 1 2 Oldham, John M. (অক্টোবর ২০২২)। "How Will Clinicians Utilize the Alternative DSM-5-TR Section III Model for Personality Disorders in Their Clinical Work?"। Focus (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ (4): ৪১১–৪১২। ডিওআই:10.1176/appi.focus.20220053। আইএসএসএন 1541-4094। পিএমসি 10187398। পিএমআইডি 37200885।
- 1 2 3 Clark, Lee Anna; Vanderbleek, Emily N.; Shapiro, Jaime L.; Nuzum, Hallie; Allen, Xia; Daly, Elizabeth; Kingsbury, Thomas J.; Oiler, Morgan; Ro, Eunyoe (১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "The Brave New World of Personality Disorder-Trait Specified: Effects of Additional Definitions on Coverage, Prevalence, and Comorbidity"। Psychopathology Review (ইংরেজি ভাষায়)। a২ (1): ৫২–৮২। ডিওআই:10.5127/pr.036314। আইএসএসএন 2051-8315। পিএমসি 4469240। পিএমআইডি 26097740।
- ↑ Department of Psychiatry and Psychotherapy, Medical Faculty, LVR-Klinikum Düsseldorf, Heinrich-Heine-University, Düsseldorf, Germany; Gaebel, Wolfgang; WHO Collaborating Centre on Quality Assurance and Empowerment in Mental Health, Düsseldorf, Germany; Kerst, Ariane; Department of Psychiatry and Psychotherapy, Medical Faculty, LVR-Klinikum Düsseldorf, Heinrich-Heine-University, Düsseldorf, Germany; WHO Collaborating Centre on Quality Assurance and Empowerment in Mental Health, Düsseldorf, Germany; Stricker, Johannes; Department of Psychiatry and Psychotherapy, Medical Faculty, LVR-Klinikum Düsseldorf, Heinrich-Heine-University, Düsseldorf, Germany; WHO Collaborating Centre on Quality Assurance and Empowerment in Mental Health, Düsseldorf, Germany (২৪ ডিসেম্বর ২০২০)। "Classification and Diagnosis of Schizophrenia or Other Primary Psychotic Disorders: Changes from Icd-10 to Icd-11 and Implementation in Clinical Practice" (পিডিএফ)। Psychiatria Danubina। ৩২ (3–4): ৩২০–৩২৪। ডিওআই:10.24869/psyd.2020.320। পিএমআইডি 33370728।
Schizotypal disorder is defined as an enduring pattern of unusual speech, perceptions, beliefs, and behaviours of insufficient intensity to meet requirements for another psychotic disorder in ICD-10 and in ICD11. Yet, schizotypal disorder may be a possible predecessor of schizophrenia (Jablensky 2011, Stein et al. 2020) and is therefore kept in the ICD-11 chapter of primary psychotic disorders, contrary to DSM-5 which classifies schizotypal disorder as a personality disorder.
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক) - ↑ Widiger TA (অক্টোবর ২০০৩)। "Personality disorder diagnosis"। World Psychiatry। ২ (3): ১৩১–১৩৫। পিএমসি 1525106। পিএমআইডি 16946918।
- 1 2 3 4 Monaghan, Conal; Bizumic, Boris (৭ মার্চ ২০২৩)। "Dimensional models of personality disorders: Challenges and opportunities"। Frontiers in Psychiatry (English ভাষায়)। ১৪ 1098452। ডিওআই:10.3389/fpsyt.2023.1098452। আইএসএসএন 1664-0640। পিএমসি 10028270। পিএমআইডি 36960458।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - 1 2 3 4 5 Day, Nicholas J. S.; Green, Ava; Denmeade, Georgia; Bach, Bo; Grenyer, Brin F. S. (২০২৪)। "Narcissistic personality disorder in the ICD-11: Severity and trait profiles of grandiosity and vulnerability"। Journal of Clinical Psychology (ইংরেজি ভাষায়)। ৮০ (8): ১৯১৭–১৯৩৬। ডিওআই:10.1002/jclp.23701। আইএসএসএন 1097-4679। পিএমআইডি 38742471।
- 1 2 3 4 McCabe, Gillian A.; Widiger, Thomas A. (জানুয়ারি ২০২০)। "A comprehensive comparison of the ICD-11 and DSM–5 section III personality disorder models."। Psychological Assessment (ইংরেজি ভাষায়)। ৩২ (1): ৭২–৮৪। ডিওআই:10.1037/pas0000772। আইএসএসএন 1939-134X। পিএমআইডি 31580095।
- 1 2 3 4 5 6 Zimmermann, Johannes; Kerber, André; Rek, Katharina; Hopwood, Christopher J.; Krueger, Robert F. (১৩ আগস্ট ২০১৯)। "A Brief but Comprehensive Review of Research on the Alternative DSM-5 Model for Personality Disorders"। Current Psychiatry Reports (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ (9): ৯২। ডিওআই:10.1007/s11920-019-1079-z। আইএসএসএন 1535-1645। পিএমআইডি 31410586।
- ↑ Morey, Leslie C.; Benson, Kathryn T.; Busch, Alexander J.; Skodol, Andrew E. (এপ্রিল ২০১৫)। "Personality Disorders in DSM-5: Emerging Research on the Alternative Model"। Current Psychiatry Reports (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ (4) 24। ডিওআই:10.1007/s11920-015-0558-0। আইএসএসএন 1523-3812। পিএমআইডি 25749746।
- ↑ Zimmermann, J., Kerber, A., Rek, K., Hopwood, C. J., & Krueger, R. F. (2019). Integrating clinical and personality assessment: Toward the development of a shared framework. Journal of Personality Assessment, 101(3), 292–304. doi:10.1080/00223891.2018.1483373.
- ↑ A Guide to DSM-5: Personality Disorders Medscape Psychiatry, Bret S. Stetka, MD, Christoph U. Correll, 21 May 2013
- ↑ Fariba, Kamron A.; Gupta, Vikas; Torrico, Tyler J.; Kass, Ethan (২০২৫), "Personality Disorder", StatPearls, Treasure Island (FL): StatPearls Publishing, পিএমআইডি 32310518, সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৫
- 1 2 American Psychiatric Association; American Psychiatric Association, সম্পাদকগণ (২০১৩)। "Personality Disorders"। Diagnostic and statistical manual of mental disorders: DSM-5 (5th সংস্করণ)। Washington, D.C: American Psychiatric Association। পৃ. ৬৪৫–৬৪৯। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৯০৪২-৫৫৪-১।
This chapter begins with a general definition of personality disorder that applies to each of the 10 specific personality disorders.
- ↑ Fariba, Kamron A.; Gupta, Vikas; Torrico, Tyler J.; Kass, Ethan (২০২৫), "Personality Disorder", StatPearls, Treasure Island (FL): StatPearls Publishing, পিএমআইডি 32310518, সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০২৫
- 1 2 3 "Personality disorders - Symptoms and causes"। Mayo Clinic। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ Esterberg ML, Goulding SM, Walker EF (ডিসেম্বর ২০১০)। "Cluster A Personality Disorders: Schizotypal, Schizoid and Paranoid Personality Disorders in Childhood and Adolescence"। Journal of Psychopathology and Behavioral Assessment। ৩২ (4): ৫১৫–৫২৮। ডিওআই:10.1007/s10862-010-9183-8। পিএমসি 2992453। পিএমআইডি 21116455।
- ↑ Niedtfeld I (জুলাই ২০১৭)। "Experimental investigation of cognitive and affective empathy in borderline personality disorder: Effects of ambiguity in multimodal social information processing"। Psychiatry Research। ২৫৩: ৫৮–৬৩। ডিওআই:10.1016/j.psychres.2017.03.037। পিএমআইডি 28351003। এস২সিআইডি 13764666।
- ↑ Lenzenweger MF, Clarkin JF, Caligor E, Cain NM, Kernberg OF (২০১৮)। "Malignant Narcissism in Relation to Clinical Change in Borderline Personality Disorder: An Exploratory Study"। Psychopathology। ৫১ (5): ৩১৮–৩২৫। ডিওআই:10.1159/000492228। পিএমআইডি 30184541। এস২সিআইডি 52160230।
- 1 2 3 "Personality Disorders"। Diagnostic and statistical manual of mental disorders: DSM-5 (5th সংস্করণ)। Washington, D.C: American Psychiatric Association। ২০১৩। পৃ. ৬৮২–৬৮৪। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৯০৪২-৫৫৪-১।
- ↑ Diagnostic and statistical manual of mental disorders: DSM-5 (5th সংস্করণ)। Washington, D.C: American Psychiatric Association। ২০১৩। পৃ. ৬৮৩। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৯০৪২-৫৫৪-১।
The essential feature of a personality change due to another medical condition is a persistent personality disturbance that is judged to be due to the direct pathophysiological effects of a medical condition.
- ↑ Skodol, Andrew E.; Morey, Leslie C.; Bender, Donna S.; Oldham, John M. (১ জুলাই ২০১৫)। "The Alternative DSM-5 Model for Personality Disorders: A Clinical Application"। American Journal of Psychiatry (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭২ (7): ৬০৬–৬১৩। ডিওআই:10.1176/appi.ajp.2015.14101220। আইএসএসএন 0002-953X। পিএমআইডি 26130200।
- ↑ Buer Christensen, Tore; Hummelen, Benjamin; Paap, Muirne C. S.; Eikenaes, Ingeborg; Selvik, Sara Germans; Kvarstein, Elfrida; Pedersen, Geir; Bender, Donna S.; Skodol, Andrew E.; Nysæter, Tor Erik (ডিসেম্বর ২০২০)। "Evaluation of Diagnostic Thresholds for Criterion A in the Alternative DSM-5 Model for Personality Disorders"। Journal of Personality Disorders। ৩৪ (Supplement C): ৪০–৬১। ডিওআই:10.1521/pedi_2019_33_455। আইএসএসএন 0885-579X। পিএমআইডি 31682197।
- 1 2 American Psychiatric Association; American Psychiatric Association, সম্পাদকগণ (২০১৩)। Diagnostic and statistical manual of mental disorders: DSM-5 (5th সংস্করণ)। Washington, D.C: American Psychiatric Association। পৃ. ৭৬১–৭৬৩। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৯০৪২-৫৫৪-১।
- 1 2 Mulay, Abby L.; Cain, Nicole M.; Waugh, Mark H.; Hopwood, Christopher J.; Adler, Jonathan M.; Garcia, Darren J.; Kurtz, John E.; Lenger, Katherine A.; Skadberg, Rebecca (২ নভেম্বর ২০১৮)। "Personality Constructs and Paradigms in the Alternative DSM-5 Model of Personality Disorder"। Journal of Personality Assessment (ইংরেজি ভাষায়)। ১০০ (6): ৫৯৩–৬০২। ডিওআই:10.1080/00223891.2018.1477787। আইএসএসএন 0022-3891। ওএসটিআই 1476391। পিএমআইডি 29902081।
- ↑ Porter, Jeffrey S.; Risler, Edwin (জানুয়ারি ২০১৪)। "The New Alternative DSM-5 Model for Personality Disorders: Issues and Controversies"। Research on Social Work Practice (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ (1): ৫০–৫৬। ডিওআই:10.1177/1049731513500348। আইএসএসএন 1049-7315।
- 1 2 American Psychiatric Association, সম্পাদক (২০১৩)। Diagnostic and statistical manual of mental disorders: DSM-5 (5th সংস্করণ)। Washington, D.C: American Psychiatric Association। পৃ. ৭৭০–৭৭১। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৯০৪২-৫৫৪-১।
The current diagnoses of paranoid, schizoid, histrionic, and dependent personality disorders are represented also by the diagnosis of PD-TS; these are defined by moderate or greater impairment in personality functioning and can be specified by the relevant pathological personality trait combinations.
- ↑ Mulder, Roger T. (১০ মে ২০২১)। "ICD-11 Personality Disorders: Utility and Implications of the New Model"। Frontiers in Psychiatry (English ভাষায়)। ১২ 655548। ডিওআই:10.3389/fpsyt.2021.655548। আইএসএসএন 1664-0640। পিএমসি 8141634। পিএমআইডি 34040555।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (লিঙ্ক) - 1 2 Bach, Bo; Kramer, Ueli; Doering, Stephan; di Giacomo, Ester; Hutsebaut, Joost; Kaera, Andres; De Panfilis, Chiara; Schmahl, Christian; Swales, Michaela; Taubner, Svenja; Renneberg, Babette (১ এপ্রিল ২০২২)। "The ICD-11 classification of personality disorders: a European perspective on challenges and opportunities"। Borderline Personality Disorder and Emotion Dysregulation। ৯ (1): ১২। ডিওআই:10.1186/s40479-022-00182-0। আইএসএসএন 2051-6673। পিএমসি 8973542। পিএমআইডি 35361271।
- 1 2 3 4 Swales, Michaela A. (ডিসেম্বর ২০২২)। "Personality Disorder Diagnoses in ICD-11: Transforming Conceptualisations and Practice"। Clinical Psychology in Europe। ৪ (Spec Issue) e9635। ডিওআই:10.32872/cpe.9635। আইএসএসএন 2625-3410। পিএমসি 9881116। পিএমআইডি 36760321।
- ↑ Bangash, Ayesha (২০২৪)। "Personality difficulty: A useful addition to the literature on personality disturbance"। Personality and Mental Health (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ (4): ৪৩৫–৪৩৭। ডিওআই:10.1002/pmh.1638। আইএসএসএন 1932-863X। পিএমআইডি 39358823।
- ↑ "ICD-11 for Mortality and Morbidity Statistics"। icd.who.int। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২২।
- 1 2 "Disorders of adult personality and behaviour (F60–F69)"। The ICD-10 Classification of Mental and Behavioural Disorders – Clinical descriptions and diagnostic guidelines (পিডিএফ)। WHO (2010)। পৃ. ১৫৭–৫৮। ১৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- ↑ WHO (2010) ICD-10: Specific Personality Disorders
- ↑ "International Statistical Classification of Diseases and Related Health Problems 10th Revision (ICD-10) Version for 2010 (Online Version)". Apps.who.int. Retrieved on 16 April 2013. [অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Fuller AK, Blashfield RK, Miller M, Hester T (নভেম্বর ১৯৯২)। "Sadistic and self-defeating personality disorder criteria in a rural clinic sample"। Journal of Clinical Psychology। ৪৮ (6): ৮২৭–৮৩১। ডিওআই:10.1002/1097-4679(199211)48:6<827::AID-JCLP2270480618>3.0.CO;2-1। পিএমআইডি 1452772।
- ↑ Theodore Millon (2004). Personality Disorders in Modern Life ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে. Wiley, 2nd Edition. আইএসবিএন ০-৪৭১-২৩৭৩৪-৫. (GoogleBooks Preview).
- ↑ Murray, Robin M. et al (2008). Psychiatry. Fourth Edition. Cambridge University Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৬০৪০৮-৬.
- 1 2 3 4 5 Tasman, Allan et al (2008). Psychiatry. Third Edition. John Wiley & Sons, Ltd. আইএসবিএন ৯৭৮-০৪৭০-০৬৫৭১-৬.
- ↑ Emmelkamp PM (২০১৩)। Personality Disorders। Psychology Press। পৃ. ৫৪–৫৬। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৩১৭-৮৩৪৭৭-৯।
- ↑ Torgersen S (২০১৪)। "Prevalence, Sociodemographics and Functional Impairment"। The American Psychiatric Publishing textbook of personality disorders (Second সংস্করণ)। Washington, DC। পৃ. ১২২–২৬। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৫৬২-৪৫৬-০। ওসিএলসি 601366312।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অবস্থানে প্রকাশক অনুপস্থিত (লিঙ্ক) - ↑ Serenko A (২০২৩)। "Personality disorders as a predictor of counterproductive knowledge behavior: the application of the Millon Clinical Multiaxial Inventory-IV" (পিডিএফ)। Journal of Knowledge Management। ২৭ (8): ২২৪৯–২২৮২। ডিওআই:10.1108/JKM-10-2021-0796। এস২সিআইডি 256187160।
- ↑ Oldham, John M.; Skodol, Andrew E.; Bender, Donna S.; American Psychiatric Publishing, সম্পাদকগণ (২০১৪)। The American Psychiatric Publishing textbook of personality disorders (Second সংস্করণ)। Washington, DC: American Psychiatric Publishing, a Division of American Psychiatric Association। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৫৬২-৪৫৬-০।
- ↑ Serenko, Alexander (১৯ অক্টোবর ২০২৩)। "Personality disorders as a predictor of counterproductive knowledge behavior: the application of the Millon Clinical Multiaxial Inventory-IV"। Journal of Knowledge Management (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ (8): ২২৪৯–২২৮২। ডিওআই:10.1108/JKM-10-2021-0796। আইএসএসএন 1367-3270।
- ↑ Schultz, Izabela Z.; Rogers, E. Sally, সম্পাদকগণ (২০১১)। Work accommodation and retention in mental health। New York: Springer। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৪১৯-০৪২৭-০। ওসিএলসি 705888562।
- ↑ Ettner, Susan L.; Maclean, Johanna Catherine; French, Michael T. (জানুয়ারি ২০১১)। "Does Having a Dysfunctional Personality Hurt Your Career? Axis II Personality Disorders and Labor Market Outcomes: Axis II Personality Disorders and Labor Market Outcomes"। Industrial Relations: A Journal of Economy and Society (ইংরেজি ভাষায়)। ৫০ (1): ১৪৯–১৭৩। ডিওআই:10.1111/j.1468-232X.2010.00629.x। পিএমসি 3204880। পিএমআইডি 22053112।
- ↑ Board, Belinda Jane; Fritzon, Katarina (মার্চ ২০০৫)। "Disordered personalities at work"। Psychology, Crime & Law (ইংরেজি ভাষায়)। ১১ (1): ১৭–৩২। ডিওআই:10.1080/10683160310001634304। আইএসএসএন 1068-316X।
- ↑ Dearlove, Des (সেপ্টেম্বর ২০০৩)। "Interview: Manfred Kets de Vries: The Dark Side of Leadership"। Business Strategy Review (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ (3): ২৫–২৮। ডিওআই:10.1111/1467-8616.00269। আইএসএসএন 0955-6419। এসএসআরএন 443412।
- ↑ "APA Upgrades APA PsycNET Content Delivery Platform"। PsycEXTRA Dataset। ২০১৭। ডিওআই:10.1037/e500792018-001।
- ↑ Krueger, Robert F.; Carlson, Scott R. (ফেব্রুয়ারি ২০০১)। "Personality disorders in children and adolescents"। Current Psychiatry Reports (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ (1): ৪৬–৫১। ডিওআই:10.1007/s11920-001-0072-4। আইএসএসএন 1523-3812। পিএমআইডি 11177759।
- 1 2 Piedmont RL, Sherman MF, Sherman NC (ডিসেম্বর ২০১২)। "Maladaptively high and low openness: the case for experiential permeability"। Journal of Personality। ৮০ (6): ১৬৪১–১৬৬৮। ডিওআই:10.1111/j.1467-6494.2012.00777.x। পিএমআইডি 22320184।
- 1 2 Piedmont RL, Sherman MF, Sherman NC, Dy-Liacco GS, Williams JE (জুন ২০০৯)। "Using the five-factor model to identify a new personality disorder domain: the case for experiential permeability"। Journal of Personality and Social Psychology। ৯৬ (6): ১২৪৫–১২৫৮। ডিওআই:10.1037/a0015368। পিএমআইডি 19469599।
- 1 2 Torgersen, Svenn (২০০৯)। "The nature (and nurture) of personality disorders"। Scandinavian Journal of Psychology (ইংরেজি ভাষায়)। ৫০ (6): ৬২৪–৬৩২। ডিওআই:10.1111/j.1467-9450.2009.00788.x। আইএসএসএন 1467-9450। পিএমআইডি 19930262।
- 1 2 3 4 5 Grant BF, Hasin DS, Stinson FS, Dawson DA, Chou SP, Ruan WJ, Pickering RP (জুলাই ২০০৪)। "Prevalence, correlates, and disability of personality disorders in the United States: results from the national epidemiologic survey on alcohol and related conditions"। The Journal of Clinical Psychiatry। ৬৫ (7): ৯৪৮–৯৫৮। ডিওআই:10.4088/JCP.v65n0711। পিএমআইডি 15291684।
- ↑ Del Giudice, Marco (২০১৮), Del Giudice, Marco (সম্পাদক), "Individual and Sex Differences", Evolutionary Psychopathology (ইংরেজি ভাষায়), Oxford University Press, পৃ. ৬৮–৯৪, ডিওআই:10.1093/med-psych/9780190246846.003.0003, আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-০২৪৬৮৪-৬, সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০২৪
- ↑ Mitchell, Kevin J. (২০১৮)। Innate: how the wiring of our brains shapes who we are। Princeton: Princeton University Press। পৃ. ৫৪, ৮৪–৮৬। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৬৯১-১৭৩৮৮-৭।
- 1 2 Cohen P, Brown J, Smaile E (২০০১)। "Child abuse and neglect and the development of mental disorders in the general population"। Development and Psychopathology। ১৩ (4): ৯৮১–৯৯৯। ডিওআই:10.1017/S0954579401004126। পিএমআইডি 11771917। এস২সিআইডি 24036702।
- ↑ "What Causes Psychological Disorders?"। American Psychological Association। ২০১০। ২০ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- 1 2 3 Cohen P, Chen H, Gordon K, Johnson J, Brook J, Kasen S (এপ্রিল ২০০৮)। "Socioeconomic background and the developmental course of schizotypal and borderline personality disorder symptoms"। Development and Psychopathology। ২০ (2): ৬৩৩–৬৫০। ডিওআই:10.1017/S095457940800031X। পিএমসি 3857688। পিএমআইডি 18423098।
- ↑ Schwarze CE, Hellhammer DH, Stroehle V, Lieb K, Mobascher A (অক্টোবর ২০১৫)। "Lack of Breastfeeding: A Potential Risk Factor in the Multifactorial Genesis of Borderline Personality Disorder and Impaired Maternal Bonding"। Journal of Personality Disorders। ২৯ (5): ৬১০–৬২৬। ডিওআই:10.1521/pedi_2014_28_160। পিএমআইডি 25248013।
- ↑ Ericka Ball Cooper, Amanda Venta, Carla Sharp (২০১৮)। "The role of maternal care in borderline personality disorder and dependent life stress"। Borderline Personality Disorder and Emotion Dysregulation (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ 5। ডিওআই:10.1186/s40479-018-0083-y। পিএমসি 5861727। পিএমআইডি 29588857।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (লিঙ্ক) - ↑ "What causes personality disorders?"। American Psychological Association (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Deckers T (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "How does Socio-Economic Status Shape a Child's Personality?" (পিডিএফ)। Human Capital and Economic Opportunity Global Working Group। ৫ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Van Damme L, Colins O, De Maeyer J, Vermeiren R, Vanderplasschen W (জুন ২০১৫)। "Girls' quality of life prior to detention in relation to psychiatric disorders, trauma exposure and socioeconomic status"। Quality of Life Research। ২৪ (6): ১৪১৯–১৪২৯। ডিওআই:10.1007/s11136-014-0878-2। পিএমআইডি 25429824। এস২সিআইডি 28876461।
- ↑ Walsh Z, Shea MT, Yen S, Ansell EB, Grilo CM, McGlashan TH, Stout RL, Bender DS, Skodol AE, Sanislow CA, Morey LC, Gunderson JG (ডিসেম্বর ২০১৩)। "Socioeconomic-status and mental health in a personality disorder sample: the importance of neighborhood factors"। Journal of Personality Disorders। ২৭ (6): ৮২০–৮৩১। ডিওআই:10.1521/pedi_2012_26_061। পিএমসি 4628287। পিএমআইডি 22984860।
- ↑ Nunes PM, Wenzel A, Borges KT, Porto CR, Caminha RM, de Oliveira IR (আগস্ট ২০০৯)। "Volumes of the hippocampus and amygdala in patients with borderline personality disorder: a meta-analysis"। Journal of Personality Disorders। ২৩ (4): ৩৩৩–৩৪৫। ডিওআই:10.1521/pedi.2009.23.4.333। পিএমআইডি 19663654।
- ↑ Kaya S, Yildirim H, Atmaca M (মে ২০২০)। "Reduced hippocampus and amygdala volumes in antisocial personality disorder"। Journal of Clinical Neuroscience। ৭৫: ১৯৯–২০৩। ডিওআই:10.1016/j.jocn.2020.01.048। পিএমআইডি 32334739। এস২সিআইডি 210711736।
- 1 2 3 "Borderline personality disorder: recognition and management"। NICE। ২৮ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২৫।
- 1 2 3 "Antisocial personality disorder: prevention and management"। NICE। ২৮ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২৫।
- 1 2 Lampe, Lisa; Malhi, Gin S. (২০১৮)। "Avoidant personality disorder: current insights"। Psychology Research and Behavior Management। ১১: ৫৫–৬৬। ডিওআই:10.2147/PRBM.S121073। পিএমসি 5848673। পিএমআইডি 29563846।
- 1 2 Maccaferri, Giorgio E.; Dunker-Scheuner, Daniela; De Roten, Yves; Despland, Jean-Nicolas; Sachse, Rainer; Kramer, Ueli (২০২০)। "Psychotherapy of Dependent Personality Disorder: The Relationship of Patient–Therapist Interactions to Outcome"। Psychiatry। ৮৩ (2): ১৭৯–১৯৪। ডিওআই:10.1080/00332747.2019.1675376। পিএমআইডি 31614097।
- ↑ Beitz, Kendra; Bornstein, Robert F. (২০০৬)। "Dependent Personality Disorder"। Practitioner's Guide to Evidence-Based Psychotherapy। Springer US। পৃ. ২৩০–২৩৭। ডিওআই:10.1007/978-0-387-28370-8_22। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩৮৭-২৮৩৬৯-২।
- ↑ Hujing, Christine L.; Yalch, Matthew M. (২০২৪)। "Histrionic Personality Disorder"। Encyclopedia of Sexual Psychology and Behavior। Springer International Publishing। পৃ. ১–৩। ডিওআই:10.1007/978-3-031-08956-5_2502-1। আইএসবিএন ৯৭৮-৩-০৩১-০৮৯৫৬-৫।
- ↑ Weinberg, Igor; Ronningstam, Elsa (২০২২)। "Narcissistic Personality Disorder: Progress in Understanding and Treatment"। Focus। ২০ (4): ৩৬৮–৩৭৭। ডিওআই:10.1176/appi.focus.20220052। পিএমসি 10187400। পিএমআইডি 37200887।
- ↑ Levy, Kenneth N.; Rosenstein, Lia K. (২০২০)। "Narcissistic Personality Disorder"। The Wiley Encyclopedia of Personality and Individual Differences। Wiley। পৃ. ১০৯–১১৪। ডিওআই:10.1002/9781118970843.ch282। আইএসবিএন ৯৭৮-১-১১৮-৯৭০৭৪-৪।
- 1 2 Pinto, Anthony; Teller, Jonathan; Wheaton, Michael G. (২০২২)। "Obsessive-Compulsive Personality Disorder: A Review of Symptomatology, Impact on Functioning, and Treatment"। Focus। ২০ (4): ৩৮৯–৩৯৬। ডিওআই:10.1176/appi.focus.20220058। পিএমসি 10187387। পিএমআইডি 37200888।
- 1 2 Finch, Ellen F.; Choi-Kain, Lois W.; Iliakis, Evan A.; Eisen, Jane L.; Pinto, Anthony (২০২১)। "Good Psychiatric Management for Obsessive–Compulsive Personality Disorder"। Current Behavioral Neuroscience Reports। ৮ (4): ১৬০–১৭১। ডিওআই:10.1007/s40473-021-00239-4।
- 1 2 Wong, Keri Ka-Yee (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "Paranoid Personality Disorder"। The Wiley Encyclopedia of Personality and Individual Differences। Wiley। পৃ. ১৭৫–১৭৯। ডিওআই:10.1002/9781118970843.ch293। আইএসবিএন ৯৭৮-১-১১৮-৯৭০৭৪-৪।
- 1 2 3 Li, Tianxin (২০২১)। "An Overview of Schizoid Personality Disorder" (পিডিএফ)। Proceedings of the 2021 4th International Conference on Humanities Education and Social Sciences (ICHESS 2021)। খণ্ড ৬১৫। পৃ. ১৬৫৭–১৬৬৩। ডিওআই:10.2991/assehr.k.211220.280। আইএসবিএন ৯৭৮-৯৪-৬২৩৯-৪৯৫-৭। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০২৫।
- ↑ Nielsen, Kåre Donskov; Hovmand, Oliver Rumle; Jørgensen, Mie Sedoc; Meisner, Maria; Arnfred, Sidse Marie (২০২৩)। "Psychotherapy for patients with schizotypal personality disorder: A scoping review"। Clinical Psychology & Psychotherapy। ৩০ (6): ১২৬৪–১২৭৮। ডিওআই:10.1002/cpp.2901। পিএমআইডি 37675964।
- ↑ Bateman, Anthony W; Gunderson, John; Mulder, Roger (২০১৫)। "Treatment of personality disorder"। The Lancet। ৩৮৫ (9969): ৭৩৫–৭৪৩। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(14)61394-5। পিএমআইডি 25706219।
- ↑ Weinbrecht, Anna; Schulze, Lars; Boettcher, Johanna; Renneberg, Babette (১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "Avoidant Personality Disorder: a Current Review"। Current Psychiatry Reports (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ (3): ২৯। ডিওআই:10.1007/s11920-016-0665-6। আইএসএসএন 1535-1645। পিএমআইডি 26830887।
- ↑ Katakis, Panos; Schlief, Merle; Barnett, Phoebe; Rains, Luke Sheridan; Rowe, Sarah; Pilling, Steve; Johnson, Sonia (২১ জানুয়ারি ২০২৩)। "Effectiveness of outpatient and community treatments for people with a diagnosis of 'personality disorder': systematic review and meta-analysis"। BMC Psychiatry। ২৩ (1): ৫৭। ডিওআই:10.1186/s12888-022-04483-0। আইএসএসএন 1471-244X। পিএমসি 9862782। পিএমআইডি 36681805।
- ↑ Cristea, Ioana A.; Gentili, Claudio; Cotet, Carmen D.; Palomba, Daniela; Barbui, Corrado; Cuijpers, Pim (১ এপ্রিল ২০১৭)। "Efficacy of Psychotherapies for Borderline Personality Disorder: A Systematic Review and Meta-analysis"। JAMA Psychiatry (ইংরেজি ভাষায়)। ৭৪ (4): ৩১৯–৩২৮। ডিওআই:10.1001/jamapsychiatry.2016.4287। আইএসএসএন 2168-622X। পিএমআইডি 28249086।
- ↑ Cheli, Simone; Wisepape, Courtney N.; Witten, Chelsea D. Y.; Floridi, Marta; Cavalletti, Veronica; Hasson-Ohayon, Ilanit; Brüne, Martin; Ottaviani, Cristina (২০ মার্চ ২০২৫)। "Psychosocial and pharmacological interventions for cluster a personality disorders: A systematic review and two exploratory meta-analyses."। Personality Disorders: Theory, Research, and Treatment (ইংরেজি ভাষায়)। ডিওআই:10.1037/per0000732। আইএসএসএন 1949-2723।
- 1 2 Magnavita, Jeffrey J. (2004) Handbook of personality disorders: theory and practice, John Wiley and Sons, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪৭১-৪৮২৩৪-৫.
- 1 2 Storebø, Ole Jakob; Stoffers-Winterling, Jutta M; Völlm, Birgit A; Kongerslev, Mickey T; Mattivi, Jessica T; Jørgensen, Mie S; Faltinsen, Erlend; Todorovac, Adnan; Sales, Christian P; Callesen, Henriette E; Lieb, Klaus; Simonsen, Erik (৪ মে ২০২০)। "Psychological therapies for people with borderline personality disorder"। Cochrane Database of Systematic Reviews। ২০২০ (11) CD012955। ডিওআই:10.1002/14651858.CD012955.pub2। পিএমসি 7199382। পিএমআইডি 32368793।
- 1 2 Stoffers-Winterling, Jutta M; Storebø, Ole Jakob; Pereira Ribeiro, Johanne; Kongerslev, Mickey T; Völlm, Birgit A; Mattivi, Jessica T; Faltinsen, Erlend; Todorovac, Adnan; Jørgensen, Mie S; Callesen, Henriette E; Sales, Christian P; Schaug, Julie Perrine; Simonsen, Erik; Lieb, Klaus (১৪ নভেম্বর ২০২২)। "Pharmacological interventions for people with borderline personality disorder"। Cochrane Database of Systematic Reviews। ২০২২ (11) CD012956। ডিওআই:10.1002/14651858.CD012956.pub2। পিএমসি 9662763। পিএমআইডি 36375174।
- 1 2 Keepers, George A.; Fochtmann, Laura J.; Anzia, Joan M.; Benjamin, Sheldon; Lyness, Jeffrey M.; Mojtabai, Ramin; Servis, Mark; Choi-Kain, Lois; Nelson, Kaz J.; Oldham, John M.; Sharp, Carla; Degenhardt, Amanda; Fochtmann, Laura J.; Oldham, John M.; Hong, Seung-Hee; Medicus, Jennifer (১ নভেম্বর ২০২৪)। "The American Psychiatric Association Practice Guideline for the Treatment of Patients With Borderline Personality Disorder"। American Journal of Psychiatry। ১৮১ (11): ১০২৪–১০২৮। ডিওআই:10.1176/appi.ajp.24181010। পিএমআইডি 39482953।
- ↑ Weinbrecht, Anna; Schulze, Lars; Boettcher, Johanna; Renneberg, Babette (২০১৬)। "Avoidant Personality Disorder: a Current Review"। Current Psychiatry Reports। ১৮ (3): ২৯। ডিওআই:10.1007/s11920-016-0665-6। পিএমআইডি 26830887।
- ↑ Disney, Krystle L. (২০১৩)। "Dependent personality disorder: A critical review"। Clinical Psychology Review। ৩৩ (8): ১১৮৪–১১৯৬। ডিওআই:10.1016/j.cpr.2013.10.001। পিএমআইডি 24185092।
- ↑ Lengel, Gregory J. (২০২০)। "Histrionic Personality Disorder"। The Wiley Encyclopedia of Personality and Individual Differences। Wiley। পৃ. ১৮৭–১৯১। ডিওআই:10.1002/9781118970843.ch295। আইএসবিএন ৯৭৮-১-১১৮-৯৭০৭৪-৪।
- ↑ Yang, Mu (৩১ অক্টোবর ২০২৩)। "Overview on Histrionic Personality Disorder"। Communications in Humanities Research। ৭ (1): ২২১–২২৬। ডিওআই:10.54254/2753-7064/7/20230886।
- 1 2 Kirchner, Sophie K.; Roeh, Astrid; Nolden, Jana; Hasan, Alkomiet (৩ অক্টোবর ২০১৮)। "Diagnosis and treatment of schizotypal personality disorder: evidence from a systematic review"। npj Schizophrenia। ৪ (1): ২০। ডিওআই:10.1038/s41537-018-0062-8। পিএমসি 6170383। পিএমআইডি 30282970।
- ↑ Hollon SD, Beck AT। Lambert MJ (সম্পাদক)। Bergin and Garfield's Handbook of Psychotherapy।
- 1 2 Beck JS (২০১১), Cognitive behavior therapy: Basics and beyond (2nd সংস্করণ), New York: The Guilford Press, পৃ. ১৯–২০
- ↑ Field TA, Beeson ET, Jones LK (২০১৫), "The New ABCs: A Practitioner's Guide to Neuroscience-Informed Cognitive-Behavior Therapy" (পিডিএফ), Journal of Mental Health Counseling, ৩৭ (3): ২০৬–২০, ডিওআই:10.17744/1040-2861-37.3.206, ১৫ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৬
- ↑ Benjamin CL, Puleo CM, Settipani CA, এবং অন্যান্য (২০১১), "History of cognitive-behavioral therapy in youth", Child and Adolescent Psychiatric Clinics of North America, ২০ (2): ১৭৯–১৮৯, ডিওআই:10.1016/j.chc.2011.01.011, পিএমসি 3077930, পিএমআইডি 21440849
- 1 2 3 Chapman, AL (২০০৬)। "Dialectical behavior therapy: current indications and unique elements"। Psychiatry (Edgmont)। ৩ (9): ৬২–৮। পিএমসি 2963469। পিএমআইডি 20975829।
- ↑ "An Overview of Dialectical Behavior Therapy – Psych Central"। ১৭ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Sng AA, Janca A (জানুয়ারি ২০১৬)। "Mindfulness for personality disorders"। Current Opinion in Psychiatry। ২৯ (1): ৭০–৭৬। ডিওআই:10.1097/YCO.0000000000000213। পিএমআইডি 26651010। এস২সিআইডি 235472।
- ↑ Creswell JD (জানুয়ারি ২০১৭)। "Mindfulness Interventions"। Annual Review of Psychology। ৬৮: ৪৯১–৫১৬। ডিওআই:10.1146/annurev-psych-042716-051139। পিএমআইডি 27687118।
- 1 2 3 4 Marin, Lea K.; Foster, Celia; Goodman, Marianne (২০২২), Huprich, Steven K. (সম্পাদক), "Pharmacotherapy for personality disorders.", Personality disorders and pathology: Integrating clinical assessment and practice in the DSM-5 and ICD-11 era. (ইংরেজি ভাষায়), Washington: American Psychological Association, পৃ. ৩০৫–৩২১, ডিওআই:10.1037/0000310-014, আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৩৩৮-৩৫৭৬-৬, সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০২৫
- ↑ Khalifa, Najat R; Gibbon, Simon; Völlm, Birgit A; Cheung, Natalie H-Y; McCarthy, Lucy (৩ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "Pharmacological interventions for antisocial personality disorder"। Cochrane Database of Systematic Reviews। ২০২০ (9) CD007667। ডিওআই:10.1002/14651858.CD007667.pub3। পিএমসি 8094881। পিএমআইডি 32880105।
- ↑ Gibbon, Simon; Khalifa, Najat R; Cheung, Natalie H-Y; Völlm, Birgit A; McCarthy, Lucy (৩ সেপ্টেম্বর ২০২০)। "Psychological interventions for antisocial personality disorder"। Cochrane Database of Systematic Reviews। ২০২০ (9) CD007668। ডিওআই:10.1002/14651858.CD007668.pub3। পিএমসি 8094166। পিএমআইডি 32880104।
- ↑ "Antipsychotics are commonly prescribed to people with personality disorders, contrary to guidelines"। NIHR Evidence (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ নভেম্বর ২০২২। ডিওআই:10.3310/nihrevidence_54520। এস২সিআইডি 253467990।
- ↑ Hardoon S, Hayes J, Viding E, McCrory E, Walters K, Osborn D (মার্চ ২০২২)। "Prescribing of antipsychotics among people with recorded personality disorder in primary care: a retrospective nationwide cohort study using The Health Improvement Network primary care database"। BMJ Open। ১২ (3) e053943। ডিওআই:10.1136/bmjopen-2021-053943। পিএমসি 8968526। পিএমআইডি 35264346।
- ↑ Lenzenweger MF (সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "Epidemiology of personality disorders"। The Psychiatric Clinics of North America। ৩১ (3): ৩৯৫–৪০৩, vi। ডিওআই:10.1016/j.psc.2008.03.003। পিএমআইডি 18638642।
- 1 2 3 4 5 6 7 Schulte Holthausen B, Habel U (অক্টোবর ২০১৮)। "Sex Differences in Personality Disorders"। Current Psychiatry Reports। ২০ (12) 107। ডিওআই:10.1007/s11920-018-0975-y। পিএমআইডি 30306417। এস২সিআইডি 52959021।
- ↑ Huang Y, Kotov R, de Girolamo G, Preti A, Angermeyer M, Benjet C, Demyttenaere K, de Graaf R, Gureje O, Karam AN, Lee S, Lépine JP, Matschinger H, Posada-Villa J, Suliman S, Vilagut G, Kessler RC (জুলাই ২০০৯)। "DSM-IV personality disorders in the WHO World Mental Health Surveys"। The British Journal of Psychiatry। ১৯৫ (1): ৪৬–৫৩। ডিওআই:10.1192/bjp.bp.108.058552। পিএমসি 2705873। পিএমআইডি 19567896।
- ↑ Lenzenweger MF, Lane MC, Loranger AW, Kessler RC (সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "DSM-IV personality disorders in the National Comorbidity Survey Replication"। Biological Psychiatry। ৬২ (6): ৫৫৩–৫৬৪। ডিওআই:10.1016/j.biopsych.2006.09.019। পিএমসি 2044500। পিএমআইডি 17217923।
- ↑ Collins A, Barnicot K, Sen P (জুন ২০২০)। "A Systematic Review and Meta-Analysis of Personality Disorder Prevalence and Patient Outcomes in Emergency Departments"। Journal of Personality Disorders। ৩৪ (3): ৩২৪–৩৪৭। ডিওআই:10.1521/pedi_2018_32_400। পিএমআইডি 30307832। এস২সিআইডি 52963562।
- ↑ Sansone RA, Sansone LA (এপ্রিল ২০১১)। "Personality disorders: a nation-based perspective on prevalence"। Innovations in Clinical Neuroscience। ৮ (4): ১৩–১৮। পিএমসি 3105841। পিএমআইডি 21637629।
- ↑ Yang M, Coid J, Tyrer P (সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Personality pathology recorded by severity: national survey"। The British Journal of Psychiatry। ১৯৭ (3): ১৯৩–১৯৯। ডিওআই:10.1192/bjp.bp.110.078956। পিএমআইডি 20807963। এস২সিআইডি 14040222।
- ↑ Connolly AJ, Cobb-Richardson P, Ball SA (ডিসেম্বর ২০০৮)। "Personality disorders in homeless drop-in center clients" (পিডিএফ)। Journal of Personality Disorders। ২২ (6): ৫৭৩–৫৮৮। ডিওআই:10.1521/pedi.2008.22.6.573। পিএমআইডি 19072678। ১৭ জুন ২০০৯ তারিখে মূল থেকে (পিডিএফ) আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৭।
অ্যাক্সিস II এর ক্ষেত্রে, ক্লাস্টার এ ব্যক্তিত্বের ব্যাধি গুলো (প্যারানয়েড, সিজয়েড, সিজোটাইপ্যাল) প্রায় সকল অংশগ্রহণকারীর মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল (৯২%-এর অন্তত একটি রোগ নির্ণয় ছিল), এবং ক্লাস্টার বি (৮৩%-এর অ্যান্টিসোশ্যাল, বর্ডারলাইন, হিস্ট্রিয়োনিক বা নার্সিসিস্টিকের মধ্যে অন্তত একটি ছিল) এবং সি (৬৮% এর অ্যাভয়ডেন্ট, ডিপেন্ডেন্ট, অবসেসিভ কম্পালসিভের মধ্যে অন্তত একটি ছিল) ব্যাধি গুলোও অত্যন্ত প্রচলিত ছিল
- 1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 11 12 13 14 15 16 17 18 19 Widiger T (২০১২)। The Oxford Handbook of Personality Disorders। Oxford University Press। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৯৭৩৫০১-৩।
- ↑ Triebwasser J, Chemerinski E, Roussos P, Siever LJ (ডিসেম্বর ২০১৩)। "Paranoid personality disorder"। Journal of Personality Disorders। ২৭ (6): ৭৯৫–৮০৫। ডিওআই:10.1521/pedi_2012_26_055। পিএমআইডি 22928850।
- ↑ Coid J, Yang M, Tyrer P, Roberts A, Ullrich S (মে ২০০৬)। "Prevalence and correlates of personality disorder in Great Britain"। The British Journal of Psychiatry। ১৮৮ (5): ৪২৩–৪৩১। ডিওআই:10.1192/bjp.188.5.423। পিএমআইডি 16648528। এস২সিআইডি 4881014।
- ↑ Pulay AJ, Stinson FS, Dawson DA, Goldstein RB, Chou SP, Huang B, Saha TD, Smith SM, Pickering RP, Ruan WJ, Hasin DS, Grant BF (১৬ মে ২০০৯)। "Prevalence, correlates, disability, and comorbidity of DSM-IV schizotypal personality disorder: results from the wave 2 national epidemiologic survey on alcohol and related conditions"। Primary Care Companion to the Journal of Clinical Psychiatry। ১১ (2): ৫৩–৬৭। ডিওআই:10.4088/pcc.08m00679। পিএমসি 2707116। পিএমআইডি 19617934।
- 1 2 Alegria AA, Blanco C, Petry NM, Skodol AE, Liu SM, Grant B, Hasin D (জুলাই ২০১৩)। "Sex differences in antisocial personality disorder: results from the National Epidemiological Survey on Alcohol and Related Conditions"। Personality Disorders। ৪ (3): ২১৪–২২২। ডিওআই:10.1037/a0031681। পিএমসি 3767421। পিএমআইডি 23544428।
- ↑ Sprock J (২০০০)। "Gender-Typed Behavioral Examples of Histrionic Personality Disorder"। Journal of Psychopathology and Behavioral Assessment। ২২ (2): ১০৭–১২২। ডিওআই:10.1023/a:1007514522708। আইএসএসএন 0882-2689। এস২সিআইডি 141244223।
- ↑ Stinson FS, Dawson DA, Goldstein RB, Chou SP, Huang B, Smith SM, Ruan WJ, Pulay AJ, Saha TD, Pickering RP, Grant BF (জুলাই ২০০৮)। "Prevalence, correlates, disability, and comorbidity of DSM-IV narcissistic personality disorder: results from the wave 2 national epidemiologic survey on alcohol and related conditions"। The Journal of Clinical Psychiatry। ৬৯ (7): ১০৩৩–১০৪৫। ডিওআই:10.4088/jcp.v69n0701। পিএমসি 2669224। পিএমআইডি 18557663।
- ↑ Grijalva E, Newman DA, Tay L, Donnellan MB, Harms PD, Robins RW, Yan T (মার্চ ২০১৫)। "Gender differences in narcissism: a meta-analytic review"। Psychological Bulletin। ১৪১ (2): ২৬১–৩১০। ডিওআই:10.1037/a0038231। পিএমআইডি 25546498।
- ↑ DSM-IV-TR। পৃ. ৭৮৮।
- ↑ Rotenstein OH, McDermut W, Bergman A, Young D, Zimmerman M, Chelminski I (ফেব্রুয়ারি ২০০৭)। "The validity of DSM-IV passive-aggressive (negativistic) personality disorder"। Journal of Personality Disorders। ২১ (1): ২৮–৪১। ডিওআই:10.1521/pedi.2007.21.1.28। পিএমআইডি 17373888।
- ↑ Grant JE, Mooney ME, Kushner MG (এপ্রিল ২০১২)। "Prevalence, correlates, and comorbidity of DSM-IV obsessive-compulsive personality disorder: results from the National Epidemiologic Survey on Alcohol and Related Conditions"। Journal of Psychiatric Research। ৪৬ (4): ৪৬৯–৪৭৫। ডিওআই:10.1016/j.jpsychires.2012.01.009। পিএমআইডি 22257387।
- ↑ DSM-III-R। পৃ. ৩৭৩।
- ↑ DSM-III-R। পৃ. ৩৭০।
- 1 2 Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (4th সংস্করণ)। ১৯৯৪।
- ↑ Mental Health, AlmostReal(2025) The Art of Cultivating a Balanced Lifestyle: Navigating Modernity with Grace
- ↑ Jones, David W (২০১৬)। Disordered personalities and Crime: An analysis of the history of moral insanity। London: Routledge। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪১৫-৫০২১৭-৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ Augstein HF (জুলাই ১৯৯৬)। "J C Prichard's concept of moral insanity--a medical theory of the corruption of human nature"। Medical History। ৪০ (3): ৩১১–৩৪৩। ডিওআই:10.1017/S0025727300061329। পিএমসি 1037128। পিএমআইডি 8757717।
- ↑ Ганнушкин П. Б. (2000). Клиника психопатий, их статика, динамика, систематика. Издательство Нижегородской государственной медицинской академии. আইএসবিএন ৫-৮৬০৯৩-০১৫-১.
- ↑ Личко А. Е. (2010) Психопатии и акцентуации характера у подростков. Речь, আইএসবিএন ৯৭৮-৫-৯২৬৮-০৮২৮-২.
- ↑ Arrigo BA (১ জুন ২০০১)। "The Confusion Over Psychopathy (I): Historical Considerations"। International Journal of Offender Therapy and Comparative Criminology। ৪৫ (3): ৩২৫–৪৪। ডিওআই:10.1177/0306624X01453005। এস২সিআইডি 145400985।
- ↑ Amy Heim & Drew Westen (2004) Theories of personality and personality disorders ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে
- ↑ Lane C (১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "The Surprising History of Passive–Aggressive Personality Disorder" (পিডিএফ)। Theory & Psychology। ১৯ (1): ৫৫–৭০। সাইটসিয়ারএক্স 10.1.1.532.5027। ডিওআই:10.1177/0959354308101419। এস২সিআইডি 147019317।
- ↑ Hoermann, Simone; Zupanick, Corinne E. and Dombeck, Mark (January 2011) The History of the Psychiatric Diagnostic System Continued. mentalhelp.net.
- ↑ Oldham JM (২০০৫)। "Personality Disorders"। Focus। ৩ (3): ৩৭২–৮২। ডিওআই:10.1176/foc.3.3.372।
- ↑ Kendell RE (ফেব্রুয়ারি ২০০২)। "The distinction between personality disorder and mental illness"। The British Journal of Psychiatry। ১৮০ (2): ১১০–১১৫। ডিওআই:10.1192/bjp.180.2.110। পিএমআইডি 11823318। এস২সিআইডি 90434।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]Marshall WL, Serin R (১৯৯৭)। "ব্যক্তিত্বের ব্যাধি"। Turner SM, Hersen R (সম্পাদকগণ)। অ্যাডাল্ট সাইকোপ্যাথোলজি অ্যান্ড ডায়াগনোসিস। নিউ ইয়র্ক: উইলি। পৃ. ৫০৮–৫৪১।
Murphy N, McVey D (২০১০)। গুরুতর ব্যক্তিত্বের ব্যাধি চিকিৎসা: জটিল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত ক্লায়েন্টদের জন্য শক্তিশালী সেবা তৈরি। লন্ডন: রাউটলেজ। ১৫ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
Millon T, Davis RD (১৯৯৬)। ব্যক্তিত্বের ব্যাধির ব্যাধি: ডিএসএম-IV এবং পরবর্তী (2nd সংস্করণ)। নিউ ইয়র্ক: উইলি। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪৭১-০১১৮৬-৬।
Yudofsky SC (২০০৫)। ফেটাল ফ্লস: পার্সোনালিটি এবং চরিত্রের ব্যাধির সঙ্গে সম্পর্কিত ধ্বংসাত্মক সম্পর্কগুলি নেভিগেট করা (1st সংস্করণ)। ওয়াশিংটন, ডি.সি.। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৫৬২-২১৪-৬।{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অবস্থানে প্রকাশক অনুপস্থিত (লিঙ্ক)
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]| গ্রন্থাগার সংরক্ষণ সম্পর্কে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি |
ব্যক্তিত্বের ব্যাধিস ফাউন্ডেশন
ন্যাশনাল মেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন ব্যক্তিত্বের ব্যাধি ফ্যাক্ট শিট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে
দ্য রয়্যাল কলেজ অফ সাইকিয়াট্রিস্টস থেকে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি তথ্য লিফলেট
| শ্রেণীবিন্যাস | |
|---|---|
| বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান |
টেমপ্লেট:ICD-10 personality disorders টেমপ্লেট:Mental disorders