বো ক্যাসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বো ক্যাসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামবো ক্যাসন
জন্ম (1982-12-07) ৭ ডিসেম্বর ১৯৮২ (বয়স ৪১)
সুবিয়াকো, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামবাজ
উচ্চতা১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি চায়নাম্যান
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৪০১)
১২ জুন ২০০৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০২–২০০৬ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া
২০০৬–২০১১নিউ সাউথ ওয়েলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৫০ ২১
রানের সংখ্যা ১০ ১,৪৮৩ ৪৭
ব্যাটিং গড় ১০.০০ ২২.৮১ ৭.৮৩
১০০/৫০ ০/০ ০/৮ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১০ ৯৯ ১৮
বল করেছে ১৯২ ৮,৫৯৪ ৬২৪
উইকেট ১১৭ ১৮
বোলিং গড় ৪৩.০০ ৪৩.৫২ ২৮.৬৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৩/৮৬ ৬/৬৪ ৪/৩১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ২২/– ৩/–

বো ক্যাসন (ইংরেজি: Beau Casson; জন্ম: ৭ ডিসেম্বর, ১৯৮২) পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার সুবিয়াকো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন ‘বাজ’ ডাকনামে পরিচিত বো ক্যাসন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে চায়নাম্যান বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

সুবিয়াকোর শহরতলী পার্থে জন্মগ্রহণ করেন ও সেখানেই শৈশবকাল অতিবাহিত করেন বো ক্যাসন। তারা সাত ভাই-বোন ছিলেন।[১] শিশু অবস্থায় বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় তারকা শেন ওয়ার্নকে অনুসরণ করে রিস্ট-স্পিন বোলিংয়ের দিকে ধাবিত হন। পরবর্তীতে, তার খেলোয়াড়ী জীবনে তাকে অনুকরণ করা কথা ও প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।[১] জন্মকালীন ত্রুটি নিয়ে বড় হন ও তিনবার ওপেন-হার্ট সার্জারি করতে হয়েছিল তাকে।[২]

জন্মকালীন হৃদযন্ত্রের সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন। নিয়মিতভাবে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হতো ও প্রশিক্ষণকালীন ভারসাম্য রক্ষা করতে হতো। ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যদের বিশ্বকাপে অংশ নেন। এছাড়াও, তিনি একাডেমি দলের পক্ষে খেলেছিলেন। ২০০২ সালে কমনওয়েলথ ব্যাংক ক্রিকেট একাডেমি’র বৃত্তিধারী হন।

যুব ক্রিকেটে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

প্রতিভাধর কিশোর ক্রিকেটার হিসেবে বো ক্যাসনকে ২০০১ থেকে ২০০২ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্যরূপে যুব টেস্ট ও একদিনের খেলায় রাখা হয়।[৩][৪] ২০০২ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।[৫] ৬ খেলায় অংশ নিয়ে ১৫.০৮ গড়ে ১২ উইকেট দখল করেন।[৬]

এছাড়াও, ২০০১ সালে পার্থ ও অ্যাডিলেডে সফরকারী শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের পক্ষে যুব টেস্টের অন্যতম সদস্য ছিলেন। এ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে ও ক্যাসন ১৭.৩৭ গড়ে ৮ উইকেট পান। ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন ৫/৫২।[৭] ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে কিশোরদের সকল স্তরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৯৯ সালে দলের অনূর্ধ্ব-১৭ ও ২০০১ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছেন।[৮] এছাড়াও তিনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট একাডেমি থেকে একাধিক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছেন। ২০০১, ২০০২ ও ২০০৬ সালে একাডেমি দলের সদস্য ছিলেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২০০২-০৩ মৌসুম থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বো ক্যাসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ২০০৭-০৮ মৌসুমে স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে আন্তর্জাতিক খেলায় ব্যস্ত থাকলে অস্ত্রোপচার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান স্পিনার হিসেবে স্বীকৃত ছিলেন। বামহাতি রিস্ট-স্পিনার বো ক্যাসন বলকে বড় ধরনের বাঁক খাওয়াতে পারতেন।

পুরা কাপের আটটি খেলায় ৯১.০০ গড়ে সাতটি উইকেট পান। গাব্বায় তিনি নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় বোলিং করেন। ঐ মাঠে বেশ উঁচু করে ফুল টস বোলিং করে যাচ্ছিলেন। কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফেরাতে শীতকালে আর ডারউইন গ্রেড ক্রিকেটে অংশ নেননি।

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া[সম্পাদনা]

কিশোর অবস্থায় ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার পাশাপাশি দলে দ্বিতীয় একাদশে খেলেছেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো রাজ্য দলে খেলার সুযোগ লাভ করেন।[৯] প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেকের পূর্বে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া একাদশের সদস্যরূপে সফররত ইংরেজ একাদশের বিপক্ষে একটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এ পর্যায়ে জেমস ফস্টারের উইকেট লাভ করেন। খেলায় তিনি ১/৩২ পরিসংখ্যান গড়েছিলেন।[১০] ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সাতজন খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণের কারণে[১১] ৮ ডিসেম্বর, ২০০৩ তারিখে ওয়াকা গ্রাউন্ডে তাসমানিয়ার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বো ক্যাসনের অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।[১২] বল হাতে নিয়ে অভিষেক খেলায় মোটেই সুবিধে করতে পারেননি তিনি। তাসমানিয়ার প্রথম ইনিংসে ০/৪৪ পান। তবে, ব্যাট হাতে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫ রান তুলেছিলেন তিনি।[১২]

নিজস্ব দ্বিতীয় প্রথম-শ্রেণীর খেলায় সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬/৬৪ নিয়ে ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন। খেলায় তিনি দশ উইকেট পান ও বড়োদের খেলায় প্রথমবারের মতো ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।[১৩] ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে পুরা কাপের বাদ-বাকী খেলাগুলোয় অংশ নেন তিনি। তবে, মৌসুমের শেষদিকে বল হাতে আর আশানুরূপ সফলতা পাননি। ৩৯.২৫ গড়ে ১৭ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।[১৪] ২০০২-০৩ মৌসুমে বো ক্যাসনের লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১০ জানুয়ারি, ২০০৩ তারিখ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে তার এ অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।[১৫] অভিষেক খেলায় তিনি কোন উইকেট লাভে ব্যর্থ হন। ঐ মৌসুমে আইএনজি কাপের আরও তিনটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।[১৬]

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে দ্বিতীয় মৌসুমে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দেন। পুরা কাপে ৩৪.১১ গড়ে ১৭ উইকেট ও আইএনজি কাপে ৩৩.৫০ গড়ে চার উইকেট পান।[১৭][১৮] তবে, ঐ মৌসুমের কিছু সময় হাতে টান পড়ায় বোলিংয়ে অগ্রসর হতে পারেননি তিনি।[১৯] হাতের আঘাত থেকে মুক্ত হবার পর ২০০৪-০৫ মৌসুমে মিশ্রমানের খেলেন। ঐ মৌসুমে পুরা কাপে বল ও ব্যাট হাতে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। ৪০.৩৩ গড়ে ৯ উইকেট ও ৯.০০ গড়ে ৩৬ রান তুলতে সমর্থ হন।[২০][২১] এর বিপরীতে আইএনজি কাপে বল হাতে সুন্দর খেলেন। ১৭.৭৫ গড়ে ৮ উইকেট লাভ করেন।[২২] ২০০৫-০৬ মৌসুমে বো ক্যাসন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে শেষ মৌসুম খেলেন। বেশ নিম্নমানের খেলেন। পুরা কাপে ৫৪.২৯ গড়ে ১৭ উইকেট ও আইএনজি কাপে ৪১.৩৩ গড়ে মাত্র ৩ উইকেট পান।[২৩][২৪]

ওয়ারিয়র্সের পক্ষে চার বছর খেলেন। ৩৯.৩৮ গড়ে ৭১টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট ও লিস্ট এ ক্রিকেটে ৩০.২০ গড়ে ১৫ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।[২৫][২৬]

দল পরিবর্তন[সম্পাদনা]

মে, ২০০৬ সালে বো ক্যাসন পূর্বদিকে চলে যাবার কথা ঘোষণা করেন ও নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজের সদস্যরূপে খেলেন।[২৭] তবে, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া দল তাকে দলে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে, ক্যাসনের ভাবনা ছিল যে, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের স্পিনবান্ধব পিচে তার বোলিং মানানসই হবে ও তার খেলোয়াড়ী জীবনকে স্বার্থক করে তুলবে।[২৭] ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে চুক্তির কথা অভিযোগ করে। কিন্তু, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানায় যে, এ স্থানান্তর প্রক্রিয়া আইনমাফিক সম্পন্ন হয়েছে ও বো ক্যাসন নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে খেলতে পারবে।[২৮] কিন্তু, নিউ সাউথ ওয়েলস দলে আরও চারজন স্পিনারের উপস্থিতির ফলে দলে স্থায়ী আসনের বিষয়টি সন্দেহের পর্যায়ে চলে যায়।[২৯]

ব্লুজ দলের পক্ষে প্রথম মৌসুমে তিনি সাত খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন। পাশাপাশি ঐ মৌসুমটিও বেশ দূর্বলভাবে অতিক্রম করেন। ৭২.০০ গড়ে মাত্র ৭ উইকেট পান।[৩০] এর সাথে কাঁধের আঘাত বোলিংয়ে প্রভাব ফেলে। এক পর্যায়ে তাকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল।[৩১] কাঁধের আঘাত থেকে সেড়ে উঠে ২০০৭-০৮ মৌসুমে বেশ সুন্দর ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। ৩৫.১৩ গড়ে ২৯ উইকেট ও ৬০.৬২ গড়ে ৪৮৫ রান তুলেন তিনি।[৩২][৩৩] সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮০ বলে ৯৯ রান তুলেন। এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল। ঐ মৌসুমের পুরা কাপের চূড়ান্ত খেলায় বিজয়ী হতে ব্লুজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।[৩৪] ব্রেট লি’র সাথে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৮৯ রান তুলে নতুন রাজ্য রেকর্ড গড়েন।[৩৫] ফলশ্রুতিতে, পুণরায় তিনি জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। এরপর, ভিক্টোরিয়া দল জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামলে তিনি ৪ উইকেট পান। তন্মধ্যে, নিউ সাউথ ওয়েলসের কাপ জয়ে সর্বশেষ উইকেটটিও তার দখলে ছিল।[৩৬]

দূর্দান্ত মৌসুম খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো ৯ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে তাকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় আনে।[৩৭] তবে, এক বছর পরই তার সাথে চুক্তি ছিন্ন হয়। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বেশ ভালো ফলাফল করলেও একদিনের দলে তাকে বেশ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। নিউ সাউথ ওয়েলসের একদিনের দলসহ লিস্ট এ ক্রিকেটে ব্লুজের পক্ষে নাথান হারিৎজকে স্পিন বোলার হিসেবে তার তুলনায় এগিয়ে রাখা হয়। নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে মাত্র একটি লিস্ট এ ও দুইটি টুয়েন্টি২০ খেলায় অংশ নেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন বো ক্যাসন। ১২ জুন, ২০০৮ তারিখে ব্রিজটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে অস্ট্রেলিয়া দলে বো ক্যাসনকে রাখা হয়। ১ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে দলের সদস্যদের তালিকা প্রকাশে তাকে স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছিল।[৩৮] ক্যাসনের উত্থানে অ্যান্টিগুয়ায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শেষে স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল তার অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। ফলশ্রুতিতে, বার্বাডোসের সিরিজের চূড়ান্ত ও তৃতীয় টেস্টে ক্যাসনকে খেলানো হয়।[৩৯] ১২ জুন, ২০০৮ তারিখে ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে অভিষেক খেলাটিতে অংশগ্রহণের ফলে অস্ট্রেলিয়ার ৪০১তম টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন। খেলার শেষ ইনিংসে ৩/৮৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। জাভিয়ের মার্শালকে ৮৫ রানে ফিল জ্যাকুয়েসের তালুবন্দী করে নিজস্ব প্রথম উইকেট পান।[৪০]

অবসর[সম্পাদনা]

ক্রমাগত আঘাতপ্রাপ্তি, দূর্বল ক্রীড়াশৈলী ও রাজ্য দল পরিবর্তনে ২০০৭-০৮ মৌসুমে হঠাৎ আলোর ঝলকানির ন্যায় আবির্ভূত হওয়া বো ক্যাসনের দ্রুত খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। টেস্ট খেলোয়াড় থেকে শুরু করে রাজ্য দলে বোলিংয়ের ক্রমাবনতির ফলে জাতীয় দলে তাকে রাখা হয়নি। এর বিপরীতে, ২০০৮ সালে ভারত সফরের জন্যে জেসন ক্রেজা, ব্রাইস ম্যাকগেইনক্যামেরন হোয়াইটকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের নিজস্ব শেষ খেলায় তিন উইকেট লাভ করলেও পরে আর নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তার পরিবর্তে ২০০৮-০৯ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের দলীয় সঙ্গী নাথান হারিৎজ দেশের শীর্ষস্থানীয় স্পিনার হিসেবে আবির্ভূত হন। শেষের বছরগুলোয় স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল, ব্র্যাড হগ, ড্যান কালেন ও কালেন বেইলি’র ন্যায় ধীরগতিসম্পন্ন বোলারের পিছনে ছিলেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেছেন ৯৯ রান। দীর্ঘদিন হৃদযন্ত্রের সমস্যায় নিপতিত হয়ে নভেম্বর, ২০১১ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে মাত্র ২৮ বছর বয়সে তিনি তার অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।[৪১]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোচ পুবুদু দাসানায়াকে ও রিচার্ড অ্যালেনবি’র সাথে একত্রে কাজ করেন। এ পর্যায়ে তিনি বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Casson coming out of the shadows"The Age। ১০ মে ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০০৮ 
  2. "Beau Casson - Plenty of ticker"The Age। ৬ জুন ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০০৮ 
  3. Youth Test Matches played by Beau Casson (3) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ মে ২০১১ তারিখে Cricket Archive. Retrieved 12 June 2008
  4. Youth One-Day International Matches played by Beau Casson (8) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ মে ২০১১ তারিখে Cricket Archive. Retrieved 12 June 2008
  5. Australian team for 2002 ICC Under-19 World Cup announced Cricinfo. Retrieved 11 June 2008
  6. Bowling in ICC Under-19 World Cup 2001/02 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 11 June 2008
  7. Under-19 Test Bowling for Australia Under-19s Sri Lanka Under-19s in Australia 2000/01 Cricket Archive. Retrieved 11 June 2008
  8. Other matches played by Beau Casson (84) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২২ মে ২০১১ তারিখে Cricket Archive. Retrieved 12 June 2008
  9. Callum Thorp joins warriors squad Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  10. Western Australia v England XI Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  11. Opportunity knocks for young Warriors Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  12. Western Australia v Tasmania - Pura Cup 2002/03 Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  13. South Australia v Western Australia - Pura Cup 2002/03 Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  14. Bowling in Pura Cup 2002/03 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  15. Victoria v Western Australia - ING Cup 2002/03 Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  16. Bowling in ING Cup 2002/03 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  17. Bowling in Pura Cup 2003/04 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  18. Bowling in ING Cup 2003/04 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  19. Casson returns to action Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  20. Bowling in ING Cup 2004/05 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  21. Batting and Fielding in Pura Cup 2004/05 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  22. Bowling in ING Cup 2004/05 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  23. Bowling in Pura Cup 2005/06 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  24. Bowling in ING Cup 2005/06 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  25. First-class Bowling For Each Team by Beau Casson Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  26. ListA Bowling For Each Team by Beau Casson Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  27. Casson trades in Perth for Sydney Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  28. Casson cleared for move to New South Wales Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  29. NSW name spin-friendly contract squad Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  30. Bowling in Pura Cup 2006/07 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  31. MacGill's Injury Was Casson's Lucky Break[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] Live News. Retrieved 17 June 2008
  32. Batting and Fielding in Pura Cup 2007/08 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  33. Bowling in Pura Cup 2007/08 (Ordered by Average) Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  34. New South Wales v South Australia - Pura Cup Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  35. Lee's 97 puts Blues on the brink Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  36. New South Wales v Victoria Cricket Archive. Retrieved 17 June 2008
  37. Bollinger and Marsh receive contracts Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  38. Casson picked for West Indies tour Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  39. Australia pick Casson for third Test Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  40. West Indies v Australia - The Frank Worrell Trophy - 3rd Test Cricinfo. Retrieved 17 June 2008
  41. "Beau Casson retires from all cricket at 28"। ESPNcricinfo। ২২ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০১১ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]