বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের মানবিক মাত্রা নিয়ে মালে ঘোষণাপত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মালদ্বীপের মালে দ্বীপের নামানুসারে এই ঘোষণাপত্র তৈরি হয়েছে।

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের মানবিক মাত্রা নিয়ে মালে ঘোষণাপত্র হলো বেশকিছু উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সমন্বয়ে করা একটি চুক্তির ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত ঘোষণাপত্র। এটি ২০০৭ সালের নভেম্বরে স্বাক্ষরিত হয়। এই ঘোষণাপত্রের উদ্দেশ্য ছিল মানবাধিকার ও জলবায়ু পরিবর্তনকে সংযুক্ত করার পরিষ্কার কৌশল গঠন করা। এই পত্রের অন্যতম উদ্দেশ্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য কেবলমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবেশগত প্রভাব না দেখে একইসাথে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানবাধিকারের উপরে প্রভাবের কথাও বিবেচনা করা।[১] এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে এটা পরিষ্কার হয় যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশের অধিকার অন্য সকল মৌলিক মানবাধিকারের পূর্বশর্ত।[২]

মালদ্বীপ এই ঘোষণাপত্রের অন্যতম স্বাক্ষরকারী দেশ এবং এর রাজধানী মালের নামানুসারে পত্রটির নামকরণ করা হয়। মালদ্বীপ অন্যতম রাষ্ট্র, যার জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ইতোমধ্যে প্রভাবিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, মালদ্বীপ এবং অন্যান্য দ্বীপরাষ্ট্র একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন করার চেষ্টা করছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় মানবাধিকারকে একটি কাঠামো হিসাবে ব্যবহার করবে। এই জোট জেনেভা, নিউ ইয়র্ক সিটি এবং মালেতে বৈঠক করেছে।[৩]

জাতিসংঘ[সম্পাদনা]

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষুধার্ত মেরু ভাল্লুক।

ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরকারীরা জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানবাধিকার বিষয়টির প্রতি আরো মনোযোগী হতে অনুরোধ করে। এর উত্তরে, মানবাধিকারের জন্য জাতিসংঘের হাই কমিশনারের অফিস একটি গবেষণা প্রকাশ করে, যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত এবং মানবাধিকারে বাধা তৈরি করে এমন কিছু নির্দিষ্ট কিছু দিক উল্লেখিত হয়, ও জোর দিয়ে জানায় যে জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মানবাধিকার রক্ষার জন্য রাষ্ট্রগুলোকে একসাথে কাজ করা উচিত। এই প্রতিবেদনে বেশকিছু মৌলিক অধিকার হুমকির সম্মুখীন তা বিশেষভাবে দেখানো হয়, যেমন জীবনের অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার, জীবনমানের অভাব, এবং আত্মসংকল্প[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কিউং-ওয়া, কাং (১৪ ডিসেম্বর ২০০৭)। Climate Change and Human Rights (Speech)। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন এবং এর কিয়োটো প্রোটোকলের পক্ষগুলির সম্মেলন (ইংরেজি ভাষায়)। বালি, ইন্দোনেশিয়া। ২০ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১ 
  2. Quirico, Ottavio (২০১৬)। "Input for the 2016 Report to the Human Rights Council of the Special Rapporteur on Human Rights and the Environment" (পিডিএফ)ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড হিউমান রাইটস প্রসিডিংস (ইংরেজি ভাষায়) – OHCHR-এর মাধ্যমে। 
  3. Limon, Marc (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। "The Small Island Perspective on Agenda-Setting in Climate Change and Human Rights"ucl.ac.uk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১ 
  4. Knox, John (১৫ নভেম্বর ২০১৫)। "Climate Change and Human Rights: Three Benefits of a Human Rights Perspective on Climate Change"গ্লোবাল পলিসি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১