বিষয়বস্তুতে চলুন

বেসাল গ্যাংলিয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বেসাল গ্যাংলিয়া
সেরিব্রাল কর্টেক্সের উপর বেসাল গ্যাংলিয়ার স্কিম্যাটিক চিত্র
বিস্তারিত
যার অংশসেরিব্রাম
উপাদানসমূহস্ট্রায়াটাম, গ্লোবাস প্যালিডাস, সাবস্ট্যানশিয়া নিগ্রা, সাবথ্যালামিক নিউক্লিয়াস
শনাক্তকারী
লাতিনnuclei basales
মে-এসএইচD001479
নিউরোনেমস224, 2677
নিউরোলেক্স আইডিbirnlex_826
টিএ৯৮A14.1.09.501
টিএ২5559
এফএমএFMA:84013
স্নায়ুতন্ত্রের শারীরস্থান পরিভাষা

বেসাল গ্যাংলিয়া (বা বেসাল নিউক্লিয়াই) হল মস্তিষ্কের গভীরে অবস্থিত স্নায়ুকোষের (নিউরনের) একটি দল। এটি প্রধানত স্বেচ্ছাসেবী গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ, অভ্যাস গঠন, পদ্ধতিগত শেখা, প্রেরণা এবং সংবেদন প্রক্রিয়াকরণে ভূমিকা রাখে।

বেসাল গ্যাংলিয়া প্রধানত চারটি অংশ নিয়ে গঠিত: 1. স্ট্রায়াটাম: সবচেয়ে বড় অংশ। কর্টেক্স থেকে তথ্য গ্রহণ করে। ডোপামিনের প্রভাবে কাজ করে। 2. গ্লোবাস প্যালিডাস: স্ট্রায়াটাম থেকে সংকেত পেয়ে থ্যালামাসে পাঠায়। গতিবিধি মসৃণ করে। 3. সাবস্ট্যানশিয়া নিগ্রা: ডোপামিন তৈরি করে, যা স্ট্রায়াটামের কাজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। 4. সাবথ্যালামিক নিউক্লিয়াস: গ্লোবাস প্যালিডাসকে উদ্দীপ্ত করে।

প্রধান কাজ

[সম্পাদনা]
  • গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ: স্বেচ্ছাপ্রণোদিত চলাফেরা (হাঁটা, লেখা) শুরু করা, থামানো ও মসৃণ করা।
  • অভ্যাস ও শেখা: বারবার করা কাজ (যেমন সাইকেল চালানো) স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেখা।
  • প্রেরণা ও পুরস্কার: ভালো কাজের অনুভূতি দেয়, যা পুনরায় করতে উদ্বুদ্ধ করে (ডোপামিনের মাধ্যমে)।
  • চোখের গতি: দৃষ্টি স্থির রাখা বা দ্রুত দৃষ্টি সরানো।
  • সিদ্ধান্ত গ্রহণ: বিভিন্ন কাজের মধ্যে থেকে উপযুক্তটি বেছে নেওয়া।

রোগ ও সমস্যা

[সম্পাদনা]

বেসাল গ্যাংলিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হলে নানা স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়:

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৬৬৪ সালে থমাস উইলিস প্রথম বেসাল গ্যাংলিয়ার বর্ণনা দেন। ২০শতকের শুরুতে এটির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা স্পষ্ট হয়। "বেসাল গ্যাংলিয়া" নামটি মস্তিষ্কের গোড়ায় (বেসাল) অবস্থান এবং স্নায়ুকোষের গুচ্ছ (গ্যাংলিয়া) নির্দেশ করে, যদিও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে "নিউক্লিয়াই" শব্দটিও ব্যবহার করা হয়।

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]