বেদোক রিসার্ভার

স্থানাঙ্ক: ১°২০′৩২″ উত্তর ১০৩°৫৫′৩০″ পূর্ব / ১.৩৪২২২° উত্তর ১০৩.৯২৫০০° পূর্ব / 1.34222; 103.92500
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বেদোক রিসার্ভার
অবস্থানপূর্ব সিঙ্গাপুর
স্থানাঙ্ক১°২০′৩২″ উত্তর ১০৩°৫৫′৩০″ পূর্ব / ১.৩৪২২২° উত্তর ১০৩.৯২৫০০° পূর্ব / 1.34222; 103.92500
ধরনজলাধার
অববাহিকার দেশসমূহসিঙ্গাপুর
পৃষ্ঠতল অঞ্চল০.৮৮ কিমি (০.৩৪ মা)
গড় গভীরতা৯ মি (৩০ ফু)
সর্বাধিক গভীরতা১৮.২ মি (৬০ ফু)
উপকূলের দৈর্ঘ্য৫.৮ মি (১৯ ফু)
উপকূলের দৈর্ঘ্য ভাল সংজ্ঞায়িত পরিমাপ হয়নি

বেদোক রিসার্ভার বা বেদোক জলাধার (মালয়: Empangan Bedok, তামিল: பெடோக் நீர்த்தேக்கம்) বেদোক নিউ টাউনের উত্তরে সিঙ্গাপুরের পূর্বাংশের একটি জলাধার। জলাধারটির পৃষ্ঠতলের আয়তন ৮,৮০,০০০ বর্গ মিটার এবং এর ধারণক্ষমতা ১২.৮ মিলিয়ন ঘনমিটার। জলাশয়ের গড় গভীরতা ৯ মিটার, সর্বোচ্চ ১৮.২ মিটার গভীরতা সহ এর উপকূলের দৈর্ঘ্য ৪.৩ কিমি।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

২০১৪ সালে বেদোক জলাশয়ের অন্তরীক্ষ চিত্র।

জল সরবরাহ প্রকল্পের অংশ হিসাবে ১৯৮০ সালে প্রথম জলাধারটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এটি হাউজিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট বোর্ড (এইচডিবি) দ্বারা ব্যবহৃত একটি বালির খনি থেকে রূপান্তরিত করা হয়েছিল।[১][২] গভীর পাম্পিং স্টেশন এবং একটি ঘেরের রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে ১৯৮৩ সালে জলাধারটির কাজ শুরু হয়েছিল।[৩] জলাধারটি ১৯৮৫ সালের জুনে সম্পন্ন হয়েছিল এবং ঐ বছরের আরও পরে দিকে এটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।[৪]

আধার[সম্পাদনা]

বেদোক জলাধার

বেদোক জলাধার এখন জলের বিভিন্ন খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত যেমন ওয়েগবোর্ডিং, নৌযান, মাছ ধরা, ক্যানোয়িং এবং কায়াকিং। এটি সিঙ্গাপুর স্পোর্টস কাউন্সিলের (এসএসসির) জলের খেলা আগ্রহীদের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহার করতে দেয় যা জলের মানের সাথে আপস করে না। এইচএসবিসির ওয়েকবোর্ড বিশ্বকাপ সিঙ্গাপুর ২০০৪-এর মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়েছিল, যা ২০০৪ সালের ৩০-৩১ অক্টোবর বেদোক জলাধারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি স্থানীয় জলাশয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক জল ক্রীড়া অনুষ্ঠান ছিল।

বেডোক জলাধারে ফ্লাইং মডেল গ্লাইডার একটি জনপ্রিয় বিনোদন

বেদোক জলাশয়ের পশ্চিম অংশের পাহাড়টি মডেল গ্লাইডারগুলো উড়ানোর জন্য জনপ্রিয় জায়গা।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বেদোক জলাশয়ে অনুশীলনকারী একজন কায়কার তার নৌকা থেকে জলে পড়ে যায়। পন্টুনের দিকে সাঁতার কাটতে গিয়ে তিনি অনুভব করলেন তার পায়ে কিছু কামড় দিচ্ছিল এবং পানির বাইরে বেরোনোর পর তাঁর পায়ে প্রচুর আঘাত ও ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছিল। জীববিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন যে জলাশয়ের আক্রমণাত্মক কচ্ছপ বা মাছের আক্রমণে এমন হতে পারে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও হামলার খবর পাওয়া গেছে এবং ফলস্বরূপ, বেদোক জলাশয়ে ক্রীড়া এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে, আফ্রিকান ওয়াকিং ক্যাটফিশ, ময়ুর খাদ, টার্পন এবং আর্মার্ড সাকার ক্যাটফিশের মতো বিভিন্ন ধরনের শিকারী মাছ জলাশয়ে ধরা পড়েছে। সরকার জলে প্রবেশকারীদের পরামর্শদাতা নিয়োগ করেছে এবং এখানে মাছ ছেড়ে দেওয়ার অপরাধে জন্য গুরুতর অর্থদন্ড ও জরিমানা জারি করা হয়েছে।[৫]

বেদোক জলাধার পার্ক[সম্পাদনা]

বেদোক জলাধার পার্কে লাল ফ্রেঙ্গিপাণি (প্লুমেরিয়া রুব্রা)

বেদোক জলাধার পার্কটি জলাশয়ের আশেপাশে তৈরি হয়েছিল। পার্কটি একটি জগিং ট্র্যাক, একটি শিশুদের খেলার মাঠ, ফিটনেস স্টেশন এবং উন্মুক্ত ক্ষেত্র দিয়ে সজ্জিত। পার্কটি ইনলাইন স্কেটিং, সাইক্লিং, ফিশিং এবং জগিংয়ের মতো বহিরঙ্গন ক্রিয়াকলাপের জন্য জনপ্রিয়। জগ এ ওয়াক ক্রিয়াকলাপ বিভিন্ন স্কুল এবং সংস্থাগুলো দ্বারা নিয়মিত পার্কে অনুষ্ঠিত হয়।

বেদোক জলাধার পার্ক সিঙ্গাপুরের বৃহত্তম ট্রি টপ অ্যাডভেঞ্চার পার্ক যা ফরেস্ট অ্যাডভেঞ্চারের আবাস। এটি উচ্চতায় ৬৯টি বাধা এবং জলের উপর দিয়ে ৪ টি দৈত্যাকার জিপ লাইন তৈরি করা আছে।

পার্কটিতে ছয়টি ভেন্যু রয়েছে যা ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোর জন্য বুকিং করা যায়: ভাসমান ডেক (১,৩২০ বর্গ মিটার আয়তন, ২৪০ জনেরও বেশি ধারনক্ষমতা)।), এক্টিভিটি লন (৩,৬০০ বর্গমিটার আয়তন, ২,০০০ ব্যক্তির ধারণক্ষমতা), জগিং ট্র্যাক (৪.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ), রিসার্ভার ভিস্তা (৩,৬০০ বর্গমিটার আয়তন, ২,০০০ জনের বেশি ব্যক্তির ধারণক্ষমতা), রিসার্ভার লন (১৩,২০০ বর্গ মিটার, ৫,০০০ জন ব্যক্তির ধারনক্ষমতা) এবং ভিউইং গ্যালারী (৪৩২ বর্গমিটার আয়তন, ১৫০ জন ব্যক্তির সক্ষমতা)। বেদোক জলাধারের রাস্তার মাধ্যমে পার্কে যাওয়া যায়।[৬]

ঘটনাবলী[সম্পাদনা]

উত্তর-পূর্ব বর্ষার সময় বেদোক জলাধার

ওয়াটার স্পোর্টস ক্রিয়াকলাপের সূচনা ১৭ অক্টোবর ২০০৪-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এটি নিশ্চিত করেছে যে প্রথমবারের মতো স্থানীয় জলাশয়ে জলের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হতে পারে। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি, জর্জ ইয়ো (প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আলজানিয়েড জিআরসি-এর এমপি) ক্যানো রেসিংয়ের উদ্বোধন করেন।

এইচএসবিসি ওয়েকবোর্ড বিশ্বকাপ সিঙ্গাপুর ২০০৪, ৩০-৩১ অক্টোবর ২০০৪ বেদোক জলাশয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্থানীয় জলাশয়ে অনুষ্ঠিত এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক জল ক্রীড়া ইভেন্ট।

ওয়েকবোর্ড বিশ্বকাপ সিঙ্গাপুর ২০০৭ বিশ্বকাপ সিরিজের সিঙ্গাপুর লীগ চলাকালীন ২২ এবং ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সিঙ্গাপুর আর্টস ফেস্টিভ্যালের অংশ হিসাবে দ্য লুনাটিক্স কর্তৃক হাইড্রো সাপিয়েন্সের বিশ্ব প্রিমিয়ার ২০ থেকে ২২ জুন ২০০৮ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সিঙ্গাপুর ড্রাগন বোট ফেস্টিভাল ২৮ থেকে ২৯শে জুন ২০০৮ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "PUB plans to build two more reservoirs"The Straits Times। ৬ মার্চ ১৯৮০। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৭ – NewspaperSG-এর মাধ্যমে। 
  2. "Work begins on Bedok Reservoir"New Nation। ৭ মার্চ ১৯৮০। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৭ – NewspaperSG-এর মাধ্যমে। 
  3. "What goes into the making of a reservoir"The Straits Times। ২৩ মে ১৯৮৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৭ – NewspaperSG-এর মাধ্যমে। 
  4. "Sungei Seletar, Bedok reservoirs completed"The Straits Times। ১১ জুন ১৯৮৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৭ – NewspaperSG-এর মাধ্যমে। 
  5. "Bedok - Bedok reservoir - Bedok dam - reservoir Bedok - Singapore dam Bedok"। ২০১৫-০৬-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৩ 
  6. "Bedok Reservoir Park"National Parks Board (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০২-১৩ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]