বেতাগী ইউনিয়ন, রাঙ্গুনিয়া

স্থানাঙ্ক: ২২°২৫′৫০″ উত্তর ৯১°৫৯′৪৭″ পূর্ব / ২২.৪৩০৫৬° উত্তর ৯১.৯৯৬৩৯° পূর্ব / 22.43056; 91.99639
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বেতাগী
ইউনিয়ন
৭নং বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদ
বেতাগী চট্টগ্রাম বিভাগ-এ অবস্থিত
বেতাগী
বেতাগী
বেতাগী বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
বেতাগী
বেতাগী
বাংলাদেশে বেতাগী ইউনিয়ন, রাঙ্গুনিয়ার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২২°২৫′৫০″ উত্তর ৯১°৫৯′৪৭″ পূর্ব / ২২.৪৩০৫৬° উত্তর ৯১.৯৯৬৩৯° পূর্ব / 22.43056; 91.99639 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগচট্টগ্রাম বিভাগ
জেলাচট্টগ্রাম জেলা
উপজেলারাঙ্গুনিয়া উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সরকার
 • চেয়ারম্যানশফিউল আলম শফি
আয়তন
 • মোট১৭.৭২ বর্গকিমি (৬.৮৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৪৯,৪৮৪
 • জনঘনত্ব২,৮০০/বর্গকিমি (৭,২০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৫৮.২১%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৪৩৪৮ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

বেতাগী বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন

আয়তন[সম্পাদনা]

বেতাগী ইউনিয়নের আয়তন ৪৩৭৮ একর (১৭.৭২ বর্গ কিলোমিটার)।[১]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেতাগী ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ৪৯,৪৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২৪,৭৪৯ জন এবং মহিলা ২৪,৭৩৫ জন।[২]

অবস্থান ও সীমানা[সম্পাদনা]

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণায় বেতাগী ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের পূর্বে কর্ণফুলী নদীসরফভাটা ইউনিয়ন; উত্তরে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, পোমরা ইউনিয়নরাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়ন; পশ্চিমে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন এবং দক্ষিণে কর্ণফুলী নদীবোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন অবস্থিত।

নামকরণ[সম্পাদনা]

গ্রামের নাম বেতাগী হবার কোন প্রামাণ্য ঐতিহাসিক সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। কিংবদন্তি অনুসারে উপদ্বীপ সদৃশ জনপদটির প্রায় মধ্যাঞ্চল দিয়ে বেতের আগার মতো সর্পিল গতিতে প্রবাহিত বেতাগী খালের উভয় তীরে ঘন বেতবনের নামানুসারে গ্রামের নাম হয়েছে ‘বেতাগি’ (বেতের অগ্রভাগ) অর্থাৎ বেতাগী। নাম প্রসঙ্গে দুই বেহাই-এর মধ্যে একটি রসিকতা গল্পও শোনা যায়। ভিন্ন গ্রাম থেকে বেতাগীর বেহাই বাড়ীতে আগত বেহাই নাকি বলেছিলেন, “বেতাগীর মানুষ বে-ত্যাগী” অর্থাৎ ত্যাগ করতে জানেনা। তাই গ্রামের নাম হয়েছে বে-ত্যাগী অর্থাৎ বেতাগী। জবাবে বেতাগীর বেহাই নাকি বলেছিলেন, “আরে না না, এখানে ব্যথার ঘি অর্থাৎ ব্যথা উপশমের ঘি পাওয়া যেতো বলে গ্রামের নাম হয় ব্যথার ঘি অর্থাৎ বেতাগী। দুই বেহাই এর মধ্যে নিছক একটি রসিকতার গল্প ছাড়া কিছু নয়। তবে একটি কৌতূহলের বিষয় হচেছ যে বাংলাদেশের বরগুনা, কুষ্টিয়া, পাবনা প্রভৃতি জেলাতেও বেতাগী নামের উপজেলা কিংবা গ্রামের অস্তিত্ব মেলে। এই মিলের ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা পণ্ডিতগণের গবেষণার বিষয়। চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাদ্বয়ের প্রায় মাঝখানে রাউজান-রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালী এই তিন থানার সঙ্গমস্থলে রাঙ্গুনিয়া থানার অন্তবর্তী হচ্ছে বেতাগী ইউনিয়ন।[৩]

ইতিহাস ও ঐতিহ্য[সম্পাদনা]

বেতাগী এলাকা কত প্রাচীন তা জানার মত ঐতিহাসিক তথ্য এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ইউনিয়নের চম্পাতলী এলাকার আশেপাশের ভূগর্ভে কিছু পুরাকীর্তির নিদর্শন পাওয়া গেছে। এলাকাটির দক্ষিণাংশে পাহাড়ের ঢালে মাটির নিচে ১৯৫৬ সালের জানুয়ারী মাসে ১০×৭×২ ইঞ্চি মাপের মধ্যযুগীয় ইটের গাঁথুনিযুক্ত একটি পাতকুয়া আবিস্কৃত হয়। সেই পাতকুয়ায় নাকি পিতল নির্মিত একটি প্রাচীন ছোট বৌদ্ধমূর্তিও পাওয়া গিয়েছিলো। পশ্চিম দিকে খোন্দকার বাগিচা নামক কবরস্থানের পাহাড়টিতে কবর খননের সময়ে মাঝে মাঝে একই মাপের প্রাচীন ইস্টক নির্মিত দেওয়ালের নিদর্শন পাওয়া যায়। পাহাড়টির দক্ষিণ দিকে নিচে বর্তমানে বিলুপ্ত হলদ্যা পুকুরের পাড় থেকে মাটি খনন করে ডেকচি পূর্ণ স্বর্ণমুদ্রা আবিষ্কারের জনরবও শোনা গেছে। এই সমস্ত বাস্তব তথ্য ও জনরব থেকে অনুমান করা হয়ে যে, কয়েক শতাব্দী আগে এলাকাটিতে ধনশালী আরাকানী বৌদ্ধদের বসতি ছিলো। তাছাড়া মধ্য বেতাগীর গাবগুলাতল থেকে মালেকার বাপের বাড়ীর সামনের জগন্নাথ পুকুরের পশ্চিম পাড় পর্যন্ত ইটের গাঁথুনিযুক্ত রাস্তায়, গোলাম আলী চৌধুরীর নির্মিত মসজিদের সিমেন্ট বিহীন পাকা দেওয়ালে, জান আলী ইজারাদের তেরজুরী (treasury সরকারী কোষাগার)–র ভগ্নাংবশেষে, ধামাই পুল ও গোলাম আলী চৌধুরী সড়ক (বেপারীর জাঙ্গাল) এর ২টি নাশিতে ৬.৫×৩×২.৫ ইঞ্চি মাপের অনেক ইট দেখতে পাওয়া গেছে। অর্থাৎ এই সমস্ত ইট মধ্যযুগীয় স্থাপত্যে ব্যবহৃত ছিল বলে এই সমস্ত স্থাপনাকে মনে করা হয় মধ্যযুগীয় পুরাকীর্তির নিদর্শন। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানের নামেও পাওয়া যায় মোগল, আরাকানী, ত্রিপুরা, প্রভৃতি আমলের নামের ইঙ্গিত। যেমন, বদরের দীঘি, নঈয়ারখিল, খাজাঞ্চীর দীঘি, লাওসি পুকুর, পরাণগোমস্তা পুকুর, বিষকরমের পুকুর, বেপারীর জাঙ্গাল, মির্জাখীল প্রভৃতি নাম উল্লেখ করা যায়। বেপারীর জাঙ্গালের উত্তর ধারে পাহাড়ের পশ্চিম ঢালে মহাকাশের সাক্ষীরূপে দণ্ডায়মান সুবিস্তৃত ডালপালা শোভিত বটবৃক্ষটি নাকি ২০০ বৎসরের ও বেশি প্রাচীন। আমাদের পূর্ববর্তী দুই প্রজন্মের লোককে বলতে শুনেছি তারা শৈশব থেকে বটবৃক্ষটিকে একই অবস্থায় একই আকারে দেখেছেন। জাপানে নাকি এরূপ প্রাচীন গাছকে জাতীয় রত্নরূপে সংরক্ষণ করা হয় সরকারী উদ্যোগে। এই বটগাছটিকেও জাতীয় ঐতিহ্যর সাক্ষীরুপে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। কিংবদন্তি আছে যে, এই বটগাছটিরই পাশে ছিলো আরেকটি বিরাট বটগাছ যাকে বলা হতো “আটকড়ি”র বটগাছ। এই বটবৃক্ষ তলে নাকি ছিলো ফেরীঘাট যেখান থেকে সেকালের মুদ্রায় আটটি কড়ি দিয়ে হাটহাজারী থানার ফতেয়াবাদের “ঝরঝরি” বটতল পর্যন্ত বিস্তীর্ণ দরিয়া পারাপার করা হত। তাই বটগাছটির নাম হয় আটকড়ির বটগাছ। এমন কিংবদন্তিও আছে যে এই বটতলা থেকে ফেরী নৌকা দেয়াঙের পাহাড়েও যাতায়াত করত। এই সমস্ত কিংবদন্তি থেকে অনুমান করা হয় যে এককালে কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণে খরণদ্বীপ, চরণদ্বীপ, তৈলারদ্বীপ, হাবিলাসদ্বীপ, ধলঘাট প্রভৃতি স্থানের নাম একটি সুবিস্তৃত দরিয়ার অস্থিত্বের কাহিনীকেই সমর্থন করে। প্রায় ২০০ বছর আগে বেতাগীতে কিছু বিদ্বান ও পণ্ডিত ব্যক্তির বসতি ছিল। তাদের অন্যমত একজন হচ্ছেন মদন-পণ্ডিত যিনি “ছোটঠাকুর” নামেই বেশি পরিচিত। শোনা যায় আরাকানী রাজসভার একজন সভাপণ্ডিতের সঙ্গে তার পরিচয়, যোগাযোগ ও আনাগোনা ছিল। মদন-পণ্ডিত কৃষিকার্য করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। একবার কৃষি মৌসুমে আরাকানী রাজসভার পণ্ডিত বেতাগীর মদন-পণ্ডিতে সঙ্গে দেখা করতে এসে দেখতে পান মদন পণ্ডিত যালাক্ষেতে থেকে একান্ত মনে যালা তুলছেন। সারাদেহ জলাকাদায় একাকার। তার এই কিম্ভূতকিমাকার মূর্তিটি দেখে আরাকানী পণ্ডিত ছড়া কেটে বলেছিলেন- “এ্যাকি মদন ভেরকেডি বদন যালা হারিতে পারে! পূর্বে আছিলো মদন লক্ষী বদন, যমে হরি নিলো তারে।” অর্থাৎ ধানের চারা তোলার অবস্থায় কাদামাখা মদন-পণ্ডিতের কি যে কিম্ভূতকিমাকার মূর্তি! আগে যে সুন্দর দেহটি ছিলো, যম সেই সুন্দর চেহারা হরণ করে নিয়ে গেছে। তাই এই অবস্থা।[৩]

প্রশাসনিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বেতাগী ইউনিয়ন রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আওতাধীন ৭নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৮৪নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৭ এর অংশ।

ওয়ার্ডভিত্তিক এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হলঃ

ওয়ার্ড নং গ্রাম/এলাকার নাম
১নং ওয়ার্ড পশ্চিম বেতাগী (আফজাল দীঘি সংলগ্ন, দাস পাড়া, বসাক পাড়া)
২নং ওয়ার্ড ঢেমিরছড়া, উত্তর বেতাগী (পাল পাড়া, নন্দী পাড়া, মল্লিক পাড়া)
৩নং ওয়ার্ড মধ্য বেতাগী (রামগতির হাট সংলগ্ন), গাবগুলা তল, চম্পাতলি
৪নং ওয়ার্ড মধ্য বেতাগী (রহমানিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন), দক্ষিণ বেতাগী (গোলাম বেপারী হাট সংলগ্ন)
৫নং ওয়ার্ড আমির পাড়া (স-মিল সংলগ্ন), বড়ুয়া পাড়া, সিকদার পাড়া
৬নং ওয়ার্ড তিনচৌদিয়া, ডিঙ্গললোঙ্গা, বানিয়াখোলা
৭নং ওয়ার্ড পূর্ব বেতাগী (মির্জাখীল), দক্ষিণ চেংখালী (আংশিক)
৮নং ওয়ার্ড কাউখালী, দক্ষিণ চেংখালী
৯নং ওয়ার্ড গুনগুনিয়া বেতাগী, উত্তর চেংখালী

[২]

শিক্ষা ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

বেতাগী ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৬৫%। এ ইউনিয়নে ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি মাদ্রাসা, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৬টি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।[৪]

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

মাধ্যমিক বিদ্যালয়

[৫]

মাদ্রাসা

[৬]

নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • কাউখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • গুনগুনিয়া বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • ঢেমিরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • তিনচৌদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • পশ্চিম বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • পূর্ব বেতাগী হাফেজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • প্রফেসর আব্দুল হালিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • বিপিন বিহারী পাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • বেতাগী চেংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
  • মধ্য বেতাগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
কিন্ডারগার্টেন
  • ইমাম হোসাইন (রা.) একাডেমী
  • কর্ণফুলী মডার্ন কেজি স্কুল
  • তিনচৌদিয়া ডিঙ্গললোঙ্গা শিশু নিকেতন
  • দীপন কিন্ডারগার্টেন
  • পূর্ব বেতাগী ওয়ায়েজ উদ্দীন শাহ (রহ.) কেজি স্কুল
  • বেতাগী রহমানিয়া কেজি ইনস্টিটিউট
  • বেতাগী হোসাইনিয়া কিন্ডারগার্টেন

যাতায়াত ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

বেতাগী ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়কগুলো হল:

  • হাফেজ বজলুর রহমান সড়ক (রাউজান-বেতাগী)
  • গোলাম আলী চৌধুরী সড়ক (রামগতির হাট - চম্পাতলী)
  • শান্তির হাট- চম্পাতলী সংযোগ সড়ক (শান্তির হাট - চম্পাতলী)
  • আমান উল্লাহ সড়ক (গোচরা চৌমুহনী-বেতাগী স'মিল)
  • গশ্চি নয়াহাট-লাম্বুরহাট-রামগতির হাট সড়ক

সড়কপথে প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সিএনজি চালিত অটোরিক্সা।

এছাড়া কালুরঘাট-বেতাগী স'মিল নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।

গ্রাম ও প্রকৃতি[সম্পাদনা]

বেতাগী ইউনিয়নে বেতাগী (৬ মৌজা), ঢেমিরছড়া, আন্দরঘোনা, বানিয়াখোলা, ডিঙ্গললোঙ্গা (২ মৌজা), তিনচৌদিয়া, চেংখালী (২ মৌজা), কাউখালী ও গুনগুনিয়া বেতাগী এই ১৬টি মৌজা রয়েছে। তন্মধ্যে নদী তীরবর্তী বেতাগীর ৫ মৌজা এবং কাউখালী ও গুনগুনিয়া বেতাগী বাদ দিলে অবশিষ্ট মৌজাগুলো পাহাড়ময়।

মোটামুটিভাবে সমগ্র বেতাগী ইউনিয়নের অর্ধাংশ সমতল ভূমি এবং বাকি অর্ধাংশ অসংখ্য ‘ঘোনা’ ও ‘থলি’ (উপত্যকা) খচিত পাহাড়ী ভূমি। বিভিন্ন পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়েছে কতগুলো ছড়া ও খাল। ছড়াগুলো বর্ষাকালে পানিপূর্ণ থাকলেও শুকনো মৌসুমে শুষ্ক বালুকাময়। কর্ণফূলি-বিধৌত সমতল ভূমি, উঁচুনিচু পাহাড় ও টিলার বনজঙ্গল, ছড়া, ও খাল, সবুজ উপত্যকা আর গভীর নীলাকাশ মিলে বেতাগী ইউনিয়নের নিসর্গ শোভাকে করেছে এতই মনোরম যে আরব্যরজনীর কাহিনীর মতোই একজন আরব বাদশা এখানকার পাহাড়ে নির্মাণ করছেন তার বিনোদনের জন্য একটি সুরম্য উদ্যান-অট্টালিকা। হগ চট্টগ্রাম শহর থেকে কর্ণফুলী নদীর উজানে প্রায় ১২ মাইল কিংবা কালুরঘাট সেতু থেকে একই নদীপথে প্রায় ৬ মাইল যাবার পর নদী যেখানে ধ্বনি ও প্রতিধ্বনির জন্য সুপরিচিত কুশল্যা পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা খেয়ে বাঁ দিকে মোড় নিয়েছে সেখানে উপবদ্বীপাকার যে ভূখণ্ড সেটি হচ্ছে বেতাগী। অথবা চট্টগ্রাম শহর থেকে এশিয়ান হাইওয়ে এবং তার পরে কাপ্তাই সড়ক ধরে যেতে যেতে সড়কটি যেখানে প্রথম পাহাড়ী এলাকায় প্রবেশ করেছে সেখানে পাহাড়তলী চৌমুহনী থেকে ডান দিকে মোড় নিয়ে প্রায় তিন মাইল গিয়ে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত বেতাগী। কাপ্তাই সড়ক ধরে পাহাড়তলী চৌমুহনী থেকে আরো প্রায় দুই/তিন মাইল গিয়ে শান্তির হাট বা গোচরা চৌমুহনী থেকে ডান দিকে মোড় নিয়েও বেতাগী যাওয়া চলে। শীত-বসন্ত-গ্রীষ্ম ঋতুর শান্ত নদী কর্ণফুলীর ধীর প্রবাহিত স্রোতধারায় চাঁদনি রাতে চন্দ্রালোকের প্রতিবিম্ব দুলিয়ে মাল্লাদের ভটিয়ালী গানের সুর যেমন গ্রামীণ জনজীবনে মৃদু স্পন্দন জাগায় তেমনি আবার ঘোর বর্ষায় বেগবতী কর্ণফুলী রুদ্ররুপ গ্রামবাসীর মনে সৃষ্টি করে প্রচণ্ড ত্রাস। এই দুই ঋতুতে কর্ণফুলী নদীর দুই পরস্পরবিরোধী রুপ বেতাগী এলাকাতেই বেশি পরিস্ফুট এবং বেতাগীবাসীর চিরপরিচিত। বেতাগীর দক্ষিণ উপকূলে যেখানে গোলাম বেপারী হাট অবস্থিত ছিল সেখানেই নদীটি বেশি প্রশস্থ।[৩]

ভাষা ও সংস্কৃতি[সম্পাদনা]

আমাদের দেশের বিশেষ করে চট্টগ্রামের গ্রামাঞ্চলে ঘরে বাইরে সদাসর্বদা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। তবে অন্য ভাষায়ও বেতাগী ইউনিয়নের লোকের দক্ষতা রয়েছে।[৭]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

বেতাগী ইউনিয়নের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কৃষিখাতে। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, বিভিন্ন পেশাজীবি, ব্যবসায়ী আর প্রবাসী রয়েছে।

ধর্মীয় উপাসনালয়[সম্পাদনা]

বেতাগী ইউনিয়নে ৫০টি মসজিদ, ১টি ঈদগাহ, ১টি মন্দির, ৪টি বিহার রয়েছে।[৮]

খাল ও নদী[সম্পাদনা]

বেতাগী ইউনিয়নের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কর্ণফুলী নদী[৯]

হাট-বাজার[সম্পাদনা]

বেতাগী ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য হাট হল রামগতির হাট।[১০] গোলাম বেপারী হাট নামেও পশ্চিম বেতাগীর কর্ণফুলীর তীরে একটি হাট ছিল, যা এখন বিলুপ্ত। এছাড়াও গাবগুলাতল, বেতাগী স'মিল, বড়ুয়া পাড়া, তিনচৌদিয়া, মির্জাখীল, কাউখালী, গুনগুনিয়া বেতাগী এসব এলাকায় নিয়মিত বাজার বসে।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • আরব আমিরাত প্রকল্প –– বেতাগী ইউনিয়নে অবস্থিত এ প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের টানে দর্শনার্থীরা এখানে ছুটে আসে, এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের অর্থায়নে এখানে বিশ্বমানের হেলথ সিটি করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।[১১]
শীতকালে কর্ণফুলী নদীতে ভাটার সময় জেগে উঠা চর
  • কর্ণফুলী নদী –– ইউনিয়নের পূর্ব ও দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলা নদীটি গুনগুনিয়া বেতাগী, কাউখালী এবং বেতাগী মৌজা অতিক্রম করেছে।
কাউখালী আনোয়ারা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নবনির্মিত শহীদ মিনার
  • কাউখালী আনোয়ারা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নবনির্মিত শহীদ মিনার –– ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থিত।[১২]
  • পাল আমলের বুদ্ধমূর্তি –– ৫নং ওয়ার্ডের বড়ুয়া পাড়া বৌদ্ধ বিহারে সংরক্ষিত রয়েছে।
  • চম্পাতলী পাহাড় ও আবাসন প্রকল্প –– রাউজান পাহাড়তলী থেকে দক্ষিণে তিন কিলোমিটার। পোমরা শান্তির হাট থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে ২.৫ কিলোমিটার। সিএনজি যোগে যাওয়া যায়।[১৩]

কৃতি ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

বেতাগী ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের নাম নিচে উল্লেখ করা হল:[১৪]

  • আবদুল জলিল তালুকদার –– মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, রাজনীতিবিদ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বেতাগীর প্রথম চেয়ারম্যান।
  • ইসকান্দার আহমদ চৌধুরী –– রেডিও জাপান এর বাংলা সংবাদ পাঠক, রোটারি বেতাগী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের আধুনিকায়নের রূপকার এবং বেতাগী বিদ্যুৎসাহী লাইব্রেরি, বেতাগী গুডউইল স্কুল ফাউন্ডেশন ও রোটারী ইসকান্দার টেকনিক্যাল সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা (জাপানি অনুদান ও ইসকান্দার আহমদ চৌধুরীর ব্যক্তিগত অনুদান)।
  • খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী জাহাঙ্গীর –– প্রাক্তন সভাপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন, প্রাক্তন বিচারপতি, হাইকোর্ট ডিভিশন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান।
  • হাফেজ মুহাম্মদ বজলুর রহমান –– সুফি সাধক।
  • বদিউল আলম তালুকদার –– রাজনীতিবিদ।
  • মোহাম্মদ আবুল হায়াত চৌধুরী –– মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, বেতাগী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক, ৭নং বেতাগী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বেতাগী ডাকঘর, বেতাগী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বেতাগী ইউনিয়ন মাতৃকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং বেতাগী বিদ্যুৎসাহী লাইব্রেরি, বেতাগী গুডউইল স্কুল ফাউন্ডেশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ।
  • সৈয়দ আবদুল ওয়াছে –– বেতাগীর প্রথম চেয়ারম্যান।
  • সৈয়দ আহমদুল হক –– প্রতিষ্ঠাতা, আল্লামা রুমী সোসাইটি, বেতাগী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও কাউখালী আনোয়ারা বেগম উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা, প্রথম প্রেসিডেন্ট, বেতাগী গুডউইল স্কুল ফাউন্ডেশন।
  • রশিদ আহাম্মদ তালুকদার ঃ ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা, সাহিত্যিক ও সমাজ সেবক।
  • অধ্যাপক বাদল বরণ বড়ুয় ঃ

প্রথম সরকারি কলেজের অধ্যাপক, সাহিত্যিক।

  • অধ্যাপক মিলন কান্তি পাল ঃ

প্রথম এমফিল, শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবক।

  • এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ঃ

প্রথম আইনজীবী,শিক্ষাবিদ, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক, সমাজ সেবক।

  • শেখ মুহাম্মদ ইব্রাহিম ঃ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাহিত্যিক,৬০ এর দশকে চট্টগ্রাম কমার্স কলেজের ছাত্রনেতা।

  • মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম (বাহাদুর) –-বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ভূমিদাতা-রামগতির হাট বাজার (বেতাগী বাজার) শৌচালয়।
  • ড. সেকান্দার চৌধুরী ঃ

প্রথম পিএইচডি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন।

  • ড. জিয়াউল হায়দার ঃ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।

  • চৌধুরী আশরাফুল করিম ঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব।

  • ডা.দুলাল কান্তি দত্ত ঃ

প্রথম এম.বি.বি.এস. ডাক্তার।

  • চৌধুরী আনোয়ারুল করিম ঃ

প্রথম বি.সি.এস. কর্মকর্তা।

  • ইঞ্জিনিয়ার দ্রোন কান্তি বড়ুয়া ঃ

প্রথম প্রকৌশলী।

  • ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন ঃ

প্রথম উড়াল সেতু স্থপতি।

জনপ্রতিনিধি[সম্পাদনা]

  • বর্তমান চেয়ারম্যান: শফিউল আলম শফি[১৫]
চেয়ারম্যানগণের তালিকা[১৬][১৭]
ক্রম নং সময়কাল চেয়ারম্যানের নাম
০১ ১৯২১-১৯২৬ (প্রেসিডেন্ট) সৈয়দ মৌলানা আবদুল ওয়াছে
০২ ১৯২৬-১৯৬৬ ইদ্রিছ আহমেদ চৌধুরী
০৩ ১৯৬৬-১৯৭২ মফজল আহমদ তালুকদার
০৪ ১৯৭২ সালের জানুয়ারী -১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর (মনোনীত) আবদুল জলিল তালুকদার
০৫ ১৯৭৩-১৯৭৬ আবুল হায়াত চৌধুরী
০৬ ১৯৭৬ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭৭ সালের জানুয়ারী। আবুল বশর চৌধুরী
০৭ ১৯৭৭-১৯৯২ নজমুল হক চৌধুরী
০৮ ১৯৯২-১৯৯৮ বদিউল আলম তালুকদার
০৯ ১৯৯৮-২০০৩ ফজলুল করিম মিনা
১০ ২০০৩-২০১১ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
১১ ২০১১-২০১৬ পেয়ারুল হক চৌধুরী স্বপন
১২ ২০১৬-২০২১ নুর কুতুবুল আলম
১৩ ২০২১-চলমান শফিউল আলম শফি

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "রাঙ্গুনিয়া উপজেলা - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org 
  2. "গ্রাম ভিত্তিক লোক সংখ্যা - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd। ১০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৭ 
  3. "বেতাগী ইউনিয়নের ইতিহাস - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd। ১০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭ 
  4. "এক নজরে বেতাগী - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৭ 
  5. "মাধ্যমিকবিদ্যালয় - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd 
  6. "মাদ্রাসা - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd 
  7. "ভাষা ও সংস্কৃতি - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd। ১০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭ 
  8. "ধর্মীয়প্রতিষ্ঠান - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd। ২৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭ 
  9. "খাল ও নদী - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd। ১০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭ 
  10. "হাট বাজারের তালিকা - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd 
  11. "বিশ্বমানের হেলথ সিটি করার পরিকল্পনা, রাঙ্গুনিয়ায় আমিরাত রাষ্ট্রদূতের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন"jugantor.com। যুগান্তর। ২৩ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  12. "বেতাগীতে নবনির্মিত শহীদ মিনারে ফুল দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা"swadinbangla71.com। স্বাধীন বাংলা ৭১। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০। ১৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  13. "দর্শনীয়স্থান - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd। ১০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭ 
  14. "প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd। ১০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭ 
  15. Bhorerkagoj। "পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের ফলাফল"www.bhorerkagoj.net [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  16. "চেয়ারম্যানবৃন্দ্বের তালিকা"facebook.com। ফেসবুক পোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২০ 
  17. "পূর্বতন চেয়ারম্যান বৃন্দ - বেতাগী ইউনিয়ন - বেতাগী ইউনিয়ন"betagiup.chittagong.gov.bd। ১০ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]