বেগমগঞ্জে সংঘবদ্ধভাবে নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ মামলা
নোয়াখালীল বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে ঘরে ঢুকে এক ৩৭ বৎসর বয়সী নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর তারিখে সংঘটিত এই ঘটনায় ঐ নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয় ও তা মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করা হয়। নির্যাতনের ভিডিও ক্লিপটি ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, আসামীরা ঐ গৃহবধূর পোশাক খুলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু একটা বলতে থাকে। এ গৃহবধূ আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। হামলাকারীদের ‘বাবা’ ডাকে। তাদের পায়ে ধরে। আসামীদের একজন গৃহবধূর মুখাবয়বে লাথি মারে। তারপর মাটিতে পেড়ে পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এ সময় একটি লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করা হচ্ছিল। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত করে একজন আসামী ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চিৎকার করে।[১]
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]৬ই অক্টোবর বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নির্যাতিতা নারী দুটি মামলা দায়ের করে। দুই মামলায় নয়জনকে আসামী করা হয়।[২] এরপর পুলিশ তৎপর হয় এবং সংশ্লিষ্ট স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যদের আটক করে। পুলিশের তদন্তের সময় নির্যাতিত নারী অভিযোগ করে যে, বিবস্ত্র করে নির্যাতনের আগে অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন তাকে দুই বার ধর্ষণ করেছিল।[৩] বিচার শেষে ৪ অক্টোবর ২০২১ তারিখে প্রদত্ত আদেশে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন ও মোহাম্মদ আলী ওরফে আবুল কালামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে। মামলা দুটি থেকে গ্রেপ্তারকৃত আসামি রহমত উল্যা ও মাইন উদ্দিন শাহেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে: আদালত"। সময় টিভি সংবাদ। ৩ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন মামলার আসামির জামিন"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "বেগমগঞ্জে নারী নির্যাতন: মূল হোতা দেলোয়ার ৭ দিনের রিমান্ডে"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৮ অক্টোবর ২০২০। ৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০২১।
- ↑ "বেগমগঞ্জের আলোচিত ধর্ষণ মামলায় দুই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০২১।