বৃত্তকলা

কোনো বৃত্তের দুটি ব্যাসার্ধ ও একটি বৃত্তচাপ দ্বারা আবদ্ধ ক্ষেত্রকে বৃত্তকলা বলা হয়। ক্ষুদ্রতর অংশটিকে ক্ষুদ্র বৃত্তকলা ও বৃহত্তর অংশটিকে বৃহত্তর বৃত্তকলা বলা হয়।[১] চিত্রে হল কেন্দীয় কোণ, r হল বৃত্তের ব্যাসার্ধ এবং L হল বৃত্তচাপ।
প্রকারভেদ
[সম্পাদনা]একটি বৃত্তকলার কেন্দ্রীয় কোণ 180° হলে তাকে অর্ধচাকতি বলা হয়। এটি একটি ব্যাস এবং একটি অর্ধবৃত্ত দ্বারা আবদ্ধ। তাছাড়াও বৃত্তচাপের কেন্দ্রীয় কোণ 90° হলে তাকে quadrant, 60° হলে sextant এবং 45° হলে octant নামে ডাকা হয়।
ক্ষেত্রফল
[সম্পাদনা]বৃত্তকলার ক্ষেত্রফল নির্ণয় করার দুটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে। বৃত্তকলার কেন্দ্রীয় কোণ বা তাকে আবদ্ধকারী বৃত্তচাপের মান জানা থাকলে অনায়াসে এর ক্ষেত্র নির্ণয় সম্ভব। আমারা জানি বৃত্তের ক্ষেত্রফল । এখন যদি θ কে রেডিয়ানে পরিমাপ করা হয় তবে বৃত্তকলার ক্ষেত্রফল হয় যদি θ কে ডিগ্রিতে পরিমাপ করা হত তবে উপরিউক্ত সূত্রটিকে লেখা হত[২] যদি বৃত্তচাপটির দৈর্ঘ্য l হত তবে বৃত্তকলার ক্ষেত্রফল হত তাছাড়াও অবকলবিদ্যার সাহায্য নিয়েও এ কাজ করা যায়। যথা
পরিসীমা
[সম্পাদনা]বৃত্তকলার পরিসীমা তাকে আবদ্ধকারী ব্যাসার্ধদ্বয়ের দৈর্ঘ্য এবং বৃত্তচাপের দৈর্ঘ্যের যোগফলের সমান। যথা এখানে কে রেডিয়ানে পরিমাপ করা হয়েছে।
জ্যায়ের দৈর্ঘ্য
[সম্পাদনা]যদি কোনো জ্যায়ের সমগ্র অংশই বৃত্তকলাতে অবস্থান করে তবে সেই জ্যায়ের দৈর্ঘ্য হবে
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসুত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Dewan, Rajesh K. (২০১৬)। Saraswati Mathematics। New Delhi: New Saraswati House India Pvt Ltd। পৃষ্ঠা 234। আইএসবিএন 978-8173358371।
- ↑ Uppal, Shveta (২০১৯)। Mathematics: Textbook for class X। New Delhi: National Council of Educational Research and Training। পৃষ্ঠা 226, 227। আইএসবিএন 978-81-7450-634-4। ওসিএলসি 1145113954।