বিষয়বস্তুতে চলুন

বীণা শেঠ লস্করি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বীণা শেঠ লস্করি
২০১৩ সালে বীণা শেঠ লস্করি
জাতীয়তাভারতীয়
পরিচিতির কারণডোরস্টেপ স্কুল শুরু করা

বীণা শেঠ লস্করি (জন্ম) হলেন একজন ভারতীয় কর্মী, যিনি ভারতে ডোরস্টেপ স্কুল-এর প্রতিষ্ঠাতা। সমাজকর্মে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার সময় তিনি এই শিক্ষা প্রচারের ধারণায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি মুম্বাইয়ের ১,০০,০০০ শিশুর শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সাহায্য করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি নারী শক্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।

বীণা শেঠ লস্করি শিশু মনোবিজ্ঞানে তাঁর প্রথম ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮৮ সালে কোলাবার কাফ প্যারেডে তিনি তাঁর প্রথম স্কুল প্রতিষ্ঠার করেন। সেই সময় বস্তির শিশুদের, কেবল ধনী ছেলেমেয়েদের অভিজাত স্কুলে যাবার সময় তাকিয়ে থাকা ছাড়া, পড়াশোনার কোন উপায় ছিল না। প্রথমে তিনি ২৫জন শিশু নিয়ে কাজ শুরু করেন, তাদের বানজারা বাবা-মায়েরা কম মজুরিতে মাছ ধরার কাজ করতেন।[] তিনি স্থানীয় স্কুলটি পরিদর্শন করে অবাক হয়ে দেখেছিলেন যে তিন-চার বছর পর বাচ্চারা স্কুল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। শিশুদের বাবা-মায়ের সাথে দেখা করে তিনি দেখেন যে শিশুরা ইতিমধ্যেই তাদের পরিবারের জন্য আয় করার একটি অপরিহার্য অংশ। পরিবারটি যদি বাঁচতে চায়, তাহলে শিশুদেরও আয় করতে হবে। রজনী পরাঞ্জপের সহায়তায় তিনি এমন একটি স্কুল শুরু করেছিলেন যা তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছোতে পারে।[]

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে, নারী শক্তি পুরস্কার ২০১৩-এর উপস্থাপনায়, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে, বীণা শেঠ লস্করী (মহারাষ্ট্র)কে "মাতা জিজাবাই পুরস্কার" প্রদান করছেন।

২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি তাঁকে নারী শক্তি পুরস্কার প্রদান করেন। এই পুরস্কারটি নতুন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রণীত ছয়টি পুরস্কারের মধ্যে একটি। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে তাঁর কাজের জন্য মহারাষ্ট্র রাজ্য তাঁকে মনোনীত করেছিল।[]

২০১৬ সালে কেমব্রিজের ডিউক এবং ডাচেস মুম্বাইয়ে তাঁর সাথে দেখা করতে এসেছিলেন।[] পূর্বে মুম্বাইয়ের তিনটি এলাকায় যে নামহীন রাস্তাগুলি ছিল, সেই বছর স্কুলের প্রচারণার ফলে, সেগুলির নামকরণ করা হয়েছিল স্কুলের ছাত্রদের নামে। উদ্দেশ্য হল অন্যান্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জন এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনে অনুপ্রাণিত করা।[]

অনুমান অনুযায়ী, মনে করা হয়, ২০১৯ সালে ৩১ বছর ধরে তিনি মুম্বাইয়ের ১০০,০০০জন শিশুর শিক্ষার আয়োজনে সহায়তা করেছেন। এই সময়ের মধ্যে স্কুলে সাতটি হলুদ স্কুল বাস ছিল যার ভেতরে স্কুলের সরঞ্জাম ছিল। তাঁদের প্রত্যেকটি বাস প্রতিদিন চারবার আড়াই ঘন্টা করে থামে এবং প্রতিটি বাস প্রতিদিন ১০০ জন শিশুকে শিক্ষা দিচ্ছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "From Doorstep to On Wheels: How This Woman Taught Over 1 Lakh Slum Kids in 30 Yrs"The Better India (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১১-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৯ 
  2. "This NGO is Motivating Slum Kids to Stay in School By Naming Alleys and Streets After Them"The Better India (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৫-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৯ 
  3. "President Confers Stree Shakti Puruskar on International Women's Day"pib.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২০ 
  4. Door Step School NGO (২৩ জুন ২০১৬)। "Duke & Duchess of Cambridge with Door Step School Mumbai team"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০২২ – Youtube-এর মাধ্যমে।