বি. এফ. স্কিনার
বি. এফ. স্কিনার | |
---|---|
![]() স্কিনার, আনু. ১৯৫০ | |
জন্ম | বাররাস ফ্রেডেরিক স্কিনার ২০ মার্চ ১৯০৪ সাসকুয়েহানা, পেনসিলভানিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ১৮ আগস্ট ১৯৯০ কেমব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৮৬)
মাতৃশিক্ষায়তন | হ্যামিলটন কলেজ (এ.বি.) হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (পিএইচডি) |
পরিচিতির কারণ | আচরন বিশ্লেষণ সক্রিয় অনুবর্তন চরমপন্থী আচরণবাদ মৌখিক আচরণ (১৯৫৭) |
দাম্পত্য সঙ্গী | ইভন (ইভ) ব্লু (বি. ১৯৩৬)[১] |
সন্তান | জুলি এবং ডেবোরা |
পুরস্কার | ন্যাশনাল মেডেল অব সায়েন্স (১৯৬৮) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | মনোবিজ্ঞান, ভাষাবিজ্ঞান, দর্শন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
স্বাক্ষর | |
![]() |
বি. এফ. স্কিনার (২০ মার্চ, ১৯০৪ - ১৮ আগস্ট, ১৯৯০) ছিলেন একজন আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী, আচরণবাদী, উদ্ভাবক এবং সমাজ দার্শনিক।[২][৩][৪][৫] তিনি ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এডগার পিয়ার্স অধ্যাপক ছিলেন।[৬]
স্কিনার আচরণ বিশ্লেষণের জনক হিসেবে পরিচিত, বিশেষ করে তার চরমপন্থী আচরণবাদের দর্শনের জন্য। তিনি আচরণের পরীক্ষামূলক বিশ্লেষণের গোড়াপত্তন করেন, যা মনোবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা।[৭] স্কিনার অপারেন্ট কন্ডিশনিং (সক্রিয় অনুবর্তন) নামক একটি প্রক্রিয়া ব্যবহার করে আচরণকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন এবং তিনি প্রতিক্রিয়ার হারকে আচরণের শক্তির সবচেয়ে কার্যকর পরিমাপক হিসেবে বিবেচনা করতেন। এই ধারণাগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য, তিনি অপারেন্ট কন্ডিশনিং চেম্বার (যা স্কিনার বক্স নামেও পরিচিত) তৈরি করেন।[৮] এই বাক্সে প্রাণীদের (যেমন ইঁদুর বা পায়রা) রাখা হতো এবং নির্দিষ্ট আচরণের জন্য পুরস্কৃত বা শাস্তি দেওয়া হতো। এছাড়াও, প্রতিক্রিয়ার হার সঠিকভাবে পরিমাপ করার জন্য তিনি কিউমুলেটিভ রেকর্ডার নামে একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন। স্কিনার এবং তার সহকর্মী চার্লস ফার্স্টার এই দুটি যন্ত্র ব্যবহার করে ১৯৫৭ সালে শিডিউলস অফ রেইনফোর্সমেন্ট নামক একটি অত্যন্ত প্রভাবশালী বই প্রকাশ করেন। এই বইটিতে তারা বিভিন্ন ধরনের পুরস্কারের সময়সূচী এবং কিভাবে সেগুলো প্রাণীদের আচরণকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এই কাজটি আচরণবাদ এবং শিক্ষা মনোবিজ্ঞানের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল।[৯][১০]
স্কিনার ছিলেন একজন বহুগ্রন্থী লেখক, তিনি ২১টি বই এবং ১৮০টি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।[১১] ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত তার ইউটোপিয়ান উপন্যাস "ওয়ালডেন টু"-তে তিনি একটি মানব সম্প্রদায়ের নকশায় তার ধারণার প্রয়োগ কল্পনা করেন, যেখানে মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ ১৯৫৮ সালের কাজ "মৌখিক আচরণে"-এ চূড়ান্ত রূপ পায়।[১২]
বি.এফ. স্কিনার, জন বি. ওয়াটসন এবং ইভান পাভলভকে আধুনিক আচরণবাদের পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই অনুযায়ী, জুন ২০০২ সালের একটি জরিপে স্কিনারকে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে প্রভাবশালী মনোবিজ্ঞানী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।[১৩]
জীবনী
[সম্পাদনা]স্কিনার পেনসিলভেনিয়ার সাসকোহানায় গ্রেস এবং উইলিয়াম স্কিনারের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন, উইলিয়াম স্কিনার ছিলেন একজন আইনজীবী।স্কিনার নাস্তিক হয়ে ওঠেন যখন একজন খ্রিস্টান শিক্ষক তার নানীর বর্ণিত নরকের ভয় দূর করার চেষ্টা করেন।[১৪] তার ভাই এডওয়ার্ড, যিনি তার থেকে আড়াই বছরের ছোট, মাত্র ১৬ বছর বয়সে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে মৃত্যুবরণ করেন।[১৫]
ছোটবেলায় স্কিনারের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিল রাফায়েল মিলার, যার বাবার পেশা ডাক্তার হওয়ায় তিনি "ডক" বলে ডাকতেন। ডক এবং স্কিনার উভয়ের পরিবারের ধার্মিকতা এবং তাদের নিজেদের যন্ত্রপাতি ও গ্যাজেটের প্রতি আগ্রহের কারণে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তারা একে অপরের কাছে বার্তা পাঠানোর জন্য তাদের বাড়ির মধ্যে একটি টেলিগ্রাফ লাইন স্থাপন করেছিল, যদিও পাঠানো বার্তাগুলোর বিভ্রান্তিকর অবস্থার কারণে তাদের একে অপরের সাথে টেলিফোনে কথা বলতে হতো। এক গ্রীষ্মে, ডক ও স্কিনার ফল সংগ্রহ করে ঘরে ঘরে বিক্রি করার জন্য একটি এল্ডারবেরি ব্যবসা শুরু করেন। তারা লক্ষ্য করলেন যে পাকা ফল পাড়তে গেলে কাঁচা ফলগুলোও ডাল থেকে পড়ে যাচ্ছে। তাই তারা এমন একটি যন্ত্র তৈরি করলেন যা ফলগুলোকে আলাদা করতে পারতো। যন্ত্রটি ছিল বাঁকানো ধাতুর একটি টুকরো দিয়ে তৈরি একটি নালা। তারা নালার মধ্যে দিয়ে বালতিতে পানি ঢেলে দিতেন, এবং পাকা ফলগুলো বালতিতে ডুবে যেত এবং কাঁচা ফলগুলো প্রান্ত থেকে দূরে সরে গিয়ে ফেলে দেওয়া হতো।[১৬]
শিক্ষা
[সম্পাদনা]স্কিনার লেখক হওয়ার উদ্দেশ্যে নিউ ইয়র্কের ক্লিনটনে হ্যামিল্টন কলেজে ভর্তি হন। তিনি কলেজের বুদ্ধিবৃত্তিক মনোভাবের কারণে সামাজিকভাবে নিজেকে অসুবিধাজনক মনে করতেন।[১৭] তিনি ল্যামডা চি আলফা ভ্রাতৃত্বের সদস্য ছিলেন।[১৬]
শেষ জীবন
[সম্পাদনা]বিএফ স্কিনার ১৯৩১ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং সেখানে বেশ কয়েক বছর একজন গবেষক হিসেবে কাজ করেন। এরপর, ১৯৩৬ সালে তিনি মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করার জন্য মিনিয়াপলিসে যান।[১৮] ১৯৪৫ সালে তিনি ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন, যেখানে তিনি ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১৯] পরবর্তীতে, ১৯৪৮ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন স্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে ফিরে আসেন এবং সেখানেই তার কর্মজীবনের বাকি সময় অতিবাহিত করেন। ১৯৭৩ সালে, স্কিনার "হিউম্যানিস্ট ম্যানিফেস্টো II"-এর অন্যতম স্বাক্ষরকারী ছিলেন।[২০]
মনোবিজ্ঞানে অবদান
[সম্পাদনা]আচরনবাদ
[সম্পাদনা]স্কিনার তাঁর আচরণ অধ্যয়ন সম্পর্কিত পদ্ধতিকে 'চরমপন্থী আচরণবাদ' বলে অভিহিত করেন, যা বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে গভীর মনোবিজ্ঞান এবং মনোবিজ্ঞানের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতির প্রতিক্রিয়ায় উদ্ভূত হয়।[২১] এই পদ্ধতিগুলির প্রায়শই পরীক্ষামূলকভাবে যাচাই করা যায় এমন ভবিষ্যদ্বাণী করতে অসুবিধা হত। আচরণ বিজ্ঞানের এই দর্শন এই ধারণার উপর ভিত্তি করে যে আচরণ হল পরিবেশগত ইতিহাসের ফলস্বরূপ যেখানে পুরস্কার বা প্রণোদনা কাজ করে (ফলিত আচরণ বিশ্লেষণ দেখুন)। তাঁর ভাষায়:
এই অবস্থানটিকে এভাবে বলা যেতে পারে: যা কিছু অনুভূত হয় অথবা অন্তরদৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তা চেতনা, মন বা মানসিক জীবনের কোনো অ-শারীরিক জগৎ নয়, বরং তা হলো পর্যবেক্ষকের নিজের শরীর। এর মানে এই নয়, যেমনটা আমি পরে ব্যাখ্যা করব, যে অন্তরদৃষ্টি এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা, অথবা এর মানে (এবং এটাই যুক্তির মূল কথা) যা কিছু অনুভূত বা অন্তরদৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়, তা আচরণের কারণ নয়। একটি জীব তার বর্তমান গঠনের কারণে যেমন আচরণ করে তেমনই করে, কিন্তু এর বেশিরভাগই অন্তরদৃষ্টির নাগালের বাইরে। এই মুহূর্তে আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে, যেমন আচরণবাদীরা জোর দিয়ে বলেন, একজন ব্যক্তির জিনগত এবং পরিবেশগত ইতিহাসের উপর নির্ভর করে। যা কিছু অন্তরদৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয় তা সেই ইতিহাসের কিছু আনুষঙ্গিক ফল.... এইভাবে আমরা মানসিকতার দ্বারা সৃষ্ট প্রধান ক্ষতি পূরণ করি। যখন একজন ব্যক্তি যা করে তা তার ভিতরে যা ঘটছে তার জন্য দায়ী করা হয়, তখন অনুসন্ধানের সমাপ্তি ঘটে। ব্যাখ্যার ব্যাখ্যা কেন দেব? পঁচিশশো বছর ধরে মানুষ অনুভূতি এবং মানসিক জীবন নিয়ে ব্যস্ত ছিল, কিন্তু সম্প্রতি পরিবেশের ভূমিকার আরও সুনির্দিষ্ট বিশ্লেষণে কোনো আগ্রহ দেখা গেছে। সেই ভূমিকার অজ্ঞতাই প্রথমে মানসিক কল্পনার জন্ম দিয়েছে এবং এটি তাদের থেকে উদ্ভূত ব্যাখ্যামূলক অনুশীলনের মাধ্যমে অব্যাহত রয়েছে।[২১]
স্কিনারের আচরণবাদের ভিত্তি
[সম্পাদনা]স্কিনারের আচরণবাদ সম্পর্কিত ধারণাগুলি মূলত তাঁর প্রথম গ্রন্থ দ্য বিহেভিয়র অব অর্গানিজমস (১৯৩৮)-এ উপস্থাপিত হয়।[৯] এই গ্রন্থে তিনি পরিবেশগত চলকগুলোর মাধ্যমে আচরণ কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, সে সম্পর্কে একটি সুসংবদ্ধ বিবরণ প্রদান করেন। তিনি দুই ধরনের আচরণের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করেন, যেগুলো ভিন্ন উপায়ে নিয়ন্ত্রিত হয়:
- প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ হলো এমন আচরণ, যা কোনো নির্দিষ্ট উদ্দীপনার দ্বারা উদ্ভূত হয় এবং প্রতিক্রিয়াশীল শর্তায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তিত হতে পারে। এই শর্তায়নকে সাধারণত শাস্ত্রীয় (বা পাভলভীয়) শর্তায়ন বলা হয়, যেখানে একটি নিরপেক্ষ উদ্দীপনাকে একটি উদ্দীপনাদায়ী উদ্দীপনার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়। এ ধরনের আচরণ সাধারণত তার প্রতিক্রিয়া প্রদানের বিলম্বকাল বা তীব্রতার ভিত্তিতে পরিমাপ করা হয়।
- ক্রিয়াশীল আচরণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সংঘটিত হয়, অর্থাৎ এটি শুরুতে কোনো নির্দিষ্ট উদ্দীপনার দ্বারা উদ্ভূত হয় না। এই আচরণ ক্রিয়াশীল শর্তায়ন (যা যন্ত্রগত শর্তায়ন নামেও পরিচিত) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দৃঢ় হয়, যেখানে প্রতিক্রিয়ার ফলে পুনর্বলন প্রদান করা হয়। এ ধরনের আচরণ সাধারণত তার সংঘটনের হার অনুযায়ী পরিমাপ করা হয়।
বলবর্ধক
[সম্পাদনা]বলবর্ধক, যা আচরণবাদের একটি মূল ধারণা, হলো সেই প্রধান প্রক্রিয়া যা আচরণকে গঠন ও নিয়ন্ত্রণ করে। এটি দুইভাবে ঘটে: ধনাত্মক এবং ঋণাত্মক। দ্য বিহেভিয়র অব অর্গানিজমস (১৯৩৮) গ্রন্থে স্কিনার ঋণাত্মক বলবর্ধককে শাস্তির সমার্থক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন, যা মূলত কোনো অপ্রীতিকর উদ্দীপনার প্রয়োগের মাধ্যমে সংঘটিত হয়। তবে পরবর্তীতে, সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান বিহেভিয়র (১৯৫৩) গ্রন্থে এই সংজ্ঞা পুনঃনির্ধারিত হয়।
বর্তমানের মান সংজ্ঞা অনুযায়ী, ইতিবাচক বলবর্ধক হলো কোনো ঘটনা ঘটার মাধ্যমে আচরণকে শক্তিশালী করা (যেমন, কোনো আচরণ সম্পাদনের পর প্রশংসা করা)। অন্যদিকে, নেতিবাচক বলবর্ধক হলো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা অপসারণ বা এড়ানোর মাধ্যমে আচরণকে শক্তিশালী করা (যেমন, বৃষ্টির দিনে মাথার উপর ছাতা খোলা এবং তোলা হলো এমন একটি আচরণ যা বৃষ্টি পড়া বন্ধ হওয়ার মাধ্যমে শক্তিশালী হয়)।
উভয় প্রকার বলবর্ধক আচরণকে শক্তিশালী করে বা আচরণের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা বাড়ায়। এখানে পার্থক্য হলো, বলবর্ধনের ঘটনাটি প্রয়োগ করা হয় (ইতিবাচক বলবর্ধক) নাকি অপসারণ বা এড়ানো হয় (নেতিবাচক বলবর্ধক)। অন্যদিকে, শাস্তি হতে পারে কোনো অপ্রীতিকর উদ্দীপনা বা ঘটনা প্রয়োগ করা (ইতিবাচক শাস্তি) অথবা কোনো কাঙ্খিত উদ্দীপনা অপসারণ করা। যদিও শাস্তি প্রায়শই আচরণ দমনের জন্য ব্যবহৃত হয়, স্কিনার এর মতে, এই দমন সাময়িক এবং এর পাশাপাশি আরও অনেক অবাঞ্ছিত পরিণতি দেখা দেয়।[২২] বিলুপ্তি হলো পুরস্কারমূলক উদ্দীপনার অনুপস্থিতি, যা আচরণকে দুর্বল করে দেয়।
১৯৮১ সালে লেখার সময় স্কিনার উল্লেখ করেন যে ডারউইনীয় প্রাকৃতিক নির্বাচন বলবর্ধক আচরণের মতোই "পরিণতির মাধ্যমে নির্বাচন"। তিনি বলেন, যদিও প্রাকৃতিক নির্বাচন ইতিমধ্যেই তার যুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছে, তবুও তিনি এ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন যে একই ধরনের প্রক্রিয়া, অর্থাৎ "বলবর্ধক", মানব আচরণের মূল ভিত্তি হিসেবে এখনও ব্যাপকভাবে স্বীকৃতি পায়নি।[২৩]
সমালোচনা ও বিতর্ক
[সম্পাদনা]নোম চম্স্কি
[সম্পাদনা]আমেরিকান ভাষাবিদ নোম চম্স্কি ১৯৫৯ সালে ভাষাবিজ্ঞান সাময়িকী ল্যাঙ্গুয়েজ-এ স্কিনারের ভার্বাল বিহেভিয়ার বইটির একটি পর্যালোচনা প্রকাশ করেন।[২৪] চমস্কি যুক্তি দেন যে স্কিনারের আচরণবাদের মাধ্যমে মানব ভাষা ব্যাখ্যার প্রচেষ্টা কেবল শব্দের খেলার বেশি কিছু নয়। শর্তযুক্ত প্রতিক্রিয়া একটি শিশুর অসীম ধরনের নতুন বাক্য তৈরি বা বোঝার ক্ষমতা ব্যাখ্যা করতে পারে না। চমস্কির এই পর্যালোচনাকে মনোবিজ্ঞান এবং অন্যান্য শাস্ত্রে জ্ঞানীয় বিপ্লবের সূচনা হিসেবে গণ্য করা হয়। স্কিনার, যিনি সরাসরি সমালোচকদের জবাব দিতে খুব কমই অভ্যস্ত ছিলেন, চমস্কির সমালোচনার প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে কখনো প্রতিক্রিয়া জানাননি, তবে ১৯৭২ সালে কেনেথ ম্যাককর্কোডেলের জবাবকে সমর্থন করেন।[২৫]
পেশাগত কর্মজীবন
[সম্পাদনা]ভূমিকা
[সম্পাদনা]- ১৯৩৬–১৯৩৭: ইনস্ট্রাক্টর, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৩৭–১৯৩৯: সহকারী অধ্যাপক, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৩৯–১৯৪৫: সহযোগী অধ্যাপক, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৪৫–১৯৪৮: অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান, ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৪৭–১৯৪৮: উইলিয়াম জেমস বক্তৃতাকারী, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৪৮–১৯৫৮: অধ্যাপক, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৫৮–১৯৭৪: মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৪৯–১৯৫০: সভাপতি, মিডওয়েস্টার্ন সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন
- ১৯৫৪–১৯৫৫: সভাপতি, ইস্টার্ন সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন
- ১৯৬৬–১৯৬৭: সভাপতি, নর্থ আমেরিকার পাভলভীয় সমাজ
- ১৯৭৪–১৯৯০: এমেরিটাস অধ্যাপক, মনোবিজ্ঞান ও সামাজিক সম্পর্ক, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
পুরস্কার
[সম্পাদনা]- ১৯২৬: এ.বি., হ্যামিল্টন কলেজ
- ১৯৩০: এম.এ., হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৩০–১৯৩১: থেয়ার ফেলোশিপ
- ১৯৩১: পিএইচডি, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৩১–১৯৩২: ওয়াকার ফেলোশিপ
- ১৯৩১–১৯৩৩: ন্যাশনাল রিসার্চ কাউন্সিল ফেলোশিপ
- ১৯৩৩–১৯৩৬: জুনিয়র ফেলোশিপ, হার্ভার্ড সোসাইটি অব ফেলোস
- ১৯৪২: গুগেনহেইম ফেলোশিপ (১৯৪৪–১৯৪৫ পর্যন্ত স্থগিত)
- ১৯৪২: হাওয়ার্ড ক্রসবি ওয়ারেন মেডেল, সোসাইটি অব এক্সপেরিমেন্টাল সাইকোলজিস্টস
- ১৯৫৮: বিশেষ বৈজ্ঞানিক অবদান পুরস্কার, আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন
- ১৯৫৮–১৯৭৪: এডগার পিয়ার্স অধ্যাপক, মনোবিজ্ঞান, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৬৪–১৯৭৪: কর্মজীবন পুরস্কার, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ
- ১৯৬৬: এডওয়ার্ড লি থর্নডাইক পুরস্কার, আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন
- ১৯৬৮: ন্যাশনাল মেডেল অব সায়েন্স, ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন
- ১৯৬৯: ওভারসিজ ফেলো, চার্চিল কলেজ, ক্যামব্রিজ
- ১৯৭১: গোল্ড মেডেল পুরস্কার, আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল ফাউন্ডেশন
- ১৯৭১: জোসেফ পি. কেনেডি জুনিয়র ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক পুরস্কার
- ১৯৭২: বর্ষসেরা মানবতাবাদী, আমেরিকান হিউম্যানিস্ট অ্যাসোসিয়েশন
- ১৯৭২: সৃজনশীল নেতৃত্ব পুরস্কার, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়
- ১৯৭২: কর্মজীবন অবদান পুরস্কার, ম্যাসাচুসেটস সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন
- ১৯৭৮: শিক্ষাগত গবেষণা ও উন্নয়নে বিশিষ্ট অবদান পুরস্কার, আমেরিকান এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন
- ১৯৭৮: ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর রিটার্ডেড সিটিজেনস পুরস্কার
- ১৯৮৫: মনোবিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্ব পুরস্কার, আলবার্ট আইনস্টাইন স্কুল অব মেডিসিন
- ১৯৮৫: প্রেসিডেন্টস অ্যাওয়ার্ড, নিউ ইয়র্ক একাডেমি অব সায়েন্সেস
- ১৯৯০: উইলিয়াম জেমস ফেলো অ্যাওয়ার্ড, আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল সোসাইটি
- ১৯৯০: আজীবন অবদান পুরস্কার, আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন
- ১৯৯১: কর্মক্ষমতা উন্নয়ন সংস্থার বিশিষ্ট সদস্য ও পেশাগত কৃতিত্ব পুরস্কার
- ১৯৯৭: স্কলার হল অব ফেম অ্যাওয়ার্ড, অ্যাকাডেমি অব রিসোর্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট
- ২০১১: কমিটি ফর স্কেপটিক্যাল ইনকোয়ারি প্যানথিয়ন অব স্কেপটিকস—অন্তর্ভুক্ত[২৬]
- ২০২৪: ইগ নোবেল শান্তি পুরস্কার, পায়রা-নির্দেশিত বোমা প্রকল্পে কাজের জন্য[২৭]
সম্মানসূচক ডিগ্রি
[সম্পাদনা]স্কিনার নিম্নলিখিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন:
- অ্যালফ্রেড বিশ্ববিদ্যালয়
- বল স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়
- ডিকিনসন কলেজ
- হ্যামিল্টন কলেজ
- হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- হোবার্ট এবং উইলিয়াম স্মিথ কলেজ
- জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়
- কেও বিশ্ববিদ্যালয়
- লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়
- নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়
- ওহাইও ওয়েসলেয়ান বিশ্ববিদ্যালয়
- রিপন কলেজ (উইসকনসিন)
- রকফোর্ড কলেজ
- টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়
- শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়
- এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়
- মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়
- উত্তর টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়
- ওয়েস্টার্ন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়
- মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বাল্টিমোর কাউন্টি
সম্মানসূচক সমাজ
[সম্পাদনা]স্কিনার নিম্নলিখিত সম্মানসূচক সমাজের সদস্য ছিলেন:
- PSI CHI আন্তর্জাতিক মনোবিজ্ঞানী সম্মান সমাজ
- আমেরিকান দর্শন সমাজ
- আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস
- ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- ১৯৩৮. দ্য বিহেভিয়ার অব অর্গানিজমস: অ্যান এক্সপেরিমেন্টাল অ্যানালাইসিস। আইএসবিএন ১-৫৮৩৯০-০০৭-১, আইএসবিএন ০-৮৭৪১১-৪৮৭-X।
- ১৯৪৮. ওয়ালডেন টু। আইএসবিএন ০-৮৭২২০-৭৭৯-X (১৯৭৬ সালের সংশোধিত সংস্করণ)।
- ১৯৫৩. সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান বিহেভিয়ার। আইএসবিএন ০-০২-৯২৯০৪০-৬।[ক]
- ১৯৫৭. স্কেজুলস অব রিইনফোর্সমেন্ট, সি. বি. ফার্স্টার-এর সহলেখকত্বে। আইএসবিএন ০-১৩-৭৯২৩০৯-০।
- ১৯৫৭. ভার্বাল বিহেভিয়ার। আইএসবিএন ১-৫৮৩৯০-০২১-৭।
- ১৯৬১. দ্য অ্যানালাইসিস অব বিহেভিয়ার: এ প্রোগ্রাম ফর সেলফ ইনস্ট্রাকশন, জেমস জি. হল্যান্ড-এর সহলেখকত্বে। আইএসবিএন ০-০৭-০২৯৫৬৫-৪।
- ১৯৬৮. দ্য টেকনোলজি অব টিচিং। নিউ ইয়র্ক: অ্যাপলটন-সেঞ্চুরি-ক্রফটস। এলসিসিএন ৬৮--১২৩৪০ আইএসবিএন ০-১৩-৯০২১৬৩-৯।
- ১৯৬৯. কন্টিনজেন্সিস অব রিইনফোর্সমেন্ট: এ থিওরেটিক্যাল অ্যানালাইসিস। আইএসবিএন ০-৩৯০-৮১২৮০-৩।
- ১৯৭১. বিয়ন্ড ফ্রিডম অ্যান্ড ডিগনিটি। আইএসবিএন ০-৩৯৪-৪২৫৫৫-৩।
- ১৯৭৪. অ্যাবাউট বিহেভিয়ারিজম। আইএসবিএন ০-৩৯৪-৭১৬১৮-৩।
- ১৯৭৬. পার্টিকুলারস অব মাই লাইফ: পার্ট ওয়ান অব অ্যান অটобиোগ্রাফি। আইএসবিএন ০-৩৯৪-৪০০৭১-২।
- ১৯৭৮. রিফ্লেকশন্স অন বিহেভিয়ারিজম অ্যান্ড সোসাইটি। আইএসবিএন ০-১৩-৭৭০০৫৭-১।
- ১৯৭৯. দ্য শেইপিং অব এ বিহেভিয়ারিস্ট: পার্ট টু অব অ্যান অটобиোগ্রাফি। আইএসবিএন ০-৩৯৪-৫০৫৮১-৬।
- ১৯৮০. নোটবুকস, রবার্ট এপস্টাইন সম্পাদিত। আইএসবিএন ০-১৩-৬২৪১০৬-৯।
- ১৯৮২. স্কিনার ফর দ্য ক্লাসরুম, আর. এপস্টাইন সম্পাদিত। আইএসবিএন ০-৮৭৮২২-২৬১-৮।
- ১৯৮৩. এনজয় ওল্ড এজ: এ প্রোগ্রাম অব সেলফ-ম্যানেজমেন্ট, এম. ই. ভন-এর সহলেখকত্বে। আইএসবিএন ০-৩৯৩-০১৮০৫-৯।
- ১৯৮৩. এ ম্যাটার অব কনসিকোয়েন্সেস: পার্ট থ্রি অব অ্যান অটобиোগ্রাফি। আইএসবিএন ০-৩৯৪-৫৩২২৬-০, আইএসবিএন ০-৮১৪৭-৭৮৪৫-৩।
- ১৯৮৭. আপন ফার্দার রিফ্লেকশন। আইএসবিএন ০-১৩-৯৩৮৯৮৬-৫।
- ১৯৮৯. রিসেন্ট ইস্যুস ইন দ্য অ্যানালাইসিস অব বিহেভিয়ার। আইএসবিএন ০-৬৭৫-২০৬৭৪-X।
- কিউমুলেটিভ রেকর্ড: এ সিলেকশন অব পেপারস, ১৯৫৯, ১৯৬১, ১৯৭২ এবং ১৯৯৯ সালে কিউমুলেটিভ রেকর্ড: ডেফিনিটিভ এডিশন নামে প্রকাশিত। আইএসবিএন ০-৮৭৪১১-৯৬৯-৩ (পেপারব্যাক)
- পুনর্মুদ্রিত অন্তর্ভুক্তি: স্কিনার, বি. এফ. ১৯৪৫। "বেবি ইন এ বক্স।" লেডিস হোম জার্নাল। — স্কিনারের মূল, ব্যক্তিগত বর্ণনা যা বহুবার ভুলভাবে উপস্থাপিত "বেবি ইন এ বক্স" ডিভাইস সম্পর্কিত।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]টীকা
[সম্পাদনা]উদ্ধৃতি
[সম্পাদনা]- ↑ সোবেল, ডাভা (২০ আগস্ট ১৯৯০)। "বি. এফ. স্কিনার, আচরণবাদের চ্যাম্পিয়ন, ৮৬ বছর বয়সে মারা গেছেন"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। ৬ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ Smith, L. D.; Woodward, W. R. (১৯৯৬)। B. F. Skinner এবং আমেরিকান সংস্কৃতিতে আচরণবাদ। বেথলেহেম, পেনসিলভানিয়া: লেহাই ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-934223-40-9।
- ↑ Skinner, B. F. (১৯৪৮)। ওয়ালডেন টু। নিউ ইয়র্ক: ম্যাকমিলান পাবলিশার্স। আইএসবিএন 0-87220-779-X।
মানব আচরণের বিজ্ঞান ব্যবহার করে দারিদ্র্য, যৌন অভিব্যক্তি, প্রচলিত সরকার এবং যুদ্ধের মতো বিষয় দূর করা হয়, যা এক নতুন জীবনধারা তৈরি করে।
- ↑ Skinner, B. F. (১৯৭২)। স্বাধীনতা ও মর্যাদার অতীত। ভিনটেজ বুকস। আইএসবিএন 978-0-553-14372-0। ওসিএলসি 34263003।
- ↑ "স্কিনার, বার্রাস ফ্রেডেরিক"। আচরণ বিশ্লেষণের ইতিহাস। ২৯ জুলাই ২০২১।
- ↑ Swenson, Christa (মে ১৯৯৯)। "Burrhus Frederick Skinner"। History of Psychology Archives। এপ্রিল ৪, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ স্কিনার, বি. এফ. (১৯৭৪)। ব্যবহারবিজ্ঞানের কথা। র্যান্ডম হাউস। আইএসবিএন 0-394-71618-3।
- ↑ Schacter, ড্যানিয়েল এল.; গিলবার্ট, ড্যানিয়েল টি.; ওয়াগনার, ড্যানিয়েল এম. (২০১১)। মনোবিজ্ঞান। নিউ ইয়র্ক: Worth Publishers। পৃষ্ঠা ১৭। আইএসবিএন 978-1-4292-3719-2।
- ↑ ক খ Skinner, B. F. (১৯৩৮)। The Behavior of Organisms। নিউ ইয়র্ক: Appleton-Century-Crofts। আইএসবিএন 1-58390-007-1।
- ↑ Ferster, Charles B.; Skinner, B. F. (১৯৫৭)। Schedules of Reinforcement। নিউ ইয়র্ক: Appleton-Century-Crofts। আইএসবিএন 0-13-792309-0।
- ↑ স্মিথ, নাথানিয়েল জি.; মরিস, এডওয়ার্ড কে. (২০২১)। "সম্পূর্ণ গ্রন্থপঞ্জি"। বি. এফ. স্কিনার ফাউন্ডেশন। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০২১। এছাড়াও এটি PDF আকারে উপলব্ধ।
- ↑ Skinner, B. F. (১৯৫৮)। Verbal Behavior। অ্যাকটন, ম্যাসাচুসেটস: Copley Publishing Group। আইএসবিএন 1-58390021-7।
- ↑ হ্যাগব্লুম, স্টিভেন জে.; ওয়ার্নিক, রেনি; ওয়ার্নিক, জেসন ই.; জোনস, ভিনেসা কে.; ও অন্যান্য (১ জুন ২০০২)। "২০শ শতাব্দীর ১০০ জন সর্বাধিক বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞানী"। রিভিউ অব জেনারেল সাইকোলজি। ৬ (২): ১৩৯–৫২। ডিওআই:10.1037/1089-2680.6.2.139। সাইট সিয়ারX 10.1.1.586.1913
।
- ↑ Skinner, B. F. (১৯৬৭)। "B. F. Skinner"। Boring, E. G.; Lindzey, G.। A History of Psychology in Autobiography। ৫। নিউ ইয়র্ক: Appleton-Century-Crofts। পৃষ্ঠা ৩৮৭–৪১৩। ডিওআই:10.1037/11579-014। অজানা প্যারামিটার
|উদ্ধৃতি=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Mahoney, Michael J. (অক্টোবর ১৯৯১)। "B. F. Skinner: A Collective Tribute"। Canadian Psychology। ৩২ (৪)। পৃষ্ঠা ৬২৮–৬৩৫। ডিওআই:10.1037/h0084641।
- ↑ ক খ স্কিনার, B. F (১৯৭৬)। Particulars of My Life (প্রথম সংস্করণ)। নিউ ইয়র্ক: আলফ্রেড এ. নফ। আইএসবিএন 978-0-394-40071-6।
- ↑ Bjork, Daniel W. (২০১৩)। B. F. Skinner: A Life। American Psychological Association। আইএসবিএন 978-1-55798-416-6।
- ↑ "Establishment History"। University of Minnesota। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ Vargas, Julie (৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Biographical Information"। B. F. Skinner Foundation। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Humanist Manifesto II"। American Humanist Association। ২০ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ অক্টোবর ২০১২।
- ↑ ক খ Skinner, B. F. 1974. "Causes of Behavior." Pp. 16–18 in About Behaviorism. আইএসবিএন ০-৩৯৪-৭১৬১৮-৩. section 3, "Radical Behaviorism." https://archive.org/stream/aboutbehaviorism00skin#page/16/mode/2up
- ↑ Skinner, B. F. 1953. Science and Human Behavior. New York: Macmillan.
- ↑ স্কিনার, বি. এফ. (১৯৮১)। "Selection by Consequences" (পিডিএফ)। সায়েন্স। ২১৩ (৪৫০৭): ৫০১–০৪। ডিওআই:10.1126/science.7244649। পিএমআইডি 7244649। বিবকোড:1981Sci...213..501S। জুলাই ২, ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৪, ২০১০।
- ↑ চমস্কি, নোম (১৯৫৯)। "সমালোচনা: ভার্বাল বিহেভিয়ার - বি. এফ. স্কিনার"। ল্যাঙ্গুয়েজ। ৩৫ (১)। পৃষ্ঠা ২৬–৫৮। ডিওআই:10.2307/411334। ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে, ২০০৭। অজানা প্যারামিটার
|জেটিএসটিওআর=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=, |আর্কাইভের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ম্যাককরকোডেল, কেনেথ (১ জানুয়ারি ১৯৭০)। "স্কিনারের ভার্বাল বিহেভিয়ার বিষয়ে চমস্কির পর্যালোচনা সম্পর্কে"। Journal of the Experimental Analysis of Behavior (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ (১)। পৃষ্ঠা ৮৩–৯৯। আইএসএসএন 1938-3711। ডিওআই:10.1901/jeab.1970.13-83। পিএমসি 1333660
।
- ↑ "The Pantheon of Skeptics"। CSI। Committee for Skeptical Inquiry। জানুয়ারি ৩১, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৩০, ২০১৭।
- ↑ "The winners of the 2024 Ig Nobel awards"। The Tartan। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৪, ২০২৪।
আরও পড়ুন
[সম্পাদনা]- চিয়েসা, এম. (২০০৪)। রেডিক্যাল বিহেভিয়োরিজম: দ্য ফিলসফি অ্যান্ড দ্য সায়েন্স।
- এপস্টেইন, রবার্ট (১৯৯৭)। "স্কিনার অ্যাজ সেলফ-ম্যানেজার" জার্নাল অফ অ্যাপ্লাইড বিহেভিয়োর অ্যানালিসিস ৩০:৫৪৫–৬৯। ২ জুন ২০০৫ তারিখে সংগৃহীত – ENVMED.rochester.edu এর মাধ্যমে
- ফিলিপ জোসেফ পালি (১৪ আগস্ট ২০১০)। কন্ট্রোলিং লাইফ: জ্যাকস লোয়েব অ্যান্ড দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং আইডিয়াল ইন বায়োলজি। অক্সফোর্ড, ইউকে: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-19-504244-3।
- সান্ডবার্গ, এম. এল. (২০০৮) দ্য VB-MAPP: দ্য ভার্বাল বিহেভিয়োর মিলস্টোনস অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড প্লেসমেন্ট প্রোগ্রাম
- বেসিল-কিউরজন, এল. (২০০৪) টিচিং ইন ফারথার এডুকেশন: আ আউটলাইন অফ প্রিন্সিপলস অ্যান্ড প্রাকটিস
- হার্ডিন, সি.জে. (২০০৪) ইফেকটিভ ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট
- কফহোল্ড, জে. এ. (২০০২) দ্য সাইকোলজি অফ লার্নিং অ্যান্ড দ্য আর্ট অফ টিচিং
- বিওর্ক, ডি. ডব্লিউ. (১৯৯৩) বি. এফ. স্কিনার: আ লাইফ
- ডিউস, পি. বি., সম্পাদনা (১৯৭০) ফেস্টশ্রিফট ফর বি. এফ. স্কিনার। নিউ ইয়র্ক: অ্যাপলটন-সেঞ্চুরি-ক্রফটস।
- ইভান্স, আর. আই. (১৯৬৮) বি. এফ. স্কিনার: দ্য ম্যান অ্যান্ড হিজ আইডিয়াস
- নাই, রবার্ট ডি. (১৯৭৯) হোয়াট ইজ বি. এফ. স্কিনার রিয়েলি সেয়িং? এংলউড ক্লিফস, এনজে: প্রেন্টিস-হল।
- রথারফোর্ড, এ. (২০০৯) বিয়ন্ড দ্য বক্স: বি. এফ. স্কিনারের টেকনোলজি অফ বিহেভিয়োর ফ্রম ল্যাবরেটরি টু লাইফ, ১৯৫০স–১৯৭০স। টরন্টো: ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো প্রেস।
- সাগাল, পি. টি. (১৯৮১) স্কিনারের ফিলসফি। ওয়াশিংটন, ডি.সি: ইউনিভার্সিটি প্রেস অফ আমেরিকা।
- স্মিথ, ডি. এল. (২০০২)। অন পেডিকশন অ্যান্ড কন্ট্রোল। বি. এফ. স্কিনার অ্যান্ড দ্য টেকনোলজিক্যাল আইডিয়াল অফ সায়েন্স। উইলিয়াম ই. পিকরেন এবং ডেভিড এ. ডিউসবুরি (এডস.), ইভোলভিং পার্সপেকটিভস অন দ্য হিস্টোরি অফ সাইকোলজি, ওয়াশিংটন, ডি.সি.: আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
- সুইর্সকি, পিটার (২০১১) "হাউ আই স্টপড ওয়ারি এবং লাভড বিহেভিওরাল [সিক] ইঞ্জিনিয়ারিং অর কমিউনাল লাইফ, অ্যাডাপটেশনস, অ্যান্ড বি. এফ. স্কিনারের ওয়ালডেন টু"। আমেরিকান ইউটোপিয়া অ্যান্ড সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন লিটারেচার, সোশ্যাল থট, অ্যান্ড পলিটিক্যাল হিস্ট্রি। নিউ ইয়র্ক, রাউটলেজ।
- উইনার, ডি. এন. (১৯৯৬) বি. এফ. স্কিনার: বেনাইন অ্যানার্কিস্ট
- উল্ফগ্যাং, সি. এইচ. এবং গ্লিকম্যান, কার্ল ডি. (১৯৮৬) সলভিং ডিসিপ্লিন প্রোবলেমস অ্যালিন অ্যান্ড বেকন, ইনক.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]

গ্রন্থাগার সংরক্ষণ সম্পর্কে বি. এফ. স্কিনার |
By বি. এফ. স্কিনার |
---|
- বি. এফ. স্কিনার ফাউন্ডেশনের মূল পৃষ্ঠা
- ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস জীবনী
- ইন্টারনেট আর্কাইভে বি. এফ. স্কিনার কর্তৃক কাজ বা সম্পর্কে তথ্য
- লিব্রিভক্সের পাবলিক ডোমেইন অডিওবুকসে
বি. এফ. স্কিনার
- আমি পরীক্ষামূলক ইঁদুর ছিলাম না, স্কিনারের কন্যার প্রতিক্রিয়া "বেবি বক্স" সম্পর্কে
- অডিও রেকর্ডিং এক্সপেরিমেন্টাল অ্যানালাইসিস অব বিহেভিয়ার সোসাইটি
- ইউটিউবে স্কিনার এবং শিক্ষণযন্ত্র
- পুনর্মুদ্রণ "আচরণবাদী গোলকধাঁধুর মিনোটর: ১৯৭০-এর দশকে স্ট্যানফোর্ডের লার্নিং হাউজে টিকে থাকা", জার্নাল অব হিউম্যানিস্টিক সাইকোলজি, খণ্ড ৫১, সংখ্যা ৩, জুলাই ২০১১, ২৬৬–২৭২।
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-roman" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-roman"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি
- ১৯০৪-এ জন্ম
- ১৯৯০-এ মৃত্যু
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন উদ্ভাবক
- ২০শ শতাব্দীর নাস্তিক
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন অ-কল্পকাহিনী লেখক
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন দার্শনিক
- মার্কিন নাস্তিক
- ২০শ শতাব্দীর মার্কিন মনোবিজ্ঞানী
- মার্কিন সংশয়বাদী
- হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ইগ নোবেল পুরস্কার বিজয়ী
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির সদস্য
- ন্যাশনাল মেডেল অফ সাইন্স বিজয়ী
- মার্কিন রাজনৈতিক দার্শনিক
- মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- মার্কিন ফিলোসফিক্যাল সোসাইটির সদস্য