সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের আলফা প্রকারণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(বি.১.১.৭ বংশ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
বি.১.১.৭ বংশ দ্বারা নিশ্চিতভাবে রোগাক্রান্ত দেশসমূহ।[১][২] (২৫শে মার্চ ২০২১ তারিখ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত)
ব্যাখ্যা:
  ১০০০০০+ জন নিশ্চিতভাবে রোগাক্রান্ত
  ৪০০০-৯৯৯৯৯ জন নিশ্চিতভাবে রোগাক্রান্ত
  ১০০০–৩৯৯৯ জন নিশ্চিতভাবে রোগাক্রান্ত
  ৫০০-৯৯৯ জন নিশ্চিতভাবে রোগাক্রান্ত
  ১০০-৪৯৯ জন নিশ্চিতভাবে রোগাক্রান্ত
  ২-৯৯ জন নিশ্চিতভাবে রোগাক্রান্ত
  ১ জন নিশ্চিতভাবে রোগাক্রান্ত
  নিশ্চিতভাবে রোগাক্রান্ত নেই, কোনও তথ্যবিশ্ব বা উপাত্ত লভ্য নয়।

সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের আলফা প্রকারণ বা বি.১.১.৭ বংশ (ইংরেজি: Lineage B.1.1.7) সার্স-কোভি-২ (গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী ভাইরাস-২) নামক ভাইরাসের একটি প্রকারণ, যে ভাইরাসটি করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ (কোভিড-১৯) নামক সংক্রামক রোগটি সৃষ্টির জন্য দায়ী। এটি ২০ই/৫০১ওয়াই.ভি১ (20I/501Y.V1) বা উদ্বেগজনক প্রকারণ ২০ডিইসি-০১ (Variant of Concern 20DEC-01, সংক্ষেপে VOC-20DEC-01) কিংবা আরও প্রচলিতভাবে যুক্তরাজ্য প্রকারণ (UK variant), ব্রিটিশ প্রকারণ (British variant) বা কেন্ট প্রকারণ (Kent variant) বিকল্প নামগুলি দ্বারাও পরিচিত। এটি সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকারণগুলির একটি হিসেবে পরিগণিত। ধারণা করা হয় এটি বন্য প্রকারের সার্স-কোভি-২ অপেক্ষা ৪০%-৮০% বেশি সংবহনযোগ্য (বেশীরভাগ প্রাক্কলন এই পরিসীমার মধ্যবর্তী থেকে উচ্চ অবস্থানে বিরাজমান)। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯-এর মহামারী চলাকালে সংগৃহীত একটি নমুনা থেকে ঐ বছরের নভেম্বর মাসে এই প্রকারণটিকে শনাক্ত করা হয়। প্রকারণটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং এটির ছড়িয়ে পড়ার সাথে দেশটিতে রোগটির সংক্রমণের হার তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রকারণটিতে ভাইরাসটির কীলকাকার প্রোটিনগুলিতে এক বা একাধিক পরিব্যক্তি সংঘটিত হয়েছে, ফলে ভাইরাসটির এই প্রকারণটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিব্যক্তি ঘটার কারণেও এই প্রকারণটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।[৩][৪][৫]

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী সার্স-কোভি-২ ভাইরাসের বংশাণুসমগ্র অনুক্রম নির্ণয়করণের ঘটনাগুলির অর্ধেকেরও বেশি যুক্তরাজ্যে সম্পাদিত হয়।[৬] এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে সারা বিশ্বে ভাইরাসটির আরও কতগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রকারণ অশনাক্তকৃত অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।[৭][৮] ২০২১ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি, পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে তারা ইতিমধ্যেই “ই৪৮৪কে পরিব্যক্তিবিশিষ্ট সীমিতসংখ্যক বি.১.১.৭ ভিওসি-২০২০১২/০১ বংশাণুসমগ্র শনাক্ত করেছে,”[৯] যেটিকে তারা “উদ্বেগজনক প্রকারণ ২০২১০২/০২” নাম দেয়।[৩] এই পরিব্যক্তিটি ৫০১.ভি২ প্রকারণ এবং বি.১.১.২৪৮ বংশতেও অবস্থিত[১০] এবং এটি টিকার কার্যকারিতা হ্রাস করতে পারে।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "B.1.1.7 report"cov-lineages.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-২৯ 
  2. "Tracking of variants: VUI202012/01 GR/501Y.V1 (B.1.1.7)"। GISAID। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  3. Public Health England (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "Variants: distribution of cases data"Gov.UK। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৭ 
  4. "New coronavirus variant: What do we know?"BBC। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২০ 
  5. Ellyatt, Holly (২০২১-০২-১১)। "UK coronavirus variant on course 'to sweep the world,' leading scientist says"CNBC (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৬ 
  6. Donnelly, Laura (২৬ জানুয়ারি ২০২১)। "UK to help sequence mutations of Covid around world to find dangerous new variants"The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জানুয়ারি ২০২১ 
  7. Rachel Schraer (22 December 2020). "Covid: New variant found ‘due to hard work of UK scientists". BBC. Retrieved 30 January 2021.
  8. Sugden, Joanna (৩০ জানুয়ারি ২০২১)। "How the U.K. Became World Leader in Sequencing the Coronavirus Genome"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজনThe Wall Street Journal 
  9. Investigation of novel SARS-CoV-2 variant Variant of Concern 202012/01: Technical briefing 5 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। Public Health England। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  10. Roberts, Michelle (২ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "UK variant has mutated again, scientists say"BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১