বিসিক জামদানি পল্লী

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৩′৪২″ উত্তর ৯০°৩০′৫৩″ পূর্ব / ২৩.৭২৮৩৯৮° উত্তর ৯০.৫১৪৫৯৪° পূর্ব / 23.728398; 90.514594
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিসিক জামদানি পল্লী
বিসিক নগরী
শিল্প এলাকা
বিসিক জামদানি পল্লী ঢাকা বিভাগ-এ অবস্থিত
বিসিক জামদানি পল্লী
বিসিক জামদানি পল্লী
বিসিক জামদানি পল্লী বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
বিসিক জামদানি পল্লী
বিসিক জামদানি পল্লী
ঢাকা বিভাগে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৩′৪২″ উত্তর ৯০°৩০′৫৩″ পূর্ব / ২৩.৭২৮৩৯৮° উত্তর ৯০.৫১৪৫৯৪° পূর্ব / 23.728398; 90.514594
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা
জেলানারায়ণগঞ্জ
উপজেলারূপগঞ্জ
ভাষা
 • জাতীয়বাংলা
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬:০০)
পোস্টকোড১৪৬৩

বিসিক জামদানি শিল্প সম্পদ ও গবেষণা কেন্দ্র হলো বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার একটি তাঁত বুনন গ্রাম। এটি "জামদানি পল্লী" নামে পরিচিত কেননা এটি জামদানি পোশাক বুননের জন্য একটি শিল্প নগরী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।[১]

অবস্থান[সম্পাদনা]

নারায়ণগঞ্জ জেলার নোয়াপাড়ায় অবস্থিত এই পল্লী কাঁচপুর সেতু থেকে ৩ কিমি (১.৯ মা) উত্তরে[১] এবং বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে ৩০ কিমি (১৯ মা) দূরে অবস্থিত।[২] সেখানে প্রবেশের জন্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যবহার করতে হয়।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

জামদানি পল্লী বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন কর্তৃক ১৯৯১ সালে ৳৬ কোটি ব্যয়ে "বিসিক জামদানি শিল্প সম্পদ ও গবেষণা কেন্দ্র" হিসেবে ২০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর কারণে জামদানি বিক্রি করতে না পারার কারণে গ্রামের তাঁতিরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ২০২২ সালে জামদানি পল্লী আবার কাপড় বিক্রি শুরু করে।[৩] ২০২১ সালে সরকার জামদানি পল্লীতে একটি জাদুঘর, একটি প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র এবং একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।[৪]

শিল্প ও বাজার[সম্পাদনা]

জামদানি পল্লীতে জামদানি শাড়ি তৈরি

এই শিল্প পল্লীতে ৪১৬ প্লট তৈরি করা হয়েছে যার মধ্যে ৪০৭টি প্লট বর্তমানে তাঁতিদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত প্লটে কাজ করা তাঁতিরা এই গ্রামে বাস করে ও ২০২৩ সালের হিসেবে তাদের সংখ্যা ১,৬০০। এখানে তাঁতিরা যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই জামদানি থেকে তৈরি পোশাক তৈরি করে। প্রতি শুক্রবার জামদানি পল্লীতে একটি হাট বসে যেখানে পাইকারি দামে জামদানি পোশাক কেনা যায়।[১] এই গ্রামে মোট ৪৮০টি তাঁত রয়েছে।[৫]

সমস্যা[সম্পাদনা]

গ্রামের একটি রাস্তা

জামদানি পল্লীতে যাওয়ার বেশিরভাগ সড়কের অবস্থা খারাপ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।[৬] অভিযোগ রয়েছে যে গ্রামের তাঁতে কাজ করা তাঁতিদের প্রাপ্য মজুরির চেয়ে কম দেওয়া হয়।[৩] এছাড়া কিছু অসাধু মহল ঘুষের বিনিময়ে এই গ্রামে প্লট বরাদ্দ দিয়ে তাঁতের বিনিময়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। এছাড়া ভারত থেকে আমদানি করা নকল জামদানি শাড়ির কারণে তাঁতের আয় কমে যাচ্ছে।[৭]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. আহমেদ, ফারহানা (২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "Jamdani Palli: A village that weaves tradition"দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ মার্চ ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২৩ 
  2. "দেশের একমাত্র জামদানি পল্লী নারায়ণগঞ্জে"বৈশাখী টেলিভিশন। ৮ অক্টোবর ২০১৮। ১৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২৩ 
  3. আলী সৈকত, শওকত (১৬ এপ্রিল ২০২২)। "জামদানি পল্লী: কোটি টাকার বিক্রি, তবুও কমেছে মজুরি"সময় টিভি। ১৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২৩ 
  4. হক, মেসবাহুল (১০ এপ্রিল ২০২৩)। "জামদানি উৎপাদন ও বাজারজাতে নতুন প্রকল্প"বণিকবার্তা.নেট। ১৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২৩ 
  5. হোসেন সিয়াম, সৌরভ (১৩ এপ্রিল ২০২৩)। "ব্যস্ত জামদানি পল্লী, তবে 'বিক্রি কম'"বিডিনিউজ২৪.কম। ১৩ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২৩ 
  6. "Almost all the roads at BSCIC Jamdani Palli at Noapara under Tarabo municipality at Rupganj in Narayanganj have remained in a bad shape for a long time, causing sufferings for the residents. But the authorities concerned seem to have turned a blind eye to the problem. The photos were taken on Monday. – SUN PHOTO"ডেইলি সান (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ মার্চ ২০২৩। ১৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২৩ 
  7. আহমেদ, রাসেল (১৮ এপ্রিল ২০১৫)। "রূপগঞ্জের রূপসী জামদানি"কালের কণ্ঠ। ২৫ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০২৩