আলাপ:ন্যাটো

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ন্যাটো বাহিনী ২০০৩ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে International Security Assistance Force(IFAF) মিশনে অংশগ্রহণ করে।এটি ইউরোপ এর বাইরে ন্যাটো বাহিনীর প্রথম মিশন। Ankur Anol (আলাপ) ১৬:১৫, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

মন্তব্য[সম্পাদনা]

বিগত তিন বছর ধরে সাধারণ মানুষ নানা অভাব-অনটনের মধ্যে জীবনযাপন করছে। এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, তারা খাদ্যাভাবে পড়েছে। স্বচ্ছন্দ জীবন থেকে কষ্টকর জীবনে নেমে গেছে। অনেক পরিবার আগে যেখানে সপ্তাহে এক-দুই দিন মাছ-গোশত খেত, এখন তারা তা বাদ দিয়েছে। খরচ কমিয়েও কুলিয়ে উঠতে পারছে না। এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সর্বত্র পড়ছে। ভোগ কমে গেলে উৎপাদনও কমে যায়। সাধারণত চাহিদার সাথে উৎপাদনের সমন্বয় করে পণ্য উৎপাদিত হয়। এর ব্যত্যয় ঘটলে অর্থনীতিসহ মানুষের জীবনযাপনের অবনমন ঘটে। ইতোমধ্যে অনেক উৎপাদক উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। খরচ কমাতে নীরবে কর্মী ছাঁটাই করছে। বেতন বৃদ্ধি দূরে থাক, উল্টো কমিয়ে দিচ্ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। কর্মজীবীদের এ অবস্থা হলে, কর্মহারাদের কী অবস্থা, তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। সাধারণ মানুষের মধ্যে সঞ্চয় করার প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ব্যাংকিং ও সঞ্চয়পত্র খাত চরম আমানত সংকটে ভুগছে। যেসব সাধারণ মানুষ সঞ্চয় করেছিল, তারা জীবনযাপনের খরচ চালাতে সঞ্চয় ভেঙে এবং ব্যাংকে জমানো টাকা তুলে নিঃশেষ হয়ে পড়েছে। ঢাকায় সংসার চালাতে না পেরে অনেকে পরিবার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। অসংখ্য মানুষ খাদ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক চাহিদা মিটাতে না পেরে ধুঁকছে। ধার-দেনা করেও তারা সংসার চালাতে পারছে না। ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এহেন পরিস্থিতিতে, পণ্যমূল্য যেমন বাড়ছে, তেমনি গ্যাস-বিদ্যুতসহ অন্যান্য সেবার মুল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সরকার টিসিবির মাধ্যমে যে খাদ্যপণ্য বিক্রি করছে তা দিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষের চাহিদা যেমন পূরণ হচ্ছে না, তেমনি তার প্রভাব বাজারে পড়ছে না। একশ্রেণীর ব্যবসায়ী বেপরোয়াভাবেই জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এমন অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছে যারা আত্মসম্মানবোধ বিবেচনা না করে এখন টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড পেতে আগ্রহী। তাদের কাছে এখন আত্মসম্মানের চেয়ে জীবন বাঁচিয়ে রাখা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। Kawsar Mir (আলাপ) ০৮:১০, ১৮ মার্চ ২০২৩ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]