আব্দুস সুবহান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা DelwarHossain (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০০:০৭, ১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল ("Abdus Sobhan" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।

মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সুবহান (সেপ্টেম্বর ১৯২৯), তিনি একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ । তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় তিনি যথাক্রমে পাবনা -৫ আসন থেকে দু'বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের সাথে তার সম্পর্কের জন্য তিনি বিচার চলছে।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

আবদুস সোবহান ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাবনা জেলার সুজানগর থানা মোমিনপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম মুন্সী নাঈম উদ্দিন আহমেদ একজন ইসলামী পন্ডিত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে তিনি তার পরিবার নিয়ে পাবনার নগরীর গোপালপুরের পাথরটোলা চলে আসেন এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। [১] তিনি রামচন্দ্রপুর মক্তব-এ ভর্তি হন। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তারপরে তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা মণিখাত এবং মাচপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শেষ করেন। ১৯৪১ সালে তিনি উলাত মাদ্রাসায় ভর্তি হন এবং ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত সেখানে অধ্যয়ন করেন এবং ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৫০ সালে আলিম সনদ অর্জন করেন। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৯৫২ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি একই মাদ্রাসা থেকে কামিল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মাদ্রাসা বোর্ডে প্রথম বিভাগে ৭ম ম স্থান অর্জন করেন। [১]

পেশা

শিক্ষাদান

ফাজিল পড়াশোনা শেষ করে তিনি পাবনা আলিয়া মাদ্রাসায় যোগদান করেন। এরপরে তিনি গোপালচন্দ্র ইনস্টিটিউট, আরিফপুর উলাত সিনিয়র মাদ্রাসা এবং মাগুরা বারোরিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। তাঁর শিক্ষাজীবন ১৯৫২-১৯৬২ সাল পর্যন্ত ১০ বছর ব্যাপৃত ছিলো [১]

রাজনীতি

আবদুস সোবহান ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের জমিয়তে তালাবা আরবিয়ার পাবনা জেলার সেক্রেটারি ছিলেন। ১৯৫১ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন এবং সময়ের সাথে সাথে পাবনা জেলার আমির নিযুক্ত হন। তিনি কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি দলের নয়েব-ই-আমিরও। [১]

সংসদ সদস্য

১৯৬২ এবং ১৯১৯৬৫ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাঁর পরবর্তী মেয়াদে বিরোধী দলের সিনিয়র উপ-নেতার ভূমিকা পালন করেন। [১] তিনি ১৯৯১ সালে পাবনা -৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সংসদে তিনি জামায়াতের সংসদীয় দলের উপ-নেতা ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি আবার পাবনা -৫ আসন থেকে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় ৫৬.৭৮% ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। ১৯৯৬ সালে, তিনি মহিলাদের পড়াশুনা বাড়ানোর জন্য প্রচারণা চালিয়েছেন। [২]

গ্রেপ্তার এবং বিচার

আবদুস সোবহানকে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে ঢাকা থেকে পাবনা যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে ২০০৩ সালে দায়ের করা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে আদালতে হাজির করার জন্য তাকে পাবনায় নেওয়া হয়েছিল। [৩] [৪]

গ্রেপ্তারের একদিন পর ১৯৭ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (বাংলাদেশ) হাজির করা হয়েছিল। [৫] আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল -২ (আইসিটি) এর নয়টি অভিযোগ গঠন করে ১৯ ৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন অপরাধ। [৬] [৭] সোবহান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন যে তিনি শান্তি কমিটিতে তাঁর সময়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর তিল হিসাবে কাজ করেছিলেন। [৮]

তথ্যসূত্র

  1. "Chairman's Corner, Imam Gazzali Trust, Pabna, Bangladesh"Imam Gazzali Trust। ১৫ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  2. Shehabuddin, Elora (২০১২)। Reshaping the Holy: Democracy, Development, and Muslim Women in Bangladesh (2 সংস্করণ)। Columbia University Press। পৃষ্ঠা 135। আইএসবিএন 0231512554 
  3. "Jamaat leader Abdus Sobhan detained"। Financial Express Bangladesh। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  4. "Jamaat leader Sobhan arrested"। Daily Sun। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  5. "Next report against Abdus Sobhan on July 14"। Dhaka Tribune। ১৪ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  6. "Charges framed against Jamaat leader Maulana Abdus Sobhan-trial start on Jan 28"। BdChronicle। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  7. "Charges pressed against Maulana Sobhan"। Dhaka Tribune। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৪ 
  8. "Sobhan Trial: Tribunal rejects indictment review"The Bangladesh Chronicle। ২৭ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬