বানৌজা সালাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা সালাম
নির্মাতা: হুডং শিপইয়ার্ড, সাংহাই, গণচীন
অর্জন: ১০ নভেম্বর, ১৯৮৮
কমিশন লাভ: ২০০২
কার্যসময়: ২০০২-২০১৪
শনাক্তকরণ: পি৭১২
অবস্থা: অবসরপ্রাপ্ত
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: টাইপ ০২১-শ্রেণীর টহল জাহাজ
ওজন:
  • ১৭৫ টন (স্বাভাবিক অবস্থায়)
  • ২১০ টন (পূর্ণ অবস্থায়)
দৈর্ঘ্য: ৩৮.৬ মিটার (১২৭ ফু)
প্রস্থ: ৭.৬ মিটার (২৫ ফু)
গভীরতা: ২.৭ মিটার (৮.৯ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × প্যাক্সম্যান ১২ভি১৮৫ ৪,৮০০ অশ্বশক্তি (৩,৬০০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন (যুক্তরাজ্য)
  • বিএফ৪এম ১০১৩ এমসি ডিজেল জেনারেটর (জার্মানি)
  • ২ x শ্যাফট
গতিবেগ: ১৮ নট (৩৩ কিমি/ঘ; ২১ মা/ঘ)
সীমা: ৩,৪৬০ নটিক্যাল মাইল (৩,৯৮০ মা; ৬,৪১০ কিমি), ১৩ নট (২৪ কিমি/ঘ; ১৫ মা/ঘ) গতিতে
সহনশীলতা: ৭ দিন
লোকবল: ৫০-৫৫ জন
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
  • ১ × ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র‍্যাডার (জাপান);
  • ১ × ফুরুনো এফএআর-৩৩২০ চার্ট র‍্যাডার (জাপান);
  • ১ × ফুরুনো এইচআর-২০১০ নেভিগেশন র‍্যাডার (জাপান);
  • আনরিতসু র‍্যাডার (জাপান)
রণসজ্জা:
  • ১ × বোফোর্স মার্ক-৭ ৪০/৬০ মিমি কামান
  • ১ × টুইন ব্যারেল ৩০/৭৫ জিসিএম-এ০৩

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) সালাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টাইপ ০২১-শ্রেণীর টহল জাহাজ। এটি নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গণচীন হতে স্বল্পপাল্লার দ্রুতগামী টাইপ ০২১-শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ সংগ্রহ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বানৌজা দুর্বার ১০ নভেম্বর, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। এই জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উপকূল প্রতিরক্ষার সক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে, হিট এন্ড রান কৌশল অবলম্বন করে বহিঃশত্রুর জাহাজ ধ্বংস করতে সক্ষম ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বানৌজা দুর্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কর্ণফুলী নদীতে ডুবে রায়। পরবর্তীতে ২০০২ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাহাজটি মেরামত করে নৌবহরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। যা বানৌজা সালাম হিসেবে নৌবাহিনীতে পুনরায় কমিশন লাভ করে।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বানৌজা সালাম জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৩৮.৬ মিটার (১২৭ ফু), প্রস্থ ৭.৬ মিটার (২৫ ফু) এবং গভীরতা ২.৭ মিটার (৮.৯ ফু)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি প্যাক্সম্যান ১২ভি১৮৫ ৪,৮০০ অশ্বশক্তি (৩,৬০০ কিওয়াট) ডিজেল ইঞ্জিন (যুক্তরাজ্য)। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৪ নট (৪৪ কিমি/ঘ; ২৮ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি ১৩ নট (২৪ কিমি/ঘ; ১৫ মা/ঘ) গতিতে ৩,৪৬০ নটিক্যাল মাইল (৩,৯৮০ মা; ৬,৪১০ কিমি) সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম। সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধানের জন্য এটি ১টি ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র‍্যাডার (জাপান); ১টি ফুরুনো এফএআর-৩৩২০ চার্ট র‍্যাডার (জাপান); ১টি ফুরুনো এইচআর-২০১০ নেভিগেশন র‍্যাডার (জাপান) এবং আনরিতসু রাডার (জাপান) র‍্যাডার দ্বারা সজ্জিত।

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

বানৌজা সালাম জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ১ × বোফোর্স মার্ক-৭ ৪০/৬০ মিমি কামান
  • ১ × টুইন ব্যারেল ৩০/৭৫ জিসিএম-এ০৩।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সশস্ত্র বাহিনী দিবসে জাহাজ প্রদর্শনী | Navy | Ekhon TV"। ২১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২২ 
  2. "১১৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান | Armed Forces Day | Bangladesh Navy | Somoy TV"। ২১ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ নভেম্বর ২০২২ 
  3. "যথাযোগ্য মর্যাদায় খুলনা নৌ অঞ্চলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২২ উদযাপন | Global TV News"। ১২ জুলাই ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০২৩