চার্লস ভিন্টসেন্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চার্লস ভিন্টসেন্ট
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথে প্রথম টেস্টের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা। ভিনসেন্ট পিছনের সারিতে, ডান থেকে দ্বিতীয়।
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ২৬ ১১৯
ব্যাটিং গড় ৪.৩৩ ১১.৯০
১০০/৫০ ০/০ ০/১
সর্বোচ্চ রান ৬০*
বল করেছে ৩৬৯ ৭৩০
উইকেট ১০
বোলিং গড় ৪৮.২৫ ৩৬.৩৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৮৮ ৪/৭০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ২/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

চার্লস হেনরি ভিন্টসেন্ট (ইংরেজি: Charles Vintcent; জন্ম: ২ সেপ্টেম্বর, ১৮৬৬ - মৃত্যু: ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩) কেপ উপনিবেশের মোসেল বে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৯ থেকে ১৮৯২ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া দক্ষিণ আফ্রিকান প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ট্রান্সভাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ‘চার্লি ভিন্টসেন্ট’ নামে পরিচিত চার্লস ভিন্টসেন্ট

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

কেপটাউনে পড়াশুনো শেষে ১৮৮০ থেকে ১৮৮৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের চার্টারহাউজ স্কুলে অধ্যয়ন করেন। বিদ্যালয় জীবনেই সর্বক্রীড়ায় দক্ষতা প্রদর্শনে অগ্রসর হন। শেষ দুই বছর বিদ্যালয়ের ফুটবল একাদশে খেলেন। ১৮৮৪ সালে অ্যাথলেটিক চ্যালেঞ্জ কাপে বিজয়ী হন। ১৮৯০ সালে ট্রান্সভাল ফুটবল একাদশের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন ও ট্রান্সভাল রাগবি ফুটবল পঞ্চদশের পক্ষে খেলেন। একই বছরে ১০০ গজ দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রান্সভাল মনোনীত হন।

মোসেল বে এলাকায় চার্লস ভিন্টসেন্টের জন্ম। সন্দেহাতীতভাবে তিনি তার সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বাপেক্ষা বহুমূখী ক্রীড়া প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। বিভিন্ন খেলায় সবিশেষ দক্ষতা ছিল তার। রাগবি খেলায় ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স ও ট্রান্সভালের পক্ষে খেলেছেন। ফুটবলে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার ইচ্ছা থাকলেও পরে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি।

১৮৮৯ থেকে ১৮৯১ সাল পর্যন্ত ১০০ গজ থেকে শুরু করে ৪৪০ গজ দৌড়ের স্প্রিন্টে ট্রান্সভাল চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। এর পাশাপাশি দীর্ঘলম্ফ ও উচ্চ লম্ফেও তার দক্ষতা ছিল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন চার্লস ভিন্টসেন্ট। ১২ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।

১৮৯১-৯২ মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ইংরেজ দলের একমাত্র টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পান। কিম্বার্লীর বিপক্ষে দূর্দান্ত খেলা প্রদর্শন করেন। সফরের পঞ্চম খেলাটিতে সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরে ও খেলায় ঊননব্বুই ওভার বোলিং করে ১০৫ রান খরচায় নয় উইকেট পান। তবে, এ ধরনের খেলা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে পারেননি। টেস্ট খেলায়ও তার কোন প্রভাব পড়েনি। সে তুলনায় প্রাদেশিক ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় ধরে উপভোগ করেছেন।

কারি কাপের শুরুরদিকে বাইশ মৌসুম ট্রান্সভালের পক্ষে খেলেছন। এরপর তিনি সাউদার্ন কেপে চলে যান। প্রাদেশিক পর্যায়ে একটি খেলায় দলের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পান। তখন তার বয়স ছিল চল্লিশের কাছাকাছি।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

লিলিয়ান জ্যাকসন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন ও তাদের তিন সন্তান ছিল। তন্মধ্যে, নেভিল ভিন্টসেন্ট, ডিএফসি এয়ার ইন্ডিয়ার যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সন্তান জন্মদানে তার স্ত্রী গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। স্থানীয়দের অভিমত সন্তানেরা দত্তক ছিল। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা যোসেফ ভিন্টসেন্ট ১৮৮১ সালের এফএ কাপের শিরোপা বিজয়ী ওল্ড কার্থাসিয়ান্সের পক্ষে খেলেছিলেন।[১]

২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৩ তারিখে ৭৭ বছর বয়সে কেপ প্রদেশের জর্জে চার্লস ভিনসেন্টের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Warsop, Keith (২০০৪)। The Early FA Cup Finals and the Southern Amateurs। SoccerData। পৃষ্ঠা 131–132। আইএসবিএন 1-899468-78-1 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]