মন্দির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Mishrarpan (আলোচনা | অবদান)
অপসারিত বিষয়শ্রেণী:হিন্দু ধর্ম; সংযোজিত বিষয়শ্রেণী:মন্দির; হটক্যাটের মাধ্যমে
৫৫ নং লাইন: ৫৫ নং লাইন:


[[বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ]]
[[বিষয়শ্রেণী:অসম্পূর্ণ]]
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দু ধর্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:মন্দির|*]]
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্মীয় স্থাপত্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্মীয় স্থাপত্য]]



২১:২০, ১১ এপ্রিল ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বৃহদেশ্বর মন্দিরের সম্মুখভাগ

মন্দির (সংস্কৃত: मंदिर) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়। হিন্দু মন্দির একটি পৃথক স্থাপনা বা অন্য কোনো স্থাপনার অঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। মন্দিরের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল মূর্তির উপস্থিতি। সাধারণত যে দেবতার মন্দির, মন্দিরের কেন্দ্রে সেই দেবতার মূর্তি স্থাপিত হয়। মন্দিরে প্রধান দেবতার পাশাপাশি অন্যান্য দেবতাও পূজিত হতে পারেন। অবশ্য কোনো কোনো মন্দির একাধিক দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়। আবার কোথাও কোথাও মূর্তির বদলে প্রতীকের পূজা হয়ে থাকে।

নাম


মন্দির স্থাপত্য

হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন শাখার কারণে বিভিন্ন মন্দিরে বিভিন্ন দেবতার উপাসনা করা হলেও সকল মন্দিরের গঠনগত কাঠামোতেই কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মন্দিরের মূল স্থানগুলো হলোঃ

বিমান

বিমান বা দেউল হলো পবিত্র স্থান, এর অভ্যন্তরে থাকে গর্ভ গৃহ। বিমানের চারিদিকে প্রদক্ষিণ পথ থাকে যা দিয়ে ভক্ত গণ বিমানের চারিধারে প্রদক্ষিণ করতে পারেন।

শিখর

শিখর হলো বিমানের উপরের অংশ বা ছাদ, এটি সাধারণত চোঙ্গা জাতীয় হয়, অর্থাৎ নিচের দিকে চওড়া এবং ওপরের অংশে ক্রমশ সরু।

গর্ভ গৃহ

বিমানের অভ্যন্তরে যে কক্ষে ঐশ্বরিক প্রতীক, দেব-দেবতার মূর্তি ইত্যাদি রাখা হয় তাকে বলা হয় গর্ভ গৃহ। এটি সাধারণত ছোট, অন্ধকার একটি কক্ষ হয়ে থাকে। প্রবেশ পথ সাধারণত পূর্ব পার্শ্বে হয়।

প্রদক্ষিণ পথ

গর্ভ গৃহের চারিধারে অবস্থিত ভক্তগণের পরিভ্রমণ পথ।

মন্ডপ

মন্ডপ বা জগমোহন হলো ভক্তগণের সমাগমের নিমিত্ত থামবিশিষ্ট হলঘর। প্রার্থণার সময় ভক্তগণ এ অংশে সমাবেশ করেন। গর্ভ গৃহের প্রবেশ পথের সম্মুখেই মন্ডপ নির্মিত হয়। মন্ডপে অর্ধ-মন্ডপ বা মহা-মন্ডপ থাকতে পারে। মন্ডপের সামনে একটি বারান্দা মতন স্থানকে বলে অর্ধ-মন্ডপ, আর দু-পার্শ্বে বর্ধিত অংশ থাকলে তাকে বলে মহা-মন্ডপ।

অন্তরাল

কিছু মন্দিরের মন্ডপ ও বিমান আলাদা ভবন হিসেবে নির্মিত হয়। আবার কিছু কিছু মন্দিরে এ দুটো অংশ আলাদা। বিমান ও মন্ডপ সংযোগ করতে গেলে একটি অন্তর্বর্তী স্থানের উদ্ভব ঘটে। এই অন্তর্বর্তী স্থানটিই হলো অন্তরাল

মন্দির স্থাপত্যের মূল ভাব(architectural expression) হলো রহস্যময়তা। মন্দির হলো পবিত্র দেবতার বসবাসের স্থান। বসবাসের স্থানটিকে ভাব-গাম্ভীর্যে সমৃদ্ধ করে তোলাটাই এর স্থাপত্যর বিন্যাস (architectural scheme)। হিন্দু মন্দিরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সুচারু মূর্তি দিয়ে এর সর্বত্র সাজানো। মন্দিরের অভ্যন্তরভাগ অপেক্ষা বহির্ভাগ এক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য পায়। মন্দিরের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো অসংখ্য কুলুঙ্গি। দেয়াল ও এইসব কুলুঙ্গিতে বিভিন্ন দেব-দেবতার মূর্তি ও ছবি থাকে। প্রাচীন কিছু কিছু মন্দিরে অলঙ্করণ এত অত্যধিক মাত্রায় করা হত যে হিন্দু মন্দিরকে স্থাপত্য কীর্তির চেয়ে ভাস্কর্য হিসেবে সফলতর বলা যায়।

চিত্রকক্ষ

তথ্যসূত্র

  • কিশোর বিশ্বস্থাপত্য- স্থপতি নিজামউদ্দিন আহমেদ
  • Buddhist and Hindu Architecture in India- Percy Brown

বহিঃসংযোগ