অ্যান্টার্কটিকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Faisal Hasan (আলোচনা | অবদান)
+
Faisal Hasan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৪ নং লাইন: ১৪ নং লাইন:
<br />
<br />
(বরফ-আবৃত)
(বরফ-আবৃত)
| style="border-top:solid 1px #ccd2d9; padding:0.4em 1em 0.4em 0; vertical-align:top;" | ১৪,০০০,০০০&nbsp;কিমি<sup>২</sup> (৫,৪০৫,৪২৮ বর্গ মাইল) <br /> ২৮০,০০০&nbsp;km<sup>২</sup> (১০০,০০০ বর্গ মাইল) <br /> ১৩,৭২০,০০০&nbsp;কিমি<sup>২</sup> (৫,৩০০,০০০ বর্গ মাইল)
| style="border-top:solid 1px #ccd2d9; padding:0.4em 1em 0.4em 0; vertical-align:top;" | ১৪,০০০,০০০&nbsp;কিমি<sup>২</sup> (৫,৪০৫,৪২৮ বর্গ মাইল) <br /> ২৮০,০০০&nbsp;কিমি<sup>২</sup> (১০০,০০০ বর্গ মাইল) <br /> ১৩,৭২০,০০০&nbsp;কিমি<sup>২</sup> (৫,৩০০,০০০ বর্গ মাইল)
|-
|-
! style="border-top: solid 1px #ccd2d9; padding: 0.4em 1em 0.4em 0; vertical-align: top; text-align: left;" | জনসংখ্যা <br /> (স্থায়ী) <br /> (অস্থায়ী)
! style="border-top: solid 1px #ccd2d9; padding: 0.4em 1em 0.4em 0; vertical-align: top; text-align: left;" | জনসংখ্যা <br /> (স্থায়ী) <br /> (অস্থায়ী)
৪৬ নং লাইন: ৪৬ নং লাইন:


গড় হিসাবে অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর শীতলতম, শুষ্কতম এবং ঝড়ো হাওয়াপূর্ণ মহাদেশ এবং অন্য সব মহাদেশের চাইতে এর উচ্চতা বেশি।<ref>{{cite web | title=National Geophysical Data Center | publisher=National Satellite, Data, and Information Service| url=http://www.ngdc.noaa.gov/mgg/image/2minrelief.html |accessdate=9 June 2006}}</ref> অ্যান্টার্কটিকাকে একটি মরুভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ সেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ২০০&nbsp;মিমি (৮&nbsp;ইঞ্চি), তাও আবার কেবল উপকূলের কাছাকাছি, ভেতরের দিকে এ পরিমাণ আরও কম।<ref>{{cite web|author=C. Alan Joyce |url=http://www.worldalmanac.com/blog/2007/01/the_world_at_a_glance_surprisi.html |title=The World at a Glance: Surprising Facts |publisher=The World Almanac |date=2007-01-18 |accessdate=2009-02-07}}</ref> সেখানে স্থায়ীভাবে মানুষ বাস করে না, তবে মহাদেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন গবেষণা স্টেশনে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ মানুষ বছরের বিভিন্ন সময় অবস্থান করে। প্রবল শৈত্যের সাথে লড়াই করতে সক্ষম উদ্ভিদ ও প্রাণীই এ মহাদেশে টিকে থাকতে সক্ষম, যার মধ্যে রয়েছে [[penguin|পেঙ্গুইন]], [[Pinniped|সিল]], [[নেমাটোড]], [[tardigrade|টার্ডিগ্রেড]], [[mite|মাইট]], বিভিন্ন প্রকার [[শৈবাল]] এবং অন্যান্য মাইক্রোঅর্গানিজম এবং [[tundra|তুন্দ্রা]] উদ্ভিদসমূহ।
গড় হিসাবে অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর শীতলতম, শুষ্কতম এবং ঝড়ো হাওয়াপূর্ণ মহাদেশ এবং অন্য সব মহাদেশের চাইতে এর উচ্চতা বেশি।<ref>{{cite web | title=National Geophysical Data Center | publisher=National Satellite, Data, and Information Service| url=http://www.ngdc.noaa.gov/mgg/image/2minrelief.html |accessdate=9 June 2006}}</ref> অ্যান্টার্কটিকাকে একটি মরুভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ সেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ২০০&nbsp;মিমি (৮&nbsp;ইঞ্চি), তাও আবার কেবল উপকূলের কাছাকাছি, ভেতরের দিকে এ পরিমাণ আরও কম।<ref>{{cite web|author=C. Alan Joyce |url=http://www.worldalmanac.com/blog/2007/01/the_world_at_a_glance_surprisi.html |title=The World at a Glance: Surprising Facts |publisher=The World Almanac |date=2007-01-18 |accessdate=2009-02-07}}</ref> সেখানে স্থায়ীভাবে মানুষ বাস করে না, তবে মহাদেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন গবেষণা স্টেশনে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ মানুষ বছরের বিভিন্ন সময় অবস্থান করে। প্রবল শৈত্যের সাথে লড়াই করতে সক্ষম উদ্ভিদ ও প্রাণীই এ মহাদেশে টিকে থাকতে সক্ষম, যার মধ্যে রয়েছে [[penguin|পেঙ্গুইন]], [[Pinniped|সিল]], [[নেমাটোড]], [[tardigrade|টার্ডিগ্রেড]], [[mite|মাইট]], বিভিন্ন প্রকার [[শৈবাল]] এবং অন্যান্য মাইক্রোঅর্গানিজম এবং [[tundra|তুন্দ্রা]] উদ্ভিদসমূহ।

সুপ্রাচীনকাল হতেই ''[[Terra Australis|টেরা অস্ট্রালিস]]'' ("দক্ষিণের মহাদেশ") এর ব্যাপারের নানান গল্প-কাহিনি প্রচলিত ছিল, তবে এ মহাদেশটি মানুষের চোখে ধরা পড়ে ১৮২০ সালে, রুশ অভিযাত্রী [[Mikhail Petrovich Lazarev|মিখাইল লাজারেভ]] ও [[Fabian Gottlieb von Bellingshausen|ফাবিয়ান গটলিয়েব ফন বেলিংশসেন]] সর্বপ্রথম এ মহাদেশের অস্তিত্ব সপ্রমাণ করেন। তবে ১৯ শতকের বাকি অংশ জুড়ে অ্যান্টার্কটিকা বিস্মৃত অবস্থাতেই রয়ে যায়, যার কারণ ছিল মহাদেশটির চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, জীবনধারণের প্রয়োজনীয় উপাদানের অপ্রতুলতা এবং বিচ্ছিন্নতা। ''অ্যান্টার্কটিকা'' নামটির প্রথম আনুষ্ঠানিক ব্যবহার করেন স্কটিশ [[Cartography|কার্টোগ্রাফার]] [[John George Bartholomew|জন জর্জ বার্থলোমে]]। ''অ্যান্টার্কটিকা'' শব্দটি [[গ্রীক]] যৌগিক শব্দ 'ανταρκτική'' (''অ্যান্টার্কটিকে'') এর রোমানিত সংস্করণ,<ref>[http://www.perseus.tufts.edu/cgi-bin/ptext?doc=Perseus%3Atext%3A1999.04.0057%3Aentry%3D%239514 Antarktikos], Henry George Liddell, Robert Scott, ''A Greek-English Lexicon'', at Perseus</ref> যার মানে হল ''উত্তরের বিপরীতে অবস্থিত''।<ref>{{cite book|first=Bernadette |last=Hince |url=http://books.google.com/?id=lJd8_owUxFEC&pg=PA6&lpg=PA6&dq=antarctica+opposite+of+north+greek |title=The Antarctic Dictionary |publisher=CSIRO Publishing |page=6 |isbn=9780957747111 |year=2000 |accessdate=2009-04-26}}</ref>


[[চিত্র:Antarctica_6400px_from_Blue_Marble.jpg|right|thumb|কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা অ্যান্টার্কটিকার ছবি; ছবিটি পৃথক কিছু ছবি মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে।]]
[[চিত্র:Antarctica_6400px_from_Blue_Marble.jpg|right|thumb|কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা অ্যান্টার্কটিকার ছবি; ছবিটি পৃথক কিছু ছবি মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে।]]

০৭:৫৫, ২৯ জুলাই ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অ্যান্টার্কটিকা


এই মানচিত্রে লম্ব অভিক্ষেপ ব্যবহৃত হয়েছে। দক্ষিণ মেরু কেন্দ্রের প্রায় নিকটে অবস্থিত, যেথায় অক্ষীয় রেখাগুলো মিলিত হয়েছে।

ক্ষেত্রফল (সব মিলিয়ে)


(বরফ-মুক্ত)

(বরফ-আবৃত)

১৪,০০০,০০০ কিমি (৫,৪০৫,৪২৮ বর্গ মাইল)
২৮০,০০০ কিমি (১০০,০০০ বর্গ মাইল)
১৩,৭২০,০০০ কিমি (৫,৩০০,০০০ বর্গ মাইল)
জনসংখ্যা
(স্থায়ী)
(অস্থায়ী)
৭ম
শূণ্য
≈১,০০০
আশ্রিত রাজ্য
আনুষ্ঠানিক ভূমি মালিকানা অ্যান্টার্কটিক ট্রিটি সিস্টেম
অনানুষ্ঠানিক ভূমি মালিকানা
দাবি করার অধিকার ব্যবহার করেনি
সময় অঞ্চল নেই
ইউটিসি-৩ (কেবলমাত্র গ্রাহাম ল্যান্ডে)
ইন্টারনেট টপ-লেভেল ডোমেইন .aq
কলিং কোড Dependent on the parent country of each baseবেসগুলোর নিজ নিজ দেশানুযায়ী

অ্যান্টার্কটিকা একটি মহাদেশ | কুমেরু অর্থাৎ দক্ষিণ মেরু এই মহাদেশে অবস্থিত, এবং এই মহাদেশ পরিবেষ্টন করে আছে দক্ষিণ মহাসাগর (লক্ষ্যণীয়ঃ সুমেরুতে কেবল উত্তর মহাসাগর আছে কিন্তু জমি নেই)। অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর শুধু দক্ষিণতমই নয়, শীতলতম ও শুষ্কতম মহাদেশ। এর গড় উচ্চতা ও বায়ুপ্রবাহবেগও মহাদেশ গুলির মধ্যে সর্বাধিক।

গড় হিসাবে অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর শীতলতম, শুষ্কতম এবং ঝড়ো হাওয়াপূর্ণ মহাদেশ এবং অন্য সব মহাদেশের চাইতে এর উচ্চতা বেশি।[১] অ্যান্টার্কটিকাকে একটি মরুভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ সেখানে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ২০০ মিমি (৮ ইঞ্চি), তাও আবার কেবল উপকূলের কাছাকাছি, ভেতরের দিকে এ পরিমাণ আরও কম।[২] সেখানে স্থায়ীভাবে মানুষ বাস করে না, তবে মহাদেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন গবেষণা স্টেশনে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ মানুষ বছরের বিভিন্ন সময় অবস্থান করে। প্রবল শৈত্যের সাথে লড়াই করতে সক্ষম উদ্ভিদ ও প্রাণীই এ মহাদেশে টিকে থাকতে সক্ষম, যার মধ্যে রয়েছে পেঙ্গুইন, সিল, নেমাটোড, টার্ডিগ্রেড, মাইট, বিভিন্ন প্রকার শৈবাল এবং অন্যান্য মাইক্রোঅর্গানিজম এবং তুন্দ্রা উদ্ভিদসমূহ।

সুপ্রাচীনকাল হতেই টেরা অস্ট্রালিস ("দক্ষিণের মহাদেশ") এর ব্যাপারের নানান গল্প-কাহিনি প্রচলিত ছিল, তবে এ মহাদেশটি মানুষের চোখে ধরা পড়ে ১৮২০ সালে, রুশ অভিযাত্রী মিখাইল লাজারেভফাবিয়ান গটলিয়েব ফন বেলিংশসেন সর্বপ্রথম এ মহাদেশের অস্তিত্ব সপ্রমাণ করেন। তবে ১৯ শতকের বাকি অংশ জুড়ে অ্যান্টার্কটিকা বিস্মৃত অবস্থাতেই রয়ে যায়, যার কারণ ছিল মহাদেশটির চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, জীবনধারণের প্রয়োজনীয় উপাদানের অপ্রতুলতা এবং বিচ্ছিন্নতা। অ্যান্টার্কটিকা নামটির প্রথম আনুষ্ঠানিক ব্যবহার করেন স্কটিশ কার্টোগ্রাফার জন জর্জ বার্থলোমেঅ্যান্টার্কটিকা শব্দটি গ্রীক যৌগিক শব্দ 'ανταρκτική (অ্যান্টার্কটিকে) এর রোমানিত সংস্করণ,[৩] যার মানে হল উত্তরের বিপরীতে অবস্থিত[৪]

কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে তোলা অ্যান্টার্কটিকার ছবি; ছবিটি পৃথক কিছু ছবি মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. "National Geophysical Data Center"। National Satellite, Data, and Information Service। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০০৬ 
  2. C. Alan Joyce (২০০৭-০১-১৮)। "The World at a Glance: Surprising Facts"। The World Almanac। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-০৭ 
  3. Antarktikos, Henry George Liddell, Robert Scott, A Greek-English Lexicon, at Perseus
  4. Hince, Bernadette (২০০০)। The Antarctic Dictionary। CSIRO Publishing। পৃষ্ঠা 6। আইএসবিএন 9780957747111। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২৬ 

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA