মহাশোল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jayantanth (আলোচনা | অবদান)
fix
সংশোধন
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Taxobox
{{Taxobox
| name = Mahseer
| name = মহাশোল
| image = Mahasher.JPG
| image = Mahasher.JPG
| image_text = Mahseer
| image_text = Mahseer
২০ নং লাইন: ২০ নং লাইন:
}}
}}


'''মহাশোল''' এক জাতীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছ। পাহাড়ি খরস্রোতা স্বচ্ছ পানির নদীতে মহাশোল মাছের আবাস। নদীর পাথর-নুড়ির ফাঁকে ফাঁকে ‘পেরিফাইটন’ নামের এক রকমের শ্যাওলা জন্মে। এগুলোই মহাশোলের প্রধান খাদ্য। মহাশোল সর্বোচ্চ ১৫ মিটার গভীর পানিতে চলাচল করতে পারে। পানির উষ্ণতা ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাদের জীবনধারণের পক্ষে সহায়ক।মহাশোল দেখতে অনেকটা মৃগেল মাছের মতো। তবে এর আঁশগুলো আরও বড়। পরিণত মাছের আঁশ শক্ত, উজ্জ্বল সোনালি রঙের ও দীপ্তিমান। পাখনা ও লেজ রক্তিম। নাকের সামনে ছোট্ট দুটি গোঁফের মতো আছে। সব মিলিয়ে দেখতে খুব সুন্দর। আমাদের মিঠাপানির মাছের মধ্যে মহাশোল স্বাদেও সেরা। মহাশোলের দুটি প্রজাতি। একটির বৈজ্ঞানিক নাম Tortor, অন্যটি Torputitora। বাংলাদেশে দুই প্রজাতির মহাশোলই পাওয়া যেত। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কংস নদ ও সোমেশ্বরী নদী মহাশোলের আবাস। এই নদ-নদীর উৎসমুখ এখন প্রায় বন্ধ। শুকনো মৌসুমে নদী দুটি প্রায় শুকিয়ে যায়। বসবাস ও বংশবৃদ্ধির জায়গা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মহাশোল ধীরে ধীরে কমতে থাকে। একপর্যায়ে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। সোমেশ্বরী ও কংস ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে দু-একবার সাঙ্গু নদেও মহাশোল পাওয়া গেছে। তবে হাওর, বিল-ঝিল বা অন্য কোনো নদ-নদীতে মহাশোল পাওয়ার রেকর্ড নেই মৎস্য অধিদপ্তরে।
'''মহাশোল''' ([[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি ভাষায়]]: Mahseer) এক জাতীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছ। পাহাড়ি খরস্রোতা স্বচ্ছ পানির নদীতে মহাশোল মাছের আবাস। নদীর পাথর-নুড়ির ফাঁকে ফাঁকে ‘পেরিফাইটন’ নামের এক রকমের শ্যাওলা জন্মে। এগুলোই মহাশোলের প্রধান খাদ্য। মহাশোল সর্বোচ্চ ১৫ মিটার গভীর পানিতে চলাচল করতে পারে। পানির উষ্ণতা ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাদের জীবনধারণের পক্ষে সহায়ক।মহাশোল দেখতে অনেকটা মৃগেল মাছের মতো। তবে এর আঁশগুলো আরও বড়। পরিণত মাছের আঁশ শক্ত, উজ্জ্বল সোনালি রঙের ও দীপ্তিমান। পাখনা ও লেজ রক্তিম। নাকের সামনে ছোট্ট দুটি গোঁফের মতো আছে। সব মিলিয়ে দেখতে খুব সুন্দর। আমাদের মিঠাপানির মাছের মধ্যে মহাশোল স্বাদেও সেরা। মহাশোলের দুটি প্রজাতি। একটির বৈজ্ঞানিক নাম Tortor, অন্যটি Torputitora। [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] দুই প্রজাতির মহাশোলই পাওয়া যেত। [[নেত্রকোনা|নেত্রকোনার]] [[দুর্গাপুর|দুর্গাপুরে]] [[কংস নদ]][[সোমেশ্বরী নদী]] মহাশোলের আবাস। এই নদ-নদীর উৎসমুখ এখন প্রায় বন্ধ। শুকনো মৌসুমে নদী দুটি প্রায় শুকিয়ে যায়। বসবাস ও বংশবৃদ্ধির জায়গা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মহাশোল ধীরে ধীরে কমতে থাকে। একপর্যায়ে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। সোমেশ্বরী ও কংস ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে দু-একবার [[সাঙ্গু নদী|সাঙ্গু নদেও]] মহাশোল পাওয়া গেছে। তবে হাওর, বিল-ঝিল বা অন্য কোনো নদ-নদীতে মহাশোল পাওয়ার রেকর্ড নেই মৎস্য অধিদপ্তরে।


==তথ্যসূত্র==
[[en:Mahseer]]
{{reflist|2}}
[[ca:Acrossocheilus]]
[[fr:Tor (poisson)]]
[[id:Semah]]
[[lt:Pailgažvyniai]]
[[ms:Ikan Kelah]]


==বহিঃসংযোগ==
==বহির্সংযোগ==
[http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-22/news/80664 মহাশোল-এর ওপর প্রবন্ধ]
* [http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-22/news/80664 মহাশোল-এর ওপর প্রবন্ধ]
* http://www.mahseertrust.org
* [http://www.mahseertrust.org Mahseertrust]
* [http://www.india-angling.com/ Golden Mahseer]
* [http://www.india-angling.com/ Golden Mahseer]
* [http://www.indianangler.com/viewforum.php?f=1 Mahseer information]
* [http://www.indianangler.com/viewforum.php?f=1 Mahseer information]
* [http://www.mahseerangling.com Deccan Mahseer]
* [http://www.mahseerangling.com Deccan Mahseer]


{{অসম্পূর্ণ}}
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মাছ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের মাছ]]

[[ca:Acrossocheilus]]
[[en:Mahseer]]
[[fr:Tor (poisson)]]
[[id:Semah]]
[[lt:Pailgažvyniai]]
[[ms:Ikan Kelah]]

১০:২৪, ২২ জুলাই ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মহাশোল
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Teleostomi
মহাবর্গ: Ostariophysi
বর্গ: Cypriniformes
উপবর্গ: Cyprinoidei
পরিবার: Cyprinidae
উপপরিবার: Cyprininae
গণ: Tor
Gray, 1834

Neolissochilus
Rainboth, 1985
Naziritor
Mirza & Javed, 1985

Species

See text for species.

মহাশোল (ইংরেজি ভাষায়: Mahseer) এক জাতীয় বিলুপ্তপ্রায় মাছ। পাহাড়ি খরস্রোতা স্বচ্ছ পানির নদীতে মহাশোল মাছের আবাস। নদীর পাথর-নুড়ির ফাঁকে ফাঁকে ‘পেরিফাইটন’ নামের এক রকমের শ্যাওলা জন্মে। এগুলোই মহাশোলের প্রধান খাদ্য। মহাশোল সর্বোচ্চ ১৫ মিটার গভীর পানিতে চলাচল করতে পারে। পানির উষ্ণতা ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাদের জীবনধারণের পক্ষে সহায়ক।মহাশোল দেখতে অনেকটা মৃগেল মাছের মতো। তবে এর আঁশগুলো আরও বড়। পরিণত মাছের আঁশ শক্ত, উজ্জ্বল সোনালি রঙের ও দীপ্তিমান। পাখনা ও লেজ রক্তিম। নাকের সামনে ছোট্ট দুটি গোঁফের মতো আছে। সব মিলিয়ে দেখতে খুব সুন্দর। আমাদের মিঠাপানির মাছের মধ্যে মহাশোল স্বাদেও সেরা। মহাশোলের দুটি প্রজাতি। একটির বৈজ্ঞানিক নাম Tortor, অন্যটি Torputitora। বাংলাদেশে দুই প্রজাতির মহাশোলই পাওয়া যেত। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কংস নদসোমেশ্বরী নদী মহাশোলের আবাস। এই নদ-নদীর উৎসমুখ এখন প্রায় বন্ধ। শুকনো মৌসুমে নদী দুটি প্রায় শুকিয়ে যায়। বসবাস ও বংশবৃদ্ধির জায়গা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মহাশোল ধীরে ধীরে কমতে থাকে। একপর্যায়ে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়ে। সোমেশ্বরী ও কংস ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে দু-একবার সাঙ্গু নদেও মহাশোল পাওয়া গেছে। তবে হাওর, বিল-ঝিল বা অন্য কোনো নদ-নদীতে মহাশোল পাওয়ার রেকর্ড নেই মৎস্য অধিদপ্তরে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ