সূরা মারইয়াম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
||
৩৫ নং লাইন: | ৩৫ নং লাইন: | ||
== হাদিস অনুসারে == |
== হাদিস অনুসারে == |
||
রাসুল বলেন, “যে সুরা মারইয়াম পড়বে তাকে দশ সওয়াব দান করা হবে। তবে এ দশ সওয়াব হলো যাকারিয়া নবীকে যতজন সত্যবাদি ও মিথ্যাবাদি বলেছিল সেই পরিমাণ মানুষের সংখ্যার মতো। এভাবে নবী [[ |
রাসুল বলেন, “যে সুরা মারইয়াম পড়বে তাকে দশ সওয়াব দান করা হবে। তবে এ দশ সওয়াব হলো যাকারিয়া নবীকে যতজন সত্যবাদি ও মিথ্যাবাদি বলেছিল সেই পরিমাণ মানুষের সংখ্যার মতো। এভাবে নবী [[ইয়াহিয়া]], [[মেরি (যিশুর মাতা)]], [[ঈসা]], [[ইবরাহিম]], [[ইসহাক]], [[ইয়াকুব]], [[মুসা]], [[হারুন]], [[ইসমাইল]] ও [[ইদরিস]] নবীগণকে যে পরিমাণ লোক সত্যবাদি ও মিথ্যাবাদি বলেছিল সে সংখ্যার মতো। এভাবে পৃথিবীতে যে পরিমাণ লোক আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছে বা করেনি, সে পরিমাণ সওয়াব দেয়া হবে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=তাফসিরে কাশশাফ|শেষাংশ=যামাখশারী|প্রথমাংশ=জারুল্লাহ|প্রকাশক=দারুল কিতাবিল আরাবি|অবস্থান=বৈরুত|পাতাসমূহ=খ. ৩, পৃ. ৪৮}}</ref> |
||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৭:২৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
শ্রেণী | মাক্কী সূরা |
---|---|
নামের অর্থ | বিবি মরিয়ম (নবী ঈসা-এর মাতা) |
পরিসংখ্যান | |
সূরার ক্রম | ১৯ |
আয়াতের সংখ্যা | ৯৮ |
পারার ক্রম | ১৬ |
রুকুর সংখ্যা | ৬ |
সিজদাহ্র সংখ্যা | ১ (৫৮ নং আয়াতে) |
শব্দের সংখ্যা | ৯৭২ |
অক্ষরের সংখ্যা | ৩৮৩৫ |
← পূর্ববর্তী সূরা | সূরা কাহফ |
পরবর্তী সূরা → | সূরা ত্বোয়া-হা |
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ |
সূরা মারইয়াম (আরবি ভাষায়: سورة مريم) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৯ নম্বর সূরা; এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ৯৮ এবং রূকু তথা অনুচ্ছেদ সংখ্যা ৬। সূরা মারইয়াম মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটির প্রথমে হযরত জাকারিয়া এর প্রার্থনার কথা, পরে বিবি মারইয়াম এবং পুত্র হযরত ঈসা-এর সম্পর্কে বলা হয়েছে।
নামকরণ
এই সূরাটির ষোড়শ আয়াতের وَاذْكُرْفِي الْكِتَبِ مَرْيَمَ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থ্যাৎ এটি সেই সূরা যাতে مَرْيَم শব্দটি আছে।[১]
নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান
মুসলমানদের আবিসিনিয়ায় হিজরতের প্রাক্কালে এই সূরাটি নাযিল হয় [২]। সাহাবি যাফর বিন আবু তালিব এই সুরার প্রথম অংশ আবিসিনিয়ার বাদশা নাজ্জাশীর দরবারে তেলাওয়াত করেছিলেন।[৩]
বিষয়বস্তুর বিবরণ
এই সুরায় ইসলাম ধর্মের বেশ কয়েকজন নবীর জীবন কাহিনী আলোচনা করা হয়েছে। যাতে নবী মুহাম্মদ দীনের দাওয়াত সহজভাবে প্রচার করতে পারেন। কেননা পূর্বের নবীগণও কষ্ট করে ইসলাম প্রচার করেছিলেন।[৪]
হাদিস অনুসারে
রাসুল বলেন, “যে সুরা মারইয়াম পড়বে তাকে দশ সওয়াব দান করা হবে। তবে এ দশ সওয়াব হলো যাকারিয়া নবীকে যতজন সত্যবাদি ও মিথ্যাবাদি বলেছিল সেই পরিমাণ মানুষের সংখ্যার মতো। এভাবে নবী ইয়াহিয়া, মেরি (যিশুর মাতা), ঈসা, ইবরাহিম, ইসহাক, ইয়াকুব, মুসা, হারুন, ইসমাইল ও ইদরিস নবীগণকে যে পরিমাণ লোক সত্যবাদি ও মিথ্যাবাদি বলেছিল সে সংখ্যার মতো। এভাবে পৃথিবীতে যে পরিমাণ লোক আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছে বা করেনি, সে পরিমাণ সওয়াব দেয়া হবে।[৫]
তথ্যসূত্র
- ↑ "সূরার নামকরণ"। www.banglatafheem.com। তাফহীমুল কোরআন, ২০ অক্টোবর ২০১০। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "সূরা মরিয়ম"। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ কাছির (ইবনে)। তাফসিরে ইবনে কাছির। বৈরুত: দারু তাবিয়া। পৃষ্ঠা খ. ৫, পৃ. ২১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ কুতুব, সাইদ (১৯৯৮)। ফী যিলালিল কুরআন। মিশর: দারুল ইলম। পৃষ্ঠা খ. ৫, পৃ. ৮৭।
- ↑ যামাখশারী, জারুল্লাহ। তাফসিরে কাশশাফ। বৈরুত: দারুল কিতাবিল আরাবি। পৃষ্ঠা খ. ৩, পৃ. ৪৮।
বহিঃসংযোগ
- ডিজিটাল 'আল কোরআন' - ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ।
- কোরআন শরীফ.অর্গ।