মাক্কি সুরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
BanglaBot (আলোচনা | অবদান)
ত্রুটি সংশোধন, আইডি: ৬৪
সংশোধন
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৯ নং লাইন: ৯ নং লাইন:
== বৈশিষ্ট্যসমূহ ==
== বৈশিষ্ট্যসমূহ ==
* মাক্কী সূরাসমূহে "آيات السجدة" (''আয়াত আল-সাজদাহ'') অর্থাৎ [[আল্লাহ|আল্লাহর]] প্রতি অবনত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
* মাক্কী সূরাসমূহে "آيات السجدة" (''আয়াত আল-সাজদাহ'') অর্থাৎ [[আল্লাহ|আল্লাহর]] প্রতি অবনত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
* মাক্কী সূরাসমূহে "كلا" (''কালা''; অর্থ-কখনও না) শব্দটি আছে।
* মাক্কী সূরাসমূহে "كلا" (''কাল্লা''; অর্থ-কখনও না) শব্দটি আছে।
* ২২নং সূরা ব্যতীত মাক্কী সূরাসমূহে ياأيها الناس (''ইয়া আইয়ুহান নাস''; অর্থ- হে মানবজাতি) কথাটি উল্লেখ আছে।
* ২২নং সূরা ব্যতীত মাক্কী সূরাসমূহে ياأيها الناس (''ইয়া আইয়ুহান নাস''; অর্থ- হে মানবজাতি) কথাটি উল্লেখ আছে।
* মাক্কী সূরাসমূহে [[তাওহীদ|আল্লাহর একত্ববাদ]] এবং [[রিসালাত|নবি মুহাম্মাদের প্রেরিত বাণীর]] প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
* মাক্কী সূরাসমূহে [[তাওহীদ|আল্লাহর একত্ববাদ]] এবং [[রিসালাত|নবি মুহাম্মাদের প্রেরিত বাণীর]] প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

১৫:১৬, ১৩ এপ্রিল ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কুরআনে মাক্কী সূরা বলতে নবি মুহাম্মাদ (স.) এর হিজরতের পূর্বে অবতীর্ণ সূরাগুলোকে বোঝানো হয়। মুহাম্মাদ (স.) হিজরতের সময় অর্থাৎ মদীনায় পৌঁছার পূর্ব পর্যন্ত পথে যে সকল সূরা অবতীর্ণ হয়েছে তাও মাক্কী সূরা হিসেবে পরিগণিত হয়। এই প্রসঙ্গে ইয়াহিয়া ইবনে সালাম বলেন, "মুহাম্মাদ (সাঃ) এর হিজরতকালে মদিনায় গমনের পথে মদিনায় পৌঁছার পূর্ব পর্যন্ত যা নাজিল হয়, তাও মাক্কি সূরা।"

নাম

মক্কা (مَكَّة) নগরীর নাম থেকে মাক্কি সূরা নামটি আগত। কারণ সেখানে থাকা অবস্থাতেই মুহাম্মাদের উপর এই সূরাগুলো অবতীর্ণ হওয়া শুরু হয়েছিল।

সংখ্যা

মাক্কী সূরার সংখ্যা মোট ৮৬ টি।

বৈশিষ্ট্যসমূহ

  • মাক্কী সূরাসমূহে "آيات السجدة" (আয়াত আল-সাজদাহ) অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি অবনত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
  • মাক্কী সূরাসমূহে "كلا" (কাল্লা; অর্থ-কখনও না) শব্দটি আছে।
  • ২২নং সূরা ব্যতীত মাক্কী সূরাসমূহে ياأيها الناس (ইয়া আইয়ুহান নাস; অর্থ- হে মানবজাতি) কথাটি উল্লেখ আছে।
  • মাক্কী সূরাসমূহে আল্লাহর একত্ববাদ এবং নবি মুহাম্মাদের প্রেরিত বাণীর প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
  • মৃত্যুর পরবর্তী পুনরুত্থান, পার্থিব জীবনের সকল কৃতকর্মের হিসাব-নিকাশ মাক্কী সূরাসমূহে বর্ণিত হয়েছে।
  • মাক্কী সূরাসমূহে পূর্ববর্তী বাণীবাহক (নবী) ও তাঁদের অবাধ্য অনুসারীগণের (উম্মত) করুণ পরিণতির কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে।
  • মক্কী সূরাগুলো আকারে ছোট, কিন্তু অতীব ভাবগাম্ভির্যপূর্ণ।
  • মাক্কী সূরাসমূহে ঈশ্বরের অংশীদার-সাবস্তকারীদের (মুশরিক) রক্তপাত ও হত্যাযজ্ঞের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে।
  • মাক্কী সূরাসমূহে আইয়্যামে জাহিলিয়া তথা মূর্খতার যুগে অন্যায়ভাবে অনাথদের সম্পদ ভোগ, কন্যা-সন্তানদের জীবন্ত দাফন প্রভৃতি কুপ্রথা ও কু-আচরণ সম্পর্কিত বিষয় বর্ণিত হয়েছে।
  • মাক্কী সূরাসমূহে প্রসিদ্ধ বস্তুসমূহের নামে শপথের মাধ্যমে উপস্থাপিত বিষয়ের প্রতি জোর দেয়া হয়েছে।
  • মাক্কী সূরাসমূহে বহু দেবতায় বিশ্বাসীদের দাবীকে মিথ্যা প্রতীয়মান করে আল্লাহর সাথে কারও অংশীদার নেই- এ বিষয়ে বর্ণনা উপস্থাপিত হয়েছে।
  • মানুষের ঘুমন্ত বিবেক ও নৈতিকতাবোধ জাগ্রত করে চিন্তাশক্তিকে সত্য গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
  • মাক্কী সূরাসমূহে বিভীষিকাময় কিয়ামত (পৃথিবীর শেষ দিবস),জান্নাত এর অনুপম শান্তি এবং জাহান্নাম কঠোর শাস্তির বর্ণনা প্রাধান্য পেয়েছে।
  • মাক্কী সুরাসমূহের শব্দমালা শক্তিশালী, ভাবগম্ভীর ও অন্তরে প্রকম্পন সৃষ্টিকারী।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

১। Makki and Madani Surahs General Rules