জঙ্গল সাঁওতাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সুত্র
Jangal_Santhal_Pic.jpg সরানো হলো। এটি Fitindia কর্তৃক কমন্স থেকে অপসারিত হয়েছে, কারণ: No permission since 5 January 2022।
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
{{তথ্যছক ব্যক্তি
| name = জঙ্গল সাঁওতাল
| name = জঙ্গল সাঁওতাল
| image =
| image = [[File:Jangal Santhal Pic.jpg|thumb|[[Communist Party of India (Marxist-Leninist) Liberation|সিপিআইএম‌এল ‌]]-র ব্যানারে জঙ্গল সাঁওতাল]]
| caption = জঙ্গল সাঁওতালের আলোকচিত্র
| caption = জঙ্গল সাঁওতালের আলোকচিত্র
| birth_date =১৯২৫
| birth_date =১৯২৫

১৩:১২, ১৫ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জঙ্গল সাঁওতাল
জন্ম১৯২৫
মৃত্যু৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৮
পরিচিতির কারণনকশাল আন্দোলন
রাজনৈতিক দলভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) (১৯৬৯-১৯৭৭)

জঙ্গল সাঁওতাল (জন্ম ১৯২৬ — মৃত্যু ৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৮)[১] ছিলেন নকশাল আন্দোলন-এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।[২] তিনি চারু মজুমদার এবং কানু সান্যাল-এর সাথে নকশাল আন্দোলন আরম্ভ করেন।[৩][৪]

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

জঙ্গল সাঁওতাল দার্জিলিং জেলার হাতিঘেঁষায় জন্মেছিলেন। তিনি নেপালে বিয়ে করে সেখানেই বাস করতে থাকেন। ১৯৪৯ সালে সেদেশে রানাশাহীর বিরুদ্ধে নেপালি কংগ্রেস ও নেপালি কমিউনিস্ট সংগঠনের মিলিত সশস্ত্র গনসংগ্রামে যোগদান করেন। এই আন্দোলন ব্যার্থ হয় এবং তীব্র দমনপীড়ন চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের নকশালবাড়ী ফিরে আসেন সপরিবারে।

কর্মজীবন

১৯৫২ সসালে কৃষকসভার একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে গ্রামে গ্রামে কাজ করতেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন ১৯৫৩ সালে। তার সাহস, নিষ্ঠা, পার্টির প্রতি বিশ্বস্ততা তাকে মেহনতি মানুষের নিকটজন করে তোলে। তথাকতিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না পেলেও তিনি তার বিপুল অভিজ্ঞান দিয়ে নিজেকে উত্তরবঙ্গ কৃষক আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জঙ্গল দার্জিলিং জেলার সাঁওতাল জাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে একজন সুসম্মানিত ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন এবং সিপিএমের টিকিটে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭তে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন কিন্তু নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন।

নকশাল আন্দোলনের উদ্ভব

জঙ্গল সাঁওতালের উপর লেখা বইয়ের প্রচ্ছদ

১৮ মে ১৯৬৭ তারিখে, জঙ্গল সাঁওতাল কৃষক পরিষদের সদস্য ছিলেন। কৃষক পরিষদ তখন বর্গাচাষিদের মাঝে জমি সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পুনরায় বিতরণ করার সিদ্ধান্তে অংশ নিচ্ছিল। ২৩ মে, এক ভাগচাষি যখন তার বরাদ্দকৃত জমি চাষ করার প্রয়াস চালায়, সেই কৃষককে জমিদারের লাঠিয়ালরা আক্রমণ করে পেটায়।[২] পরের দিন, যখন পরিদর্শক সোনম ওয়াংডির নেতৃত্বে একদল পুলিশ কিছু কৃষক নেতাদের গ্রেফতার করতে আসে তখন জঙ্গল সাঁওতাল গোষ্ঠীর তীর ও ধনুকের মাধ্যমে অতর্কিত আক্রমণ করেন। এতে সোনম ওয়াংডি মারা যায় এবং সহিংস নকশাল আন্দোলন আরম্ভ হয়। নবগঠিত কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী -লেনিনবাদী) গঠিত হলে জঙ্গল সাঁওতাল তাতে যোগ দেন। যদিও পার্টির গৃহীত খতম লাইনে মতবিরোধ দেখা দেয় তার সাথে। চা শ্রমিক আন্দোলনে ছিলেন। পশ্চিম দিনাজপুর এলাকায় বীরেন কিসকু ছদ্মনামে কাজ করতেন কৃষকদের মধ্যে। এসময় পুলিশ তাকে জঙ্গল সাঁওতাল বলে চিনে ফেলে ও তার সাত বছর কারাবাস হয়।

শেষ জীবন

জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ক্রমশ সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসেন হতাশ জঙ্গল সাঁওতাল। ৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ সালে মারা যান তিনি।

তথ্যসূত্র

  1. Debroy, Bibek (২৫ মার্চ ২০১০)। "The last of the three"Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৩ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭ 
  3. সিংহ, তাপস। "স্মৃতি খুঁড়ে তুলে আনা সত্তরের যাদবপুর"www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০২ 
  4. Bhattacharya, Bimochan। তোমার পরশ আসে: A Memoir by Bimochan Bhattacharya published by Sristisukh Prokashan LLP (ইংরেজি ভাষায়)। Sristisukh Prokashan LLP। আইএসবিএন 978-1-63535-527-7