ঢাপঢুপ গণহত্যা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৬°২০′০৮″ উত্তর ৮৮°৩৩′০৮″ পূর্ব / ২৬.৩৩৫৫৫৬° উত্তর ৮৮.৫৫২৩২২° পূর্ব / 26.335556; 88.552322
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:হিন্দু নিপীড়ন অপসারণ
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:ধর্মীয় নিপীড়ন অপসারণ
৩৯ নং লাইন: ৩৯ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:এশিয়ায় জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান]]
[[বিষয়শ্রেণী:এশিয়ায় জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান]]
[[বিষয়শ্রেণী:সাম্প্রদায়িক জাতিগত সংঘাত]]
[[বিষয়শ্রেণী:সাম্প্রদায়িক জাতিগত সংঘাত]]
[[বিষয়শ্রেণী:ধর্মীয় নিপীড়ন]]

০৬:০৪, ২৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ঢাপঢুপ গণহত্যা
ঢাপঢুপ গণহত্যা বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
ঢাপঢুপ গণহত্যা
স্থানইসলামপুর ও শুকানপুকুরি গ্রাম, পাঁচপীর ইউনিয়ন, বোদা উপজেলা, পঞ্চগড়, বাংলাদেশ
স্থানাংক২৬°২০′০৮″ উত্তর ৮৮°৩৩′০৮″ পূর্ব / ২৬.৩৩৫৫৫৬° উত্তর ৮৮.৫৫২৩২২° পূর্ব / 26.335556; 88.552322
তারিখএপ্রিল ১৯৭১ (ইউটিসি+৬:০০)
লক্ষ্যবাঙ্গালী হিন্দু
হামলার ধরনগণহত্যা
ব্যবহৃত অস্ত্ররাইফেল, ধারালো অস্ত্র
নিহত৩৫০০ জন বাঙ্গালী হিন্দু
হামলাকারী দলপাকিস্তানি সেনাবাহিনী, রাজাকার

ঢাপঢুপ গণহত্যা (ইংরেজি: Dhapdhup massacre) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্থানীয় চিহ্নিত রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি দখলদারি সেনাবাহিনী দ্বারা বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিয়নের ইসলামপুর ও শুকানপুকুরিসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার বাঙ্গালী হিন্দুদের উপর সংগঠিত হত্যাকান্ডকে বোঝায়।[১][২] ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের এই হত্যাকাণ্ডে ৩৫০০ জন বাঙ্গালী হিন্দুকে ব্রাশফায়ার ও কুপিয়ে করে হত্যা করা হয়।[৩]

হত্যাকাণ্ড

বাঙালি হিন্দুদের উপর নির্বিচার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সংখ্যালঘু হিন্দুরা ভারতে আসার জন্য ইসলামপুর গ্রামের ঢাপঢুপ বিলের পাড়ের আম বাগানে এসে সমবেত হয়েছিলো। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকারেরা সকালে সূর্য ওঠার পর যারা রওনা হয়েছিল তাদের পিছু ধাওয়া করে পথ রোধ করে এবং যারা আম বাগানে আশ্রয় নিয়েছিল তাদেরসহ নির্জন ঢাপঢুপ বিল পাড়ে জড়ো করে। এরপর লাইন করে দাঁড় করিয়ে পিছন দিক থেকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয় এবং যারা বেঁচে যান তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও খুঁচিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। একে একে তাদের লাশ ঢাপঢুপ বিলে ফেলে লাশের ওপর সামান্য মাটি ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পুরুষদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছিল।[৪] ঢাপঢুপ বিল থেকে পাঁচশো গজ দক্ষিণে শুখানপুখুরি গ্রাম। যা বর্তমানে বিধবা পল্লী বা বিধবা গ্রাম হিসেবে পরিচিত।[৫]

ভবিষ্যৎ ফল

বিলটি বর্তমানে ঢাপঢুপ বধ্যভুমি নামে পরিচিত। ২০১১ সালে জেলা পরিষদের আর্থিক সহায়তায় জেলা প্রশাসক বনমালী ভৌমিকের সহযোগীতায় একটি স্মৃতিফলক স্থাপন হয়েছে।[৬]

তথ্যসূত্র

  1. "Testimonies Of Atrocity-297103"web.archive.org। ২০২০-১১-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৮ 
  2. "বধ্যভূমিতে প্রদীপ প্রজ্বলন | সারাদেশ | The Daily Ittefaq"web.archive.org। ২০২০-১১-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৮ 
  3. "New survey says figure of genocide incidents in 1971 was higher | New Age"web.archive.org। ২০২০-১১-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৮ 
  4. "ঢাপঢুপ বিলে সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয় - BDMayor"web.archive.org। ২০২০-১১-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৮ 
  5. "বধ্যভূমির গদ্য (Unicoded) Part 4 | সংগ্রামের নোটবুক"web.archive.org। ২০২০-১১-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৮ 
  6. "অযত্ন-অবহেলায় বধ্যভূমি | প্রথম আলো"web.archive.org। ২০২০-১১-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-০৮