ফতোয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MdsShakil (আলোচনা | অবদান)
103.237.39.244-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে H M Khalid Mahmud-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সংশোধন ও সংযোজন
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''ফতোয়া''' বা ফাতওয়া (আরবি: فتوى‎; বহুবচন ফাতাওয়া আরবি: فتاوى‎) হলো বিধান ও সমাধান, যা কোনো ঘটনা বা অবস্থার প্রেক্ষিতে ইসলামী শরীয়তের দলীলের আলোকে মুফতি বা ইসলামী আইন-বিশেষজ্ঞ প্রদান করে থাকেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বাংলাপিডিয়া- বাংলা ওয়েব সংস্করণ। "ফতোয়া" নিবন্ধ। |ইউআরএল=http://www.banglapedia.org/HTB/102959.htm |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121226122754/http://www.banglapedia.org/HTB/102959.htm |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ ডিসেম্বর ২০১২ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> যখন কোন ব্যক্তি সরাসরি কুরআন ও হাদিস কিংবা [[ফিকহ|ফিকহে]]র আলোকে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান বের করতে অপারগ হন তখন তিনি মুফতীর কাছে এই বিষয়ের সমাধান চান। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় ইসতিফতা (আরবিকে:اِسْتِفْتَاء) বলে। মুফতি তখন ইসলামী শরিআতের আলোকে সমস্যাটির সমাধান জানিয়ে দেন। এই সমাধান প্রদান করাকে ইসলামের পরিভাষায় ইফতা (আরবীতে:إِفْتَاء ) বলে এবং প্রদত্ত সমাধান বা বিধানটিকে ফতোয়া বলে।<ref>[http://www.alkawsar.com/article/246 ফতোয়া, কাযা, হদ ও তা’যীর: পরিচিতি ও কিছু মৌলিক বিধান। মাওলানা আব্দুল মালেক রচিত।]</ref><ref>[http://jamiatulasad.com/?p=2205 ফাতাওয়া কী?]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>
'''ফতোয়া''' বা ফাতওয়া (আরবি: فتوى‎; বহুবচন ফাতাওয়া আরবি: فتاوى‎) হলো বিধান ও সমাধান, যা কোনো ঘটনা বা অবস্থার প্রেক্ষিতে ইসলামী শরীয়তের দলীলের আলোকে মুফতি বা ইসলামী আইন-বিশেষজ্ঞ প্রদান করে থাকেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=বাংলাপিডিয়া- বাংলা ওয়েব সংস্করণ। "ফতোয়া" নিবন্ধ। |ইউআরএল=http://www.banglapedia.org/HTB/102959.htm |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121226122754/http://www.banglapedia.org/HTB/102959.htm |আর্কাইভের-তারিখ=২৬ ডিসেম্বর ২০১২ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> যখন কোন ব্যক্তি সরাসরি কুরআন ও হাদিস কিংবা [[ফিকহ|ফিকহে]]র আলোকে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান বের করতে অপারগ হন তখন তিনি মুফতীর কাছে এই বিষয়ের সমাধান চান। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় ইসতিফতা (আরবিকে:اِسْتِفْتَاء) বলে। মুফতি তখন ইসলামী শরিআতের আলোকে সমস্যাটির সমাধান জানিয়ে দেন। এই সমাধান প্রদান করাকে ইসলামের পরিভাষায় ইফতা (আরবীতে:إِفْتَاء ) বলে এবং প্রদত্ত সমাধান বা বিধানটিকে ফতোয়া বলে।<ref>[http://www.alkawsar.com/article/246 ফতোয়া, কাযা, হদ ও তা’যীর: পরিচিতি ও কিছু মৌলিক বিধান। মাওলানা আব্দুল মালেক রচিত।]</ref><ref>[http://jamiatulasad.com/?p=2205 ফাতাওয়া কী?]{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref>


== বাংলাদেশে ফতোয়ার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায় ==
== বাংলাদেশে ফতোয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতের রায় ==
{{refimprove}}
{{refimprove}}
{{globalize|অনুচ্ছেদ|date=২৮ নভেম্বর ২০১১}}
{{globalize|অনুচ্ছেদ|date=২৮ নভেম্বর ২০১১}}
২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ ফতোয়াকে অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করেন।<ref>[http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=158184&cid=2 ফতোয়া 'জায়েজ']{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }} ''বিডিনিউজ ২৪ ডট কম''- মে ১২, ২০১১। ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২ সংগৃহিত।</ref> রায়ে বলা হয়, একমাত্র আদালতই মুসলিম বা অন্য কোনো আইন অনুযায়ী আইনসংক্রান্ত কোনো প্রশ্নে মতামত দিতে পারেন। কেউ ফতোয়া দিলে তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য হবে। ফতোয়াবিরোধী হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মুফতি মো. তৈয়ব ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আপিল করেন। দীর্ঘ এক দশক পর ২০১২ সালের মার্চ মাস থেকে আপিল বিভাগে মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয় এবং সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষিত হয় মে মাসের ১৯ তারিখে।<ref>[http://www.alkawsar.com/article/411 ‘ফতোয়া বৈধ’ রায় : ধন্যবাদ! তবে বিস্তারিত রায়ের অপেক্ষা]</ref>
২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ ফতোয়াকে অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করেন।<ref>[http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=158184&cid=2 ফতোয়া 'জায়েজ']{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=ফেব্রুয়ারি ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }} ''বিডিনিউজ ২৪ ডট কম''- মে ১২, ২০১১। ২৭ ডিসেম্বর, ২০১২ সংগৃহিত।</ref> রায়ে বলা হয়, একমাত্র আদালতই মুসলিম বা অন্য কোনো আইন অনুযায়ী আইনসংক্রান্ত কোনো প্রশ্নে মতামত দিতে পারেন। কেউ ফতোয়া দিলে তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য হবে।

সারা দেশে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তি নিয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নিজেরা করি ও ব্র্যাক হাইকোর্টে একটি রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে আদালত ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তির বিষয়ে সরকারের ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও দোররা মারার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন হাইকোর্টে রিট করলে আদালত রুল জারি করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে কসবা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। বাঞ্ছারামপুরে এক তরুণীকে ১০১ ঘা দোররা মারার ঘটনা ২২ মে, ২০১০ তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।<ref name="p-alo2">''[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-05-22/news/65183 বাঞ্ছারামপুরে তরুণীকে ১০১ দোররা, গ্রেপ্তার ৪]'', বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, তারিখ: ২২ মে ২০১০।</ref> এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুব শফিক, কে এম হাফিজুল আলম ও ইমরানুল হাই একটি রিট করেন। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মে, ২০১০ তারিখে আদালত রুল জারি করেন। এতে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া কেন অবৈধ ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। একই সঙ্গে বিচারবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া নিরুৎসাহিত করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে প্রবন্ধ ও অন্যান্য শিক্ষাবিষয়ক উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এসব রিটের রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৮ জুলাই, ২০১০ তারিখে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত কার্যক্রম ও শাস্তিকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ ধরনের শাস্তি ঘোষণাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। দণ্ডবিধিসহ প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অপরাধের সহযোগী হিসেবে একই ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন, অবন্তী নুরুল, মাহবুব শফিক ও সালাউদ্দিন দোলন এবং সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজিক আল জলিল ও আকরাম হোসেন চৌধুরী।<ref name="p-alo">''[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-07-09/news/77256 সাজা ঘোষণাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করে শাস্তি দিতে বলেছেন হাইকোর্ট: ফতোয়ার নামে শাস্তি দেওয়া অবৈধ]'', নিজস্ব প্রতিবেদক, তারিখ: ০৯ জুলাই ২০১০।</ref>
ওই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর মুফতি মো. তৈয়ব ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আপিল করেন৷ ১০ বছরের বেশি সময় পর ২০১১সালের পহেলা মার্চ আপিলের শুনানি শুরু হয়৷ শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে টিএইচ খান, রফিক উল হক, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, মাহমুদুল ইসলাম, এম জহির, এবিএম নুরুল ইসলাম, এএফ হাসান আরিফ, তানিয়া আমীর এবং এমআই ফারুকীর বক্তব্য শোনেন আপিল বিভাগ৷ এছাড়া পাঁচ জন আলেমের বক্তব্যও শোনেন আদালত৷

'''''আপিলের রায়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ ফতোয়াকে বৈধতা দিয়েছেন৷ তবে ফতোয়ার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেয়া যাবে না৷''''' [https://amp.dw.com/bn/%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A7%8B%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A7-%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE/a-15069008 ফতোয়া বৈধ, তবে তার মাধ্যমে শাস্তি দেয়া যাবেনা]

ফতোয়া নিয়ে আপিলের ওপর বৃহস্পতিবার এ রায় দেয় প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারকের বেঞ্চ৷ হাইকোর্টের রায়ে সব ধরনের ফতোয়াকে অবৈধ ঘোষণা করা হলেও আপিল বিভাগের রায়ে তা আংশিক বাতিল করা হল, তবে এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কিছু পর্যবেক্ষণ৷ আপিল বিভাগ তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেয়া যেতে পারে, তবে যথাযথ শিক্ষিত ব্যক্তিরা তা দিতে পারবেন৷ আর ফতোয়া গ্রহণের বিষয়টি হতে হবে স্বতস্ফূর্ত৷ এর মাধ্যমে কোনো ধরনের শাস্তি দেয়া যাবে না৷ এমন কোনো ফতোয়া দেয়া যাবে না, যা কারো অধিকার ক্ষুন্ন করে৷ রায়কে স্বাগত জানিয়ে সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, শাস্তি নিষিদ্ধ করায় ফতোয়ার মাধ্যমে নারী নির্যাতনের প্রবণতা কমবে৷ তবে জোর করে কারো উপর ফতোয়া চাপিয়ে দেয়া যাবে না বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল৷ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আপিলকারীরাও৷ আপিলকারীদের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে এ রায়৷ তবে একজনের মত জানাতে গিয়ে অন্যের মত প্রকাশ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে কথাও রায়ে বলা হয়েছে৷

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আপিল বিভাগ অবশ্য বলেছেন, যে ঘটনার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ওই রায় দেয়া হয়েছিলো সে ঘটনায় ওই রায় ঠিক ছিলো৷ তবে সব ধরনের ফতোয়ার বিষয়ে তা খাটে না৷


== সমালোচনা ==
== সমালোচনা ==

১৬:২৫, ২৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ফতোয়া বা ফাতওয়া (আরবি: فتوى‎; বহুবচন ফাতাওয়া আরবি: فتاوى‎) হলো বিধান ও সমাধান, যা কোনো ঘটনা বা অবস্থার প্রেক্ষিতে ইসলামী শরীয়তের দলীলের আলোকে মুফতি বা ইসলামী আইন-বিশেষজ্ঞ প্রদান করে থাকেন।[১] যখন কোন ব্যক্তি সরাসরি কুরআন ও হাদিস কিংবা ফিকহের আলোকে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান বের করতে অপারগ হন তখন তিনি মুফতীর কাছে এই বিষয়ের সমাধান চান। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় ইসতিফতা (আরবিকে:اِسْتِفْتَاء) বলে। মুফতি তখন ইসলামী শরিআতের আলোকে সমস্যাটির সমাধান জানিয়ে দেন। এই সমাধান প্রদান করাকে ইসলামের পরিভাষায় ইফতা (আরবীতে:إِفْتَاء ) বলে এবং প্রদত্ত সমাধান বা বিধানটিকে ফতোয়া বলে।[২][৩]

বাংলাদেশে ফতোয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়

২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ ফতোয়াকে অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করেন।[৪] রায়ে বলা হয়, একমাত্র আদালতই মুসলিম বা অন্য কোনো আইন অনুযায়ী আইনসংক্রান্ত কোনো প্রশ্নে মতামত দিতে পারেন। কেউ ফতোয়া দিলে তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য হবে।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছর মুফতি মো. তৈয়ব ও মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আপিল করেন৷ ১০ বছরের বেশি সময় পর ২০১১সালের পহেলা মার্চ আপিলের শুনানি শুরু হয়৷ শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে টিএইচ খান, রফিক উল হক, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, মাহমুদুল ইসলাম, এম জহির, এবিএম নুরুল ইসলাম, এএফ হাসান আরিফ, তানিয়া আমীর এবং এমআই ফারুকীর বক্তব্য শোনেন আপিল বিভাগ৷ এছাড়া পাঁচ জন আলেমের বক্তব্যও শোনেন আদালত৷

আপিলের রায়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ ফতোয়াকে বৈধতা দিয়েছেন৷ তবে ফতোয়ার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেয়া যাবে না৷ ফতোয়া বৈধ, তবে তার মাধ্যমে শাস্তি দেয়া যাবেনা

ফতোয়া নিয়ে আপিলের ওপর বৃহস্পতিবার এ রায় দেয় প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারকের বেঞ্চ৷ হাইকোর্টের রায়ে সব ধরনের ফতোয়াকে অবৈধ ঘোষণা করা হলেও আপিল বিভাগের রায়ে তা আংশিক বাতিল করা হল, তবে এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কিছু পর্যবেক্ষণ৷ আপিল বিভাগ তার পর্যবেক্ষণে বলেছে, ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেয়া যেতে পারে, তবে যথাযথ শিক্ষিত ব্যক্তিরা তা দিতে পারবেন৷ আর ফতোয়া গ্রহণের বিষয়টি হতে হবে স্বতস্ফূর্ত৷ এর মাধ্যমে কোনো ধরনের শাস্তি দেয়া যাবে না৷ এমন কোনো ফতোয়া দেয়া যাবে না, যা কারো অধিকার ক্ষুন্ন করে৷ রায়কে স্বাগত জানিয়ে সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, শাস্তি নিষিদ্ধ করায় ফতোয়ার মাধ্যমে নারী নির্যাতনের প্রবণতা কমবে৷ তবে জোর করে কারো উপর ফতোয়া চাপিয়ে দেয়া যাবে না বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল৷ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আপিলকারীরাও৷ আপিলকারীদের অন্যতম আইনজীবী ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে এ রায়৷ তবে একজনের মত জানাতে গিয়ে অন্যের মত প্রকাশ যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে কথাও রায়ে বলা হয়েছে৷

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আপিল বিভাগ অবশ্য বলেছেন, যে ঘটনার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ওই রায় দেয়া হয়েছিলো সে ঘটনায় ওই রায় ঠিক ছিলো৷ তবে সব ধরনের ফতোয়ার বিষয়ে তা খাটে না৷

সমালোচনা

বাস্তবে অর্ধশিক্ষিত বা প্রায় অশিক্ষিত গ্রাম্য মৌলভীরাও ফতোয়া জারি করেন। কিংবা ইসলামী আইন চালু না থাকায় ধর্মপ্রাণ লোকেরা এই ফতোয়ার অপব্যবহার করে থাকেন। এছাড়া শত্রুতা করেও অনেকে এই ফতোয়ার অপব্যবহার করে থাকেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র