মহেন্দ্রনাথ দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন, সম্প্রসারণ
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
৪৩ নং লাইন: ৪৩ নং লাইন:
* ''প্রিন্সিপল্স অব আর্কিটেকচার''
* ''প্রিন্সিপল্স অব আর্কিটেকচার''
* ''মাইন্ড''
* ''মাইন্ড''
* ''রাইটস্ অফ ম্যানকাইন্ড'' প্রভৃতি। <ref name="সংসদ"></ref>
* ''রাইটস্ অফ ম্যানকাইন্ড'' প্রভৃতি।<ref name="সংসদ"></ref>
 
 
মহেন্দ্রনাথের বিভিন্ন বিষয়ের উপর যেমন ছিল প্রশংসনীয় দখল, তেমনই তাঁর ছিল সর্বধর্মের প্রতি এক গভীর উদারতা। [[রামকৃষ্ণ মিশন| রামকৃষ্ণ মিশনের]] সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সংযোগ ছিল। তিনি সব কিছুকে এক আধ্যাত্মিক চিন্তায় রূপ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রায়ই তিনি তাঁর অনুরাগীদের বলতেন —
মহেন্দ্রনাথের বিভিন্ন বিষয়ের উপর যেমন ছিল প্রশংসনীয় দখল, তেমনই তাঁর ছিল সর্বধর্মের প্রতি এক গভীর উদারতা। [[রামকৃষ্ণ মিশন| রামকৃষ্ণ মিশনের]] সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সংযোগ ছিল। তিনি সব কিছুকে এক আধ্যাত্মিক চিন্তায় রূপ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রায়ই তিনি তাঁর অনুরাগীদের বলতেন —{{ উক্তি |“ভিন্নবোধ বলতে কিছু নেই। এক শক্তি থেকেই ভিন্ন রকমের অভিন্ন যুক্তিবোধের সৃষ্টি হয়।”}}<ref name ="MD"></ref>

{{ উক্তি |“ভিন্নবোধ বলতে কিছু নেই। এক শক্তি থেকেই ভিন্ন রকমের অভিন্ন যুক্তিবোধের সৃষ্টি হয়।”}}<ref name ="MD"></ref>


==জীবনাবসান==
==জীবনাবসান==

১০:১৬, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মহেন্দ্রনাথ দত্ত
১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে গ্রিসে মহেন্দ্রনাথ দত্ত
জন্ম(১৮৬৮-০৮-০১)১ আগস্ট ১৮৬৮
মৃত্যু১৪ অক্টোবর ১৯৫৬(1956-10-14) (বয়স ৮৮)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশালেখক
পরিচিতির কারণশ্রীরামকৃষ্ণের শিষ্য
আত্মীয় স্বামী বিবেকানন্দর অনুজ

মহেন্দ্রনাথ দত্ত (১ আগস্ট ১৮৬৮ — ১৪ অক্টোবর ১৯৫৬) ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের এক ভক্ত, গৃহী সন্ন্যাসী ও লেখক। তিনি ভারতীয় হিন্দু সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং সমাজ সংস্কারক  স্বামী বিবেকানন্দর অনুজ। [১]

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

মহেন্দ্রনাথের জন্ম ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দের ১লা আগস্ট (১২৭৫ বঙ্গাব্দের ২৯ শে শ্রাবণ) বৃটিশ ভারতের কলকাতার ৩নং গৌরমোহন মুখোপাধ্যায় স্ট্রিটের মহেন্দ্র তপক্ষেত্রে। পিতা অ্যাটর্নী বিশ্বনাথ দত্ত এবং মাতা ভুবনেশ্বরী দেবী। তিনি নরেন্দ্রনাথ বা স্বামী বিবেকানন্দর মধ্যম ভ্রাতা। পিতার মৃত্যুর সময় তিনি ছিলেন বিদ্যালয়ের নিচু ক্লাসের ছাত্র। মহেন্দ্রনাথ কলকাতা মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউট থেকে ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স এবং ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ বর্তমানে স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে এফ.এ পাশ করেন। স্কুল জীবনে কেশবচন্দ্র সেন বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী প্রমুখের প্রভাবে ব্রাহ্ম সমাজের সংস্পর্শে এলেও ছোটবেলা থেকেই তিনি শ্রীরামকৃষ্ণদেব ও তাঁর অনুরাগী স্বামী অভেদানন্দ, স্বামী সারদানন্দ, গিরিশ ঘোষ প্রমুখের সাথে থেকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সাহিত্য বিজ্ঞান দর্শন শাস্ত্রের অধ্যয়ন ও আলোচনা করতেন। এফ.এ পাশের পর ঈশ্বরনিষ্ঠ তপশ্চর্যাকে আয়ত্ত করার জন্য হরিদ্বার হৃষিকেশ প্রভৃতি তীর্থভূমি ঘুরে বেড়ান। [২]

বিদেশ ভ্রমণ

মহেন্দ্রনাথের স্নাতকে ভাল ফল হয় নি। স্বামী সারদানন্দ ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে জাহাজে ইংল্যান্ড গমন করিলে, তার এক সপ্তাহ পর মহেন্দ্রনাথও আইন শিক্ষার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড যান। মহেন্দ্রনাথের ভবিষ্যত জীবন সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দ বিশেষ চিন্তিত ছিলেন। তিনি চাইতেন না যে, সে তাঁর পিতার মত উকিল না হয়ে যেন একজন ইলেকট্রিসিয়ান হন এবং তাঁকে সারদানন্দ ও গুডউইনের সাথে এক সঙ্গে আমেরিকা পাঠাতে চেয়েছিলেন। [৩] কিন্তু সেই সময়ে মহেন্দ্রনাথ ব্রিটিশ মিউজিয়ামে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণায় লিপ্ত থাকেন।[২] মূলত আর্থিক অনটনের জন্য বিবেকানন্দ মহিমের ইংল্যান্ডে আগমনে খুশি হননি। মহেন্দ্রনাথ দেড়-দু'বছর থাকার পর খানিকটা অভিমান করে আর হাতে বেশি অর্থ না থাকার কারণে পদব্রজে ইউরোপের নানা দেশের ভেতর দিয়ে উত্তর আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, গ্রীস, ইরান, সিরিয়া, রাশিয়া বুলগেরিয়া হয়ে... পাঁচ বৎসর ধরে পর্যটন করে ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফিরে আসেন। [৩]

রচনার বিষয়বস্তু

তাঁর পরিক্রমার বিবরণী প্রক্ষিপ্ত আভাসে মহেন্দ্র পাবলিশিং কমিটি কর্তৃক প্রকাশিত ন্যাশনাল ওয়েলথ্, ফেডারেটেড এশিয়া, প্রাচীন ভারতের সংশ্লিষ্ট কাহিনী প্রভৃতি বিভিন্ন গ্রন্থে পাওয়া যায়। সে সময়ে তাঁর অনুগামীদের পুলিশি জুলুমের হাত থেকে রক্ষা করতে তাঁর লেখা বহু পাণ্ডুলিপি তিনি নিজে নষ্ট করে ফেলেছেন। [১] মহেন্দ্রনাথ পৃথিবীর বহু ভাষা জানতেন এবং ভাষাতত্ত্বে তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল। সাহিত্য, কলা, বিজ্ঞান, কাব্য, ধর্মতত্ত্ব, ইতিহাস, অর্থনীতি, স্থাপত্য, সমাজ-বিজ্ঞান, জীববিদ্যা, দর্শন, পুরাতত্ত্ব, নীতিবিজ্ঞান, নন্দনতত্ত্ব, বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত তাপ, আলোক,শব্দ, স্পন্দন ও মহাজাগতিক ক্রমবিবর্তন, শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীরামকৃষ্ণ পার্ষদদের জীবনী, ইতিহাস ও অনুধ্যান প্রভৃতি বহু বিষয়ে প্রায় নব্বই খানি পুস্তকের রচয়িতা তিনি।

রচনাসম্ভার

উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হল —

  • শ্রীমৎ বিবেকানন্দ স্বামীজীর জীবনের ঘটনাবলী (৩ খণ্ড)
  • লণ্ডনে স্বামী বিবেকানন্দ (৩ খণ্ড)
  • শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের অনুধ্যান
  • গিরিশচন্দ্রের মন ও শিল্প
  • পশুজাতির মনোবৃত্তি
  • পাশুপত অস্ত্রলাভ (কাব্য)
  • শিল্প প্রসঙ্গ
  • নৃত্যকলা
  • প্রাচীন জাতির দেবতা ও বাহনবাদ
  • ডিসারটেশন অন পেন্টিং
  • প্রিন্সিপল্স অব আর্কিটেকচার
  • মাইন্ড
  • রাইটস্ অফ ম্যানকাইন্ড প্রভৃতি।[১]

 

মহেন্দ্রনাথের বিভিন্ন বিষয়ের উপর যেমন ছিল প্রশংসনীয় দখল, তেমনই তাঁর ছিল সর্বধর্মের প্রতি এক গভীর উদারতা। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সংযোগ ছিল। তিনি সব কিছুকে এক আধ্যাত্মিক চিন্তায় রূপ দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রায়ই তিনি তাঁর অনুরাগীদের বলতেন —

“ভিন্নবোধ বলতে কিছু নেই। এক শক্তি থেকেই ভিন্ন রকমের অভিন্ন যুক্তিবোধের সৃষ্টি হয়।”

[২]

জীবনাবসান

মহেন্দ্রনাথ গৈরিক বস্ত্র ধারণ না করলেও সন্ন্যাসজীবন যাপন করতেন। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের মহাষ্টমীর দিনে তিনি সমাধিস্থ হলেন। অবশেষে বিজয়া দশমীর দিন ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই অক্টোবর তিনি পার্থিব শরীর পরিত্যাগ করেন।

তথ্যসূত্র

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫৫৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. "মহেন্দ্রনাথ দত্ত"। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৬ 
  3. শঙ্কর (২০১২)। অচেনা অজানা বিবেকানন্দ। সাহিত্যম্, কলকাতা। পৃষ্ঠা ৭০। আইএসবিএন 978-81-7267-034-6