উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:


==জীবনী==
==জীবনী==
[[হুগলী জেলা]]<nowiki/>র [[চন্দননগর|চন্দননগরের]] গোন্দলপাড়ায় ১৮৭৯ সালে জন্মগ্রহন করেন উপেন্দ্রনাথ। অল্প বয়সে সন্ন্যাস নিয়ে ভারবর্ষের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান, পরে আবার সংসারে ফিরে আসেন। চন্দননগরের ডুপ্লে কলেজ থেকে এফ.এ. পাশ করে [[মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল, কলকাতা|কলকাতা মেডিকেল কলেজে]] চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করতে যোগ দিলেও ভগ্নস্বাস্থ্যের জন্য পড়া শেষ করতে পারেন নি। কিছুদিন শিক্ষকতা করেছিলেন তিনি। কলকাতার ডাফ কলেজে বি.এ. পাঠরত অবস্থায় [[যুগান্তর দল|যুগান্তর দলে]]<nowiki/>র সংস্পর্শে আসেন। ১৯০৫ সালে [[বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন|বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে]]<nowiki/>র সময় তিনি [[যুগান্তর পত্রিকা|যুগান্তর]] ও [[বন্দে মাতরম্‌ (সংবাদপত্র)|বন্দে মাতরম]] পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯০৭ সালে বিখ্যাত [[আলিপুর বোমা মামলা|আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলা]]<nowiki/>য় মানিকতলার বাগানবাড়ী থেকে [[অরবিন্দ ঘোষ]], [[বারীন্দ্রকুমার ঘোষ]], [[উল্লাসকর দত্ত]], [[নিরালম্ব স্বামী|যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়]], [[কানাইলাল দত্ত]], দেবব্রত বসু, হৃষিকেশ কাঞ্জিলাল ও আরও অনেক বিপ্লবীর সঙ্গে উপেন্দ্রনাথও ধরা পড়েন। তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। [[সেলুলার জেল|সেলুলার জেলে]] তাঁর দীর্ঘ বারো বছর কারাবাসের কাহিনী নিয়ে লেখেন ''নির্বাসিতের আত্মকথা'' বইটি। মুক্তি লাভের পরে দেশবন্ধ [[চিত্তরঞ্জন দাশ|চিত্তরঞ্জন দাশে]]<nowiki/>র নারায়ণ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। বারীন্দ্রকুমার ঘোষের সঙ্গে বিজলী পত্রিকা প্রকাশ করেন। এর পর তিনি নিজ সম্পাদনায় প্রকাশ করেন সাপ্তাহিক আত্মশক্তি। দেশ বিরোধী লেখার জন্য ইংরেজ সরকার আবার উপেন্দ্রনাথকে ৩ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। ১৯২৬-এ মুক্ত পেয়ে ফরোয়ার্ড', 'লিবার্টি', '[[অমৃতবাজার পত্রিকা]]<nowiki/>য় সাংবাদিকতার কাজ করতেন। ১৯৪৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে আমৃত্যু তিনি '[[দৈনিক বসুমতী]]' পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bn.wikisource.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%95:%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC|শিরোনাম=উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার|ওয়েবসাইট=bn.wikisource.org|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-15}}</ref> শেষ জীবনে [[হিন্দু মহাসভা]]<nowiki/>র সাথে যুক্ত হন ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক হিন্দু মহাসভার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
[[হুগলী জেলা]]<nowiki/>র [[চন্দননগর|চন্দননগরের]] গোন্দলপাড়ায় ১৮৭৯ সালে জন্মগ্রহন করেন উপেন্দ্রনাথ। অল্প বয়সে সন্ন্যাস নিয়ে ভারবর্ষের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান, পরে আবার সংসারে ফিরে আসেন। চন্দননগরের ডুপ্লে কলেজ থেকে এফ.এ. পাশ করে [[মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল, কলকাতা|কলকাতা মেডিকেল কলেজে]] চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করতে যোগ দিলেও ভগ্নস্বাস্থ্যের জন্য পড়া শেষ করতে পারেন নি। কিছুদিন শিক্ষকতা করেছিলেন তিনি। কলকাতার ডাফ কলেজে বি.এ. পাঠরত অবস্থায় [[যুগান্তর দল|যুগান্তর দলে]]<nowiki/>র সংস্পর্শে আসেন। ১৯০৫ সালে [[বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন|বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে]]<nowiki/>র সময় তিনি [[যুগান্তর পত্রিকা|যুগান্তর]] ও [[বন্দে মাতরম্‌ (সংবাদপত্র)|বন্দে মাতরম]] পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯০৭ সালে বিখ্যাত [[আলিপুর বোমা মামলা|আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলা]]<nowiki/>য় মানিকতলার বাগানবাড়ী থেকে [[অরবিন্দ ঘোষ]], [[বারীন্দ্রকুমার ঘোষ]], [[উল্লাসকর দত্ত]], [[নিরালম্ব স্বামী|যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়]], [[কানাইলাল দত্ত]], দেবব্রত বসু, হৃষিকেশ কাঞ্জিলাল ও আরও অনেক বিপ্লবীর সঙ্গে উপেন্দ্রনাথও ধরা পড়েন। তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। [[সেলুলার জেল|সেলুলার জেলে]] তাঁর দীর্ঘ বারো বছর কারাবাসের কাহিনী নিয়ে লেখেন ''নির্বাসিতের আত্মকথা'' বইটি। মুক্তি লাভের পরে দেশবন্ধ [[চিত্তরঞ্জন দাশ|চিত্তরঞ্জন দাশে]]<nowiki/>র নারায়ণ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। বারীন্দ্রকুমার ঘোষের সঙ্গে বিজলী পত্রিকা প্রকাশ করেন। এর পর তিনি নিজ সম্পাদনায় প্রকাশ করেন সাপ্তাহিক আত্মশক্তি। দেশ বিরোধী লেখার জন্য ইংরেজ সরকার আবার উপেন্দ্রনাথকে ৩ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। ১৯২৬-এ মুক্ত পেয়ে ফরোয়ার্ড', 'লিবার্টি', '[[অমৃতবাজার পত্রিকা]]<nowiki/>য় সাংবাদিকতার কাজ করতেন। ১৯৪৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে আমৃত্যু তিনি '[[দৈনিক বসুমতী]]' পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bn.wikisource.org/wiki/%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%95:%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC|শিরোনাম=উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় - উইকিসংকলন একটি মুক্ত পাঠাগার|ওয়েবসাইট=bn.wikisource.org|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-15}}</ref> শেষ জীবনে [[হিন্দু মহাসভা]]<nowiki/>র সাথে যুক্ত হন ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক হিন্দু মহাসভার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.pralipta.in/2021/08/pralipta_62.html|শিরোনাম=কালাপানি জয়ী উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় - Pralipta|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-15}}</ref>


==রচিত গ্রন্থ==
==রচিত গ্রন্থ==

০৬:৫৫, ১৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (৬ জুন ১৮৭৯—৪ এপ্রিল ১৯৫০) একজন বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী, সম্পাদক ও লেখক। তাঁর রচিত বিখ্যাত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ হল নির্বাসিতের আত্মকথা।

জীবনী

হুগলী জেলাচন্দননগরের গোন্দলপাড়ায় ১৮৭৯ সালে জন্মগ্রহন করেন উপেন্দ্রনাথ। অল্প বয়সে সন্ন্যাস নিয়ে ভারবর্ষের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ান, পরে আবার সংসারে ফিরে আসেন। চন্দননগরের ডুপ্লে কলেজ থেকে এফ.এ. পাশ করে কলকাতা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করতে যোগ দিলেও ভগ্নস্বাস্থ্যের জন্য পড়া শেষ করতে পারেন নি। কিছুদিন শিক্ষকতা করেছিলেন তিনি। কলকাতার ডাফ কলেজে বি.এ. পাঠরত অবস্থায় যুগান্তর দলের সংস্পর্শে আসেন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় তিনি যুগান্তরবন্দে মাতরম পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯০৭ সালে বিখ্যাত আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলায় মানিকতলার বাগানবাড়ী থেকে অরবিন্দ ঘোষ, বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত, যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, কানাইলাল দত্ত, দেবব্রত বসু, হৃষিকেশ কাঞ্জিলাল ও আরও অনেক বিপ্লবীর সঙ্গে উপেন্দ্রনাথও ধরা পড়েন। তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সেলুলার জেলে তাঁর দীর্ঘ বারো বছর কারাবাসের কাহিনী নিয়ে লেখেন নির্বাসিতের আত্মকথা বইটি। মুক্তি লাভের পরে দেশবন্ধ চিত্তরঞ্জন দাশের নারায়ণ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন। বারীন্দ্রকুমার ঘোষের সঙ্গে বিজলী পত্রিকা প্রকাশ করেন। এর পর তিনি নিজ সম্পাদনায় প্রকাশ করেন সাপ্তাহিক আত্মশক্তি। দেশ বিরোধী লেখার জন্য ইংরেজ সরকার আবার উপেন্দ্রনাথকে ৩ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। ১৯২৬-এ মুক্ত পেয়ে ফরোয়ার্ড', 'লিবার্টি', 'অমৃতবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজ করতেন। ১৯৪৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে আমৃত্যু তিনি 'দৈনিক বসুমতী' পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন।[১] শেষ জীবনে হিন্দু মহাসভার সাথে যুক্ত হন ও বঙ্গীয় প্রাদেশিক হিন্দু মহাসভার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।[২]

রচিত গ্রন্থ

  • নির্বাসিতের আত্মকথা
  • উনপঞ্চাশী
  • পথের সন্ধান
  • ধর্ম ও কর্ম
  • স্বাধীন মানুষ
  • জাতির বিড়ম্বনা
  • ভবঘুরের চিঠি
  • অনন্তানন্দের পত্র
  • বর্তমান জগত

তথ্যসূত্র