আব্দুর রব বগা মিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0
AishikBot (আলোচনা | অবদান)
বানান ও অন্যান্য সংশোধন
১৮ নং লাইন: ১৮ নং লাইন:


==রাজনৈতিক জীবন==
==রাজনৈতিক জীবন==
১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের পাবনা জেলা শাখা গঠিত হলে বগা মিয়া কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৬২ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তিনি [[আমজাদ হোসেন (রাজনীতিবিদ)|আমজাদ হোসেনের]] পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেন। [[পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭০|১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের]] নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা সদর আসন থেকে এমপিএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা শাখা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর পর তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে [[বাংলাদেশ গণপরিষদ|গণপরিষদ]] গঠন করা হলে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি এতে অন্তর্ভূক্ত হন।
১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের পাবনা জেলা শাখা গঠিত হলে বগা মিয়া কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৬২ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তিনি [[আমজাদ হোসেন (রাজনীতিবিদ)|আমজাদ হোসেনের]] পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেন। [[পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭০|১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের]] নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা সদর আসন থেকে এমপিএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা শাখা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর পর তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে [[বাংলাদেশ গণপরিষদ|গণপরিষদ]] গঠন করা হলে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি এতে অন্তর্ভুক্ত হন।


১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাবনায় ৯ জনকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয় যার মধ্যে একজন ছিলেন বগা মিয়া।<ref>বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (তৃতীয় খণ্ড), ৭২৫</ref><ref name="জনকন্ঠ">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=রাজশাহী হানাদার মুক্ত দিবস আজ |ইউআরএল=http://web.dailyjanakantha.com/details/article/467864/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%86%E0%A6%9C/ |ওয়েবসাইট=জনকন্ঠ |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20191225170522/http://web.dailyjanakantha.com/details/article/467864/%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B9%25E0%25A7%2580-%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A4-%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B8-%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%259C/ |আর্কাইভের-তারিখ=২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ১৮ ডিসেম্বর পাবনাকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন।<ref name="জনকন্ঠ"/>
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাবনায় ৯ জনকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয় যার মধ্যে একজন ছিলেন বগা মিয়া।<ref>বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (তৃতীয় খণ্ড), ৭২৫</ref><ref name="জনকন্ঠ">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=রাজশাহী হানাদার মুক্ত দিবস আজ |ইউআরএল=http://web.dailyjanakantha.com/details/article/467864/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%B8-%E0%A6%86%E0%A6%9C/ |ওয়েবসাইট=জনকন্ঠ |সংগ্রহের-তারিখ=২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20191225170522/http://web.dailyjanakantha.com/details/article/467864/%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%259C%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B9%25E0%25A7%2580-%25E0%25A6%25B9%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A8%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0-%25E0%25A6%25AE%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25A4-%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%25BF%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B8-%25E0%25A6%2586%25E0%25A6%259C/ |আর্কাইভের-তারিখ=২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ১৮ ডিসেম্বর পাবনাকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন।<ref name="জনকন্ঠ"/>

০৬:৩৯, ১ জুন ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আব্দুর রব বগা মিয়া
গণপরিষদ সদস্য
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মসৈয়দ ফজলে এলাহী আব্দুর রব
(১৯১৬-১০-৩১)৩১ অক্টোবর ১৯১৬
রংপুর
মৃত্যু২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩(1973-02-25) (বয়স ৫৬)
জাতীয়তাবাংলাদেশি
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীজাহানারা রব
পেশারাজনীতিবিদ

আব্দুর রব বগা মিয়া (৩১ অক্টোবর ১৯১৬ - ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ ও গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। পাবনা জেলায় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

বগা মিয়া ১৯১৬ সালের ৩১ অক্টোবর রংপুর শহরে তার পিতার কর্মস্থলে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার আসল নাম সৈয়দ ফজলে এলাহী আব্দুর রব। তার পিতার নাম ছাবকাত হোসেন ও মাতার নাম মহিতুন নেসা।[১] ছাবকাত ব্রিটিশ ভারত সরকারের একজন বিভাগীয় পরিদর্শক ছিলেন। বগা মিয়া পরবর্তীতে কলকাতাতে শিক্ষালাভ করেন। কলকাতা থাকাবস্থাতাতেই বাঙালি রাজনীতিবিদদের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পৈতৃক নিবাস পাবনাতে চলে আসেন এবং ব্যবসায়ে জড়িত হন।[১] ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির অধিকার আদায়ের বিভিন্ন আন্দোলনে তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকার জন্য কয়েকবার কারাবরণ করেন।

রাজনৈতিক জীবন

১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের পাবনা জেলা শাখা গঠিত হলে বগা মিয়া কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৬২ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তিনি আমজাদ হোসেনের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেন। ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা সদর আসন থেকে এমপিএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা শাখা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর পর তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গণপরিষদ গঠন করা হলে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি এতে অন্তর্ভুক্ত হন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাবনায় ৯ জনকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয় যার মধ্যে একজন ছিলেন বগা মিয়া।[২][৩] ১৮ ডিসেম্বর পাবনাকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন।[৩]

ব্যক্তিগত জীবন

বগা মিয়া ব্যক্তিগত জীবনে জাহানারা রবের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। জাহানারা প্রথম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় বগা মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।[১] এই দম্পতির এক ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. "পাবনায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুর রব বগা মিয়া"নিউজ পাবনা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  2. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (তৃতীয় খণ্ড), ৭২৫
  3. "রাজশাহী হানাদার মুক্ত দিবস আজ"জনকন্ঠ। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯