কেউটে সাপ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৫৮ নং লাইন: ৫৮ নং লাইন:
* [https://web.archive.org/web/20170707065200/https://www.thailandsnakes.com/venomous/front-fanged/monocled-cobras-venomous-very-deadly/ Thailand Snakes : ''Naja kaouthia'']
* [https://web.archive.org/web/20170707065200/https://www.thailandsnakes.com/venomous/front-fanged/monocled-cobras-venomous-very-deadly/ Thailand Snakes : ''Naja kaouthia'']


{{নাজা বর্গভুক্ত সর্পপ্রজাতির তালিকা}}
{{Naja species}}


[[বিষয়শ্রেণী:এলাপিডি]]
[[বিষয়শ্রেণী:এলাপিডি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সরীসৃপ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সরীসৃপ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের সরীসৃপ]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের সরীসৃপ]]
[[বিষয়শ্রেণী:নাজা বর্গভুক্ত সর্পপ্রজাতির তালিকা]]
[[বিষয়শ্রেণী:নাজা]]

০৬:১২, ১১ মে ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কেউটে সাপ
গোক্ষুর গোখরা
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণি: রেপটিলিয়া (Reptilia)
বর্গ: Squamata
উপবর্গ: সারপেন্টস (Serpentes)
পরিবার: এলাপিডি(Elapidae)
গণ: Naja
Lesson, 1831
প্রজাতি: N. kaouthia
দ্বিপদী নাম
Naja kaouthia
Lesson, 1831
গোক্ষুর গোখরা বিস্তৃতি

কেউটে সাপ (Naja kaouthia), যাকে monocellate cobra বলা হয়, বাংলায় গোক্ষুর গোখরা গোখরা প্রজাতির একটি সাপ যা দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়া দেখা যায়। এটিকে আইইউসিএন কর্তৃক ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।[১] এ গোখরোর ফণার পিছনে গরুর ক্ষুর বা পুরোনো দিনের ডাঁটি ছাড়া জোড়া-চোখো চশমার মত দাগ থাকে তার থেকে নাম গোক্ষুর। আবার ফণার পিছনে গোল দাগ থাকে তাই গোখরোর দুচোখার পরিবর্তে একচোখা চশমা বা মনোকল-এর উপমা দিয়ে এর ইংরেজি নাম মনোকল্ড কোবরা। গোখরা উত্তেজিত হলে ওদের ঘাড়ের লম্বা হাড় স্ফীত হয়ে ওঠে, তাতে চমৎকার ফণাটি বিস্তৃত হয়।

বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[২]

ব্যুৎপত্তি

কেউটে শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ কালকূট থেকে।

বৈশিষ্ট্য

অল্প বয়েসি গোক্ষুর সাপ

গোক্ষুর গোখরার ইংরেজি ও অক্ষরের মত ফণা রয়েছে যা প্রায় খইয়া বা খড়মপায়া গোখরার কাছাকাছি। ছোট সাপের রং স্থিত থাকে। গায়ে হলুদ, বাদামি, ছাই বা কাল ধরনের রংয়ের সাথে ক্রসব্যান্ড দেখা যায়। ফণার দুই ধারে নিচের দিকে কাল ছোপ দেখতে পাওয়া যায় এবং একটি বা দুটি ক্রস আকারের রেখা কালো ছোপের পেছন থেকে পেটের দিকে নামে। বয়সের সাথে সাথে সাপের গায়ের রং ফিকে হতে শুরু করে। এর দুটি সরু, লম্বা বিষ দাঁত আছে। সবচেয়ে বড় বিষ দাঁতের রেকর্ড হল ৬.৭৮ মিমি (০.৬৭৮ সেমি)। বিষদাঁতগুলো বিষছুঁড়ে মারার জন্য কিছুটা উপযুক্ত।[৩] পূর্ণ বয়স্ক গোক্ষুর গোখরা প্রায় ১.৩৫ থেকে ১.৫ মি (৪.৪ থেকে ৪.৯ ফু) হয়, লেজ সহ তা দাঁড়ায় প্রায় ২৩ সেমি (৯.১ ইঞ্চি)। আরো অনেক বড় প্রজাতি পাওয়া গেছে তবে তা খুব বিরল। পূর্ণ বয়স্ক হলে এরা লম্বায় প্রায় ২.৩ মি (৭.৫ ফু) হয়।[৪][৫]

বিস্তৃতি ও আবাস

গোক্ষুর গোখরা পাওয়া যায় ভারত এর পশ্চিম থেকে চীন, ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়াতেমালয় দ্বীপপুঞ্জ, বাংলাদেশ, ভুটান, মিয়ানমার, লাওস, নেপালথাইল্যান্ড এদের আদি নিবাস।

আচরণ

এরা নিশাচর। মানুষের বসতবাড়ির আশেপাশে, চাষের জমি, বনাঞ্চল বা ধানক্ষেতের আশেপাশের ইদুরের গর্তে থাকতে ভালবাসে। শিশু গোক্ষুর গোখরা উভচর প্রাণী আর বড়গুলো স্তন্যপায়ী প্রাণি, সাপ বা মাছ শিকার করে। যখন বিরক্ত হয় পালাতে পছন্দ করে।[৩] কিন্তু যদি তার কাছে কাউকে প্রাণ সংশয়কারী মনে হয় তাহলে ফণা তুলে জোরে হিস হিস শব্দ করে। আত্মরক্ষার্থে কামড়ও দিতে পারে।[৫]

বাস্তুসংস্থান

এগুলোকে গাছের গুঁড়ির গর্ত বা যেখানে ইঁদুর রয়েছে এমন স্থানে পাওয়া যায়।[৬]

কিছু কিছু গোক্ষুর গোখরার বিষ নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রয়েছে।[৭][৮]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Naja kaouthia"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2016.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। ২০১২। 
  2. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৫০৮
  3. Wüster, W (১৯৯৮)। "The cobras of the genus Naja in India" (PDF)Hamadryad23 (1): 15–32। 
  4. Smith, M. A. (1943) Naja naja kaouthia In: The Fauna of British India, Ceylon and Burma, Including the Whole of the Indo-Chinese Sub-Region. Reptilia and Amphibia. Volume III (Serpentes). Taylor and Francis, London. Pages 428–432.
  5. Chanhome, L.; Cox, M. J.; Vasaruchaponga, T.; Chaiyabutra, N. Sitprija (২০১১)। "Characterization of venomous snakes of Thailand"Asian Biomedicine5 (3): 311–328। 
  6. "Naja kaouthia: General Details and Information"WCH Clinical Toxinology Resource। University of Adelaide। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  7. Wuster, Wolfgang; Thorpe, Roger S. (১৯৯২)। "Dentitional phenomena in cobra revisited: spitting and fang structure in the Asiatic species of Naja (Serpentes: Elapidae)" (পিডিএফ)Herpetologica48 (4): 424–434। 
  8. Santra, Vishal & Wolfgang Wüster (2017) Naja kaouthia behavior/spitting. Herpetological Review 48(2):?

আরো পড়ুন

  • Wüster, Wolfgang (১৯৯৩)। "A century of confusion: Asiatic cobras revisited"। Vivarium4 (4): 14–18। 
  • Cox, Merel J (১৯৯৫)। "Naja kaouthia"। Herpetological Review26 (3): 156–157। 
  • Kyi, S. W.; Zug, G. R. (২০০৩)। "Unusual foraging behaviour of Naja kaouthia at the Moyingye Wetlands Bird Sanctuary, Myanmar"। Hamadryad27 (2): 265–266। 
  • Wüster, W. Thorpe, R.S. (1991). Asiatic cobras: Systematics and snakebite. Experientia 47: 205–209
  • Wüster, W.; Thorpe, R.S.; Cox, M.J.; Jintakune, P.; Nabhitabhata, J. (১৯৯৫)। "Population systematics of the snake genus Naja (Reptilia: Serpentes: Elapidae) in Indochina: Multivariate morphometrics and comparative mitochondrial DNA sequencing (cytochrome oxidase I)"."। Journal of Evolutionary Biology8: 493–510। ডিওআই:10.1046/j.1420-9101.1995.8040493.x 
  • Wüster, W (১৯৯৬)। "Taxonomic changes and toxinology: Systematic revisions of the Asiatic cobras (Naja naja complex)"। Toxicon34 (4): 399–406। ডিওআই:10.1016/0041-0101(95)00139-5পিএমআইডি 8735239 
  • Wüster, W (১৯৯৮)। "The cobras of the genus Naja in India"। Hamadryad23 (1): 15–32। 

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:নাজা বর্গভুক্ত সর্পপ্রজাতির তালিকা